৫ নভেম্বর ২০২৪, ২:৪৪ পিএম
পিএসজি ও ফ্রান্সে নিজেকে প্রমাণ করে রিয়াল মাদ্রিদে পা রেখেছেন। আর সেই কারণেই কিলিয়ান এমবাপের প্রতি সবার প্রত্যাশাও অনেক বেশি। লা লিগায় প্রথম কয়েক ম্যাচ গোল না পেয়ে পড়েছিলেন সমালোচনার মুখে। এরপর ছন্দ ফিরে পেলেও এল ক্লাসিকোর মলিন পারফরম্যান্সে ফের চাপে আছেন ফরাসি তারকা। রিয়াল কিংবদন্তি ও সাবেক ফ্রান্স স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা তার স্বদেশীর প্রতি বার্তা দিয়েছেন, ধারাবাহিক না হতে পারলে সমর্থকরা তাকে একবিন্দু ছাড় দেবেন না।
পিএসজির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এমবাপে। শীঘ্রই মাত্র ২৫ বছর বয়সেই হয়ে যাবেন ফ্রান্সের ইতিহাসেরও সবচেয়ে গোল করা খেলোয়াড়। গত বিশ্বকাপে জিতেছেন গোল্ডেন বুট। উইঙ্গার হলেও গোল করার কাজটা তাই খুব ভালোই জানেন তিনি। তবে রিয়ালে এসে খেলতে হচ্ছে স্ট্রাইকার হিসেবে, যা তার পছন্দের পজিশন নয়। মানিয়ে নিতে তাই হচ্ছে সমস্যা। ১৪ ম্যাচে তবুও করে ফেলেছেন ৮ গোল। তবে নামটা এমবাপে বলেই এক-দুই ম্যাচ গোল না করলেই সমর্থক থেকে শুরু করে স্প্যানিশ মিডিয়া, সবাই চেপে ধরছেন তাকে।
সম্প্রতি এল চিরিঙ্গুইতো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমবাপেকে তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক করে দিয়েছেন বেনজেমা।
“এমবাপে জানে রিয়াল মাদ্রিদে অনেক চাপ রয়েছে। মাদ্রিদে, আপনি যদি ২-৩ ম্যাচে গোল না করেন, তারা আপনাকে একদম খেয়ে ফেলবে। আপনি ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন এবং এর পর আপনি যদি টানা ৩টি ম্যাচে গোল না করতে পারেন, ফলাফল একই হবে…”
প্রায় পুরো ক্যারিয়ার লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলা এমবাপের জন্য রিয়ালে শুরু থেকেই স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তার পছন্দের পজিশনে খেলছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যিনি এবারের ব্যালন ডি’অরে হয়েছেন রানার্সআপ। স্বাভাবিকভাবেই তাই রিয়ালে এসেই এই পজিশনে খেলার সুযোগ মিলছে না এমবাপের।
এমবাপের বাস্তবতা বুঝতে পারছেন বেনজেমা। তবে এটাও মানছেন, স্ট্রাইকার হিসেবেই নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে তার সাবেক সতীর্থকে।
“এমবাপেকে মাথায় রাখতে হবে যে সে এখন স্ট্রাইকার এবং লেফট উইংয়ের কথা ভুলে যেতে হবে। তাকে ভিনি জুনিয়রের সাথে পজিশন অদলবদল করে খেলতে হবে, কারণ বাঁদিকে সে (এমবাপে) খুব, খুব, খুব ভালো খেলে। কিন্তু তাকে এখন অন্য পজিশনে ভালো করতে হবে। এমবাপে স্ট্রাইকার নয়, কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারি যে লোকেদের চাহিদা অনেক। এখানে চাপ অনেক, আর মনে রাখতে হবে যে এটা পিএসজি নয়।”
এমবাপের সাথে জাতীয় দলে অল্প কিছু ম্যাচ খেলেছেন বেনজেমা। মাঠে ও মাঠের বাইরে তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। আর এই কারণেই উত্তরসূরিকে ইতিবাচক পরামর্শও দিয়েছেন আল ইত্তিহাদ তারকা।
“হাল ছাড়া যাবে না। তাকে মাথায় রাখতে হবে যে তাকে ৯ নম্বর হিসেবেই খেলতে হবে। ভিনিসিয়ুস এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এবং তাকে বাঁদিক থেকে সরানো যাবে না।”
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২১ দিন আগে
দানি ওলমো ও পাও ভিক্তরকে রেজিস্ট্রেশন করানো নিয়ে রীতিমত নাটক চলছে বার্সেলোনায়। দুইবার আদালতের কাছে আবেদন করেও দুই ফুটবলারকে দলের সাথে রেজিস্টার করতে পারেনি কাতালান ক্লাবটিতে। তাতে অন্য ফুটবলারদের কাছে বার্তাটা ভালো যায়নি বলেই মনে করছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া, বরং কাতালান ক্লাবটিতে আসতে ফুটবলাররা এখন দ্বিতীয়বার ভাববে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
বেতন কাঠামোর সামাঞ্জস্য আনতেই মূলত বার্সেলোনা বিপাকে পড়ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই সমাধানটা করতে হতো তাদের। নাইকির সাথে নতুন চিক্তির সাথে ক্যাম্প ন্যু-তে ভিআইপি বক্সের স্বত্ব বিক্রি করেও সেই হিসেব মিলাতে পারেনি তারা। তাতে বার্সার দেওয়া নথি-পত্র খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ফলাফল দুর্দান্ত ফর্মে থেকেও মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে ওলমোকে। শৈশবের ক্লাবে ফেরার ছয় মাসের মধ্যে তাই ওলমো দেখছেন রুঢ় বাস্তবতা। সেটা অনুভব করতে পারছেন সতীর্থ রাফিনিয়া। তার এই পরিস্থিতি অন্যদেরও বার্সেলোনায় আসার পথে বাধা তৈরি করতে পারে। স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্যই করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া।
“এটা অন্যদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। এটাই বাস্তবতা। এমি মিথ্যা বলতে চাই না, আমার সাথে তা যায় না। তবে সত্যিটা হচ্ছে ফুটবলার হিসেবে আমি ওদের পরিস্থিতি দেখার পর এই ক্লাবে আসতে নিশ্চিতভাবেই দ্বিতীয়বার ভাববে।”
পরিস্থিতি ঘোলাটে হলেও সমাধানটা তাড়াতাড়ি মিলুক সেটাই চাওয়া রাফিনিয়ার, “তাদের জন্য পরিস্থিতিটা কঠিন। ফুটবলার হিসেবে এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা কখনো যায়নি। তারা জানে না খেলতে পারবে নাকি পারবে না। আমরা চাই পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি বদলাক আর তারা আবারও মাঠে ফিরুক।”
অবশ্য রেজিস্টার করতে না পারলেও স্প্যানিশ সুপার কাপে দলের সাথে সৌদি আরবে গেছেন ওলমো ও ভিক্তর। আতলেতিকো বিলবাওয়ের সাথে তাই বুধবারের ম্যাচটা তাদের দেখতে হবে গ্যালারিতে বসেই।
খেলাধূলা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না বিশ্বের সেরা ধনী ইলন মাস্ক। অবশ্য সেটা তার কাজও না। তবে এবার তার বাবা এরল মাস্ক দিয়েছেন ভিন্ন ইঙ্গিত। সরাসরি ক্লাব কেনার দিকেই নজর দিয়েছেন তিনি। তাও সেটা যেন তেন ক্লাব না! তার ছেলে প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্ট লিভারপুলকে কিনতে আগ্রহী বলেই মন্তব্য করেছেন এরল মাস্ক।
লিভারপুলের বর্তমান মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের খেলাধুলাভিত্তিক বহুমুখী প্রতিষ্ঠান ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপের কাছে। ২০১০ সালে লিভারপুল কিনে নেয় তারা। তবে গেল কয়েক বছর ক্লাবে বিনিয়োগ কম করায় সমর্থকদের একাংশের ক্ষোভ জন্মেছে। তাই নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজে ফেনওয়ে কর্তারা। সেই জের ধরে ইলন মাস্কের বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে লিভারপুল কেনার সুযোগ আসলে তার ছেলে কিনবে কিনা।
আরও পড়ুন
উড়তে থাকা লিভারপুলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে রঙ হারানো ইউনাইটেড? |
যেখানে তিনি উত্তরটা দিয়েছেন ইতিবাচকভাবেই, “আমার এটা নিয়ে মন্তব্য করা উচিত না, তাহলে তারা দাম বাড়িয়ে দিবে। এরপর অবশ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর ছেলে আসলেই লিভারপুল কিনতে চায় কি না? এরলের উত্তরে বলেন, “হ্যাঁ, কেন নয়? তার মানে এই নয় যে সে এটা কিনতে যাচ্ছে। সে কেন কে না তা চাইবে, আমিও চাই।”
এরল একই সাক্ষাৎকারে ব্যখ্যা করেছেন লিভারপুলের প্রতি আগ্রহের কারণ, “ওর নানির জন্ম লিভারপুলে। এছাড়া আমাদের অনেক আত্মীয় আছে সেখানে। আমরা সৌভাগ্যবান যে বিটলসের ( ব্যান্ড সদস্যদের) সঙ্গে ভালো পরিচয় ছিল। ওরা আমাদের পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গেই বড় হয়েছে। তাই লিভারপুলের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই সংযোগটা আছে।”
গেল বছরের ফোর্বাসের তথ্য অনুযায়ী লিভারপুল বিশ্বের চতুর্থ দামি ক্লাব। ক্লাবটির মূল্য ৪.৩ বিলিয়ন পাউন্ডস। যা ইলন মাস্কের সম্পদের মোটে ১ শতাংশ। সব মিলিয়ে বর্তমানে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৩৪৩ বিলিয়ন পাউন্ড।
৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:৫৭ পিএম
খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরার পর কোচ হিসেবেও ফরাসিদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আরেকটা বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ইতি টানতে চান জাতীয় দলের অধ্যায়েরও। সেই ঘোষণাটাই দিয়ে দিলেন ফ্রেঞ্চ কোচ দিদেয়ের দেশঁ। ২০২৬ বিশ্বকাপ দিয়ে ছাড়তে যাচ্ছেন ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপই যে ফ্রান্সের ডাগআউটে দেশঁর শেষ হতে যাচ্ছে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকেই। সম্প্রতি টিএফ১-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই নিশ্চিত করেছেন দেশঁ।
আরও পড়ুন
ত্রিশের আগেই ফুটবলকে বিদায় বললেন জিদানের বড় ছেলে এনজো |
“২০২৬ বিশ্বকাপ শেষে আমি বিদায় নিবো। আমার দিক থেকে আমি এটা নিয়ে পরিষ্কার । সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফ্রান্সকে ধরে রাখতে সবসময়ই সমান প্রত্যাশা ও একাগ্রতা নিয়ে আমি কাজ করে গেছি। আমার মনে হয় ’২৬ বিশ্বকাপ দায়িত্ব ছাড়ার জন্যে একটা ভালো সময় হতে পারে। আজ নয়তো কাল থামতে তো হবেই, এরপরেও জীবনের আরও অনেকটুকু বাকি আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ফ্রান্সকে শীর্ষ পর্যায়ে রাখা যেটা তারা অনেক বছর ধরেই আছে।”
২০১২ ইউরোতে ফ্রান্সের ভরাডুবির পর দায়িত্ব নিয়ে দলটাকে বদলে দেন দেশঁ। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার দল বাদ পড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে ২০১৬ তে ঘরের মাঠের ইউরোতে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। ২০১৮ বিশ্বকাপের শিরোপাটাও আসে এই দেশঁর অধীনেই। ২০২১ সালে তার কোচিংয়ে ফরাসিরা ঘরে তোলে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। ফ্রান্সের আধিপত্য চলে ২০২২ বিশ্বকাপেও। কাতারে তারা খেলে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনাল। তবে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন ভেস্তে যায় তাদের।
এখন পর্যন্ত দেশঁর অধীনে ফ্রান্স ম্যাচ খেলেছে ১৬৫ টি। যা দেশটির ইতিহাসে কোনো কোচের জন্য সর্বোচ্চ ম্যাচ। সময়ের কিংবা শিরোপা জয়ের দিক থেকেও অন্য সবাইকে পেছনে ফেলেছেন ৫৬ বছর বয়সী দেশঁ। গড়েছেন অনন্য এক রেকর্ডও। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফুটবলার ও কোচ দুই জায়গা থেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
অবসরের পর জিদানের সাথে একই দলে খেলার আশায় ক্রুস |
তার বিদায়ে শোনা যাচ্ছে নতুন কোচ হিসেবে ফ্রান্সে নাম লেখাবেন জিনেদিন জিদান। রিয়ালকে টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো জিদান লম্বা সময় ধরেই অপেক্ষায় আছেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার। ফরাসি গণমাধ্যমগুলোর দাবি জিদানের স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ নিতে অপেক্ষা করতে হবে আরও বছর দেড়েক।
৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২:৪০ পিএম
মরুর বুকে আছেন নেইমার আর মার্কিন মুল্লুকে বন্ধু লিওনেল মেসি। গুগল দেখাচ্ছে দুই দেশের মাঝে ১২,৪৩৭ কিলোমিটারের দুরত্ব। এবার সেটা কমিয়ে আনার ইশারাটা দিলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। ইঙ্গিত দিলেন এমএসএন (মেসি, সুয়ারেজ, নেইমার) ত্রয়ীর পুনর্মিলনীর। তাতে ফুটবল সমর্থকরা রীতিমত ভাসছে রোমাঞ্চে।
বার্সেলোনায় এই ত্রয়ী একসাথে পেয়েছেন কত সাফল্য। ছড়িয়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি। তবে ২০১৭ সালে নেইমার যান পিএসজিতে। তাতে ভাঙে ভয়ংকর এই ত্রয়ী। মাঝে মেসি পিএসজিতে গেলে আবারও মিলন হয় দুই বন্ধুর। তবে ত্রয়ীর পূর্ণতা মেলেনি লুইস সুয়ারেজের অভাবে।
বর্তমানে অবশ্য পাল্টে গেছে চিত্র। মেসি ও সুয়ারেজ একসাথেই খেলছেন এমএলএসে ইন্টার মায়ামির হয়ে। অভাবটা এখন নেইমারের। ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের ঠিকানা এখন আল হিলালে। তবে দূরত্ব ঘুচিয়ে তিনজন আবারও এক সাথে হতে পারেন বলেই সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার।
আরও পড়ুন
চোটের মাঝেই খুশির খবর পেলেন নেইমার |
“মেসি ও সুয়ারেজের সাথে খেলাটা হবে দারুণ ব্যপার। তারা আমার বন্ধু, নিয়মিতই আমাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। এটা বেশ আকর্ষণীয় হবে তিনজন আবারও এক সাথে হতে পারলে। আমি আল হিলালে খুশি আছি, তবে ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।”
২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ছয় মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে আল নাসরে পাড়ি জমান নেইমার। তখন নেইমারের হাতে সুযোগ ছিল না মায়ামিতে যাওয়ার। একই সাক্ষাৎকারে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
“আমি যখন পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন এমএলএসে দলবদলের সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই মায়ামিতে যাওয়ার সুযোগ আমার ছিল না। তবে সৌদি থেকে যেই প্রস্তাব আমাকে দেওয়া হয়েছিল তা বেশ ভালো ছিল, শুধু আমার জন্য না আমার পরিবারের জন্যেও। সব মিলিয়ে তখন সেটাই সেরা প্রস্তাব ছিল আমার জন্য।”
বড় অর্থের বিনিময়ে আল হিলেল যোগ দিলেও ভাগ্য সহায় হয়নি নেইমারের। চোটের সাথে যুদ্ধ করে মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ সময়। প্রায় দেড় বছর পার হয়ে গেলেও কেবল সাত ম্যাচই আল নাসরের হয়ে খেলতে পেরেছেন নেইমার। এখনো আছেন ফেরার লড়াইয়ে। তবে চোট যতই নেইমারকে চেপে ধরুক, নিজের সেরাটা দিয়ে ফিরে আসতে চান বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে স্বপ্ন দেখছেন ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলারও।
আরও পড়ুন
নেইমার সহ ২০২৫ সালে ‘ফ্রি এজেন্ট’ হচ্ছেন যারা |
আর সেটিই হয়তো তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। সেটিকে রাঙাতে অসম্ভবকে সম্ভব করতে চান বলেই সিএনএনকে জানিয়েছে নেইমার।
“বিশ্বকাপে দলের সাথে থাকতে চাই। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাবো জাতীয় দলের অংশ হতে। আমি জানি এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। তাই শেষ সুযোগটা কাজে লাগাতে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো আমি।”
৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১:৩৩ পিএম
নিষেধাজ্ঞা যে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পাবেন তা নিশ্চিতই ছিল। তবে সেটা কয় ম্যাচের জন্য হয় সেদিকেই ছিল নজরটা। গেল শুক্রবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপার স্তোল দিমিত্রিয়েভস্কিকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস। যার শাস্তি হিসেবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। সেই সাথে গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।
মঙ্গলবার ভিনিসিয়ুসকে এ শাস্তি দিয়েছে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।
নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানাও গুনতে হচ্ছে ভিনিসিয়ুসকে। তবে জরিমানার পরিমাণটা ভিনিসিয়ুসের চেয়ে রিয়ালেরই বেশি। মাদ্রিদের ক্লাবটিকে জরিমানা করা হয়েছে ৭০০ ইউরো আর ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রে সেটা ৬০০ ইউরো।
আরও পড়ুন
শীতকালের দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদের যত পরিকল্পনা |
রিয়াল সমর্থকরা অবশ্য শঙ্কার সঙ্গেও স্বস্তি পাবেন এটা জেনে যে, ভিনিসিয়ুসের নিষেধাজ্ঞাটা কেবল লিগ ম্যাচের ক্ষেত্রেই রেখেছে আরএফইএফ। তাতে বৃহস্পতিবার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে মায়ার্কোর সাথে খেলতে বাধা নেই ব্রাজিলিয়ান তারকার। তবে লা লিগায় লাস পালমাস ও রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে না ভিনিকে।
এই শাস্তিতে একদম খুশি নয় রিয়াল। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে ভিনিসিয়ুসের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে লাল কার্ড নিয়ে অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এটি যে লাল কার্ড ছিল না সেটাই বারবার সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য নিজের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ভিনিসিয়ুস ম্যাচ শেষে দুঃখিত হয়েছিলেন সমর্থকদের কাছে। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শাস্তিটা শেষ পর্যন্ত পেতেই হয়েছে ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।
আরও পড়ুন
সবচেয়ে বেশি খেলেছেন কুন্দে, তালিকায় আছেন রিয়াল-লিভারপুল ফুটবলারও |