এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রায় ৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ট্রফি হাতে পায়নি ভারত। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেই মূলত সৃষ্টি হয় এই অবস্থার। যা একদমই ভালো লাগে এবি ডি ভিলিয়ার্সের।
গত রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ভারত। পরে ম্যাচ শেষে ভারতের ক্রিকেটাররা জানান, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল চেয়ারম্যান, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান ও পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেবেন না তারা।
তাই সেদিন আর ট্রফি দেওয়া হয়নি সূর্যকুমার যাদবদের হাতে। যে কারণে প্রেজেন্টেশন শেষ হওয়ার পর ট্রফি ছাড়াই অদ্ভুত উদযাপন করেন ভারতের ক্রিকেটাররা। পরে নাকভির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসিসি অফিসে গিয়ে ট্রফি নিতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
দূর থেকে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ডি ভিলিয়ার্স মনে করছেন, খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানোর কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওবার্তায় তাই খেলা ও রাজনীতিকে আলাদা রাখার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
সাইফ গ্রেট ট্যালেন্ট, বললেন রশিদ |
![]() |
“ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য যিনি উপস্থিত ছিলেন, তাকে দেখে হয়তো খুশি হতে পারেনি ভারত। তবে আমি মনে করি, এটি খেলাধুলার মধ্যে পড়ে না। রাজনীতিকে দূরে রাখা উচিত। খেলাধুলা এক বিষয়, যেটা খেলাধুলার মতোই উপভোগ করা উচিত।”
“তাই এই বিষয়টা কিছুটা হতাশাজনক ছিল। আশা করি, ভবিষ্যতে তারা এটি ঠিক করে নেবে। এসবের কারণে এই খেলা, ক্রিকেটারদের খুব জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। যা আমার একদমই পছন্দ নয়। পুরো বিষয়টা দিন শেষে খুবই বিশ্রি ছিল।”
তবে ভারতীয় দলের মাঠের পারফরম্যান্সে অভিভূত ডি ভিলিয়ার্স। এশিয়া কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি সামনের বিশ্বকাপের জন্যও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি।
“চলুন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে (ক্রিকেট) মনোযোগ দিই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দল সত্যিই অনেক শক্তিশালী মনে হচ্ছে। বিশ্বকাপ খুব বেশি দূরে নয় এবং তাদের দলে অনেক প্রতিভা আছে মনে হচ্ছে। বড় মঞ্চে তারা ভালো খেলে। দেখতে অসাধারণ লাগে।”
No posts available.
২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১০ পিএম
আফ্রিকার আঞ্চলিক বাছাইয়ের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতল জিম্বাবুয়ে। এ জয়ে ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সিকান্দার রাজার দল।
২০২৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দিনের প্রথম সেমিতে তানজানিয়াকে হারিয়েছে নামিবিয়া। আগামী শনিবার ফাইনালে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখির পাশাপাশি বিশ্বকাপে অংশ নেবে দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ২০ দলের বিশ্বকাপে এই অঞ্চল থেকে অংশ নেবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে খেলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমনকি তারা ছিল না ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। এবার বাছাইপর্বে টানা চার ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে ফিরল তারা।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আজকের বাঁচা-মরা ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ১২২ রান সংগ্রহ করে কেনিয়া। রান তাড়ায় নেমে ১৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ব্রায়ান বেনেট খেলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস।
কেনিয়ার ১২২ রানের লক্ষ্য একেবারে মামুলি বানিয়ে ছাড়ে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সাচিন গিলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড়ের আভাস দেন বেনেট। জিম্বাবুয়ের ওপেনার চূড়ান্ত আক্রমণে আসে চতুর্থ ওভারে। লুকাস এনদাসনের এক ওভারে ছয়টি চার মারেন বেনেট।
ব্যক্তিগত ৫১ রানে ফিরে গেলেও দলকে ৭৬ রানের ভিত গড়ে দিয়ে যান। তার দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটি ছিল ২টি ছক্কা ও ৮টি চারে সাজানো।
প্রথম উইকেটের পতনের পরও রান চাকা সচল রাখেন মারুমানি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বাকি পথ হেঁটে জয় বন্দরে পৌঁছান সিকান্দার রাজা।ও রায়ান বার্ল।
এর আগে পুশকার শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে শুরুতেই দলকে বাজে ঘটনার সাক্ষী করান ধীরেন গণ্ডারিয়া। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন গণ্ডারিয়া। পরে অবশ্য রাকেব প্যাটালের সঙ্গে ছোট্ট জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পুশকার। সে যাত্রা সফল হতে দেননি মুজরাবিন। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন কেনিয়া ওপেনারকে।
পুশকার ১৭ বলে ১১রান করে যখন ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ৩১ রান। পরের ওভারে আরও একবার দলকে সমস্যায় ফেলেন সাচিন ভুদিয়া। থিতু হওয়ার আগেই তাকে ফেরান ব্রাড ইভানস।
দলের এমন ভঙ্গুর দশা সামাল দেওয়ার কাজটি ভালোভাবে সামাল দেন রাকেপ প্যাটেল। ৪৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন নেপালের এই স্পিন অলরাউন্ডার। যা ছিল ১ ছক্কা ও ৮ চারে সাজানো। মূলত রাকেপের একার কৃতিত্বে স্কোরবোর্ডে ১২২ রান জমা করতে পারে নেপাল।
নামিবিয়া-জিম্বাবুয়ে ছাড়াও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপ নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বিশ্বকাপের ফলের ভিত্তিতে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে তারা।
সামনের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা ১৭তম দল জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিক হিসেবে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় ভারত, শ্রীলঙ্কার। এছাড়া গত আসরের সুপার এইটে খেলা সাত দল- বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি বিশ্বকাপে যায়।
গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত র্যাঙ্কিং বিবেচনায় নিশ্চিত হয় আরও তিন দল- পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।
পরে আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই থেকে মূল পর্বে যায় কানাডা। আর ইউরোপিয়ান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। এবার আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া অংশ নেবে।
আগামী ৮ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই। সেখানে বাকি ৩টি টিকিটের জন্য লড়বে ৯ দেশ।
৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করলেন নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেন। মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। ১৫২ রানের লক্ষ্য ৮ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ রান যোগ করেন তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনই খেলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
১২তম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ার পর মাত্র ৯ রানের মধ্যে আরও ৫ উইকেট হারায় তারা। এরপর সোহান ১৩ বলে ২৩ ও রিশাদ ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন রশিদ খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৫১/৯ (ইব্রাহিম ১৫, অতল ১০, গুরবাজ ৪০, রসুলি ০, ইশহাক ১, ওমরজাই ১৮, নবী ৩৮, শরাফউদ্দিন ১৭*, রশিদ ৪, নুর ৬; তাসকিন ৪-০-৪০-১, নাসুম ৪-০-১৮-১, সাকিব ৪-০-৩৩-২, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-১, রিশাদ ৪-০-৩৩-২)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৫৩/৬ (তামিম ৫১, ইমন ৫৪, সাইফ ০, জাকের ৬, শামীম ০, সোহান ২৩*, সাকিব ০, রিশাদ ১৪*; ফরিদ ৩-০-২৬-১, ওমরজাই ২.৪-০-৩২-০, নবী ৩-০-২৭-০, রশিদ ৪-০-১৮-৪, নুর ৪-০-২১-১, শরাফউদ্দিন ২-০-২৫-০)
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
আহমেদাবাদে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের বোলিং তোপে মাত্র ১৬২ রানেই গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই সেশন শেষ হওয়ার আগেই অলআউট হয় সফরকারীরা। জবাবে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে এখনও ৪১ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রস্টন চেজ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা, মোহাম্মদ সিরাজের বলে ডাক মারেন তেজনারাইন চন্দরপল। এরপর জন ক্যাম্পবেল, ব্রেন্ডন কিং ও আলিক আথানজি ফেরেন দ্রুত।
রোস্টন চেজ ও শাই হোপ মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ জুটি। হোপ সাজঘরে ফেরেন ২৬ রান করে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন জাস্টিন গ্রিভস।
ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ। সিরাজ ৪ টি, বুমরাহ নেন ৩ উইকেট।
ভারতের ইনিংসে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল। দুজনে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। আউট হবার আগে জয়সওয়াল করেন ৩৬ রান। দলীয় ৯০ রানে সাই সুদর্শন ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় ভারতের। এরপর ফিফটি তুলে নেন কেএল রাহুল। দিনশেষে রাহুল ৫৩ রানে অপরাজিত, অধিনায়ক শুভমন গিল অপরাজিত আছেন ১৮ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস): ৪৪.১ ওভারে ১৬২ (গ্রিভস ৩২, শাই হোপ ২৬; সিরাজ ৪/৪০, বুমরাহ ৩/৪২)
ভারত (প্রথম ইনিংস): ৩৮ ওভারে ১২১/২ (কেএল রাহুল ৫৩*, গিল ১৮*; জেইডন ১/২১)
স্বর্ণা আক্তারের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে পেছনের পায়ে গিয়ে না খেলে ছেড়ে দিলেন নাশরা সান্ধু। কিন্তু বল ছেড়ে দেওয়ার পর ওপরে উঠে গেল তার ব্যাট। সেখানেই ঘটল বিপত্তি। ব্যাটে লেগে এলোমেলো হয়ে গেল স্টাম্প। আর ইতিহাসের পাতায় উঠে গেল স্বর্ণা ও নাশরার নাম।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বাংলাদেশের তরুণ স্পিনার স্বর্ণার বলে হিট উইকেট হয়েছেন পাকিস্তানের নাশরা সান্ধু। বিশ্বকাপের ৫২ বছরের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার দেখা গেল এই ঘটনা। সবশেষ হিট উইকেট হয়েছিল প্রথম আসরে।
১৯৭৩ সালে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো ও আন্তর্জাতিক একাদশের মধ্যকার ম্যাচে হিট উইকেট হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক একাদশের লিনেট স্মিথ। তাকে হিট উইকেট করে প্রথম হিট উইকেটের জন্ম দেন নোরা সেইন্ট রোজ।
বিশ্বকাপ তো বটেই, মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটেই সেটি ছিল প্রথম হিট উইকেট। এর প্রায় ৫২ বছর পর আবার হিট উইকেটের দেখা পেল মেয়েদের বিশ্বকাপ। এবার বোলার বাংলাদেশের স্বর্ণা আর ব্যাটার পাকিস্তানের নাশরা।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানের প্রথম ও বিশ্বের নবম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে হিট উইকেট হয়েছে নাশরা। বাংলাদেশের বিপক্ষেও হিট উইকেট হওয়া প্রথম ক্রিকেটার পাকিস্তানের ২৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার।
এই হিট উইকেট ছাড়াও ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন স্বর্ণা। ৩.৩ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের বোলারদের সেরা বোলিং। গত বিশ্বকাপে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সালমা খাতুন।
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের ব্যাটিংয়ের ধরন পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে তিনি দলকে নিয়মিতই এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। যার উদাহরণ দেখা গেছে সবশেষ এশিয়া কাপেও।
অভিষেকের এমন মারকাট ব্যাটিংয়ের পেছনে সাহস দিয়েছেন অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব। তরুণ ওপেনারকে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, টানা ১৫ ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও দল থেকে বাদ দেওয়া হবে না তাকে।
এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরে ‘ব্রেকফাস্ট উইদ চ্যাম্পিয়ন্স’ অনুষ্ঠানে সূর্যকুমারের কাছ থেকে এই বার্তা পাওয়ার কথা বলেন অভিষেক।
“ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর শুরুর দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন-চার ইনিংসে আমি দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছিলাম। তখন তিনি (সূর্যকুমার) বলেছিলেন, ‘তুমি আমার জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, ১৫ ইনিংসে শূন্য রানে ফিরলেও পরের ম্যাচে তুমি খেলবে। এটা আমি তোমাকে লিখিত দিতে পারি।’ তাকে আমি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘আপনি নিশ্চিত?’”
গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় অভিষেকের। পাঁচ ম্যাচের ওই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি।
সব মিলিয়ে প্রথম ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে বিশের কম গড়ে ১৭০ রান করেন অভিষেক। সেঞ্চুরি ছাড়া বাকি ৮ ইনিংস মিলিয়ে তিনি করেন মাত্র ৭০ রান। এরপরই মূলত সুর্যকুমারের কাছ থেকে ওই বার্তা পান অভিষেক।
তখন থেকেই নিজেকে ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় উঠে যান বাঁহাতি ওপেনার।
“অধিনায়কের ওই কথা আমার জন্য ছিল অনেক বড় ব্যাপার। তিনি বলেছিল ‘যতবারই (শূন্যতে) আউট হও, তুমি খেলবে।’ তখন একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, যদি ভালো করতে চাই এবং নিজেকে চেনাতে চাই, তাহলে আমাকে ভিন্ন কিছু করতে হবে।”
ওই দশ ম্যাচের পর খেলা ১৪ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটির সৌজন্যে ৪৮.৫০ গড় ও ২০৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটে অভিষেকের সংগ্রহ ৬৭৯ রান।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৯৬.০৭ স্ট্রাইক রেটে অভিষেক করেছেন ৮৪৯ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সর্বোচ্চ।
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ৯৩১ পয়েন্ট নিয়ে তিনি গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রেটিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড।