চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালকে অন্যতম ফেভারিট মনে করছেন আথলেটিক ক্লাবের ম্যানেজার এরনেস্তো ভালভার্দে। আজ রাতে সান মামেস স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
গত মৌসুমে সেমিফাইনালে পিএসজির কাছে হেরে বিদায় নেয় আর্সেনাল। তবে এবার তাদের নিয়ে ভিন্ন রকম বিশ্বাস ভালভার্দের। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আথলেটিক কোচ বলেন, ‘আর্সেনাল এখন পুরোপুরি মনোযোগী। টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল দিক দিয়ে তারা অসাধারণ, আর্তেতা খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের মানসিকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আমার কাছে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার অন্যতম ফেভারিট।’
২০০৫ সালের পর আর কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে পারেনি আর্সেনাল। কখনো ইউরোপসেরা হওয়ার স্বাদও পায়নি তারা। তবুও ভালভার্দে সতর্ক হয়ে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে উচ্চমানের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে আমরা সব সময় ভালোবাসি। তবে আমাদের সাবধানে খেলতে হবে এবং সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। কারণ আর্সেনাল কোনো ভুল ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন
নতুন ফরম্যাটে অভিযানে নামছে নতুন রিয়াল |
![]() |
দশ বছরের অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরেছে আথলেটিক। গত মৌসুমে লা লিগায় চতুর্থ হয়ে তারা জায়গা করে নেয় ইউরোপের সেরার মঞ্চে। এর আগে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে থেমে যায় তাদের যাত্রা, যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভেঙে যায়।
নতুন মৌসুমে টানা তিন জয়ে দুর্দান্ত শুরু করলেও গত শনিবার লিগে আলাভেসের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় আথলেটিক। এবার ইউরোপীয় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া তারা।
ম্যাচের আগে দলকে উজ্জীবিত করেছেন ইনিয়াকি উইলিয়ামস। ভাই নিকো উইলিয়ামস চোটের কারণে না খেললেও তিনি আশাবাদী, ‘আমরা বছরের পর বছর লড়াই করেছি এই জায়গায় পৌঁছাতে। এখন স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। আর্সেনালের মতো দারুণ প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছি, যারা কোনো দয়া করে না। তাই সুযোগগুলো কাজে লাগাতেই হবে। ভয় নেই আমাদের, যতদূর সম্ভব যেতে চাই। কঠিন জানি, কিন্তু আড়ালে থেকে লড়াই করতেই আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’
No posts available.
বার্সেলোনা ও ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার এরিক আবিদালকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল মৃত্যুর গুজব। সোমবার একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়, দ্বিতীয়বার লিভার প্রতিস্থাপনের জটিলতায় ৪৬ বছর বয়সী এই ফুটবলারের মৃত্যু হয়েছে।
খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সমর্থক ও ফুটবল বিশ্বে নেমে আসে দুশ্চিন্তার ছায়া। অবশেষে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে ভুয়া গুজবের জবাব দিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী এই কিংবদন্তি।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এরিক আবিদাল লেখেন,
'কিছু গুজব কখনোই ছড়ানো উচিত না। আমি আমার পরিবারের সাথে আছি, এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে। সম্মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুজবের পেছনে আমার পরিবার এবং সন্তানরাও আছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি ভালো আছি, জীবিত এবং সুস্থ আছি। আপনাদের সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ। আসুন আমরা আসল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিই।'
মৃত্যুর এই ভুয়া খবর ছড়ানো হয় আবিদালের পুরোনো অসুস্থতাকে ঘিরে। ২০১১ সালে বার্সেলোনায় খেলার সময় তাঁর লিভারে টিউমার ধরা পড়ে। প্রথমে অস্ত্রোপচার করা হয়, তারপর ২০১২ সালে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়।
জীবনের কঠিন সময় পার করার পর ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে আবারও মাঠে ফেরেন আবিদাল। এরপর তিনি মোনাকো ও অলিম্পিয়াকসের হয়ে খেলেন। তবে শারীরিক অবস্থার কারণে ২০১৪ সালে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানান।
খেলোয়াড় জীবন শেষে বার্সেলোনার ফুটবল ডিরেক্টরের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন আবিদাল।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। কয়েক সপ্তাহ আগে লিগ মৌসুমের পর্দা উঠলেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। মাঠে নামছে ইউরোপের নামি-দামি ক্লাবগুলো। নতুন ফরম্যাট, নতুন রোমাঞ্চ আর বাড়তি উত্তেজনা নিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের মৌসুম।
নতুন ফরম্যাট, নতুন রোমাঞ্চ
চ্যাম্পিয়নস লিগের এ মৌসুমে প্রতিটি ক্লাব খেলবে মোট আটটি ম্যাচ— ঘরের মাঠে চারটি, প্রতিপক্ষের মাঠে চারটি। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ আট দল সরাসরি জায়গা করে নেবে নকআউট পর্বে। অন্যদিকে নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬ দল খেলবে দুই লেগের প্লে-অফ। এখান থেকে আসবে শেষ ষোলোর বাকি আটটি দল। ফলে নকআউটে ওঠার লড়াই এবার আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। লিগ পর্বে ভালো অবস্থানে থাকা দলগুলো পাবে ড্রয়ে বাড়তি সুবিধা।
আরও পড়ুন
ইয়ামালকে নিয়ে বৈঠকে বসছে স্পেন-বার্সা |
![]() |
ইংল্যান্ডের রেকর্ড অংশগ্রহণ
বর্ধিত কলেবরের দ্বিতীয় আসরে অংশ নিচ্ছে মোট ৩৬টি দল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ছয়টি দল এসেছে ইংল্যান্ড থেকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এক দেশের ছয় ক্লাবের অংশ নেওয়ার নজির এই প্রথম। এতে প্রতিযোগিতায় বাড়ছে উত্তাপ এবং ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে পারস্পরিক লড়াইও হতে পারে দেখার মতো।
শিরোপা জয়ের পুরস্কার
যে দল শিরোপা জিতবে, তারা পাবে হান্ড্রেড মিলিয়ন ডলারের প্রাইজ মানি। এর পাশাপাশি নিশ্চিত হবে পরবর্তী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ লিগ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগ। শুধু তাই নয়, তারা জায়গা করে নেবে ২০২৬ সালের ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ২০২৯ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। ফলে এবারের ট্রফি জয়ের পুরস্কার কেবল অর্থ নয়, ভবিষ্যতের বড় বড় আসরে সরাসরি খেলার সুযোগও এনে দেবে।
রিয়ালের অভিযান শুরু
চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই আলাদা করে আলোচনায় থাকে রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এবারের মৌসুমে তারা প্রথম ম্যাচেই নামছে মাঠে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফরাসি ক্লাব মার্শেইয়ের বিপক্ষে শুরু হবে লস ব্লাঙ্কোসদের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান। নতুন মৌসুমে নতুন কোচ জাবি আলোনসো, নতুন খেলোয়াড়ও অনেক।
অন্যদিকে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আগামী বৃহস্পতিবার। প্রতিপক্ষ নিউক্যাসল ইউনাইটেড, আর ভেন্যু হবে ইংল্যান্ডের সেন্ট জেমস পার্ক।
আরও পড়ুন
লেভানদোভস্কি যেন ফুটবলের ‘জোকোভিচ’ |
![]() |
এবারও পিএসজির স্বপ্ন?
আগামী বছরের ৩০ মে হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনা প্রথমবার আয়োজন করবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। গত মৌসুমের শিরোপা জিততে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) খেলেছিল ১৭টি ম্যাচ। তবে এবার ফরম্যাটের কারণে সেরা আটে থাকতে পারলে দুই ম্যাচ কম খেলেই ট্রফি জেতার সুযোগ রয়েছে। ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে ছেড়ে দিলেও নতুন মৌসুমে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যেই মাঠে নামছে ফরাসি জায়ান্টরা।
ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এবার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের শক্তিশালী ক্লাবগুলো। নতুন ফরম্যাটে ম্যাচের সংখ্যা বেড়েছে, বাড়ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। তাই ফুটবলপ্রেমীদের জন্য শুরু হতে যাচ্ছে আরও এক রোমাঞ্চকর মৌসুম।
বার্সেলোনার সঙ্গে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে! আন্তর্জাতিক বিরতিতে স্পেনের হয়ে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন লামিন ইয়ামাল। দু’পক্ষের মন কষাকষির কারণ মূলত এটাই। কারণ, চ্যাম্পিয়ন লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৮ বর্ষী স্প্যানিয়ার্ডের খেলা অনিশ্চিত। বিরতি থেকে ফেরার পরও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে নামা হয়নি ইয়ামালের। নিউক্যাসেলের বিপক্ষেও দেখা যাবে না তাকে।
নতুন মৌসুমের শুরুতে ইয়ামালকে না পাওয়ার বিষয়ে বিষম চটেছেন ফ্লিক। তার ইনজুরির জন্য স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করেছেন জার্মান কোচ। পাশাপাশি ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও একজন তরুণকে দীর্ঘক্ষণ মাঠে রাখার ব্যাপারে প্রকাশ্যে বিরক্ত ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বার্সা চায় ভবিষ্যতে ক্লাব ও দেশের মধ্যে খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সমন্বয় থাকুক।
আরও পড়ুন
লেভানদোভস্কি যেন ফুটবলের ‘জোকোভিচ’ |
![]() |
ইয়ামাল বার্সেলোনার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। তার ব্যাপারে একটু বেশিই সচেতন কাতালুনিয়ারা। ন্যু ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে তাদের চলমান বিরোধ কমিয়ে আনতে। মার্কা জানিয়েছে, বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আইতোর কারাঙ্কার সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে বেশ কিছু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
ইয়ামালের ইনজুরি নিয়ে ফ্লিকের অভিযোগ, পেইন কিলার খেয়েই স্পেনের হয়ে খেলেছেন ইয়ামান। তিনি বলেন,
‘‘তারা (স্পেন) প্রতিটি ম্যাচে তারা কমপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ইয়ামাল দুটি ম্যাচেই ৭৩ ও ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন। ম্যাচগুলোর মাঝেই সে ট্রেনিংও করতে পারেননি। এটা কি আসলেই খেলোয়াড়ের যত্ন নেওয়া? এ নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’’
এক যুগের বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবল দেখেছে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর আধিপত্য। দুজনের প্রখর আলোয়, সমসাময়িক তারকারা অনেক সময়ই যেন নিভে যাওয়া প্রদীপ! দুই মহাতারকার উপস্থিতিতে একের পর এক রেকর্ড গড়লেও, অনেক সময় আড়ালেই থেকে গেছেন আরেকজন—রবার্ট লেভানদোভস্কি।
পোলিশ এই স্ট্রাইকারও ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলদাতাদের একজন। জিতেছেন লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ট্রেবল—তবুও তাঁর নাম প্রায়ই ম্লান হয়ে যায় মেসি-রোনালদোর ছায়ায়। ঠিক যেমনটা ঘটেছে টেনিসে নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে। রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের বিপুল জনপ্রিয়তার মাঝে থেকেও সাফল্যের দিক থেকে সবার ওপরে উঠে এসেছেন সার্বিয়ান তারকা।
লেভানদোভস্কি ও জোকোভিচ দুজনও আবার বন্ধুও। শুধু বন্ধু নন, দুজনের মধ্যে মিল রয়েছে একাধিক বিষয়ে। তারা নিজেদের খেলায় দুই মহাতারকার পাশে থেকে মঞ্চ ভাগ করেছেন, আবার বয়স ৩৭ ও ৩৮ হয়েও এখনো সর্বোচ্চ স্তরে খেলে যাচ্ছেন।
বিশ্লেষক ও ভক্তরা মনে করেন, লেভানদোভস্কি ও জোকোভিচ যদি অন্য কোনো যুগে খেলতেন তবে আরও বেশি সাফল্য পেতেন। তবে লেভানদোভস্কি বলেন, তিনি আর জোকোভিচ দুজনেই বিষয়টি ‘ভিন্নভাবে দেখেন’।
সম্প্রতি লেভানদোভস্কি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
আমরা (জোকোভিচ) বন্ধু, মাঝে মাঝে দেখা হয়। সে খুবই মজার মানুষ এবং আমরা যোগাযোগ রাখি। এখনো বয়সে এতটা এগিয়ে গিয়েও জোকোভিচ শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে, আর সেখানে পৌঁছাতে ও থাকতে সে অবিশ্বাস্য রকম পরিশ্রম করে।
মেসি-রোনালদোর সঙ্গে একই যুগে না খেললে, আরও বেশি কিছু অর্জন করা যেত বললেন লেভানদোভস্কি,
আমি রোনালদো আর মেসির সময়ে খেলেছি। সব সময়ই বলা যায়, গত ১৫ বছরে তারা না থাকলে হয়তো আমি আরও বেশি জিততাম। আমি বিষয়টা অন্যভাবে দেখি, আর আমার মনে হয় জোকোভিচও একইভাবে দেখে। আমার ফুটবলজীবন তাদের সঙ্গে কাটানো মানে হলো—আমি আসলে আরও বেশি অর্জন করেছি।
একটি পুরস্কার ছিল যেটি লেভানদোভস্কি রোনালদো ও মেসিকে পেছনে ফেলে জিততে পারতেন—২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর। সে মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখকে ট্রেবল জেতাতে (চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাসহ) তিনি করেছিলেন ৫৫ গোল।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সেই বছর ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়নি। ফলে তিনি বঞ্চিত হন এমন একটি পুরস্কার থেকে, যা অনেকের মতে তার হাতেই উঠতে পারত। সে প্রসঙ্গে পোলিশ স্ট্রাইকার বলেন, ‘ব্যালন ডি’অর ছাড়া জীবনে সব জিতেছি। আমি বিশ্বাস করি, এটি জিততে পারতাম, কিন্তু আমি সেটা পরিবর্তন করতে পারি না। এই ট্রফি থাকলে আমি আলাদা ধরনের ফুটবলার বা মানুষ হতাম—এমন কোনো অনুভূতি আমার নেই।’
ফুটবলে রাজনীতি আছে সে ব্যাপারেও কথা বললেন লেভানদোভস্কি,
ফুটবলের চারপাশে অনেক কিছু আছে, কখনো কখনো রাজনীতিও থাকে—আমি বুঝি কীভাবে কাজ করে। আমি বলব না- না, আমি আর চাই না। আমি এমন মানুষ নই। কিন্তু আমি এটার স্বপ্নও দেখি না। এটা নয় যে ব্যালন ডি’অর নিয়ে আমি ঘুমোতে পারি না।
গতকাল বার্সেলোনা জার্সিতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বদলি নেমে জোড়া গোল করেছেন লেভানদোভস্কি।
‘কত পথ পাড়ি দিতে হবে একজন মানুষকে, যতক্ষণ তাকে মানুষ বলা হবে?” বব ডিলানের খুবই বিখ্যাত একটি গানের প্রথম দুটি লাইন। এই গানের প্রথম অংশের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোথায় জানি মিল পাওয়া যায়। চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংলিশ ক্লাবটিকে আর কত কণ্টকময় পথ পাড়ি দিতে হবে? অন্ধকার টানেলও তো একসময় আলো মুখ দেখে, আর কত বাজে সময় পার করার পর সুদিন ফিরবে ইউরোপের বনেদি এই ক্লাবের?
মৌসুম আসে মৌসুম যায়, ডাগ-আউটে একের পর এক কোচের পা পড়ে। ইউনাইটেডের সুসময়ই শুধু ফিরে না। ম্যান ইউর কিংবদন্তি ওয়েইন রুনি ইংলিশ ক্লাবটিকে নিয়ে আপাতত কোনো আশাও দেখছেন না। ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ রুবেন আমোরিমের অধীনে ২০বারের লিগ চ্যাম্পিয়নদের আরো অধঃপতনই হয়েছে বলেই মনে করেন সাবেক এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
চাকরি হারানোর পরোয়া নেই, নিজেকে বদলাবেন না ইউনাইটেড কোচ |
![]() |
ম্যান ইউর ট্র্যাজেডির সবশেষ সংযোজন ‘ম্যানচেস্টার ডার্বিতে’ বড় হার। পেপ গার্দিওলার সিটির বিপক্ষে আমোরিমের দল হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। গত মৌসুম থেকে ধুকতে থাকা সিটিজেনরাও রেড ডেভিলদের পেয়ে যেন ছন্দ ফিরে পায়।
নিজের সাবেক ক্লাব নিয়ে ‘দ্য ওয়েইন রুনি শো’-এর সবশেষ এপিসোডে কথা বলেন রুনি। ম্যান ইউর কোচ আমোরিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছর যখন টেন হাগকে বরখাস্ত করা হলো এবং রুবেন আসলেন, তখন আমরা শুনছিলাম তারা কিভাবে খেলবে, এবং এটি পরিবর্তন হবে। আমি মনে করি, যদি ম্যানেজার নিজের সঙ্গে সৎ হন, পরিস্থিতি আরও খারাপই হয়েছে।’
গত বছরের নভেম্বরে এরিক টেন হাগের স্থলে আমোরিমকে নিয়োগ দেয় ম্যান ইউ। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউনাইটেড লিগে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বেরে শেষ করে। ১৯৮৯–৯০ মৌসুমের পর যা ক্লাবটির সর্বনিম্ন অবস্থান। পর্তূগিজ কোচের অধীনে ১০ মাসেরও বেশি সময় চলে গেলেও ইউনাইটেড এখনো উন্নতির মুখ দেখেনি।
রুনিরও কণ্ঠে শোনা যায় সেই আক্ষেপ, ‘আমি যতটা সম্ভব ম্যানেজার এবং খেলোয়াড়দের প্রতি সহযোগিতামূলক ও ইতিবাচক থাকতে চাই। কিন্তু এখানে বসে এটা বলা খুব কঠিন যে আমরা উন্নতি দেখছি, বা অন্তত কিছু দেখছি যা অল্প সময়ে ফলাফল আনবে। আমরা এ ধরনের কিছুই দেখছি না।’
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দর্শকদের স্টেডিয়াম ত্যাগ করতে দেখে চরম হতাশ হয়েছেন রুনি, ‘ কান পাতলে আপনি শুনতে পাবেন সমর্থকরা আমোরিমের নাম ধরে গান গাইছিল, কিন্তু আমার কাছে আরও শক্তিশালী ছবি ছিল এই যে ইউনাইটেডের সমর্থকেরা খেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। আপনি জানেন যে, তখনই বোঝা যাচ্ছিল খেলা শেষ। আর আমি মনে করি তারা মাঠে যা দেখছিল তাতে ভীষণ হতাশই হয়েছিল।’
এরপর দলের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে উদ্মেগ প্রকাশ করেন ইউনাইটেডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা, ‘কোথায় সেই ধরণ বা কাঠামো ? আমরা আসলে এমন কিছু কি দেখছি যা ভবিষ্যতে দলকে উন্নতির পথে নিতে পারে?