মাথায় আঘাত পাওয়া কনকাশন বদলির মতোই এবার প্রথমবারের মতো ইনজুরি বা চোট পাওয়া বদলি ক্রিকেটারের ব্যবহার দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ঊরুর পেশির চোটে বদলি হিসেবে নামলেন জশ ফন হার্ডিন।
এত দিন ধরে ক্রিকেটে শুধু মাথায় আঘাত পেলেই কনকাশন বদলি ক্রিকেটার নামান যেত। তবে নতুন নিয়মে আইসিসি জানিয়েছে, সদস্য দেশগুলো চাইলে নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে যে কোনো চোটের জন্যই বদলি হিসেবে ‘লাইক-ফর-লাইক’ খেলোয়াড় নামাতে পারবে।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরু হয়েছে এই নিয়ম। তবে ওই দুই দেশের এখন পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি এটির। যেটি প্রথম দেখা গেল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে।
আরও পড়ুন
৯ ছক্কায় জয়ের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি |
![]() |
ডিভিশন ওয়ানের ম্যাচে লায়ন্সের বিপক্ষে বাম ঊরুর পেশিতে চোট পান ওয়েস্টার্ন প্রোভিন্সের জার্সিতে খেলতে নামা এডওয়ার্ড মুর। পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে তিনি ছিটকে গেলে বদলি হিসেবে ফন হার্ডিনকে নামানোর সুযোগ পায় ওয়েস্টার্ন প্রোভিন্স।
প্রথম ইনিংসে ১৮ বলে ১৯ রান করেন মুর। পরে ফিল্ডিংয়ের সময় ওই চোট পান তিনি। তার জায়গায় খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ফন হার্ডিনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ১৫ রান। ম্যাচটি ইনিংস ও ১৩৪ রানে জেতে লায়ন্স।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ড এবং ভারতের রঞ্জি ও দুলিপ ট্রফিতে এই নিয়ম চালু রয়েছে। তবে তিন দেশেই রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা।
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ, যে কোনো চোটের ক্ষেত্রে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বদলি নামাতে পারবে দলগুলো। আর ভারতে আপাতত বাহ্যিক চোটের ক্ষেত্রে চালু করা হয়েছে এই বদলির নিয়ম।
অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ডে চোট পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানো হলে, ওই চোটাক্রান্ত খেলোয়াড় অন্তত ১২ দিন মাঠে ফিরতে পারবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে মাঠের বাইরে থাকতে হবে অন্তত ৭ দিন।
আরও পড়ুন
ভারতে পেট খারাপ হয়ে হাসপাতালে অজি ক্রিকেটাররা, একাদশ নিয়ে শঙ্কা |
![]() |
আপাতত ট্রায়াল হিসেবে শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরু করা হয়েছে এই নিয়ম। সদস্য দেশগুলো প্রতিবেদন জমা দেবে আইসিসিতে। সেগুলো পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কনকাশন বদলির মতো ‘লাইক ফর লাইক’ বদলি চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি।
No posts available.
৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৬ পিএম
৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১৫ পিএম
৫ অক্টোবর ২০২৫, ৬:১৫ পিএম
মাঠে নামার আগেই দুই দলের অধিনায়কের হাত না মেলানো নিয়ে খানিকটা আলোচনা হলো। ম্যাচ রেফারির ভুলে টসে সুবিধা পায় পাকিস্তান। এরপর মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে ম্যাচে ফগার মেশিনের ব্যবহারও দেখা গেল।
এ তো গেল খেলার বাইরের আলোচনা। আজ নারী বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ভারতের-পাকিস্তানের ম্যাচে মাঠের খেলাতেও এরইমধ্যে বিতর্কের জন্ম দিল।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান করে হারমানপ্রিত কৌরের ভারত। এরপর রান তাড়ায় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। রান আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার মুনিবা আলি। তবে এই আউট নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
চতুর্থ ওভারের শেষ বলের ঘটনা। ক্রান্তি গৌদের ডেলিভারি মুনিবার প্যাডে লাগে। এলবিডব্লুউর জোর আবেদন জানায় ভারত। তবে তাতে সাড়ায় দেয়নি আম্পায়ার। বল লেগ সাইডের বাইরে পিচ করেছিল বলেই মনে হচ্ছিল।
এরই মধ্যে নাটকীয় এক ঘটনার স্বাক্ষী হন মুনিবা। ভারতের এলবির আবেদনের মধ্যেই ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসেন পাকিস্তানি ওপেনার। সেই সুযোগে থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন দিপ্তি শর্মা। মুনিবা প্রথমে তাঁর ব্যাট মাটিতে রাখলেও বল স্টাম্পে লাগার সময় ব্যাট আবার উপরে উঠে যায়। টিভি স্ক্রিনের সিদ্ধান্ত ‘আউট’।
এমন ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন মুনিবা। আর পাকিস্তানি ওপেনারকে ফিরিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে ভারত। বিতর্কিত এই আউটে সীমানার বাইরে চর্তুথ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক ফাতিমা সানাকে।
মুনিবার আউটে বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান। মুনিবা তার ব্যাট মাটিতেই রেখেছিল এবং যেহেতু সে রান নিতে চায়নি, নিয়ম অনুযায়ী তার রান আউট হবে না বলে অভিযোগ করে তারা। তবে আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তের অনড় থাকেন। আর তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে মাঠে প্রবেশ করেন সিদ্রা আমিন।
মুনিবের রান আউট কি আসলেই ঠিক ছিল? নিয়ম কী বলে? ক্রিকেটের নিয়মের ধারা ৩০ অনুযায়ী:
৩০.১ : কোনো ব্যাটারকে দাগের বাইরে ধরা হবে, যদি তার দেহ বা ব্যাটের কোনো অংশ ওই এন্ডের পপিং ক্রিজের ভেতরে না থাকে।
৩০.১.২ : তবে, কোনো ব্যাটারকে তার গ্রাউন্ডের বাইরে বলা হবে না, যদি সে দৌঁড়াতে বা ডাইভ করতে করতে তার গ্রাউন্ডের দিকে এগিয়ে যায় এবং পপিং ক্রিজের বাইরে তার দেহ বা ব্যাটের কোনো অংশ গ্রাউন্ডে পৌঁছায়, তারপরও যদি পরে গ্রাউন্ড এবং তার দেহ বা ব্যাটের মধ্যে সংস্পর্শ হারায়।
যেহেতু মুনিবা দৌড়াচ্ছিলেন না বা ডাইভ দেননি, তাই তাকে তার গ্রাউন্ডের বাইরে মনে করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়েই তাকে আউট দেওয়া হয়েছে।
তবে এর আগে তিনবার তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত বাঁচিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সাদাফ শামাসকে ফেরাতে পারতেন রেনুকা সিং। তবে রেনুকার এলবিডব্লিউ আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিলে সফল হতো ভারতই। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এবার গৌদের বলে এলবিডব্লিউ হয়েও বেঁচে যান সিদ্রা আমিন।
ম্যাচে হার-জিত ছাড়াও অনেক কিছু ছাপ রেখে যায়। বিতর্ক, রেকর্ড ও প্রকৃতির তালবাহানা মাঝে মধ্যে হয়ে ওঠে চায়ের আড্ডার খোরাক। এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ফল ছাড়াও কথা হয়েছে দু’দলের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ নিয়ে। সে ছাপ লক্ষ্য করা গেছে নারী বিশ্বকাপেও।
নারী বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখিতে প্রতিবেশী দুই দেশের ম্যাচে ঘটে গেছে তিনটি আলোচিত ঘটনা। ম্যাচ রেফারির ভুলে পাকিস্তানের সুবিধা পাওয়া, টসের পর হাত না মেলানো এবং মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে ম্যাচে ফগার মেশিনের ব্যবহার।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় আজ আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ২৪৭ রানে থেমে যাওয়ার আগেই দুটি বড় ঘটনার সাক্ষী হয় ক্রিকেট বিশ্ব। এদিন ম্যাচ রেফারি শান্দ্রে ফ্রিৎজ ও সঞ্চালক মেল জোন্সের ভুলে ভারতের বিপক্ষে টসে বাড়তি সুবিধা পায় পাকিস্তান। এটি নিয়ে অবশ্য দুই দলের কেউ কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ জানাননি। তাই খেলা শুরু হতেও সমস্যা হয়নি।
টসের পর দ্বিতীয় ঘটনা অনুমেয়ই ছিল-হাত না মেলানো। সীমান্ত উত্তেজনা ও দুই দেশের বৈরতা সম্পর্কের জেরে এশিয়া কাপের মতো নারী বিশ্বকাপেও হাত মেলায়নি প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান। টসের পর পরই নিজের ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা সম্প্রচারক মেল জোন্সের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথন শেষে ফিরে যান।
খেলার মাঝে ঘটে আরো বড় ঘটনার। যার জেরে একবার ২-৩ মিনিট, আরেকবার ১৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ম্যাচের ২৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানে ব্যাট করছিল ভারত। এমন সময় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় ম্যাচ রেফারি। মূলত মশা পালের কারণে ক্রিকেটারদের মাঠে থাকাই দায় হয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়েই এক পর্যায়ে পাকিস্তানের স্পিনার নাশরা সান্ধুকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পরে ইশারা দিয়ে আনা হয় মশার স্প্রে। খেলা বন্ধ ছিল কয়েক মিনিট।
৩৪ ওভারের পর মশার হানা বাড়তে থাকে। ১৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয় খেলা। ফগার মেশিন নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন মাঠ কর্মীরা। ওই সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকাকে ১৭ রানে হারিয়েছে খুলনা। আসরে টানা চতুর্থ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে মোহাম্মদ মিথুনের দল। ৬ ম্যাচে ঢাকার সমান ৯ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে ঢাকা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে খুলনা। জবাবে দিতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে করতে পারে ঢাকা।
এদিন খুলনার শুরুটা ছিল আত্মবিশ্বাসী। ওপেনার সৌম্য সরকার ও ইমরানুজ্জামান পাওয়ার প্লেতে দলকে এনে দেন ৪৬ রান। সপ্তম ওভারে দলীয় ৫১ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ইমরানুজ্জামান আউট হন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এনামুল হক বিজয় সুবিধা করতে পারেননি । তিন রান করে ফেরেন তিনি। সৌম্য সরকার থামেন ২৪ রানে।
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ও অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব দলের হাল ধরেন। দু’জন মিলে চতুর্থ উইকেটে উপহার দেন ৬৮ রান। মিথুন ২৮ বলে ৪১ রান করেন, আর আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৫ রান। শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ১৭ রানের ওপর ভর করে ১৯০ এর ঘরে পৌঁছায় খুলনা। ঢাকার হয়ে তাইবুর রহমান ৪ ওভারে ৪২ রানে নেন ৪টি উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা আশাবাদী ছিল ঢাকার। ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম মিলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। শিবলি ২৩ রান করে আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফেরেন জিশানও। এরপর আরিফুল ইসলাম ১৭, অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৭ এবং সুমন খান ঝড়ো ২১ রান করে ব্যবধান কিছুটা কমান। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানে থেমে যায় ঢাকার ইনিংস। জিয়াউর রহমান ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৪ টি উইকেট ।
প্রথম দুই ম্যাচে বোলাররা মঞ্চ সাজিয়ে দিলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জেগেছিল পরাজয়ের শঙ্কা। তবে শেষ ম্যাচে তেমন কিছু হতে দিলেন না সাইফ হাসান। ২ চার ও ৭টি বিশাল ছক্কার ঝড়ে ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে দলকে সহজ জয়ই এনে দিয়েছেন টপ-অর্ডার ব্যাটার।
যার সৌজন্যে পরপর তিন ম্যাচে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৮ সালে তাদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। মাঝে ২০১৮ সালে ২-০ ব্যবধানে জিতলেও, এবারই তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে নিল বাংলাদেশ।
সাইফ হাসানের ঝড়ের আগে বল হাতে ভালো করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবও দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ের পর চাপ এলেও, সাইফের ঝড়ে উড়ে যায় সব। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৩৩ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। অধিনায়ক জাকের আলি অনিক ১০ রান করতে খেলেন ১১ বল। রানের খাতা খুলতে পারেননি শামীম হোসেন।
তবে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সাইফ। আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও অপরাজিত থাকেন সোহান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (গুরবাজ ১২, ইব্রাহিম ৭, অতল ২৮, তারাখিল ১১, রসুলি ৩২, ওমরজাই ৩, নবী ১, রশিদ ১২, আহমেদজাই ০, মুজিব ২৩*, বশির ২*; শরিফুল ৪-০-৩৩-১, নাসুম ৪-০-২৪-২, সাকিব ৪-০-২৪-২, সাইফ উদ্দিন ৩-০-১৫-৩, সাইফ ১-০-৬-০, রিশাদ ৪-০-৩৯-১)
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৪৪/৪ (ইমন ১৪, তামিম ৩৩, সাইফ ৬৪*, জাকের ১০, শামীম ০, সোহান ১০*; মুজিব ৪-১-২৬-২, ওমরজাই ৩-০-১২-১, বশির ৩-০-৩৮-০, রশিদ ৪-১-১৩-০, আহমেদজাই ৪-০-৫০-১)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে রোববারই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের শেষ দিন। পরদিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানা যাবে, নতুন সভাপতি হবেন কে? এই মেয়াদে নিজের শেষ দিনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছেন বুলবুল।
বাংলাদেশকে ক্রিকেট–নির্ভর পর্যটনের সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে বিশ্বে প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে রোববার রাজধানীতে বিটিবির কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিনসহ দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা অনুযায়ী, ক্রিকেট ও পর্যটনকে একীভূত করে দেশের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও আতিথেয়তা তুলে ধরার উদ্যোগ নেবে বিসিবি ও বিটিবি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্রফি ট্যুর, ক্রিকেট-কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গাইডেড ট্যুর ও বিশেষ ট্রাভেল প্যাকেজের পরিকল্পনা করেছে তারা।।
এছাড়া দেশের প্রধান ক্রিকেট ভেন্যু- ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর স্টেডিয়াম এলাকাকে ঘিরে স্থানীয় সংস্কৃতি ও দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রচারণা চালানো হবে। ক্রিকেট মৌসুমে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও দর্শকদের জন্য কাস্টমাইজড ভ্রমণ আয়োজনের কথাও বিবেচনায় রয়েছে।
বিসিবি ও বিটিবি একসঙ্গে কাজ করবে ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট ও ভ্রমণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে; যাতে ক্রিকেট ম্যাচ বা সিরিজের সময় পর্যটকরা সহজে ভ্রমণ, আবাসন ও অভিজ্ঞতার সমন্বিত সুবিধা পান।
বিসিবি সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,
“এই অংশীদারিত্ব আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। বাংলাদেশকে আমরা শুধু ক্রিকেটের দেশ হিসেবে নয়, এক অনন্য পর্যটন গন্তব্য হিসেবেও তুলে ধরতে চাই। ক্রিকেট বাংলাদেশের অন্যতম ঐক্যের প্রতীক; সেটিকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারব।”
তিনি আরও বলেন,
“ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সফট পাওয়ারগুলোর একটি। আন্তর্জাতিক সিরিজ, টুর্নামেন্ট বা আইকনিক খেলোয়াড়দের সফরকে কেন্দ্র করে দেশের পরিচিতি বাড়ানো এবং পর্যটন খাতকে সক্রিয় করার সুযোগ তৈরি হবে।”
বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন বলেন,
“বিসিবি ও বিটিবির এই যৌথ উদ্যোগ দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ক্রিকেটের সঙ্গে ভ্রমণ ও সংস্কৃতির সংযোগ তৈরি হলে শুধু দর্শনার্থীর সংখ্যা নয়, দেশের ব্র্যান্ড মূল্যও বাড়বে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই উদ্যোগ দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে পর্যটন ব্যবস্থাপনা, ইভেন্ট আয়োজন, হসপিটালিটি ও গাইডিং সার্ভিস খাতে।”