ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারের সঙ্গে এবং অমিতব্যয়ী শেষ ৬ ওভার। এই ১২ ওভারে বাংলাদেশ বোলারদের খরচা ১২৩ রান! এই ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কতো জানেন ? ১১৪ রান। তবে ইনিংসের মাঝের ৮ ওভারে শ্রীলঙ্কা যেখানে করেছে ৪৫ রান, সেখানে বাংলাদেশ করেছে ৫৫ রান। পাওয়ার প্লে-তে ৫৩/১-এর জবাবে ৫৯/১। শেষ ৩৬ বলে ৫৫ রানের হিসাবটাও মিলিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাটাররা। একেই বলে ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং!
সাইফ-হৃদয়ের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ বিশেষ করে স্ট্রাইক রেট নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এই দুই ব্যাটার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আদর্শ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে। তুষারাকে ওভার বোলারস হেড শটে বাউন্ডারি দিয়ে শ্রীলঙ্কা বোলারদের চোখে চোখ রেখে ব্যাটিংয়ের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন সাইফ হাসান। পরের বলে মেরেছেন মিড অনের উপর দিয়ে ছক্কা! বাকি তিনটি ছক্কার ২টি ওয়েল্লালাগেকে, একটি তুষারাকে। হাসারাঙ্গার বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে থেমে যাওয়ার আগে সাইফ হাসান ১৩৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৪৫ বলে ২ চার, ৪ ছক্কায় করেছেন ৬১ রান।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশোধ, সুপার ফোরে উড়ন্ত শুরু |
![]() |
চামিরার ফুলটসে এলবিডাব্লুউতে থেমে যাওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয় ১৫৬.৭৫ স্ট্রাইক রেটে। ৪র্থ উইকেট জুটিতে সাইফ-হৃদয় ৪৫ বলে যোগ করেছেন ৫৪ রান।
১৬৯ রান তাড়া করে ১ বল হাতে রেখে শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর-এ দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধর এই জয়ে ব্যাটারদের ভুমিকা অবশ্যই প্রশংসিত। ইনিংসের ৫ম বলে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (০) তুষারার অফ কাটারে বোল্ড আউটে ফিরে গেছেন যখন, তখন দলের স্কোর ১/১। এমন এক পরিস্থিতিতেও আস্কিং রান তাড়া করে ব্যাটিং করেছেন সাইফ-লিটন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৪ বলে ৫৯ রান যোগ করে তারা ম্যাচে রেখেছেন বাংলাদেশ দলকে, করেছেন অপেক্ষমান ব্যাটারদের উদ্দীপ্ত। তাদের দেখাদেখি তৃতীয় উইকেট জুটির ৪৫ বলে ৫৪, ৪র্থ জুটির ২৭ বলে ৪৫ জয়ের কক্ষপথে রেখেছে বাংলাদেশ দলকে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির ‘রাজা’ এখন লিটন |
![]() |
প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩টি ডট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ব্যাটাররা। ফিরতি দেখায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ডট মাত্র ৩২টি। ১৫টি চারের পাশে ছক্কা ৬টি।
এমন জয়ের পরও বাংলাদেশ বোলারদের বোলিং নিয়ে ভাবা দরকার। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র ৬ এবং শেষ ৬ ওভারে বোলিং দূর্গতি নিয়ে ও আলোচনা করা দরকার। এই দুঃসহ বোলিং চিত্র'র মধ্যে শেষ পাওয়ার প্লে'তে মোস্তাফিজের ২ ওভারের স্পেলকে (২-০-১১-২) রাখতে হবে আলাদা কাতারে। মোস্তাফিজের ২ ওভার বাদ দিলে দুঃসহ ১০ ওভারে বাংলাদেশ বোলারদের খরচা ১১২, ওভারপ্রতি ১১.২০!
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র প্রথম ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫৩/১-কে না হয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেন। কিন্তু শেষ ৬ ওভারে প্রতিপক্ষের স্কোর কার্ডে ৭০ রান দেয়াকে কী বলবেন ?
আরও পড়ুন
শানাকার ৬ ছক্কার ঝড়, মুস্তাফিজ-মেহেদির চমৎকার বোলিং |
![]() |
১৫ তম ওভারে বাঁ হাতি স্পিনার নাসুমের খরচা ১৭, ১৬তম ওভারে পেসার তাসকিনের ১৪, ১৮তম ওভারে শরিফুলের ১৮ এবং ২০তম ওভারে তাসকিনের ১০ রান খরচা তো এশিয়া কাপের সুপার ফোর-এর উদ্বোধনী ম্যাচে বড় চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ দলকে ফেলে দিয়েছে। ১২০টি ডেলিভারির মধ্যে ৪৫টি ডট দিয়েও শ্রীলঙ্কাকে দেড়শ'র নীচে থামাতে পারেনি বাংলাদেশ বোলাররা। দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা স্কোর টেনে নিয়েছে ১৬৮/৭ পর্যন্ত। তা সম্ভব হয়েছে শানাকা, কুশল মেন্ডিজের ছক্কার বাহাদুরিতে। ৭৫টি স্কোরিং শটের মধ্যে ৯টি চার এর পাশে ১১টি ছক্কা মেরেছে শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা। যার মধ্যে শানাকার ছক্কার সংখ্যা ৬টি! এই শানাকা বড্ড বেপোরোয়া ব্যাটিং করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ ফিফটি উদযাপন করেছেন ৩০ বলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটিকে টেনে নিয়েছেন ৩৭ বলে ৬৪ রান পর্যন্ত। হার না মানা ইনিংসে ৩টি চারের পাশে মেরেছেন ৬টি ছক্কা! ৫ম উইকেট জুটিতে ২৭ বলে ৫৭ রানে দিয়েছেন এই লংকান ব্যাটার নেতৃত্ব। যে পার্টনারশিপে শানাকার অবদান ৩৫ রান এসেছে মাত্র ১৫ বলে!
ম্যাচের শেষ ওভারেটিও জমিয়ে দিয়েছিলেন মিডিয়াম পেস বোলার শানাকা। জাকের আলী অনিককে শ্লোয়ার অফ কাটারে বোল্ড এবং শর্ট বলে শেখ মেহেদীকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে অবিশ্বাস্য 'টাই' এর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন শানাকা।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ বয়কটের দ্বারপ্রান্তে ছিল পাকিস্তান |
![]() |
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে এদিন ব্যতিক্রম ছিলেন বাঁ হাতি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং বোলিংয়ের (৩/২৮) পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও নামতা গুনে ৩ উইকেট (৩-০-২০-৩)। প্রথম স্পেলে কুশল পেরেরাকে শিকারের বিপরীতে তার খরচ ২ ওভারে ৯ রান! শেষ পাওয়ার প্লেতে ২ ওভারের স্পেলটি তার ২-০-১১-২! মোস্তাফিজের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আসালাঙ্কা মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরও বাঁচতে পারেননি। হৃদয়ের হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ার পর সেই হৃদয়ের থ্রো-তে রান আউট আসালাঙ্কা (১২ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় ২১)। ওই ওভারের চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিজকে ধাঁধায় ফেলেছেন মোস্তাফিজ। অনায়াসে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারেন যে বোলার, সেই মোস্তাফিজ ১০৬.৪ কিলোমিটার গতির বোলিংয়ে বোকা বানিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিজকে। উইকেটের পেছনে স্কাই ক্যাচ দিয়েছেন কামিন্দু (১)। ওই ওভারের ৬ষ্ঠ বলটিও দিয়েছিলেন শ্লোয়ার, লং অনে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন হাসারাঙ্গা (২)। শামীম পাটোয়ারি এবং হৃদয় ক্যাচ ড্রপ না করলে রশিদ খান (১৭৩ উইকেট), টিম সাউদি (১৬৪ উইকেট) এবং ইস সোধির (১৫০ উইকেট) পর টোয়েন্টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ বোলার হিসেবে শনিবার রাতেই দেড়শ' উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁতে পারতেন। এমনকি সাকিবকে (১৪৯ উইকেট)ও যেতে পারতেন ছাড়িয়ে। সাকিবকে স্পর্শ করে (১৪৯ উইকেট) থেমেছেন এদিন মোস্তাফিজ। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এদিন উইকেট সংগ্রহে সাকিবকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও ব্যাটিংয়ে কিন্তু সাকিবকে ( ১২৯ ম্যাচে ২৫৫১)ছাড়িয়ে এখন সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক লিটন দাস (১১৪ ম্যাচে ২৫৫৬)।
No posts available.
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
বিসিবির সর্বশেষ তিন মেয়াদের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন এক প্রকার পানসে ছিল। ক্যাটাগরি-থ্রি ছাড়া নির্বাচনের উত্তাপ দেখা যায়নি তেমন একটা। ওই তিন মেয়াদের নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আশির্বাদপুষ্ট প্যানেলের অধিকাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার ক্যাটাগরি-থ্রি-তে শুধু নয়, ক্যাটাগরি-২ এর নির্বাচনের উত্তাপ লেগেছে।
সমঝোতার মাধ্যমে ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ পরিচালক পদে নির্বাচন যুদ্ধে অবতীর্ন হতে অলিখিত প্যানেলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদেরকে বিনা বাধায় নির্বাচণের বৈতরনী পার হতে দেয়ার পক্ষে নন একদল তরুণ কাউন্সিলররা। ক্যাটাগরি-২ এ শনিবার ৩২ জন মনোনয়ন ফরম তুলে জমজমাট নির্বাচন যুদ্ধের আভাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বাদ পড়া ১৫ ক্লাব এবং ৫ জেলা ফিরে পেলো ভোটাধিকার |
![]() |
মনোনয়নপত্র বিক্রির শুরুতে বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক প্রতিনিধি কিনেছেন ক্যাটাগরি-২ থেকে মনোনয়নপত্র। প্রতিনিধি পাঠিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে পোষ্টার বয়খ্যাত ক্রিকেটারর তামিম ইকবাল। রফিকুল ইসলাম বাবু, ফাহিম সিনহা, মনজুর আলম, মাসুদুজ্জামান, ইশতিয়াক সাদেক, সানিয়ান তানিম, মীর্জা ইয়াসির আব্বাস, ইস্রাফিল খসরু, ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান, আমজাদ হোসেন কিনেছেণ মনোনয়নপত্র।
অলিখিত প্যানেলের বাইরে থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু, সিসিডিএম-এর সদস্য সচিব আদনান রহমান দীপন, গ্র্যাউন্ডস কমিটির সদস্য সৈয়দ বোরহানুল ইসলাম পাপ্পু, সিসিডিএম-এর সাবেক সদস্য সচিব ফৈয়াজুর রহমান মিতু, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের কো অর্ডিনেটর সাব্বির আহমেদ রুবেল ছাড়াও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মালিক লুৎফর রহমান বাদল, প্রাইম দোলেশ্বরের সত্বাধিকারী আবুল বাশার শিপলু, ইয়ং পেগাসাস-'এ' এর আহসানুর রহমান মল্লিক রনি, গোপীবাগ ফ্রেন্ডসের সাইফুল ইসলাম সপুও কিনেছেন মনোনয়নপত্র। আজ তারা মনোনয়নপত্র জমা দিলে নির্বাচন যুদ্ধ উঠবে জমে।
আরও পড়ুন
১৫ ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তামিম |
![]() |
১৯২ ভোটারের অংশগ্রহনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। শনিবার ক্যাটাগরি-১ এ ১০টি পদের বিপরীতে ২৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। ক্যাটাগরি-২ এ ১২টি পরিচালক পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৩২টি। ক্যাটাগরি-৩ তে ৩টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ দলের সাবেক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটার এবং ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল।
ক্যাটাগরি-১ এ বরিশাল বিভাগের ১টি পরিচালক কোটায় মাত্র ১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার শাখাওয়াত হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। রোববার নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন
নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম অস্বচ্ছ, ফারুক-তামিমকে নিয়ে আপত্তি |
![]() |
এদিকে নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং আকরাম খানের পথ অনুসরন করেছেন নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক রাজ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক পদ থেকে বিসিবি পরিচালক হওয়ার পথে এখন সাবেক বাঁ হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজ। ২০২১০সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে গুডবাই জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের চাকরি নিয়ে ৫ বছর সুনামের সঙ্গে কাটিয়ে বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন রাজ। সে কারণেই নির্বাচকের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সমর্থন নিয়ে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরশিপ পেয়ে এখন বিসিবির ক্যাটাগরি-১ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী তিনি। খুলনা বিভাগীয় কোটায় ২ পরিচালক পদে আবদুর রাজ্জাক রাজসহ ৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন
বিসিবির ভোটার তালিকায় নেই ১৫ ক্লাব, ৬ জেলা |
![]() |
বিসিবির নির্বাচনে রাজ্জাক রাজ অংশ নিচ্ছেন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে। মনোনয়নপত্র কিনে গণমাধ্যমকে তা বলেছেন তিনি-
‘আমি ১৪ বছর জাতীয় দলে খেলেছি। চার বছরেরও বেশি সময় জাতীয় নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি বিশ্বাস করি এখনই নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সময় সরে দাঁড়ানোর সময়। এখন আমার লক্ষ্য দেশের ক্রিকেটে অন্যভাবে অবদান রাখা। আমি চাই যেন জেলা ও বিভাগ থেকে যারা উঠে আসে তারা যেন কিছু শিখে আসে। সেই জায়গায় কাজ করতে চাই।’
এদিকে নির্বাচক প্যানেল থেকে আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তার জন্য শুভ কামনা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু-
‘প্যানেলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রাজ্জাক। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তার অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি অবদান রেখেছে। আমরা তার অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতের জন্য তাকে শুভকামনা জানাই। ’
এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের। ক্রিকেট সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই এবার শিরোপার মঞ্চে গড়াবে। এর আগে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে ভারত দুবার সহজেই হারিয়েছে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন মনে করছেন, আসল লড়াই এখনও বাকি। কথায় আছে-শেষ বলে যার, সব ভালো তার। সেই ফাইনালে প্রমাণই দিতে চায় হেসনের শিষ্যরা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান কোচ বললেন, ‘শেষের ম্যাচটাই আসল।’
আরও পড়ুন
‘সবাই চায় পাকিস্তান ভালো খেলুক, ফাইনালে জিতুক’ |
![]() |
ভারতের কাছে দুই ম্যাচে হারের পরও হেসনের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী সুর,
‘আমরা এই সুযোগের যোগ্য। এখন কাজ এটাকে কাজে লাগানো। এর আগে পর্যন্ত সব ম্যাচই ছিল আমাদের ট্রফি জয়ের অবস্থানে আনার জন্য। আসল ম্যাচটা হলো শেষেরটা।’
হেসনের মতে, পাকিস্তান সব সময়ই টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে খেলার স্বপ্ন দেখে, আর সেখানে পৌঁছাতে তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সুপার ফোরে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে পাচ্ছে প্রেরণা। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে পড়েছিল পাকিস্তান। অনেকেই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন সালমান আলি আগার দলের পরাজয়। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাত্র ১৩৫ রান ডিফেন্ড করে ১১ রানে জয় তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ের পর জয়-দিপুর তাণ্ডব |
![]() |
হেসনের মনে করেন এই ম্যাচই দলকে নতুন বিশ্বাস দিয়েছে। তাঁর ভাষায়,
‘যখন সবাই আপনাকে ১০ ওভার পরই বাতিল করে দেয় আর আপনি সেখান থেকে ফিরে আসেন, সেটা দলে আত্মবিশ্বাস যোগায়।’
চাপের ম্যাচে শিষ্যদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ হেসনের,
‘ফাইনালের মতো উচ্চ চাপের ম্যাচে কিছুটা আবেগ সরিয়ে রাখতে হবে। মনোযোগ থাকবে শুধু ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে।’
আরও পড়ুন
ফাইনালের মঞ্চে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান |
![]() |
ভারতের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ নিয়েও মন্তব্য করেন হেসন। তাঁর মতে, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান অতিরিক্ত চাপে ছিল, ফলে ভারত পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য পাকিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে যায়।
কী হবে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে পাকিস্তানের পরিকল্পনা? হেসনের সোজাসাপ্টা জবাব,
‘আমাদের যথেষ্ট ভালো হতে হবে, যেন ভারতকে দীর্ঘ সময় ধরে চাপে রাখা যায়।’
এশিয়া কাপের ফাইনালে আগামীকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। তার আগে দলটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক অনুজদের দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। সালমান আলি আগাদের ভরসা দিয়ে জানিয়েছেন, পুরো পাকিস্তান আছে তাঁদের পাশে।
পিটিভি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসবাহ বলেন,
‘মানুষ প্রার্থনা শুরু করেছে! তারা একত্রিত হচ্ছে। ক্রিকেট এমন একটি বিষয় যা এই জাতিকে একত্রিত করে। বিশেষ করে যখন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে খেলা হয়। আমি মনে করি না দেশের এমন কেউ আছেন যে পাকিস্তানের ভালো হওয়ার আশা করছেন না। সবাই চায় পাকিস্তান ভালো খেলুক এবং এই খেলায় (ফাইনালে) জিতুক।’
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ের পর জয়-দিপুর তাণ্ডব |
![]() |
বিশ্লেষকদের মতে, এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল হিসেবে ততটা শক্তিশালী নয়। নড়বড়ে দল নিয়েও ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। যদিও গ্রুপ ও সুপার ফোরে শুধু ভারতের কাছেই শুধু হেরেছেন সালমানরা, বাকি সব ম্যাচেই পেয়েছেন জয়। দলটির আরেক সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক বলেছেন, পাকিস্তানের হারানোর কিছু নেই।
মালিকের সেই মন্তব্য টেনে মিসবাহ বলেন,
‘যেমন শোয়েব মালিক বলেছেন, পাকিস্তানের কিছু হারানোর নেই। ভারত ফেভারিট, সবাই জানে তাদের দল শক্তিশালী। পাকিস্তান কোনোভাবে ফাইনালে পৌঁছেছে। এখন শুধু একদিন, এক খেলার ব্যাপার। যদি একজন খেলোয়াড় একটি ভালো ইনিংস খেলতে পারে, একটি বড় ইনিংস বা একটি ভালো বোলিং স্পেল দিতে পার – তবে আপনি এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। সবাই আশা করছে আমরা একটি দারুণ দিন পাবো আর ভারত একটি খারাপ দিন কাটাবে। অনেক দিন ধরে এর চেয়ে বড় খেলা হয়নি।’
আরও পড়ুন
ফাইনালের মঞ্চে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান |
![]() |
পাকিস্তানের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়েও মিসবাহ মন্তব্য করেছেন। ফাইনালে নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে নিষেধ মিসবাহর, ‘আমি মনে করি এটা সঠিক নয়। আগে থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা সঠিক উপায় নয়। একটি কৌশল তৈরি করতে হবে, পিচ ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে হবে – বল ব্যাটে আসছে কি না। তারপর শুরু করার ধরন নির্ধারণ করতে হবে।’
মিসবাহ আরও বলেন,
‘অবশ্যই আপনি টি-টোয়েন্টিতে ১৮০-এর বেশি রান আশা করবেন, কিন্তু সেই রান ইনিংসের বিভিন্ন অংশে ভাগ করতে হবে। প্রথম তিন ব্যাটারকে পাওয়ার-প্লেতে আক্রমণ করার লাইসেন্স আছে। যদি তা না হয়– বল থেমে যাচ্ছে, স্লিপ/সুইং করছে বা বোলিং খুব ভালো, তবে পরবর্তী পরিকল্পনায় যেতে হবে। ধরুন পাওয়ারপ্লেতে ৬০ রান হচ্ছে না, আমরা কি এখানে ৪৫ রান করতে পারি? পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবর্তন করুন।’
আরও পড়ুন
রউফের জরিমানার টাকা দিয়ে দেবেন পিসিবি সভাপতি |
![]() |
মিসবাহর দাবি, পাকিস্তান ঠিকঠাকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না,
‘পাকিস্তান দল লক্ষ্য পুনর্মূল্যায়ন ঠিকভাবে করছে না। এরপর পরবর্তী চার ওভারের পরিকল্পনা করুন এবং পুনর্মূল্যায়ন করুন। এরপর পরবর্তী চার ওভার। শুরুতে ইতিবাচক ভাবেই খেলবেন, কিন্তু তিন ওভারের মধ্যে পিচ ও পরবর্তী পরিকল্পনা কিভাবে করতে হবে তা বোঝা যাবে। আমি মনে করি পাকিস্তান দল এ ধরনের পুনর্মূল্যায়ন করছে না।”
মিসবাহর ব্যাখ্যা,
‘পাওয়ার-প্লের পর আপনি শুধু আউট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে হিট করতে পারবেন না। শট নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ, কোথায় শট খেলবেন, কোন বোলারকে টার্গেট করবেন, এবং সর্বদা স্ট্রাইক রোটেশন বজায় রাখতে হবে।’
মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিনের ভালো শুরুর পর ঝড়ো ফিনিশিং এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঢাকা মেট্রো পেল বড় সংগ্রহ। কিন্তু সেটি যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। কারণ পরের ইনিংসে তাণ্ডব চালালেন মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপু।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেট্রোকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে মেট্রো। জবাবে জয় ও দিপুর বিধ্বংসী ফিফটিতে মাত্র ১৬.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় চট্টগ্রাম।
৪ চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মেরে ৩৭ বলে ৭১ রান করেন জয়। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ২ চার ও ৫ ছক্কায় দিপুর ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
রান তাড়ায় চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দেন জয় ও মুমিনুল হক। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩ বলে ৫৩ রান যোগ করেন তারা দুজন। ১৮ বলে ৩১ রান করে আউট হন দীর্ঘ দিন ধরে 'টেস্ট বিশেষজ্ঞ' তকমা লেগে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল।
দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৩৮ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন জয় ও দিপু। ১২তম ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন জয়। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি দিপু ও ইয়াসির আলি রাব্বি। অধিনায়ক রাব্বি ১০ বলে করেন ১২ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নাঈম ও রবিনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে মেট্রো। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ বলে ৮১ রান যোগ করেন নাঈম-রবিন। নবম ওভারে ফেরার আগে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন নাঈম।
এক ওভার পর রবিনও ধরেন অধিনায়কের পথ। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন মেট্রোর প্রথম জয়ের নায়ক। এরপর সাদমান ইসলাম (১০ বলে ১৫) ও আনিসুল ইসলাম ইমন (১০ বলে ৩) হতাশ করলে চাপে পড়ে মেট্রো।
তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে দায়িত্ব নেন মাহমুদউল্লাহ ও আবু হায়দার রনি। দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মিলে মাত্র ২৩ বলে গড়েন ৫৬ রানের হার না মানা জুটি। ৩টি করে চার-ছক্কা মেরে ২২ বলে ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। রনির ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২৪ রান।
চট্টগ্রামের পক্ষে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন নাঈম হাসান।
এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। তবে এরই মধ্যে অন্যান্য টুর্নামেন্টে পাঁচবার দেখা হয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। যেখানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান।
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট- তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে খেলা পাঁচ ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে তিনটিই জিতেছে পাকিস্তান। আর বাকি দুইটিতে জয়ী ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাই রোববারের ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার। আর ভারতের চেষ্টা থাকবে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সমতা ফেরানোর।
১৯৮৫ সালে সাত দলের অংশগ্রহণে হওয়া বিশ্ব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে ৮ উইকেটের সহজ জয় ভারত। আগে ব্যাট করে মাত্র ১৭৬ রান করে পাকিস্তান। পরে ক্রিস শ্রীকান্ত ও রবি শাস্ত্রীর ফিফটিতে জিতে যায় ভারত।
পরের বছর অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে আবার দেখা হয় দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। এবার ক্রিকেট বিশ্বকে রোমাঞ্চকর এক লড়াই উপহার দেয় দুই দল। আগে ব্যাট করে সুনিল গাভাস্কার, শ্রীকান্ত ও দিলিপ ভেংসরকারের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৪৫ রান করে ভারত।
পরে রান তাড়ায় পাকিস্তানকে একাই এগিয়ে নেন জাভেদ মিঁয়াদাদ। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর শেষ বলে ৪ রান বাকি থাকে পাকিস্তানের। চেতন শর্মার ফুল টসে ছক্কা মেরে দলকে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় এনে দেন মিঁয়াদাদ।
এরপর আবার ১৯৯৪ সালের অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনাল। এবার ভারতকে ৩৯ রানে হারিয়ে ফাইনাল ম্যাচের লড়াইয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ৮৭ বলে ৬৯, বোলিংয়ে ২২ রানে ২ উইকেট ও ফিল্ডিংয়ে ২ ক্যাচ নিয়ে নায়ক আমির সোহেল।
আরেকটি ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের জন্য ১৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়। ২০০৭ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেই মুখোমুখি হয় দুই প্রতিবেশি দেশ। যেখানে ৫ রানের জয় পায় ভারত।
আগে ব্যাট করে গৌতম গম্ভীরের ৫৪ বলে ৭৫ ও শেষ দিকে রোহিত শর্মা ১৬ বলে ৩০ রানের সৌজন্যে ১৫৮ রানের পুঁজি পায় ভারত। জবাবে মিসবাহ উল হকের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ৪ বলে ৬ রানের সমীকরণে শেষ ব্যাটার হিসেবে মিসবাহ আউট হয়ে যান।
এরপর আবার ১০ বছরের অপেক্ষা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ফাখার জামানের ঝড়ে উড়ে যায় ভারত। ১০৬ বলে ১১৪ রান করেন তিনি। এছাড়া আজহার আলি ৭১ বলে ৫৯ ও মোহাম্মদ হাফিজ ৩৭ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে ৩৩৮ রান করে ফেলে পাকিস্তান।
জবাবে মোহাম্মদ আমির, হাসান আলির তোপে মাত্র ১৫৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। পাকিস্তান পায় ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়।
এখন ৮ বছর পর আবার আরেকটি ফাইনালে মুখোমুখি দুই দল। সেখানে পাকিস্তানের চতুর্থ হয় হবে নাকি ভারতের তৃতীয়, সেটি বলে দেবে সময়।