২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২৫ পিএম
অরুন্ধতী রেড্ডির বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন অ্যালানা কিং। ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নিলেন স্নেহ রানা। ইনিংসের ১৩ বল বাকি থাকলেও নতুন উচ্চতায় যেতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। তবে এর আগেই অবশ্য বেথ মুনির ঝড়ে রেকর্ড বই ওলটপালট করেছে তারা।
ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন মুনি। চার নম্বরে নেমে ২৩ চার ও ছক্কায় মাত্র ৭৫ বলে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার। যার সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৪১২ রানের রেকর্ড সংগ্রহ।
আরও পড়ুন
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবারও সেই পাইক্রফট |
![]() |
মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ১৯৯৭ সালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৪১২ রান করেছিল তারা। এবার সেটি ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ৯ বলের মধ্যে শেষের ৩ উইকেট হারানোয় তা সম্ভব হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে ৪১২ রানে অলআউট হয় বিশ্বসেরা দল। মেয়েদের ওয়ানডেতে বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য অনেক দূরে। ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৪৯১ রান করেছিল নিউ জিল্যান্ড। যা এখনও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
ভারতের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও নতুন করে লিখেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর তারাই ভারতের বিপক্ষে করেছিল ৩৭১ রান। এছাড়া আর কোনো দল এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে সাড়ে তিনশ রান করতে পারেনি।
আরও পড়ুন
জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে শান্ত-সালমা |
![]() |
অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডের কারিগর মুনি। নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার। ১৩৮ রান করার পথে মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
মেয়েদের ওয়ানডেতে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ২০১২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৪৫ বলে একশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ারই কিংবদন্তি অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাবেক অধিনায়ক কারেন রল্টনের।
মুনির রেকর্ডের পাশাপাশি জর্জিয়া ভোল ৬৮ বলে ৮১, অ্যাশলে গার্ডনার ২৪ বলে ৩৯ ও অ্যালিসা হিলি ১৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন।
No posts available.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন-খণ্ডাতে যেমনটা পারেননি ইংলিশ পেসার সনি বেকার। মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের মতো অভিষেক ঘটেছিল তার। যার পুনরাবৃত্তি ঘটল টি-টোয়েন্টিতেও। ওয়ানডে অভিষেকে ইংলিশদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৬ রান খরচ করেছিলেন বেকার। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কুড়ি কুড়ির অভিষেকে দিলেন ৫২ রান।
ডাবলিনে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কোটার চার ওভার বল করেন ২২ বছর বয়সী বেকার। ১৩ ইকোনমি রেটে খরচ করেন ৫২ রান। হজম করেন ৩টি ছক্কা ও ৬টি চার।
আরও পড়ুন
সিরিজ জিততে বেথেল-বাটলারদের চাই ১৫৫ রান |
![]() |
৫২ রান খরচ করলেও টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষিক্ত ম্যাচে চার ওভারে ৬৪ রান খরচ করেছিলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জর্জ গার্টন চার ওভারে ৫৭ রান দিয়েছিলেন।
বেকারের ব্যর্থতার দিনে অবশ্য অন্য বোলাররা দারুণ করেছেন। স্পিনার আদিল রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। জেমি ওভারটন ও লিয়াম ডসন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
প্রথমে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড ১৫৪ রানে থামে। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৫৫ রান। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চার উইকেটে জিতেছিল ইংলিশরা, দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। আজ জিতলেই সিরিজ নিজেদের করে নেবে ইংল্যান্ড।
ডাবলিনে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংলিশরা। স্বাগতিকের লক্ষ্য তাড়া করতে পারলেই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফেরা হবে জ্যাকব বেথেলদের।
রবিবার টসে জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। শুরু থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও রস অ্যাডায়ার। পল স্টার্লিং ৭ রানে ফিরলে ভাঙে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৫২ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যাডায়ার। বাইশ গজ ছাড়ার আগে ডান হাতি এই ব্যাটার স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৩ বলে ৩৩ রান। এরপর হ্যারি ট্যাক্টর ২৭ বলে ২৮ রান করে ইনিংস টেনে লম্বা করেন । শেষদিকে গ্যারেথ ডিলানির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে (২৯ বলে ৪৮ রান) ১৫৪ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড ।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল আদিল রশিদ। চার ওভারে ২৯ রান খরচায় তিন উইকেট তোলেন তিনি। দুটি করে উইকেট শিকার করেন জেমি ওভারটন ও লিয়াম ডসন ।
গত ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠন করে পরবর্তীতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারি হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমান সভাপতি জনাব আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির পরবর্তী মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হতে ইচ্ছা প্রকাশ করে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় যুবও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মোহাম্মদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থন নিয়ে বিসিবির নির্বাচনে নিজের পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। বিসিবির নির্বাচনে জেলাও বিভাগীয় কোটার ক্যাটাগরি-১ এ কাউন্সিলর মনোনয়নে যুবও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে পর্যন্ত সম্পৃক্ত করেছেন তাঁরা।
গত ১১ সেপ্টেম্বও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে জেলা বিভাগীয় কোটার কাউন্সিলর মনোনয়নের নির্দেশিকা দিয়ে বিসিবির নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপের জানান দিয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এই আদেশ বিসিবির বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। সে কারণেই জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের সভাপতি (পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার) মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ওই পরিপত্র আমলে আনেননি।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে সব কটি জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে গঠিত হয়েছে এডহক কমিটি, সেইসব এডহক কমিটির কাউন্সিলর মনোনয়নের এখতিয়ার না থাকায় পরীক্ষিত সংগঠকদের মনোনীত করে বিসিবির নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর করে তা বিসিবিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনাররা। বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলাও বিভাগ থেকে যে সব কাউন্সিলরদের মনোনীত করেছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, সেই সব কাউন্সিলরদের নাম বাতিল করে পুনরায় জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহকে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে দেয়া নির্দেশনামূলক চিঠিতে বিসিবি সভাপতি লিখেছেন-
‘ কাউন্সিলর মনোনয়ন ফরম ২০২৫ পূরণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক গঠিত বিভাগীয়/জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে প্রেরণের যে বাধ্যবাধকতা আছে, তা যথাযথভাবে অনুসরন করে প্রেরণ করা হয়নি, সে সব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাকে ইতোপূর্বে প্রেরিত ফরমটি বাতিল করে একটি নতুন ফরম সংযুক্ত করে প্রেরণ করা হয়েছে, যা যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।'
যুবও ক্রীড়া সচিবকে লেখা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের এই নির্দেশমূলক চিঠি এখতিয়ার বর্হিভুত। সে কারণেই বিসিবি সভাপতির এই চিঠিতে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে ক্রিকেট সংগঠকবৃন্দ। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের সকল জেলাও বিভাগ এবং ঢাকার সকল ক্রিকেট ক্লাবসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির অফিস ঘেরাও এবং আইনী পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া ইশরাক হোসেন-' বিসিবির নির্বাচনে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ডিসিদের যেভাবে হুকুম দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিসিবির নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে।'
বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেছেন-
'নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচন কেন্দ্রীক সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন থেকে আসার কথা, অন্য কারো পক্ষ থেকে আসার কথা নয়। ডিসিদের প্রতি আমাদের অনুরোধ অনৈতিক নির্দেশ পালন থেকে বিরত থাকুন। তা না হলে জেলাও বিভাগে আন্দোলন হবে, মানবন্ধন করা হবে।'
বিসিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বর্তমান সভাপতির হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সিসিডিএম থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সিসিডিএম-এর সহ সভাপতি মাসুদুজ্জামান।
এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশের লিজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, ইস্রাফিল খসরু। লিখিত বক্তব্যে বিসিবির সাবেক পরিচালক এবং জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হয়ে আসা আবদুল্লাহ আল ফূয়াদ রেদোয়ান। বিসিবির কাউন্সিলর মনোনয়ন এবং প্রেরণ গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণী বিষয় বলে গঠণতন্ত্রের ৯.১-এর ‘ক’ ও ‘খ’ অনুযায়ী কাউন্সিলর মনোনয়নের এখতিয়ার স্ব স্ব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে দেয়া বিসিবি সভাপতির চিঠি প্রত্যাহার করে ওই দিন পর্যন্ত জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির স্বাক্ষরে যেসব কাউন্সিলের নাম জমা পড়েছে, তাদেরকে বৈধ কাউন্সিলর হিসেবে ঘোষণা করে যে সব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সৃষ্ট জটিলতার জন্য কাউন্সিলরের নাম প্রেরণ করেনি, সেই সব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহকে কাউন্সিলর মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে বিসিবি সভাপতির দেয়া চিঠির কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলার মামলার আভাস পাওয়া গেছে। সংবাদ সম্মেলনে আগত জেলাও বিভাগের সংগঠকদের মধ্যে ৪জন ( টাঙ্গাইলের এড. আলী ইমাম তপন, লক্ষীপুরের কামরুদ্দিন চৌধুরী কামরু, রাজবাড়ীর এ বি এম মুঞ্জুরুল আলম দুলাল এবং গোপালগঞ্জের জসিমউদ্দিন খসরু রোববার রীট মামলা ফাইল করেছেন।
বিসিবির ভোটকেন্দ্র সোনারগাঁ হোটেলে, নির্বাচন ২ দিন পিছিয়েছে
বিসিবির পরিচালকদের মতামত না নিয়ে একক সিদ্ধান্তে কাউন্সিলর প্রেরণের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় ৩ দিন বর্ধিত করায় নির্বাচনের তফসিলেও রদবদল আনতে বাধ্য হয়েছে বিসিবি। আগামী ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচনের দিনক্ষণ নতুন করে ধার্য করা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ বার বিসিবির নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো ভবন। বিসিবির সর্বশেষ সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আমলে অনুষ্ঠিত তিন মেয়াদে (২০১৩, ২০১৭ এবং ২০২১) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির প্রশাসনিক কার্যালয় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তবে এবার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বিসিবির প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে হোটেল সোনারগাঁয়ের বলরুমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ২ পরিচালকের নাম ঘোষণা করে বিরতি দিয়ে সভাপতি এবং ২ সহ-সভাপতি নির্বাচনের রেওয়াজ ছিল। তবে এই নিয়ম ভেঙ্গেছে বিসিবি এবার।
আশ্চর্য হলেও সত্য একই দিনে (৬ অক্টোবর) পরিচালনা পরিষদের ২৩টি পদে নির্বাচনের ফলাফল সন্ধ্যা ৬টায় ঘোষনার পর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সভাপতি এবং সহসভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি নির্বাচনের তফসিল একনজরে
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর
খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ: ২৩ সেপ্টেম্বর
আপত্তির ওপর শুনানি: ২৪ সেপ্টেম্বর
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র বিতরণ: ২৬ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র দাখিল: ২৮ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র বাছাই ও তালিকা প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর
আপিল গ্রহণ ও শুনানি: ৩০ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: ১ অক্টোবর
পোস্টাল ই-ব্যালট বিসিবির ওয়েবসাইটে আপলোড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে): ১ অক্টোবর
পোস্টাল ই-ব্যালট গ্রহণ: ৬ অক্টোবর ( সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা)।
নির্বাচন ও ফল প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ( সন্ধ্যা ৬টা )।
সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন : ৬ অক্টোবর ( সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট)।
সভাপতিও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনের ফল প্রকাশ : ৬ অক্টোবর ( সন্ধ্যা ৯টা)।
এশিয়া কাপে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। উত্তেজনা আর টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া দুই প্রতিবেশি আরও একবার সুপার ফোরে একে অন্যের প্রতিপক্ষ। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
প্রথম দেখার মতো আজও পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলি আগার সঙ্গে হাত মেলানটি সূর্যকুমার। গ্রুপ পর্বে প্রথম দেখায় করমর্দন না করা নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সংবাদ সম্মেলন বর্জন, রেফারির বিরুদ্ধে নালিশ, ম্যাচ পেছানো-কত কি ঘটে গেল। আবারও একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটল।
এদিকে গ্রুপ পর্বে ওমানের বিপক্ষে গত ম্যাচের থেকে দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে ভারত। একাদশে ফিরেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। দুইজনকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন দুই পেসার হার্শিত রানা ও আর্শদীপ সিং।
পাকিস্তান দলেও দুটি পরিবর্তন এসেছে। একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন হাসান নাওয়াজ ও খুশদিল শাহ। একাদশে ফিরেছেন ফাহিম আশরাফ ও হোসাইন তালাত।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের মতো সুপার ফোরের ম্যাচেও পাত্তা পেল না পাকিস্তান। অভিষেক শর্মার ঝড়ে সহজ জয়ই পেল ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের জয় ৬ উইকেটে। ১৭২ রানের লক্ষ্য ১৮.৫ ওভারে তারা করে ফেলে তারা।
ভারতের জয়ের নায়ক অভিষেক। ৬ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কায় মাত্র ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক। এছাড়া ৮ চারে ২৮ বলে ৪৭ রান করেন শুবমান গিল। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ বলে ১০৬ রান।
এরপর আরামেই জিতে যায় ভারত। শেষ দিকে ১৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭১/৫ (ফারহান ৫৮, ফাখার ১৫, সাইম ২১, তালাত ১০, নাওয়াজ ২১, সালমান ১৭*, ফাহিম ২০*; হার্দিক ৩-০-২৯-১, বুমরাহ ৪-০-৪৫-০, বরুণ ৪-০-২৫-০, কুলদিপ ৪-০-৩১-১, অক্ষর ১-০-৮-০, দুবে ৪-০-৩৩-২)
ভারত: ১৮.৫ ওভারে ১৭৪/৪ (অভিষেক ৭৪, গিল ৪৭, সূর্যকুমার ০, তিলক ৩০*, স্যামসন ১৩, হার্দিক ৭*; আফ্রিদি ৩.৫-০-৪০-০, সাইম ৩-০-৩৫-০, আবরার ৪-০-৪২-১, রউফ ৪-০-২৬-২, ফাহিম ৪-০-৩১-১)
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী