ক্রিকেট

পাওয়ার প্লেতেই ব্যাকফুটে চলে গেছে বাংলাদেশ, বললেন শান্ত

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম

news-details

টি-টিয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারেই খেই হারিয়ে ফেলে, যেখান থেকে বের হওয়া আর সম্ভব হয়নি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও মানছেন, সর্বনাশ হয়েছে পাওয়ার প্লেতেই।


বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোই। আর্শদ্বীপ সিংকে চার মেরে রানের খাতা খুললেও প্রথম ওভারেই আউট হন অভিজ্ঞ লিটন দাস। বাংলাদেশের চাপ বাড়িয়ে এরপর ছয় ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৯। বিপরীতে রান তাড়ায় ছয় ওভারে ভারত করে ৭১ রান। দুই দলের পার্থক্য এখানেই ম্যাচে।


ম্যাচের পর শান্ত বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাট করতে পারেনি তার দল। “আমার মনে হয় আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমরা সেখানে ভালো করতে পারিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা। মনে হচ্ছিল আমাদের খুব বেশি পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু পরের ম্যাচে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।”


পাওয়ার প্লেতে ধীরগতির ব্যাটিং করা বাংলাদেশ পুরো ইনিংসেই বজায় রাখে একই ধারা। ১০৮ স্ট্রাইক রেটে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন শান্ত। আর সর্বোচ্চ ৩৫ করা মেহেদি হাসান মিরাজ বল খেলেন ৩২টি। অতিরিক্ত ডট বলের কারণে রান বের করার জন্য বড় শটের বিকল্প ছিল না। আর তা করতে গিয়েই হয় বিপত্তি। মাত্র ১২৭ রানেই শেষ হয় ইনিংস, যা ভারত পাড়ি দেয় দ্বাদশ ওভারেই।


শান্ত তাই ব্যাটারদের তাগিদ দিয়েছেন ডট বল কম খেলে রানের চাকা সচল রাখার। “আমাদের স্ট্রাইক রোটেটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, টি-টোয়েন্টি শুধু মেরে খেলার বিষয় নয়। হাতে উইকেট থাকলে আমরা ভালো স্কোর করতে পারি। আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি। রিশাদ ভালো বোলিং করেছে এবং ফিজও ভালো ছিল, কিন্তু আমাদের বোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল না।”

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

কেমন গেলো সাকিবের সিপিএল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ এম

news-details

ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এলিমিনেটরে শেষ হয়ে গেছে অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনস ও সাকিব আল হাসানের এবারের যাত্রা। ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হওয়ার আসরে ব্যাটে-বলে অ্যান্টিগার সেরা পারফর্মারই ছিলেন সাকিব।


গত ১৪ আগস্ট টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অ্যান্টিগার বিদায় নেওয়া পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ১১ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৩৮.৪৬ গড়ে তার সংগ্রহ ১৮০ রান। আর ২৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি শিকার করেন ৬ উইকেট। 


আরও পড়ুন

বৃথা গেল সাকিবের তাণ্ডব, বিদায় নিলো দল বৃথা গেল সাকিবের তাণ্ডব, বিদায় নিলো দল


সিপিএলের এবারের আসরে অ্যান্টিগার জার্সিতে সাকিবের চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু দুজন- কারিমা গোর (১০ ইনিংসে ২১৯) ও আমির জাঙ্গু (৪ ইনিংসে ১৮৫)। তবে তাদের দুজনেরই স্ট্রাইক রেট সাকিবের চেয়ে কম।


বোলিংয়েও সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন অ্যান্টিগার দুজন ক্রিকেটার- জেডেন সিলস (১০ ইনিংসে ১০ উইকেট) ও ওবেদ ম্যাকয় (৭ ইনিংসে ৯ উইকেট)। 


তবে সাকিবের মতো ব্যাটে-বলে সমান তালে পারফর্ম করতে পারেননি অ্যান্টিগার কোনো ক্রিকেটার। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তিনি দলের সেরা ক্রিকেটার। বলা যায়, অ্যান্টিগার চতুর্থ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সাকিবেরই।


আসরের শুরুটা অবশ্য ঠিক সাকিবসুলভ ছিল না। প্রথম পাঁচ ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তেমন অবদান রাখতে পারেননি তিনি। অবশ্য ওই ম্যাচগুলোতে তাকে বোলিংয়ে ব্যবহারই করেননি ইমাদ ওয়াসিম। পাঁচ ম্যাচে তাকে মোট ৫ ওভার বোলিং দেন অ্যান্টিগা অধিনায়ক।


শেষ পর্যন্ত গত ২৪ আগস্ট সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে প্রথম অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান সাকিব। সেদিন ২ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। পরে রান তাড়ায় ১৮ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলায় জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 


সাকিবের সেরা ব্যাটিংয়ের দেখা মেলে সেইন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ৩১ আগস্টের ম্যাচে। সেদিন চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে ৫টি করে চার-ছক্কার মারে মাত্র ২৬ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাকিব। 


সেদিন স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩৪.৬১! যা তার ক্যারিয়ারে ফিফটি করা ইনিংসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।


আরও পড়ুন

এশিয়া কাপে কি খেলবে না পাকিস্তান, সিদ্ধান্ত আজ এশিয়া কাপে কি খেলবে না পাকিস্তান, সিদ্ধান্ত আজ


বুধবার ভোরে ত্রিনবাগোর বিপক্ষে বিদায় নেওয়ার ম্যাচেও ঝড় তোলেন সাকিব। সুনিল নারিনের টানা চার বলে তিন চার ও এক ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে মাত্র ৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ২৬ রানের টর্নেডো ইনিংস। কিন্তু সেটি দলের জন্য যথেষ্ট হয়নি।


সিপিএল অভিযান শেষ করে এখন কিছু দিন বিরতি পাবেন সাকিব। এরপর আগামী মাসে কানাডার সুপার সিক্সটি (টি-টেন) টুর্নামেন্টে মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের হয়ে খেলার কথা তার। 


কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে কানাডা সুপার সিক্সটি টুর্নামেন্ট। ছয় দল ও ছয় দিনের আসরের পর্দা নামবে ১৩ অক্টোবর। 

bottom-logo

ক্রিকেট

নেই নিয়মিত অধিনায়ক, দুই পেসারকে ফেরাল নিউ জিল্যান্ড

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৪৫ এম

news-details

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে পাবে না নিউ জিল্যান্ড। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েল। 


তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেসি)। দলে ফিরেছেন দুই পেসার কাইল জেমিসন ও বেন সিয়ার্স। 


তবে চোটের কারণে দুই অভিজ্ঞ পেসার লকি ফার্গুসন ও অ্যাডাম মিলনেকে পাবে না কিউইরা। 


গত মাসে পেটের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন স্যান্টনার। আশা ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু যথাসময়ে সেরে উঠতে পারেননি তিনি। 


এছাড়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গেছেন ফার্গুসন আর পায়ের চোটে খেলতে পারবেন না মিলনে। এর আগে বিভিন্ন চোটে উইল ও'রোরক, গ্লেন ফিলিপস ও ফিন অ্যালেনকে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। 


গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ছিলেন না জেমিসন ও সিয়ার্স। প্রথম সন্তান জন্মের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন জেমিসন। আর চোটের কারণে খেলতে পারেননি সিয়ার্স। 


মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগামী ১, ৩ ও ৪ অক্টোবর হবে সিরিজের ম্যাচগুলো। 


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড স্কোয়াড: 

মাইকেল ব্রেসওয়েল (অধিনায়ক), মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফোকস, ম্যাট হেনরি, বেভন জ্যাকবস, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ, টিম রবিনসন, বেন সিয়ার্স, টিম সেইফার্ট, ইশ সোধি।
bottom-logo

ক্রিকেট

বৃথা গেল সাকিবের তাণ্ডব, বিদায় নিলো দল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৩০ এম

news-details

ছয় নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসান। বোলিংয়েও করলেন কিপটে বোলিং। কিন্তু বাকিদের থেকে সমর্থন পেলেন না বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। হেরে গিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) থেকে বিদায় নিলো অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনস। 


গায়ানায় বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে সিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে সাকিবের অ্যান্টিগা। আগে ব্যাট করে তারা পায় ১৬৬ রানের পুঁজি। নিকোলাস পুরান ও অ্যালেক্স হেলসের ঝড়ে সহজেই জিতে যায় ত্রিনবাগো।


ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে মাত্র ৯ বলে ২৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন সাকিব। বল হাতে ৩ ওভারে দেন ২৪ রান। এর মধ্যে প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকিরা কেউই তেমন কিছু করতে পারায় বিদায়ঘণ্টা বাজল তার দলের। 


টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভাঙে অ্যান্টিগার উদ্বোধনী জুটি। এরপর ১০৮ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রেস গাউস ও আমির জাঙ্গু। পরে মাত্র ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। গাউস ৬১ ও জাঙ্গু ৫৫ রান করে ফেরেন।


১৮তম ওভারের প্রথম বলে ইমাদ ওয়াসিম আউট হলে ক্রিজে যান সাকিব। তখন বাকি ছিল ১৭ বল। এর মধ্যে ৯টি মোকাবিলা করে ২৬ রান নেন সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। আর বাকি ৮ বল খেলে করে মাত্র ৯ রান।


ক্রিজে গিয়ে সুনিল নারিনের প্রথম বল ডট খেলেন সাকিব। এরপর চালান তাণ্ডব। ইনসাইড আউট শটে মারেন প্রথম চার। পরের বলে স্লগ সুইপে মারেন আরেকটি বাউন্ডারি। প্যাডল স্কুপ করে টানা তৃতীয় চার মারেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার।


সেখানেই থামেননি সাকিব। নারিনের ওভারের শেষ বলে চমৎকার শটে লং অন দিয়ে তিনি মারেন ম্যাচে নিজের একমাত্র ছক্কা। এরপর ইনিংসের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলের বলে আরেকটি চার মেরে অ্যান্টিগাকে ১৬৬ রানে নিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।


রান তাড়ায় শুরুতে কলিন মুনরোর উইকেট হারায় ত্রিনবাগো। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি হেলস ও পুরান। দুজনের মাত্র ৮৬ বলে ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। চলতি আসরে যে কোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।


১১তম ওভারে সাকিবকে প্রথম বোলিংয়ে আনেন ইমাদ ওয়াসিম। ওই ওভারে মাত্র ২ রান দেন সাকিব। নিজের পরের ওভারে সাকিবের খরচ মাত্র ৫ রান। পরপর দুই ওভারে কিপটে বোলিং করা সাকিবকে টানা তৃতীয় ওভার দেন অ্যান্টিগা অধিনায়ক।


তখন আর থেমে থাকেননি পুরান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে দুই ছক্কার মাঝে মারেন একটি চার। ওভার থেকে নেন মোট ১৭ রান। 


শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ৮ ছক্কায় ৫৩ বলে ৯০ রান করেন পুরান। হেলসের ব্যাট থেকে আসে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪০ বলে ৫৪ রান।   

bottom-logo

ক্রিকেট

এশিয়া কাপে কি খেলবে না পাকিস্তান, সিদ্ধান্ত আজ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৫৭ এম

news-details

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হাত না মেলানোর রেষ ধরে পুরো এশিয়া কাপ বয়কটের কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি দাবি না মানায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচটি নাও খেলতে পারে তারা। এমনকি বয়কট করতে পারে পুরো এশিয়া কাপ। 


তবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার সকালের মধ্যেই এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে তারা।


“এশিয়া কাপের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই বিষয়ে আলোচনা এখনও চলছে। কালকের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাকিস্তানের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখেই যেকোনো সিদ্ধান্তে যাবে বোর্ড।”


ঘটনা মূলত গত রোববার ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের। সেদিন টসের সময় হাত মেলাননি দুই অধিনায়ক। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পিসিবি অভিযোগ করে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট দুই দলের অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছেন।


তাই তাকে এশিয়া কাপ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় পিসিবি। এই বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় হাত না মেলানো নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সঙ্গে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের কোনো ভূমিকা ছিল না।


আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কেবল মাঠে উপস্থিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কর্মকর্তাদের বার্তাই পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে কিছু না বলে এসিসির নির্দেশই তিনি জানিয়েছেন।


রোববারের ওই ঘটনার পর এখন পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এই ম্যাচেও ৬৯ বছর বয়সী পাইক্রফটই দায়িত্বে থাকার কথা। কিন্তু সেই ম্যাচটি আদৌ আর মাঠে গড়াবে কিনা সেটিই এখন অনিশ্চিত।


ম্যাচ বয়কটের হুমকির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব নির্ধারিত ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলেনেও উপস্থিত হয়নি পাকিস্তান। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাচ রেফারিকে সরানোর দাবি না মানার কারণেই সংবাদ সম্মেলন বয়কট করা হয়েছে।


সেই ধারাবাহিকতায় এখন পুরো টুর্নামেন্টই তারা বয়কট করে কিনা, সেটিই দেখার!

bottom-logo

ক্রিকেট

সমীকরণ জানা নেই, জিতেছি এটাই বড় ব্যাপার: তামিম

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪০ এম

news-details

যে কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের খেলা মানেই যেন নানান সমীকরণের হিসেব। একেকটি ম্যাচের পর হাজির হয় নতুন সব সমীকরণ। তবে জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এসব নিয়ে ভাবতে চান না। বরং ম্যাচ জেতাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 


এশিয়া কাপের তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে এখন ‘বি’ গ্রুপের দুই নম্বরে বাংলাদেশ। তবু এখনও নিশ্চিত নয় বাংলাদেশের সুপার ফোরের টিকেট। উল্টো রয়েছে বাদ পড়ে যাওয়ার চোখরাঙানিও।


কারণ তাদের নেট রান রেট (-০.২৭০)। গ্রুপের এক নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার ঝুলিতেও ৪ পয়েন্ট, নেট রান রেট (+১.৫৪৬)৷ তিন নম্বরে থাকা আফগানিস্তান দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট, নেট রান রেট (+২.১৫০)৷ 


গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সেদিন আফগানিস্তান অল্প ব্যবধানে জিতলে বাদ পড়ে যাবে বাংলাদেশ। বিশাল বড় ব্যবধানে জিতলে বাদ পড়ে যাবে শ্রীলঙ্কা। আর যে কোনো ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা জিতলে বাদ পড়ে যাবে আফগানিস্তান। 


মঙ্গলবারের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পর দাঁড়িয়েছে এই সমীকরণ। যা সম্পর্কে ধারণা নেই তামিমের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি ওপেনার নিজেই বলেছেন এই কথা।


“মাত্র খেলা শেষ হলো৷ সমীকরণটা আমার জানা নেই।”


আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত ২৩ রানের ব্যবধানে জিততে পারলে নেগেটিভ থেকে পজিটিভে চলে আসত বাংলাদেশের নেট রান রেট। ১৩ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সেই বড় জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। 


কিন্তু পরের ৭ ওভারে ৬৯ রান খরচ করে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছে মাত্র ৮ রানে। তাই বড় ব্যবধানে জিততে না পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারার সাফল্যেই জোর দিলেন তামিম।


“অবশ্যই মাথায় ছিল (বড় ব্যবধানে জয়)। সেই সুযোগও ছিল আমাদের। হলে আমাদের দলের জন্য ভালো হতো। হয় নাই তো কিছু করার নেই। তবে ম্যাচটা আমাদের জিততে হতো। ম্যাচ জিতেছি, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।” 


বাংলাদেশের বড় জয়ের সুযোগ ছিল হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও। সেদিন ১৪৪ রানের লক্ষ্য ছুঁতে মাত্র ৩ উইকেট হারালেও তারা খেলে ফেলে ১৭.৪ ওভার। যে কারণে এখনও নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে তারা।


তাই এখন হারিয়ে ফেলা সুযোগ নিয়ে আক্ষেপ করতে চান না বাংলাদেশের ওপেনার।

 

“এটা (হংকং ম্যাচের বড় জয়ের সুযোগ) নিয়ে আফসোস করতে চাই না। যেটা অতীত, সেটা হয়ে গেছে। এখন আমাদের সামনে যে সমীকরণটা থাকবে, সেটার দিকেই তাকিয়ে থাকব।”


এসময় তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সব টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে ঘিরে চলা সমীকরণের খেলার ব্যাপারে। উত্তরে প্রতিটি ম্যাচে সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

 

“আমরা কখনও এভাবে দেখি না। প্রত্যেকটা ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি। তো কিছু বলার নাই এটা নিয়ে। কারণ আগের ম্যাচটা আমরা খুব বাজেভাবে হেরেছি।” 


“আগের ম্যাচে দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে গেছিল। যদি আগের ম্যাচটাও আজকের মতো শুরু পেতাম, তাহলে হয়তো ভালো কিছু হতো। তবে যেতা অতীত হয়ে গেছে, ওইটা নিয়ে চিন্তা করতে চাই না।”


আগের ম্যাচে হারের চাপ সামলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের রহস্য হিসেবে মাঠে উপভোগ করার কথা বলেন বাঁহাতি ওপেনার। 


“আমরা যখনই কোনো ম্যাচে নামি, শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মাঠে উপভোগ করা। আজকে সবাই উপভোগ করেছে এবং সবার মধ্যে চিন্তা ছিল মাঠে ভালো কিছু করার। সেটাই হয়েছে আজকে।”

bottom-logo