
কয়েক বছর আগে দাভিদ মালান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি যদি ফ্রি থাকেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ডাক এলে তিনি সেটা বিবেচনা করবেন সবার আগে। কথা রেখে একই সময়ে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চললেও সাবেক ইংলিশ ব্যাটার খেলছেন বিপিএলেই। মালান মণে করেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে অবদান রেখেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডাক পাওয়ার বেশ আগে থেকেই বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত এক নাম। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একটা সময় খেলেছেন বেশ। আর বিপিএলে তো খেলে আসছেনই। অন্য লিগের ব্যস্ততা না থাকলে সুযোগ পেলেই বাংলাদেশে খেলার সুযোগ লুফে নেন আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের এক সময়ের শীর্ষে থাকা মালান।
এই বিপিএলে শুরু থেকেই দলের সাথে থাকলেও সুযোগ পাননি একাদশে। এরপর প্রথম ম্যাচেই পেয়েছেন রানের দেখা। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বোলার ফাঁকে বাংলাদেশের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন মালান। “আমি বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আর বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সব সময়ই কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়ে ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতি করতে অবদান রেখেছে। এই সাহায্যটা না পেলে আমি আজকে যে খেলোয়াড় হয়ে উঠেছি, তা হয়ত সম্ভব হতো না।”
মালান প্রথমবার বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন ২০১৩-১৪ মৌসুমে, প্রিমিয়ার লিগে। এরপর সময়ের পরিক্রমায় ব্যাটার হিসেবে উন্নতি করে জায়গা করে নেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও পান তুমুল জনপ্রিয়তা। আইপিএলেও খেলেছেন কয়েকবার।
আর তাই শুরুর সময়ে নিজের খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতিতে অবদান রাখা বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট মালানের হৃদয়ে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। “আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের বিশেষ একটি জায়গা আছে। আমি ১০-১১ বছর আগে প্রথম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট খেলেছি। আর সেটা পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) মতো এই লিগও আমাকে ব্যাটার হিসেবে বেড়ে ওঠায়, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে ভালো করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।”
তবে এবারের আসর নিয়ে মালানের একটা আক্ষেপ আছে। আর সেটা হল পুরো সিজনের জন্য খেলতে এসে প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে বেঞ্চে থাকা। “একসঙ্গে যখন চারটা লিগ চলছে, একই সময়ে যখন একটা লিগে পুরো আসরের জন্য চুক্তি করে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়, সেটা তো হতাশারই। বিশেষ করে, যখন আমার সামনে অন্য লিগে খেলার সুযোগ ছিল।”
No posts available.
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ এম
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৫ এম
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১১ পিএম

কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের ব্যবহৃত একটি বিখ্যাত ‘ব্যাগি গ্রিন’ ক্যাপ নিলামে উঠছে। এই ক্যাপটি ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার এস. ডব্লিউ. সোহোনিকে উপহার দিয়েছিলেন ব্র্যাডম্যান। গত ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি সোহোনি পরিবারের কাছেই সংরক্ষিত ছিল।
লয়েডস অকশনস-এ আগামী বছরের ৬ জানুয়ারিতে ১ ডলার থেকে শুরু হবে নিলাম। ব্র্যাডম্যানের এই ক্যাপের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে লয়েডস অকশনসের লি হ্যামস বলেন, ‘এই ক্যাপ ক্রিকেট ইতিহাসের একটি সত্যিকারের মূল্যবান অংশ যা ব্যক্তিগতভাবে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান উপহার দিয়েছেন।’ ‘দ্যা ডন’ হিসেবে পরিচিত ব্র্যাডম্যানের এই ব্যাগি গ্রিন এর আগে কখনও বিক্রির জন্য তোলা হয়নি বা পরিবারের বাইরে কোথাও প্রদর্শন করা হয়নি।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের সময় এই ক্যাপটি ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রকাশ্য নিলামে উঠতে যাওয়া এই ব্যাগি গ্রিন নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত সংগ্রাহক, জাদুঘর, প্রতিষ্ঠান এবং ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে।
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা হিসেবে সমাদৃত ব্র্যাডম্যান ১৯২৮ থেকে ১৯৪৯ সালের মধ্যে মাত্র ৫২টি টেস্ট ম্যাচে ২৯টি সেঞ্চুরি করেছেন। ১৯৪৮ সালে ব্র্যাডম্যান যখন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তখন তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৯৯.৯৪।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তথ্যমতে, ১৯২৮ সালে অভিষেকের মৌসুমে ব্র্যাডম্যানের পরা প্রথম ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি ২০২০ সালে সাড়ে চার লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
তবে এখন পর্যন্ত ব্যাগি গ্রিন ক্যাপের জন্য সর্বোচ্চ মূল্যের রেকর্ড শেন ওয়ার্নের দখলে। ২০১৯-২০ সালের ভয়াবহ দাবানলে জরুরি পরিষেবাগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এই লেগ স্পিনারের ক্যাপটি ১০ লাখ ৭ হাজার ৫০০ ডলারে কমনওয়েলথ ব্যাংক কিনে নিয়েছিল। অবশ্য ওয়ার্ন তার পুরো ক্যারিয়ারে কেবল ওই একটিই ক্যাপ ব্যবহার করেছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে স্থগিত করা হয়েছে বিপিএলের মঙ্গলবারের দুই ম্যাচ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ভিন্ন দুই ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সিলেট টাইটান্স ও চট্টগ্রাম রয়্যালস এবং রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ম্যাচ দুইটি আজ হবে না।
পরিবর্তিত সূচিতে কবে ও কোথায় হবে ম্যাচ দুটি, তা জানিয়ে দেবে বিসিবি।

বিপিএলে উদ্বোধনী ম্যাচে চার-ছক্কার প্রদর্শনীতে পয়সা উশুল হয়েছে দর্শকদের। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই পেসারদের দাপট। তা অব্যাহত ৮ম ম্যাচ পর্যন্ত। কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া পেলে যে পেসাররা নিতে পারে এডভানটেজ, তা জানিয়ে দিতে সোমবারের দুটি ম্যাচের স্কোর শিটই যথেষ্ট। সিলেটে একদিনে ২টি ম্যাচের দুটিই লো স্কোরিং। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ (৫/১৭)-মোস্তাফিজের (২/১২) তোপে চট্টগ্রাম রয়্যালস থেমেছে ১০২/১০-এ। দ্বিতীয় ম্যাচে সেখানে রিপন মন্ডলের তোপে (৪/১৩) নোয়াখালী থেমেছে ১২৪/৮-এ। দুটি ম্যাচেই রান তাড়া করে বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স-রাজশাহী ওরিয়র্স।
গত মাসে দোহায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে কী দুর্দাান্ত পারফর্মই না করেছেন রিপন মন্ডল। ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট পেয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ২২ বছর বয়সী বাংলাদেশ 'এ' দলের এই পেসার। ডেথ ওভারে বলে-কয়ে একটার পর একটা ইয়র্কার দিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। বিপিএলেও চেনারূপে হাজির রিপন মন্ডল। প্রথম দুই ম্যাচ সাইডলাইনে ছিলেন, তৃতীয় ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েই রাজশাহী ওরিয়র্স ফ্রাঞ্চাইজিদের দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান।
সোমবার রাতে রিপন মন্ডল শো (৪-০-১৩-৪) দেখেছে সিলেটের দর্শক। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের রাতে ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১৮টি দিয়েছেন ডট। রিপন মন্ডলের দ্বিতীয় স্পেলটি ছিল বলার মতো ( ২-০-৮-৩)। এদিন ইয়র্কারে নয়, শর্ট বলে তিনটি উইকেট শিকার করেছেন রিপন মন্ডল। তিনটিই লং অনে ক্যাচ।রিপন মন্ডল তোপে শেষ পাওয়ার প্লে-কে কাজে লাগাতে পারেনি নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ৩ উইকেট হারিয়ে এই পর্বে যোগ হয়েছে মাত্র ২৪ রান।
রিপন মন্ডলকে দারুণ সাপোর্ট দিয়েছেন রাজশাহী ওরিয়র্সের তানজিম হাসান সাকিব (২/৩১) এবং বিনুরু ফার্নান্ডো (১/২৩)। পেস আতঙ্কে ১২০ ডেলিভারির মোকাবেলায় ৬০টি ডট করেছেন নোয়াখালী এক্সপ্রেস ব্যাটাররা। নোয়াখালীর স্কোরশিটের চেহারা যখন ৯৮/৫, তখন চ্যালেঞ্জিং স্কোরের সম্ভাবনা দেখেছে সবাই। তবে তানজিম হাসান সাকিব-রিপন মন্ডলের ২টি ওভারে এলোমেলো হয়েছে নোয়াখালী। মাত্র ৩ রানে হারিয়েছে তারা ৩ উইকেট।
লো স্কোরিং ম্যাচে জয়ের জন্য তাড়াহুড়ো ছিল না রাজশাহী ওরিয়র্সের। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৫৪/১ স্কোরে বড় জয়ের পথে ধাবিত রাজশাহীকে জয়ের কক্ষপথে ফিরিয়েছেন শান্ত-মুশফিক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ বলে তাঁরা যোগ করেছেন ৬৫ রান। রেজাউর রহমান রাজার শর্ট বলে আপার কাট করতে যেয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন শান্ত (২০ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২৪)। মুশফিকুর রহিম ৩০ বলে ১ ছক্কায় ২৮ এবং ইয়াসির আলী রাব্বী ২৬ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় ২৩ রানে ছিলেন অপরাজিত। ১৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে পয়েন্ট তালিকায় এখন শীর্ষে রাজশাহী ওরিয়র্স (৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)। অন্যদিকে হারের বৃত্তে নোয়াখালী (৩ ম্যাচে ০ পয়েন্ট)। এমন হারের ম্যাচেও নোয়াখালী পেসার হাসান মাহমুদ করেছেন দারুণ বোলিং (৪-০-১৯-২)।২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১৫টি দিয়েছেন ডট।

পঞ্চাশ ওভারের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান খরচের বিব্রতকর বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার আমান খান। ১০ ওভারে ১২৩ রান দিয়ে রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
ভারতের বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে সোমবার এই রেকর্ডে নিজের নাম তোলেন পন্ডিচেরির অধিনায়ক আমান। আহমেদাবাদে ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১০ ওভারে ১২৩ রানের এই স্পেলটি করেন তিনি। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটিই সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ড।
লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান খরচের আগের রেকর্ডটিও চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর বিহারের বিপক্ষে ৯ ওভারে ১১৬ রান দিয়েছিলেন মিবোম মসু। পুরো ১০ ওভার করলে হয়তো আমানের চেয়েও বেশি রান দিতেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ডটি বাস ডে লেডের। ২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে ১১৫ রান দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের পেস অলরাউন্ডার। লিস্ট 'এ' রেকর্ডে তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন মসু। আর মসুকেও ছাড়িয়ে গেলেন আমান।
২০২১ সালে স্বরাষ্ট্র দলের হয়ে লিস্ট 'এ' অভিষেক হয়েছিল আমানের। পরে পন্ডিচেরিতে চলে যান তিনি। ২০২৬ সালের আইপিএল নিলামে ৪০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এর আগে ২০২২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও ২০২৩ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলেছেন আমান।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা তৃতীয় ম্যাচে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। বিপিএলের প্রথমবার অংশ নেওয়া দলটিকে আজ একাই ধসিয়ে দেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার রিপন মণ্ডল। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের এই তরুণ।
নোয়াখালীর মুখোমুখি হওয়ার আগে বিপিএলের ১২তম আসরে আরও দুটি ম্যাচ খেলেছে রাজশাহী। অভিজ্ঞতা ছিল অম্ল-মধুর—একটিতে হার এবং অন্যটিতে জয়। আজই প্রথম দলের জার্সি পরার অভিজ্ঞতা হয় রিপনের। নিজের প্রথম ম্যাচেই জেতেন সেরার পুরস্কার।
এদিন ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিপন মণ্ডল জানান, দল থেকে তার প্রতি বার্তা ছিল—রাতে ম্যাচ হলে তাঁকে খেলানো হবে। সেই আলোকেই সিলেটে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ডানহাতি পেসারকে আগুনে বোলিং করতে দেখা যায়।
রিপন বলেন,
‘দলের মধ্যে কম্পিটিশন সবসময়ই থাকবে। এরকম হেলদি কম্পিটিশন থাকলে ভালো লাগে। আমাকে টিম ম্যানেজমেন্ট যে মেসেজটা দিয়েছিল, তা হচ্ছে—আমি প্রথম দুই ম্যাচে দিনের খেলায় বিবেচনায় নেই। তো তারা আমাকে ক্লিয়ার মেসেজ দিয়ে রেখেছিল যে, আমি রাতের ম্যাচে খেলব। আমি ওভাবেই প্রস্তুত ছিলাম রাতের ম্যাচের জন্য।’
রিপন চার ওভারে ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। মেডেন ওভার ছিল একটি। বলা চলে, ২২ গজে আজ তাঁর রাজত্বই চলেছে। তারপরও ব্যাপারটি সহজ মনে হয়নি রিপনের কাছে।
তিনি বলেন,
‘ক্রিকেটে সহজ বলতে কিছুই নেই। কষ্ট করে নিতে হয়। আমি আমার প্রসেস মেইনটেইন করছি। একেক দিন আপনি হয়তো অনেক ভালো বোলিং করেও উইকেট পাবেন না। আবার কোনো দিন দেখা যাবে বাজে বোলিংয়েও উইকেট পাচ্ছেন। আমার প্ল্যান ছিল হার্ড লেন্থে বল করা, যেটা আমার স্ট্রেংথ। আমি আমার স্ট্রেংথেই বল করেছি। সেখানেই সফল।’