বল হাতে দারুণ সময় পার করছেন আবরার আহমেদ। সবশেষ এশিয়া কাপেও ছিলেন উজ্জ্বল। ভালো সময়টা আরও মধুর করে তুলতে বোলিং মায়াজাল ছড়িয়ে এবার আবদ্ধ হলেন বিয়ের জালে।
পাকিস্তানের জিইও টিভির প্রতিবেদন, আবরার শনিবার (গতকাল) জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। করাচিতে এক বর্ণিল আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ বছর বয়সী আবরারের বিয়ে আগেই সম্পন্ন হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি নববধূকে ঘরে তুলে আনেন। আগামীকাল করাচিতেই হবে তাঁর ভালিমা অনুষ্ঠান (বড় আয়োজনে খাওয়া-দাওয়া)।
আরও পড়ুন
ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের উত্তাপ থামাতে পারে প্রকৃতি |
![]() |
আবরারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায়—বন্ধুদের সঙ্গে বাদ্য-যন্ত্রের তালে নেচে-গেয়ে বিয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন তিনি। বিয়ের আসল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল শুক্রবার রাতের ‘মেহেদি’ অনুষ্ঠান দিয়ে। সেখানকার কিছু মুহূর্তও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, সবুজ শাল-পাঞ্জাবিতে দেখা যায় আবাররকে।
২০২২ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলে অভিষেক হয় আবরারের। এ পর্যন্ত ১০টি টেস্ট, ১১ ওয়ানডে ও ২৩ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন। সব মিলিয়ে নিয়েছেন ৯৩ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজেও পাকিস্তান দলে আছেন আবরার। লাহোরে ১২ অক্টোবর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। সিরিজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তান দল বর্তমানে লাহোরে ক্যাম্প করছে, যা চলবে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ভালিমার পরপরই সেই ক্যাম্পে যোগ দেবেন আবরার।
No posts available.
৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১৫ পিএম
৫ অক্টোবর ২০২৫, ৬:১৫ পিএম
৫ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৫ পিএম
ম্যাচে হার-জিত ছাড়াও অনেক কিছু ছাপ রেখে যায়। বিতর্ক, রেকর্ড ও প্রকৃতির তালবাহানা মাঝে মধ্যে হয়ে ওঠে চায়ের আড্ডার খোরাক। এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ফল ছাড়াও কথা হয়েছে দু’দলের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ নিয়ে। সে ছাপ লক্ষ্য করা গেছে নারী বিশ্বকাপেও।
নারী বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখিতে প্রতিবেশী দুই দেশের ম্যাচে ঘটে গেছে তিনটি আলোচিত ঘটনা। ম্যাচ রেফারির ভুলে পাকিস্তানের সুবিধা পাওয়া, টসের পর হাত না মেলানো এবং মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে ম্যাচে ফগার মেশিনের ব্যবহার।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় আজ আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ২৪৭ রানে থেমে যাওয়ার আগেই দুটি বড় ঘটনার সাক্ষী হয় ক্রিকেট বিশ্ব। এদিন ম্যাচ রেফারি শান্দ্রে ফ্রিৎজ ও সঞ্চালক মেল জোন্সের ভুলে ভারতের বিপক্ষে টসে বাড়তি সুবিধা পায় পাকিস্তান। এটি নিয়ে অবশ্য দুই দলের কেউ কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ জানাননি। তাই খেলা শুরু হতেও সমস্যা হয়নি।
টসের পর দ্বিতীয় ঘটনা অনুমেয়ই ছিল-হাত না মেলানো। সীমান্ত উত্তেজনা ও দুই দেশের বৈরতা সম্পর্কের জেরে এশিয়া কাপের মতো নারী বিশ্বকাপেও হাত মেলায়নি প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান। টসের পর পরই নিজের ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা সম্প্রচারক মেল জোন্সের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথন শেষে ফিরে যান।
খেলার মাঝে ঘটে আরো বড় ঘটনার। যার জেরে একবার ২-৩ মিনিট, আরেকবার ১৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ম্যাচের ২৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানে ব্যাট করছিল ভারত। এমন সময় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় ম্যাচ রেফারি। মূলত মশা পালের কারণে ক্রিকেটারদের মাঠে থাকাই দায় হয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়েই এক পর্যায়ে পাকিস্তানের স্পিনার নাশরা সান্ধুকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পরে ইশারা দিয়ে আনা হয় মশার স্প্রে। খেলা বন্ধ ছিল কয়েক মিনিট।
৩৪ ওভারের পর মশার হানা বাড়তে থাকে। ১৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয় খেলা। ফগার মেশিন নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন মাঠ কর্মীরা। ওই সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকাকে ১৭ রানে হারিয়েছে খুলনা। আসরে টানা চতুর্থ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে মোহাম্মদ মিথুনের দল। ৬ ম্যাচে ঢাকার সমান ৯ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে ঢাকা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে খুলনা। জবাবে দিতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে করতে পারে ঢাকা।
এদিন খুলনার শুরুটা ছিল আত্মবিশ্বাসী। ওপেনার সৌম্য সরকার ও ইমরানুজ্জামান পাওয়ার প্লেতে দলকে এনে দেন ৪৬ রান। সপ্তম ওভারে দলীয় ৫১ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ইমরানুজ্জামান আউট হন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এনামুল হক বিজয় সুবিধা করতে পারেননি । তিন রান করে ফেরেন তিনি। সৌম্য সরকার থামেন ২৪ রানে।
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ও অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব দলের হাল ধরেন। দু’জন মিলে চতুর্থ উইকেটে উপহার দেন ৬৮ রান। মিথুন ২৮ বলে ৪১ রান করেন, আর আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৫ রান। শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ১৭ রানের ওপর ভর করে ১৯০ এর ঘরে পৌঁছায় খুলনা। ঢাকার হয়ে তাইবুর রহমান ৪ ওভারে ৪২ রানে নেন ৪টি উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা আশাবাদী ছিল ঢাকার। ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম মিলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। শিবলি ২৩ রান করে আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফেরেন জিশানও। এরপর আরিফুল ইসলাম ১৭, অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৭ এবং সুমন খান ঝড়ো ২১ রান করে ব্যবধান কিছুটা কমান। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানে থেমে যায় ঢাকার ইনিংস। জিয়াউর রহমান ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৪ টি উইকেট ।
প্রথম দুই ম্যাচে বোলাররা মঞ্চ সাজিয়ে দিলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জেগেছিল পরাজয়ের শঙ্কা। তবে শেষ ম্যাচে তেমন কিছু হতে দিলেন না সাইফ হাসান। ২ চার ও ৭টি বিশাল ছক্কার ঝড়ে ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে দলকে সহজ জয়ই এনে দিয়েছেন টপ-অর্ডার ব্যাটার।
যার সৌজন্যে পরপর তিন ম্যাচে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৮ সালে তাদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। মাঝে ২০১৮ সালে ২-০ ব্যবধানে জিতলেও, এবারই তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে নিল বাংলাদেশ।
সাইফ হাসানের ঝড়ের আগে বল হাতে ভালো করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবও দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ের পর চাপ এলেও, সাইফের ঝড়ে উড়ে যায় সব। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৩৩ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। অধিনায়ক জাকের আলি অনিক ১০ রান করতে খেলেন ১১ বল। রানের খাতা খুলতে পারেননি শামীম হোসেন।
তবে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সাইফ। আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও অপরাজিত থাকেন সোহান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (গুরবাজ ১২, ইব্রাহিম ৭, অতল ২৮, তারাখিল ১১, রসুলি ৩২, ওমরজাই ৩, নবী ১, রশিদ ১২, আহমেদজাই ০, মুজিব ২৩*, বশির ২*; শরিফুল ৪-০-৩৩-১, নাসুম ৪-০-২৪-২, সাকিব ৪-০-২৪-২, সাইফ উদ্দিন ৩-০-১৫-৩, সাইফ ১-০-৬-০, রিশাদ ৪-০-৩৯-১)
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৪৪/৪ (ইমন ১৪, তামিম ৩৩, সাইফ ৬৪*, জাকের ১০, শামীম ০, সোহান ১০*; মুজিব ৪-১-২৬-২, ওমরজাই ৩-০-১২-১, বশির ৩-০-৩৮-০, রশিদ ৪-১-১৩-০, আহমেদজাই ৪-০-৫০-১)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে রোববারই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের শেষ দিন। পরদিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানা যাবে, নতুন সভাপতি হবেন কে? এই মেয়াদে নিজের শেষ দিনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছেন বুলবুল।
বাংলাদেশকে ক্রিকেট–নির্ভর পর্যটনের সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে বিশ্বে প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে রোববার রাজধানীতে বিটিবির কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিনসহ দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা অনুযায়ী, ক্রিকেট ও পর্যটনকে একীভূত করে দেশের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও আতিথেয়তা তুলে ধরার উদ্যোগ নেবে বিসিবি ও বিটিবি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্রফি ট্যুর, ক্রিকেট-কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গাইডেড ট্যুর ও বিশেষ ট্রাভেল প্যাকেজের পরিকল্পনা করেছে তারা।।
এছাড়া দেশের প্রধান ক্রিকেট ভেন্যু- ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর স্টেডিয়াম এলাকাকে ঘিরে স্থানীয় সংস্কৃতি ও দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রচারণা চালানো হবে। ক্রিকেট মৌসুমে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও দর্শকদের জন্য কাস্টমাইজড ভ্রমণ আয়োজনের কথাও বিবেচনায় রয়েছে।
বিসিবি ও বিটিবি একসঙ্গে কাজ করবে ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট ও ভ্রমণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে; যাতে ক্রিকেট ম্যাচ বা সিরিজের সময় পর্যটকরা সহজে ভ্রমণ, আবাসন ও অভিজ্ঞতার সমন্বিত সুবিধা পান।
বিসিবি সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,
“এই অংশীদারিত্ব আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। বাংলাদেশকে আমরা শুধু ক্রিকেটের দেশ হিসেবে নয়, এক অনন্য পর্যটন গন্তব্য হিসেবেও তুলে ধরতে চাই। ক্রিকেট বাংলাদেশের অন্যতম ঐক্যের প্রতীক; সেটিকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারব।”
তিনি আরও বলেন,
“ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সফট পাওয়ারগুলোর একটি। আন্তর্জাতিক সিরিজ, টুর্নামেন্ট বা আইকনিক খেলোয়াড়দের সফরকে কেন্দ্র করে দেশের পরিচিতি বাড়ানো এবং পর্যটন খাতকে সক্রিয় করার সুযোগ তৈরি হবে।”
বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন বলেন,
“বিসিবি ও বিটিবির এই যৌথ উদ্যোগ দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ক্রিকেটের সঙ্গে ভ্রমণ ও সংস্কৃতির সংযোগ তৈরি হলে শুধু দর্শনার্থীর সংখ্যা নয়, দেশের ব্র্যান্ড মূল্যও বাড়বে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই উদ্যোগ দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে পর্যটন ব্যবস্থাপনা, ইভেন্ট আয়োজন, হসপিটালিটি ও গাইডিং সার্ভিস খাতে।”
বেশ কিছু দিন ধরে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যে কোনো ম্যাচ নিয়ে এখন দেখা যায় বাড়তি আগ্রহ, উত্তেজনা। সেটিরই ধারাবাহিকতায় এবার সময় জন্ম নিলো নতুন এক ঘটনা।
ম্যাচ রেফারি শান্দ্রে ফ্রিৎজ ও সঞ্চালক মেল জোন্সের ভুলে ভারতের বিপক্ষে টসে বাড়তি সুবিধা পেয়ে গেল পাকিস্তান। এটি নিয়ে অবশ্য দুই দলের কেউ কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ জানাননি। তাই খেলা শুরু হতেও সমস্যা হয়নি।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা। তবে এই টস জেতার কথা ছিল ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের। কারণ ভুল ডাক দিয়েছিলেন ফাতিমা।
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে টসের সময় কয়েন ছুঁড়ে মারেন হারমানপ্রিত। এসময় মাইক হাতে ‘টেইলস’ ডাকেন ফাতিমা। কিন্তু সেটি হয়তো ঠিকঠাক শুনতে পারেননি ম্যাচ রেফারি শান্দ্রে ফ্রিৎজ। তাই তিনি বলেন, ‘হেডস ইজ দা কল।’
ফ্রিৎজের কথা শুনে মেল জোন্সও বলেন, ‘হেডস ইজ দা কল।’