২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
পঞ্চম দিনে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই বাংলাদেশের হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস নিয়ে আক্ষেপ বেড়ে যাচ্ছেই। ২৬১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও যে দলটি করে ফেলে সাড়ে চারশ রান। অস্টম উইকেটে দলটি পায় রেকর্ড জুটি, যা শেষ পর্যন্ত ম্যাচে গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও মনে করেন, ওই জুটিটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
অস্টম উইকেটে জাস্টিন গ্রিভস ও পেসার কেমার রোচ বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়ে ছাড়েন। ১৪০ রানের জুটি গড়েন দুজন মিলে। গ্রিভস করেন সেঞ্চুরি, আর রোচ করেন ৪৭। প্রথম ইনিংসে তাতে বিশাল স্কোর পেয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত ৩৩৪ রানের টার্গেট ২০১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ আক্ষেপ করেন গ্রিভস ও রোচের সেই জুটি নিয়ে। “আমার মনে হয় আমরা ভালো বোলিং করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন ছয় উইকেট পেলেও (প্রথম ইনিংসে) তাদের (অস্টম উইকেটে) একটা ভালো জুটি ছিল। আমার মনে হয় সেই ১৪০ রানের জুটিটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। এই ম্যাচে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। আমরা কিছু ভুল করেছি, তবে এটা খেলারই অংশ। এমনটা হতেই পারে। পরের ম্যাচের আগে আমাদের শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে হবে।”
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ছিল ১৮১ রানে। তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার, যেখানে তিনি নেন ছয় উইকেট, সেটা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। মাত্র ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে প্যাকড হয়ে বড় হার বরণ করতে হয়েছে সফরকারীদের।
মিরাজ তাই দিলেন ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগিদ। “আমাদের উন্নতি করতে হবে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালো করতে হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলব। আমাদের আক্রমণে ভালো পেসার আছে, তারা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। এই কন্ডিশনের জন্য আমাদের কিছু ভালো স্পিনারও আছে। এই টেস্টে আমরা দুই ইনিংসেই ভালো ব্যাট করতে পারিনি। আমরা দেখব যে সামনে কিভাবে ভালো করা যায়।”
No posts available.
ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জো রুট। চলতি বছর স্পর্শ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক। তবে অস্ট্রেলিয়ায় তার পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে ২৭ ইনিংসে এখনও দেখা পাননি তিন অঙ্কের দেখা।
তবে এবার এটি বদলে যাবে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার ও ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেন। তার বিশ্বাস, সামনের অ্যাশেজে অবশ্যই তিন অঙ্কের দেখা পাবেন রুট। তাই ধরে ফেললেন বড় এক বাজি!
আলোচনা ‘অল ওভার বার ক্রিকেট’ পোডকাস্টে৷ যেখানে একজন প্যানেলিস্ট তার সর্বকালের সেরা অ্যাশেজ একাদশে রুটকে রাখেননি। যা পছন্দ হয়নি হেইডেনের৷
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়ে জিতল ইংল্যান্ড |
![]() |
তাই অ্যাশেজে যদি রুট এবার সেঞ্চুরি করতে না পারেন, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) নগ্ন হয়ে হাঁটবেন, বলেছেন হেইডেন।
“ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার জো রুট। বিশ্বাস করতে পারছি না, আপনি তাকে একাদশে রাখেননি। (অ্যাশেজে) তার গড় ৪০, সর্বোচ্চ স্কোর ১৮০ রানের। গ্রীষ্মের শেষে (অ্যাশেজের পর) দেখা হবে, যদি সে সেঞ্চুরি না করে, আমি মেলবোর্নে নগ্ন হয়ে হাঁটব।”
অস্ট্রেলিয়ায় ২৭টি টেস্ট ইনিংসে জো রুট করেছেন ৮৯২ রান, গড় ৩৫.৬৮, যেখানে আছে ৯টি ফিফটি। তিনবার তিনি ৮০ এর বেশি রান করেছেন, তবে সেঞ্চুরি নেই একটিও।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ ফর্মে আছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। টেন্ডুলকার–অ্যান্ডারসন ট্রফিতে ৯ ইনিংসে করেছেন ৫৩৭ রান, গড় ৬৭.১২।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক রুট। টেস্টে তার রান ১৩ হাজার ৫৪৩, সামনে ১৫ হাজার ৯২১ রান নিয়ে কেবল শচীন টেন্ডুলকার।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ লড়াই। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া শেষ তিনটি অ্যাশেজ হেরেছে ইংল্যান্ড। ২০১১ সালের পর থেকে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি তারা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৪৬ রানে হারিয়ে সিরিজ সমতায় ফেরাল ইংল্যান্ড।
যেন রানের আতশবাজি! সল্ট-বাটলারের ছক্কা-চারের ফুলঝুরিতে আগে ব্যাটিং করে ২ উইকেটে ৩০৪ রানের পাহাড় গড়ে ইংলিশরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
গত বছর গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৩৪৪ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২০২৩ সালে নেপাল তুলেছিল ৩১৪ রান। তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এটি-ই সর্বোচ্চ স্কোর। ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট খেললেন জীবনের সেরা ইনিংস। মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে গড়েছেন ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ড। লিয়াম লিভিংস্টোনের আগের ৪২ বলে সেঞ্চুরি রেকর্ড পেছনে ফেললেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে অপরাজিত ১৪১ রান করেন সল্ট। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৫ টি চার ও ৮ টি ছক্কা।
সল্টের সঙ্গে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার জস বাটলার। মাত্র ৩০ বলে ৮৩ রান করে ফেরেন তিনি। শেষের দিকে অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের ২১ বলে ৪১ রানের ক্যামিওতে ইংল্যান্ডের রান তিন শ ছাড়িয়ে যায়।
৩০৫ রানের লক্ষ্যে তাড়ায় নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। তিন ওভার তিন বলে দলীয় ফিফটি করে তারা। এরপরই আউট হয়ে যান রায়ান রিকেলটন। রিকেলটন ১০ বলে ২০ রান করেন। আরেক ওপেনার এইডেন মার্করাম করেন ২০ বলে ৪১।
তবে পরের ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ট্রিস্টান স্টাবস করেন ২৫ বলে ২৩, ফেরেইরা ১১ বলে ২৩ ও ফরচুইন করেন ১৬ বলে ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ১৫৮ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জফরা আর্চার নেন ৩ উইকেট। স্যাম কারান, লিয়াম ডসন ও উইল জ্যাকস নেন ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
ওমানকে উড়িয়ে শুরু পাকিস্তানের |
![]() |
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৬ রানের জয় ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয়। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৭ রানের জয় ছিল তাদের সবচেয়ে বেশি রানের জয়।
এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগামীকাল নটিংহ্যামে মাঠে নামবে দুই দল।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দুটিই ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি ভেসে গেল বৃষ্টিতে। তাতে ১-১ সমতায় থাকা আগামী রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচটি রূপ নিল অঘোষিত ফাইনালে।
বেকেনহামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ২৭৯ রান করে ইংলিশ যুবারা। ৪৫ ওভারের খেলা শেষ হতেই বৃষ্টি বাধায় থেমে যায় খেলা। এরপর আর বল মাঠে গড়ালে, পরিত্যক্ত ঘোষাণা করা হয় ম্যাচটি। ৮৬ বলে ৯৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক থমাস রিউ। এছাড়া ফিফটি করেন রালফি আলবার্ট।
আরও পড়ুন
বোলিং শক্তি প্রদর্শন করেছে পাকিস্তান |
![]() |
ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুই পায় ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ দল। উদ্ভোধনী জুটিতে ৬৪ রান তোলে স্বাগতিকরা। আইজেক মোহাম্মদকে ফেরান আজিজুল হাকিম। কিছুক্ষণ পরই ৪২ বলে ৩৩ করা হোপ বেলকে ফেরান স্বাধীন ইসলাম। এরপর তৃতীয় উইকেটে উইল বেনিসন-থমাস রিউয়ের ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন সামিউন বাশির।
১১১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর জে নেলসনকে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধো জুটি গড়েন অধিনায়ক রিউ। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৭১ রানের জুটিতেত ছেদ ঘটান রিজান হোসেন। ৩৩ বলে ২৮ করে সাজঘরে ফেরেন জে নেলসন। এরপর বৃষ্টি খানিকটা আগে ফিফটি করা রালফি (৫২) উইকেটি নেন আল ফাহাদ।
মেগা ইভেন্টে বানিজ্যিক স্বার্থটাই বড় আইসিসি-এসিসির। পাক-ভারতের বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কুটনৈতিক টানাপোড়েন পর্যন্ত হচ্ছে না বিবেচ্য। ক্রিকেট বানিজ্যিকীকরণে আইসিসির মতো এসিসিও মেগা ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তাকে একই গ্রুপে রেখেছে। ৮ দেশের এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে এই দুই চিরশত্রুকে একই গ্রুপে রেখে এই দল দুটিকে সুপার ফোর এর নিশ্চয়তা দিতে উপহার হিসেবে গ্রুপে দুটি দুর্বল প্রতিপক্ষ দিয়েছে এসিসি। দুই দিন আগে বাগে পেয়ে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫৭ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ৯৫ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে ভারত। ভারতের দেখাদেখি নেট রান রেটে পাল্লা দিতে ওমানকে ৬৭ রানে অল আউট করে ৯৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
ওমানকে উড়িয়ে শুরু পাকিস্তানের |
![]() |
দুবাইয়ে ওমানের বিপক্ষে পাকিস্তান তাদের ব্যাটিং শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। টসে জিতে যাদের ব্যাটিংয়ে দুইশ প্লাস স্কোরের টার্গেট ছিল, সেই পাকিস্তান টেনে টুনে ওভারপ্রতি ৮ করেছে। ১৬০/৭ স্কোরে থেমেছে পাকিস্তান। পুরো ইনিংসে ১৫টি চারের পাশে ছক্কা মাত্র ৩টি।
বাঁ হাতি স্পিনার শাকিল আহমেদের বলে (৪-০-১৭-০) ধঁকেছে পাকিস্তান। পেসার শাহ ফয়সাল ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/৩৪)। বাঁ হাতি স্পিনার আমির কালিমও পেয়েছে ৩ উইকেট (৩/৩১)। ওমানের মতো পুঁচকে প্রতিপক্ষের বোলারদের কতোটা সমীহ করে ব্যাট করেছে পাকিস্তান, এই চিত্রটা বলে দিচ্ছে তা।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে স্কোর ৪৭/১, শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯, কোনটাই প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে, বলছেন লঙ্কান অধিনায়ক |
![]() |
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শাহিবজাদা ফারহান-মোহাম্মদ হারিসের ৬৪ বলে ৮৫ রানে সম্মানজনক টোটাল পেয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটিংটা অবশ্য ছিল উপভোগ্য। কালিমকে রিভার্স স্কুপ করতে যেয়ে বোল্ড আউটে থামার আগে হারিস করেছেন ৪৩ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৬৬ রান।
পাকিস্তান অবশ্য বোলিং শক্তি প্রদর্শন করেছে এই ম্যাচে। অফ স্পিনার সাইম আইয়ুব (২-০-৮-২), লেগ স্পিনার আবরার (২-০-১-২), বাঁ হাতি স্পিনার সুফিয়ান (৩-০-৭-২) এবং পেসার ফাহিম আশরাফ (২-০-৬-২) টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তারপরও ওমানের শেষ উইকেট জুটির ১৬ রান পাকিস্তান বোলারদের আত্মতুষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে প্রত্যাশিত বড় জয়ই পেয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওমানকে ৬৭ রানেই গুড়িয়ে দিয়েছে সালমান আলি আগার দল। তাতে এশিয়া কাপের যাত্রা ৯৩ রানের বিশাল জয় দিয়ে হলো পাকিস্তানের।
দুবাই ইন্টারনেশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি। ওমানের দারুণ বোলিংয় স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে ব্যর্থ হয় তারা। মোহাম্মদ হারিসের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ওমান। দলীয় ২ রানে জাতিন্দার সিংকে বোল্ড করে শুরুটা করেন সায়েম আইয়ুব। এরপর আমির কালিম (১৩) ও হামাদ মির্জার (২৭) ২২ রানের জুটিই ছিল ওমানের ইনিংসের সর্বোচ্চ। এই দু’জনের সঙ্গে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শাকিল আহমেদ (১০)। আর বাকিরা ছিলেন শুধুই আসা-যাওয়ার মাঝে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে, বলছেন লঙ্কান অধিনায়ক |
![]() |
পাকিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম ও সায়েম আইয়ুব।
এর আগে আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ খুব একটা বড় করতে দেননি ওমানের বোলাররা। ওমানের মতো দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংই ছিল প্রত্যাশিত। তবে শিরোপার দাবীদার দলটি গড়পড়তা মানের ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ হতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শাহ ফয়সালের বোলে এলবির ফাঁদে পড়ে ওপেনার সাইম আইয়ুব ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে।
অবশ্য শুরুর সেই উইকেট পতনের পর সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের দারুণ জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান । ৪৩ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন হারিস। অন্য প্রান্তে ফারহানও ছিলেন কার্যকর। তবে তিনি দলীয় ৮৯ রানে ২৯ বলে ২৯ রান করে বিদায় নিলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের এই জুটি ভাঙার পর হঠাৎ পথ হারায় পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতেই হারিসকে ফেরান আমির কলিম । তারপর পরের ডেলিভারিতেই অধিনায়ক সালমান আগাকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠিয়ে ওমানকে ম্যাচে ফেরান ৪৩ বছর বয়সী এই স্পিনার।
আরও পড়ুন
শেষ পর্যন্ত বরিশালের অধিনায়ক সালমান ইমন |
![]() |
এক প্রান্ত আগলে রেখে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফখর জামান। তাকে সঙ্গ দেন হাসান নেওয়াজ। তবে ১৫ বলে ৯ রান করে থেমে যান হাসান নাওয়াজ। পরের ওভারেই শাহ ফয়সালের শিকার হন মোহাম্মদ নেওয়াজ। শেষদিকে ১০ বলে ১৯ রানের ছোট্ট কেমিও ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। ১৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফখর জামান।
ওমানের হয়ে সমান তিনটি করে উইকেট নেন শাহ ফয়সাল ও আমির কলিম। তবে কোনো উইকেট না নিলেও দারুণ ইকোনোমিতে বল করেন শাকিল আহমেদ। ৪ ওভারে ১৭ রান দেন তিনি।
আগামী রোববার পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।