১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৫৯ পিএম

প্রতিবছরই বাড়ছে ফুটবলের সূচি, ক্যালেন্ডার হচ্ছে আরো ঠাসা। সমান তালে কমে যাচ্ছে ফুটবলারদের বিশ্রাম পাওয়ার সময়টুকুও। পুরো ২০২৪ সালজুড়ে কোন খেলোয়াড় কতটুকু সময় মাঠে ফুটবল খেলেছেন, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ বা সিআইইএস ফুটবল অবজারভেটরি। সে তালিকায় চলতি বছরে ফুটবল মাঠে সবচেয়ে বেশি ধকল সামলেছেন বার্সেলোনা ও ফরাসি ফুটবলার জুল কুন্দে।
পুরো বছরজুড়ে ক্লাবের হয়ে ঘরোয়া ও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাসহ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কুন্দেকে খেলতে হয়েছে পাক্কা ৫ হাজার ৮৭২ মিনিট বা প্রায় ৯৮ ঘণ্টা। তার ঠিক পরই দ্বিতীয় স্থানে আছেন ফ্লুমিনেন্স ও কলম্বিয়ার ফুটবলার জন আরিয়াস। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আছে লিভারপুল ও নেদারল্যান্ডস ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক, রিয়াল মাদ্রিদ ও উরুগুতে মিডফিল্ডার ফেদে ভালভেরদের নামও। তারা দুজনই খেলেছেন সাড়ে ৫ হাজার মিনিটেরও বেশি।
শীর্ষ দশে পরিচিত আরো মুখ আর্সেনাল ও ফ্রান্সের উইলিয়াম সালিবা, বায়ার লেভারকুসেন ও সুইজারল্যান্ডের গ্রানিট জাকা এবং বেনফিকা ও আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্দি।
সিআইইএস এর রিপোর্ট বলছে, এই ফুটবলাররা বেশিরভাগ সময় খেলেছেন তাদের ঘরোয়া লিগে, যেটা মোট মিনিটের ৭৩.২%। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা, যেমন চ্যাম্পিয়নস লিগ বা কোপা লিবেরতাদোরেসের মতো প্রতিযোগিতায় তারা খেলেছেন ১৫.১% মিনিট। আর বাকি ১৩.৪% মিনিট তারা খেলেছেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে।
এসিএল ইনজুরিতে পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে যাওয়ার আগে ঠাসা সূচি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ব্যালন ডি’অর জয়ী ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রি। তার সাথে সুর মিলিয়ে এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলা জুল কুন্দে সেপ্টেম্বর মাসে জানিয়েছিলেন, যত বেশি তারা ম্যাচ খেলছেন, তার চেয়ে অনেক কম সময় তারা পাচ্ছেন রিকভারির জন্য। এমনকি কোচদের অভিযোগও নাকি কেউ কর্ণপাত করছেন না।
No posts available.
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম

২০২৪ সালের নভেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেন পেপ গার্দিওলা। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ভিত্তিক ক্লাবের সঙ্গে থাকার কথা স্পেনীয় কোচের।
খবরের শিরোনাম - নতুন মৌসুমের আগে ম্যানসিটি ছাড়ছেন গার্দিওলা। তাঁর বদলে চেলসির কোচ এনজো মারেস্কারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে ক্লাব সিটি। যদিও এ বিষয়ে গার্দিওলা জানিয়েছেন, ঘটনার আদোপ্রান্ত কিছুই জানা নেই তাঁর। এই মুর্হূতে প্রিমিয়ার লিগ এবং শিরোপা পুনরুদ্ধারকেই লক্ষ্য বানিয়েছেন তিনি।
আগামীকাল প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামের মুখোমুখি হবে ম্যানসিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ম্যাচের আগের দিন সিটি ছাড়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন ৫৪ বছর বয়সী কোচ।
তিনি বলেন,
“আজ অথবা কাল, এমনও হতে পারে ৭৫ কিংবা ৭৬ বছর বয়সে আমি ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়বো। অথচ তিন-চার বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাকে এ বিষয়ে (দায়িত্ব ছাড়া) প্রশ্ন করা হয়, যখন আমার চুক্তির মেয়াদ থাকে অনেকদিনের।”
হিসাব বলছে, ম্যানচেস্টারের সিটির সঙ্গে এখনও প্রায় ১৮ মাসের চুক্তি রয়েছে গার্দিওলার। এ সময়টা যথেষ্ট বলা যায়। তবে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, নতুন মৌসুম থেকে স্পেনীয় কোচকে আর সিটিতে পাওয়া যাবে না।
গার্দিওলা বলেন,
“চুক্তি শেষ হতে এখনও ১৮ মাস বাকি। তাই আমি নিশ্চিন্ত। আমি বলতে চাই, এই মুহূর্তে আমি দল নিয়ে এবং দলের উন্নতি নিয়েই ভাবছি। ক্লাবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক গভীর। আর প্রতি সিজনে এমন প্রশ্নই আসে। আমি ঠিক আছি। আমরা যা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটা নেবো, আর যা ঘটতে চলেছে, তা ঘটবে।”
তিনি আরও বলেন,
“সমস্যা হলো এখানে কোনো আলোচনা নেই। বিষয়টি এখানেই শেষ, কোনো আলোচনা হচ্ছে না। আমি বলেছিলাম, আমার দ্বিতীয় সিজনের পর আমি চিরকাল এখানে থাকব না। আমরা কেউই এই পৃথিবীতে চিরকাল থাকব না। তবে এখানে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। তাহলে কী হবে? অবশ্যই, ক্লাবকে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে—খেলোয়াড়দের জন্য, সিইওদের জন্য। শুধু মালিকদের জন্য নয়, যদি তাঁরা ক্লাব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত না নেন।"
সংবাদ সম্মেলনের শেষ সময়ে যখন গার্দিওলাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পরবর্তী মৌসুমে তিনি সিটিতে থাকবেন কি না, মুর্হূতেই মেজাজ হারান তিনি।
গার্দিওলা বলেন,
“আমি এই প্রশ্নের উত্তর দুই ধাপ আগে দিয়েছি! কে জানে, আমার যদি ১০ বছরের চুক্তি থাকে বা ছয় মাসের চুক্তি, ফুটবল অনেক কিছু পরিবর্তন করে। তাই এখন আমি ওয়েস্ট হ্যামের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এরপর কিছু দিন আমার বাবার সঙ্গে কাটাবো।’’
প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে ম্যানসিটি দ্বিতীয় স্থানে আছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বাজে সময় কাটানো সিটিজেনরা এভাবে দাপটের সঙ্গে রেসে টিকে আছে। ১৬ ম্যাচে তাদের ৩৪ পয়েন্ট, যা শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট কম। উভয় দলই ১১টি করে ম্যাচ জিতেছে। সিটির ৪টি হারের বিপরীতে আর্সেনালের হার ২টি।

কথায় আছে রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। ক্যারিয়ারজুড়ে অসংখ্য গোল ও রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সেই রেকর্ডগুলোর কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বর্তমান প্রজন্মের দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হলান্ডের দাপটে।
২০১২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এক বর্ষপঞ্জিতে ৫৮ গোল করেছিলেন রোনালদো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এমবাপের গোলসংখ্যাও দাঁড়িয়েছে ৫৮ তে। ফলে ২০১৩ সালে রোনালদোর করা ৫৯ গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র এক গোল দূরে আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
শনিবার সেভিয়ার বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলবে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেই ম্যাচে সবার নজর থাকবে এমবাপের দিকে। শৈশবের আদর্শ রোনালদোর রেকর্ডে সমতা আনেন, নাকি ছাড়িয়ে যান- সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
প্রিমিয়ার লিগে গোলসংখ্যায় রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছেন আর্লিং হলান্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১০৩ গোল করেছিলেন রোনালদো। পর্তুগিজ তারকাকে ছাড়িয়ে যেতে ম্যানচেস্টার সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের প্রয়োজন আর দুটি গোল।
ইতিমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ৫০ ও ১০০ গোল করার কীর্তি গড়েছেন হালান্ড। চলতি বছরে আরো দুটি ম্যাচ খেলবে ম্যান সিটি।
আগামীকাল ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে আর ২৭ ডিসেম্বর বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে। ফলে চলতি বছরেই রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন হালান্ড।

টানা চার ম্যাচে জয়হীন। শেষ তিন ম্যাচে পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর আজ জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল দলটি। কিন্তু এরপর ব্রাদার্সের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। একই দিনে অঘটনের শিকার হয়েছে ঢাকা আবাহনী।
বাংলাদেশ ফুটবল লিগের (বিএফএল) খেলায় আজ পিডিব্লউডির বিপক্ষে ২-২ গালে ড্র করেছে আবাহনী। কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দশম মিনিটে পিডব্লিউডি এগিয়ে যায় মিনহাজুল স্বাধীনের গোলে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে সমতায় ফেরান আল আমিন।
৭৪ মিনিটে পিডব্লিউর ডিফেন্ডার আল আমিন বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো বিপদ ডেকে আনেন; বল ঠেলে দেন মোরছালিনের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ডান কোনা দিয়ে জাল কাঁপান মোরছালিন। আবাহনী এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
লিড ধরে রেখে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল আবাহনী, জয়টা তাদের জন্য ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে মাশুল দিতে হলো আকাশি-নীলদের। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আবাহনীর ডিফেন্ডারের উড়িয়ে মারা শট ভলিতে পরিণত করেন আবু সাইদ। পিডব্লিউডিও মাঠ ছাড়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে আছে তারা। চারে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।
লিগে দিনের অপর ম্যাচে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। মুন্সিগঞ্জের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের অনেকটা সময় জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে ব্রাদার্স। গোলের খাতায় ব্রাদার্সের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। সানিশ শ্রেষ্ঠার পাস থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস রুদওয়েরে। এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ।
বিরতির পর পুরান ঢাকার ক্লাবটি আবারও পিছিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে অঞ্জন বিস্তার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিদিয়ের ব্রোসু। এমন ধাক্কার পরও মনোবল হারায়নি রহমতগঞ্জ। হারাতে দেননি অধিনায়ক সলোমন কিং। ৭ মিনিটের ব্যবধানে বদলে ফেলেন পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। প্রথমে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে সেটি গোলে রূপ দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে লং থ্রো থেকে আসা বল তিন হেডে আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে। শেষ হেডটি ছিল সলোমনের।
সমতায় ফিরে এসে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে সময় নেয় আর দুই মিনিট। এবার ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের দেওয়া পাসে এগিয়ে যাওয়া গোলটি করেন ক্লেমেন্ত আদু। রহমতগঞ্জের জয় আর ঠেকানোর কোনো সুযোগই পায়নি। অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সলোমন। কিন্তু যোগ করা সময়ে তাঁর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমেছে ব্রাদার্স। ৬ খেলায় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পাঁচবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।

সহিংসতার জন্য পরিচিত দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল। বিভিন্ন সময় খেলার মাঠেই দাঙ্গা-সহিংসতায় জড়িয়ে সংবাদের শিরোনাম হয় এই অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গন। এবার ন্যাক্কারজনক ঘটনার স্বাক্ষী হলো কলম্বিয়া। দেশটির মেডেলিন শহরে অনুষ্ঠিত কলম্বিয়া কাপ ফাইনালে প্রতিপক্ষ দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষে মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আহত হয় অন্তত ৫৯ জন।
গত বুধবার কলম্বিয়া কাপের ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দেপোর্তিভো ইন্ডেপেনদিয়েন্তে মেডেলিনকে বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতে আতলেতিকো নাসিওনাল। রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো স্টেডিয়াম। দুই দলেরই হোম ভেন্যু এস্তাদিও আতানাসিও গিরার্দোত স্টেডিয়ামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের একাংশ মাঠে ঢুকে পড়ে। তাদের কারও হাতে ছিল ফ্লেয়ার ও আতশবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামানো হয় দাঙ্গা পুলিশ। আহতদের মধ্যে সাতজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা ‘এল কলোম্বিয়ানো’ জানিয়েছে, সহিংসতায় স্টেডিয়ামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক আসন উপড়ে ফেলা হয়েছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও ১৪ মিনিট দেরি হয়।
মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সহিংসতা ছড়ানো ‘কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিকে’ দায়ী করেন এবং সতর্ক করে দেন যে, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে গিয়ে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। অল্প কয়েকজনকে সবার সম্পদ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’
কলম্বিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল ‘টেলি আন্তিওকিয়া’ কে পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো জানান, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র, ফ্লেয়ার ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২০ কেজিরও বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরি করে এমন রাসায়নিক বস্তু) সামগ্রী ছিল।
পুলিশ কমান্ডার বলেছেন, ‘সমর্থকদের মাঠ দখল ঠেকাতে, জনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ন্ত্রণে এবং দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।’
কলম্বিয়ায় বড় ম্যাচগুলোতে সহিংসতা ঠেকাতে সাধারণত সফরকারী দলের সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তবে ফুটবলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ডার্বি ম্যাচে মেডেলিন কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রম হিসেবে দুই দলের সমর্থকদেরই মাঠে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল।

জমজমাট লড়াই শেষে আরব কাপের ফাইনালে জর্ডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতল মরক্কো। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে ৩-২ গোলে জিতেছে মরক্কো।
চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় মরক্কো। ৩৫ গজ দূরের থেকে গতিময় শটে জাল কাঁপান তান্নানে। আট মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে কারিম এল বেরকাউয়ির জোরাল শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি জর্ডান গোলকিপার।
৩৩ মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম বড় সুযোগ পায় জর্ডান। হুসাম আবু আল দাহাবের হেড ফিরিয়ে দেন মরক্কো গোলকিপার মেহদি বেনাবিদ। বিরতির পর দ্রুতই সমতায় ফেরে জর্ডান। কর্নারের পর মোহান্নাদ আবু তাহার ক্রসে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ওলওয়ান। ৬৮ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জর্ডানের আল ওলওয়ান। ডি বক্সে আশরাফ এল মাহদিওইয়ের হ্যান্ডবলে জন্য ভিএআরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি।
৮৭ মিনিটে সৌভাগ্যের এক গোলে ম্যাচ ২-২ সমতা ফেরান মরক্কোর আব্দের রাজ্জাক। মোহাম্মদ হিরমাতের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান জর্ডান গোলকিপার। ফিরতি বল আব্দের রাজ্জাকের গায়ে লেগে ফেরে পোস্ট ছুঁয়ে। ফের বল পেয়ে খুব কাছ থেকে জাল খুঁজ নেন তিনি।
এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে ১০০ মিনিটে আব্দের রাজ্জাকের গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। কর্নার থেকে বল পেয়ে মারওয়ানে সাদানের হেডে পোস্টের খুব কাছে বল পেয়ে যান আব্দের রাজ্জাক। বাকিটা অনায়াসে সারেন আল শাবাবের এই ফরোয়ার্ড।
গত রাতে আরব কাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল মরক্কো। এর আগে ২০১২ সালে প্রথমবার ফাইনালে খেলেই জিতেছিল শিরোপা। আগামী সপ্তাহে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সের প্রতিযোগিতায় নামবে আরব চ্যাম্পিয়নরা। এই শিরোপা জয় তাদের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে।