নানা কারণেই গত কয়েক মাসে ক্রমেই পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাঠের বাইরের একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার সাথে মাঠের চিত্রটাও আশা জাগানিয়া নয়। দর্শকরাও যেন ক্রমেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এসবের মধ্যে যোগ হয়েছে জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্টে বিব্রতকর হার। সময়টা কী আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটের জন্য? জাকের আলি অনিকও সেটা মেনে নিচ্ছেন। তবে এটাও মনে করিয়ে দিলেন, ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে খারাপ সময় পেছনে ফেলা সম্ভব।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে। বেসরকারি কোনো চ্যানেল সিরিজটি দেখাতে আগ্রহ না দেখানোয় বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দারস্থ হয়েছে সরকারি চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের। সিলেটে প্রথম টেস্ট দেখতে চারদিনের একদিনেও চোখে মেলেনি দর্শকদের তেমন সাড়া। সেই ম্যাচেই আবার তিন উইকেটে হেরে যাওয়ায় ক্রিকেটারদের ওপর চাপ যেন বেড়ে গেছে আরও। আর ক্রিকেটের জোয়ারেও যেন বইছে ভাঁটা।
দ্বিতীয় টেস্টের আগের সংবাদ সম্মেলনে শনিবার জাকের অবশ্য শোনালেন ইতিবাচক কথাই।
“আমাদের ভালো পারফরম্যান্স করা উচিত। ভালো পারফরম্যান্সের ওপর তো আর কিছু নেই। আমাদের সবারই তাই লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলা। যেহেতু সিনিয়র ক্রিকেটাররা চলে যাবেন, তাই তরুণদের মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগতেই পারে। আমি মনে করি এটা ঠিক হতে কিছুদিন সময় লাগবে। এটা সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন
তামিমদের আপত্তির পর স্থগিত হল তাওহীদের শাস্তি |
![]() |
৯৫ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মুশফিকুর রহিম বাদে বেশ তরুণ একটা দল নিয়েই এই সিরিজে খেলছে বাংলাদেশ। কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বিদায়ের ফলে ক্রমেই দলে বাড়ছে তারুণ্যের ভিড়। আর তাদের মধ্যে অন্যতম সম্ভাবনাময় ও ধারাবাহিক পারফর্মারদের একজন জাকের। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই খেলেছেন লড়িয়ে ইনিংস। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলার হাসান মাহমুদকে অতিরিক্ত বল (৫৮) খেলানোর কারণে কিছুটা সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে।
তবে কাজটা কেন করেছেন, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে এই কিপার-ব্যাটারের।
“(দ্বিতীয় ইনিংসে) ৭ উইকেটে চলে যাওয়া মানে আমাদের হাতে আরও তিনটা উইকেট আছে। আমরা যেহেতু টার্গেট দিচ্ছিলাম, তাই প্রতিটি রানই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দেখেন, হাসান কিন্তু ৫৮ বল খেলেছে। আমাদের মধ্যে ৩৭ রানের একটা জুটি হয়েছে। এই রান যদি হাসান একাই করত, তাহলে আমার সমস্যা নেই। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ম্যাচটা বড় করার, যতদূর সম্ভব টেনে নেওয়ার। চেষ্টা করেছি, হয়নি আসলে।”
টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ছয় থেকে আট নম্বর পজিশনে খেলতে হচ্ছে জাকেরকে। ফলে প্রায় নিয়মিতভাবেই তাকে ইনিংস টেনে নিতে হচ্ছে স্বীকৃত ব্যাটারদের ছাড়াই আর বোলারদের সঙ্গী করে। ফলে কয়েকবারই হারাতে হয়েছে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ।
আরও পড়ুন
প্রায় ৩ বছর পর টেস্ট দলে বিজয় |
![]() |
তবে ব্যক্তিগত এসব অর্জন নিয়ে আক্ষেপ নেই জাকেরের।
“ঘরোয়া ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই আমি এভাবে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। ঘরোয়াতেও আমি ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করেছি। তাই টেল এন্ডারদের নিয়ে খেলার অভ্যাস আমার আগেও ছিল। এই কারণেই কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমার সেঞ্চুরি করতে পাঁচ বছর লেগে গেছে। তাই এসব হবেই। এই কঠিন দিকগুলো সামলেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
No posts available.
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ এম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০০ এম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৬ এম
ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা ও বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। সিরিজ থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দিয়ে দেবেন তারা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে অলআউট করে ৭৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহৎ ঘোষণাটি দেন সালমান।
“আমরা দল হিসেবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই শাহিন আর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এই সিরিজ থেকে যা আয় হয়েছে সব আমরা বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় দান করব।”
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে পাকিস্তান ও নাওয়াজের যত রেকর্ড |
![]() |
নিজে ঘোষণা দিয়েই কাজ শেষ মনে করেননি সালমান, অন্য তারকাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
“আমি আমাদের অন্য তারকাদেরও আহ্বান জানাই- যাদের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের পুনর্গঠনে এগিয়ে আসুন।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই কথা জানান শাহিন আফ্রিদি।
“এই জয় পাকিস্তানের মানুষের জন্য। আমি আর সালমান এই সিরিজ থেকে আমাদের সব আয় দেশের বন্যাদুর্গতদের জন্য দান করছি। আমরা প্রস্তুত পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য। এই দল সর্বোচ্চটা দেওয়ার জন্য লড়ে যাবে!”
গত কয়েক সপ্তাহের টানা বর্ষণে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি, ফসল, রাস্তাঘাট ভেসে গেছে বন্যার জলে। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, লাখ লাখ মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। এ পরিস্থিতিকে ‘মানবিক সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
এই কঠিন সময়ে ক্রীড়াঙ্গনের বহু মানুষ এগিয়ে এসেছেন। কয়েক দিন আগে পেশোয়ার জালমি একটি চ্যারিটি ম্যাচ আয়োজন করে তহবিল সংগ্রহ করেছে। সালমান ও শাহীন এবার তাঁদের সিরিজ জয়কে দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করে দেখালেন- খেলাধুলা শুধু বিনোদনের নয়, বরং দুর্দিনে আশার প্রদীপ জ্বালানোরও বড় শক্তি।
দুই বছর পর আবার বসতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের আসর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই মাঠে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু মঙ্গলবার।
এর আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব তথ্য।
কবে শুরু এশিয়া কাপ
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়া কাপের ১৭তম আসর। এবারের সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। শুধুমাত্র মাত্র ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
ভেন্যু
এশিয়া কাপের এবারের স্বাগতিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবু ধাবি ও দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সবগুলো ম্যাচ।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে পাকিস্তান ও নাওয়াজের যত রেকর্ড |
![]() |
আমিরাতে কেন এশিয়া কাপ
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ ভারত। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানা-পোড়েনের কারণে দুই দেশের কেউই তাদের প্রতিপক্ষ দেশে গিয়ে খেলতে রাজি নয়। তাই নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আমিরাতকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
টুর্নামেন্ট যদি ভারতের মাঠেই হতো, তাহলে পাকিস্তানের ম্যাচগুলোর জন্য আবার নিরপেক্ষ কোনো দেশের মাঠ ভাড়া করতে হতো। যেমনটা করা হয়েছে সামনের নারী বিশ্বকাপের জন্য। তবে এশিয়া কাপে তা নয়। তাই আয়োজক দেশ ভারত কিন্তু স্বাগতিক দেশ আমিরাত।
এশিয়া কাপে খেলবে কারা
এশিয়ার টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে এবার এশিয়া কাপে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও হংকং। গত বছর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপ থেকে এশিয়া কাপের টিকেট পেয়েছে এই তিন দল।
ফরম্যাট
শুরুতে এশিয়া কাপ ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট। তবে ২০১৬ সাল থেকে বদলে যায় এটি। তখন সিদ্ধান্ত হয় যে, সামনে যে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ থাকবে, এশিয়া কাপও হবে সেই ফরম্যাটে। তাই ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টিতে।
২০১৬ সালে প্রথম আয়োজিত হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। সেবার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। আর ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সবশেষ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
২০২৩ সালে হয়েছিল এশিয়া কাপের সবশেষ আসর। ওয়ানডে টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
ফরম্যাট (২)
প্রাথমিকভাবে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ৮ দলকে। 'এ' গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। 'বি' গ্রুপের ৪ দল- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল পাবে সুপার ফোরের টিকেট।
পরে সুপার ফোর পর্বে একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে চার দল। সেখান থেকে সেরা দুই দলকে নিয়ে দুবাইয়ে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে শেষ হবে ২০ দিনের এই টুর্নামেন্ট।
স্পটলাইট থাকবে যাদের ওপর
টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ৮ দেশের বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। ভারতের হয়ে এরই মধ্যে ১৭ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করে ফেলা অভিষেক শর্মার ওপর নজর থাকবে সবার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বছর বয়সী ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১৯৩.৮৪! এবারই প্রথম বড় কোনো আসরে খেলবেন এই ওপেনার।
এছাড়া বাংলাদেশের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, আফগানিস্তানের রহস্য স্পিনার আল্লাহ্ মোহাম্মদ গাজানফার, পাকিস্তানের পেসার সালমান মির্জা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক ও ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম, হংকংয়ের অধিনায়ক মুর্তাজাও আলো কেড়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে ইংল্যান্ডের রেকর্ড বইয়ে ঝড় |
![]() |
প্রাইজমানি
এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে ৩ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। আর রানার্স-আপ দল পাবে দেড় লাখ ডলার।
এশিয়া কাপ সম্পর্কে আরও কিছু
১৯৮৪ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে প্রথম আয়োজিত হয় এশিয়া। ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়ে মাত্র ৯ বছরের ছোট এই টুর্নামেন্ট। শুরুতে ধারবাহিকতা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল এশিয়া কাপ।
তবে ২০০৮ সালের পর থেকে প্রতি দুই বছরে একবার করে মাঠে গড়ায় এটি। মাঝে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের কারণে হয়নি এশিয়া কাপ।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ শিরোপা জিতেছে ভারত। ৬ ট্রফি নিয়ে দুইয়ে শ্রীলঙ্কা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নাওয়াজের হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেটে মাত্র ৬৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে তারা। ১৪১ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়েও ৭৫ রানের সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে মাঠে নামার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচে বেশ কিছু রেকর্ডে উঠেছে পাকিস্তান ও নাওয়াজের নাম। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব রেকর্ড।
৬৬
পুরুষ ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কোনো ফাইনালে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ২০২৪ সালের সাব-রিজিওনাল ইউরোপ কোয়ালিফায়ার গ্রুপ ‘বি’-এর ফাইনালে জার্সির বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়েছিল নরওয়ে।
২
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো দলের চতুর্থ সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি।
৫/১৯
পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে মাত্র ১৯ রানে ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কোনো ফাইনালে ৫ উইকেট নেওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার তিনি।
২০১৯ সালের প্যাসিফিক গেমসের ফাইনালে ভানুয়াতুর বিপক্ষে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পিএনজির নরম্যান ভানুয়া।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়া বিশ্বের তৃতীয় বোলার নাওয়াজ। এর আগে ২০২২ সালের এশিয়া কাপে ভুবনেশ্বর কুমার ও একই বছরের বিশ্বকাপে স্যাম কারান দেখিয়েছেন এমন কীর্তি।
৩
ম্যাচে নিজের প্রথম দুই ওভারে হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ১ রানে ৪ উইকেট নেন নাওয়াজ। পাকিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় বোলার তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাহিম আশরাফ ও ২০১৯ সালে একই দলের সঙ্গে হ্যাটট্রিক করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
বল বাই বল পরিসংখ্যান থাকা ম্যাচগুলোর হিসেবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় বোলার নাওয়াজ। এর আগে ২০২১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে উগান্ডার এলিজা ওটিয়েনো এবং ২০২২ সালে মাল্টার বিপক্ষে বেলজিয়ামের খালিদ আহমাদি করেছেন হ্যাটট্রিক।
১৫
ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা মিলে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে স্পিন বোলিংয়ে পাওয়া তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড এটি। ২০২৩ সালে মালয়েশিয়া ও হংকং ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা।
পাকিস্তানের স্পিনাররা নিয়েছেন ৯ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে এটিই তাদের সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিপক্ষেও ৯ উইকেট নিয়েছিল পাকিস্তানের স্পিনাররা।
২০
আফগানিস্তানের ইনিংসে প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এ নিয়ে ২০ বার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি তারকা পেসার।
এই ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে শুধু ওমানের বিলাল খানের, ২২টি।
৭-০
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের সবকটি ম্যাচে জিতেছে আগে ব্যাট করা দল। এবারই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে সব ম্যাচে জিতল আগে ব্যাটিং করা দল।
এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বাজিমাত। ফাইনাল ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।
শারজাহতে রোববার রাতের ফাইনালে ৭৫ রানে জয় পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ১৪১ রানের সংগ্রহ গড়ে তারা। পরে মোহাম্মদ নাওয়াজের ভেলকিতে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে অল আউট করে পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে অল আউট হয়েছিল তারা।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৯ রানে ৫ উইকেট নাওয়াজ। ক্যারিয়ার সেরা এই বোলিং করার পথে পাকিস্তানের তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান তিনি।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে দারউইশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে আউট করেন নাওয়াজ। পরের ওভারের প্রথম বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ইব্রাহিম জাদরান।
নাওয়াজের আগে পাকিস্তানের হয়ে হ্যাটট্রিক করতে পারেন শুধু ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
মাত্র ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ডের সামনে পড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান। রশিদ খানের ১৭ রানের সৌজন্যে কোনোমতে ৬০ পেরোয় তারা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে তেমন ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাটিংয়ে দলের সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেন নাওয়াজ।
এছাড়া সাইম আইয়ুব ১৭, হাসান নাওয়াজ ১৫, ফাহিম আশরাফ ১৫ রান করলে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ। নুর আহমেদ ১৭ রানে নেন ২ উইকেট।
প্রথম ম্যাচেও ঝড় তুলেছিলেন ইসাক মোহাম্মদ। কিন্তু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলারদের বিপক্ষে দলকে জেতাতে পারেননি তরুণ ওপেনার। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি করলেন সেঞ্চুরি। যার সৌজন্যে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
লাফবোরোতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে খেলা নেমে আসে ৪৭ ওভারে। যেখানে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭২ রান করে বাংলাদেশ। ২৭১ রানের পরিবর্তিত লক্ষ্য ৪৩.১ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে ইংলিশ যুবারা।
স্বাগতিকদের জয়ে ফেরানোর নায়ক ইসাক। যিনি আবার ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অভিজ্ঞ স্পিনিং অলরাউন্ডার মইন আলির ভাগ্নে। প্রথম ম্যাচে ৫৩ বলে ৭৫ রান করা ইসাক এবার খেলেছেন ৯৫ বলে ১০৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
রান তাড়ায় শুরুতে ঝড় তোলেন জোসেফ মুরস। মাত্র ৩৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইসাক।
ইংলিশদের দুইশ পার করিয়ে আউট হন ১৭ বছর বয়সী ওপেনার। ৯৫ বলের ইনিংসে ৬ চারের বিপরীতে ৯টি বড় ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এছাড়া জেএ নেলসন ৩৮ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
বাঁহাতি স্পিনার সামিউন বশির রাতুল ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
ম্যাচের প্রথমভাগে বাংলাদেশকে আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন রিফাত বেগ, রিজান হোসেনরা।
প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রিজান এবার খেলেন ৫৭ বলে দলের সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস। ৭ চারের সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা।
রিফাতের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ বলে ৫১ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪১ রান করেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
ব্রিস্টলে আগামী বুধবার হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে।