খেলা শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেই হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে মার্কাস রাশফোর্ডকে ধারে পাওয়াটা তার জন্য কতটা আশীর্বাদের ছিল। ইংলিশ এই ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও বিচলিত ছিলেন না বার্সেলোনা কোচ। শেষ পর্যন্ত কাতালান ক্লাবটির জয়ের নায়ক হয়েই কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন রাশফোর্ড।
নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে বার্সা। জোড়া গোল করে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটিকে দারুণ এক জয় এনে দেন রাশফোর্ড। গ্যারি লিনেকারের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে গোল করে ইতিহাসে নাম লেখালেন রাশফোর্ড।
নিউক্যাসলের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে থেকে জয় নিয়ে ফেরা যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই কঠিন। এর মধ্যে দলের আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা লামিনে ইয়ামালকে ছাড়াই মাঠে নামে বার্সেলোনা। এই তারকা উইঙ্গারকে ছাড়া খেলতে নেমে প্রথামার্ধে তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বার্সা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে রাশফোর্ড স্বরুপে ফিরলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে ফ্লিকের দল।
বিরতির পর ৫৮ ও ৬৭ মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। ৯০ মিনিটে এন্থনি গর্ডনের গোলে ব্যবধান কমায় নিউক্যাসল। এরপর যোগ করা সময়ে আর বিপদে পড়তে হয়নি বার্সাকে।
Marcus Rashford are you mad🤯🤯. What a goal pic.twitter.com/Al3TG0dHZb
— Point Blank♠️ (@Sparrow__KE) September 18, 2025
প্রতিপক্ষের মাঠে বল দখল থেকে ঢের শট নেওয়ায় এগিয়ে ছিল বার্সা। ৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৯টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। স্বাগতিকদের ১০ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল।
৯ মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে নিউক্যাসলের। হার্ভে বার্নসের শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া। ২৪ মিনিটে এই উইঙ্গারের আরেকটি শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন বার্সেলোনার এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
ম্যাচের প্রথম গোল আসে ৫৮ মিনিটে। জুলে কুন্দের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রাফফোর্ড। ৯ মিনিট পর ২০ গজ দূর থেকে বুলেট গতির এক শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ৯০ মিনিটে গর্ডনের গোলে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখে স্বাগতিকরা। তবে করা সাত মিনিটে তেমন কিছু করতে পারেনি ‘ম্যাগপাইরা’।
বার্সার জয়ের নায়ক রাশফোর্ড ম্যাচের পর নিজেকে ক্লাবটির বড় ভক্ত হিসেবে পরিচয় দেন, ‘আমি সবসময়ই বার্সেলোনার বিশাল ভক্ত ছিলাম’। নিজের দ্বিতীয় গোল নিয়ে এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে আমি একটা ফাঁকা জায়গা দেখতে পেলাম। ভাবলাম, একটা শট নেওয়ার চেষ্টা করি। ওদের একজন খেলোয়াড় (তোনালি) ব্লক করার চেষ্টা করছিল, তাই আমি বলটা একটু তুলে মারার চেষ্টা করলাম। বলটা যেভাবে লাগলো, তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, গোলরক্ষকের পক্ষে সেটা ঠেকানো কঠিন হবে’।
No posts available.
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৪৮ পিএম
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৭ পিএম
এককথায় অবিশ্বাস্য! জাভি আলোনসোর রিয়াল মাদ্রিদ চলতি মৌসুমে একটি ম্যাচও হারেনি। এমনকি প্রায় সব ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে জিতেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত রিয়ালের অপরাজিত থাকার যাত্রা শেষ হলো কিনা ‘লজ্জাজনক’ এক হারে।
লা লিগায় আজ কিলিয়ান এমবাপ্পেদের রীতিমতো উড়িয়ে-গুঁড়িয়ে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেল আতলেতিকো মাদ্রিদ। শহর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই জয়ে মৌসুমের প্রথম ‘মাদ্রিদ ডার্বি’ কি দাপট দেখিয়েই না জিতল দিয়েগো সিমিওনের দল।
আরও পড়ুন
হালান্ড-আত্মঘাতীর জোড়ায় গোল উৎসব ম্যান সিটির |
![]() |
ঘরের মাঠে রিয়ালকে বিধ্বস্ত করা জয়ে জোড়া গোল করেন আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করা জুলিয়ান আলভারেজ। একবার করে রিয়ালের জালে গোল উৎসবে যোগ দেন রবিন লে নরমান্ড, আলেক্সান্ডার সরলথ ও আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। রিয়ালের হয়ে দুটি গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে ও আর্দে গুলের।
এই হারেও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৭ ম্যাচে ৬ জয় ও ১ হারে ১৮ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে বার্সেলোনা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে ওঠে এসেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন
জাপানে নয়, চট্টগ্রামে মেয়েদের 'এক্সক্লুসিভ' ক্যাম্প |
![]() |
ওয়ান্দা মেত্রপলিতানোয় ১৪ মিনিটেই লে নরমান্ডের হেডে প্রথমে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। তবে সমতায় ফিরতে দেরি করেনি রিয়াল। ২৫ মিনিটে ব্যবধান ১-১ করেন এমবাপে। গুলারের থ্রু বল ধরে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জাল কাঁপান ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ড। প্রথম গোলে সহায়তা করা গুলার ৩৬ মিনিটে রিয়ালকে লিড এনে দেন।
রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে বিরতির আগ মূহূর্তে আতলেতিকোকে সমতায় ফেরান সরলথ। দারুণ হেডে রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড। উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে প্রথামার্ধ শেষ হয় ২-২ গোলের সমতায়।
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হেরে আবারও স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের |
![]() |
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময়ই ছিল রিয়ালের জন্য ভয়ংকর এক দুঃস্বপ্ন। আর আতলেতিকোর জন্য গোল উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার একের পর এক উপলক্ষ্য।
শুরুটা করেন আলভারেজ। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের দু’টি গোলই এসেছে সেট পিস থেকে। প্রথমে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ৩-২ করার পর অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে জোড়া গোল পূর্ণ করেন আলভারেজ।
এরপর যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে বদলি নামা গ্রিজম্যানের একটি গোল রিয়ালের চূড়ান্ত বিপর্যয় নিশ্চিত করে।
পুরো ম্যাচে দাপট ছিল ম্যানচেস্টার সিটিরই। তবে পেপ গার্দিওলার দল বার্নলির বিপক্ষে প্রথমে এগিয়ে যায় আত্মঘাতী গোলেই। ম্যাক্সিম এস্তিভের জোড়া আত্মঘাতি গোলের পর আর্লিং হালান্ডের জোড়ায় বার্নলিকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সিটিজেনরা। সিটির হয়ে বাকি গোলটি করেন ম্যাথিউস নুনেস।
বার্নলির বিপক্ষে এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এল ম্যান সিটি। ছয় ম্যাচে সিটিজেনদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে বার্নলি।
আরও পড়ুন
জাপানে নয়, চট্টগ্রামে মেয়েদের 'এক্সক্লুসিভ' ক্যাম্প |
![]() |
বার্নলির বিপক্ষে সবশেষ ১৩ বারের দেখাতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৯৬৩ সালের পর সিটির মাঠে জয়ের দেখা পায়নি বার্নলি।
ইতিহাদে প্রথমার্ধে আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ম্যান সিটি। বিরতির আগে মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখে তারা। ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
ছয় গজ দূর থেকে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন বার্নলির ডিফেন্ডার এস্তিভ। এরপর ৩৮ মিনিটে জাইডন এন্থনির গোলে সমতায় ফিরে বার্নলি। ১০ গজ দূর থেকে তার নেওয়া শট রুবেন দিয়াজের গায়ে লেগে সিটির জালে জড়ায়।
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হেরে আবারও স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের |
![]() |
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করেন ম্যাথিউস নুনেজ। হালান্ডের পাস থেকে মৌসুমের প্রথম গোল করেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। চার মিনিট পরই ব্যবধান হয়ে যায় ৩-১। দুঃস্বপ্নের এক ম্যাচে আবারও নিজেদের জালে বল পাঠান বার্নলির ফরাসি ডিফেন্ডার এস্তিভ।
সিটির পরের দুটি গোল এসেছে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ৯০ মিনিটে প্রথম গোলের পর যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে আরেকবার বল জালে পাঠিয়ে সিটির বড় জয় নিশ্চিত করেন নরওয়েজিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড হালান্ড।
আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পরের মাসে থাইল্যান্ডে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপেও অংশ নেবে লাল সবুজের মেয়েরা। এই দুটি টুর্নামেন্ট সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)।
মেয়েদের দুটি এশিয়ান কাপ সামনে রেখে চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে ক্যাম্প করছেন পিটার বাটলার। প্রাথমিকভাবে ৪৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। তবে আজ ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন ২৯ ফুটবলার এবং কোচিং স্টাফ।
বাফুফে ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ক্যাম্প নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। কাল থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্প চলবে আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। পরের দিন ঢাকায় ফিরবেন আফঈদা খন্দকাররা।
ডাক পাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ভুটানে আছেন ১০ জন। চারজন আছে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। ভুটানে লিগ খেলা ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়া মান্দারা দেশে আসবেন ১৮ অক্টোবর।
চট্টগ্রামের এই ক্যাম্পকে এক্সক্লুসিভ বলে অভিহিত করেছেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান। সেখানে থাকা, খাওয়া ও ট্রেনিং ব্যবস্থা উন্নতমানের বলেই এমনটা দাবি করেন তিনি,
'আমরা মেয়েদের জন্য ২০ দিনের একটা এক্সক্লুসিভ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে এটা হবে।'
যদিও মেয়েদের ক্যাম্প জাপানে হতে পারে বলে এ মাসের প্রথম দিকে বলেছিলেন কিরন।
জাপানে না হওয়ার ব্যাপারে কিরণ বলেন,
'আমরা জাপানে ট্রেনিংয়ে ব্যবস্থা করছিলাম। কিন্তু ফিফা উইন্ডোর কারণে সেটি হচ্ছে না। ওরা আমাদের নভেম্বরের ২০ থেকে ৩০ তারিখের পর সময় দিতে চেয়েছে, ওই সময়ে আমরা দেশে ট্রাইনেশন খেলব। ম্যাচ করতে না পেরে বাতিল করেছি জাপান সফর।'
৪৩ জনের স্কোয়াডে বিদ্রোহ করা ৫ ফুটবলার সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, সুমাইয়া মাতসুশিমা, কৃষ্ণারানী সরকার, সানজিদা আক্তারদের জায়গা হয়নি। তাদের নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করেননি কিরন। এটা কোচের পার্ট বলে এড়িয়ে যান তিনি।
পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এই অর্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজান নাজমুল হুদা ফয়সালরা। গোলের জন্য কী না করছে বাংলাদেশ! বল পজেশন ধরে রাখা, দারুণ পাসিং ফুটবল খেলা; তারপরও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাই মিলছিল না।
অবশেষে ম্যাচের অন্তীম মুহূর্তে দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু টাইব্রেকারে হতাশ করেছেন ইকরামুল, আজমরা। তাতে আরেকটি সাফে হতাশা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে লাল সবুজের জার্সিধারীদের।
শ্রীলঙ্কার কলোম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের আজকের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ ব্যবধানে। ২-১ গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পর যোগ করা সময়ের অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান ইহসান হাবিব রিদুয়ান। বাংলাদেশের হয়ে অন্য গোলটি মোহাম্মদ মানিকের।
পেনাল্টিতে প্রথম শটে এগিয়ে যায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে ইকরামুল ইসলাম শট নিতে এসে মারেন গোলপোস্টে। শুট আউটে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর আজম খানের শট বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলকিপার মানাসজ্যোতি বড়ুয়া। সফল স্পট-কিকে মানিক আশার আলো জ্বালিয়ে রাখেন। তবে নিজেদের চতুর্থ শট নিতে এসে কোনো ভুল করেননি শুভম পুনিয়া। তাতে ৪-১ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সপ্তম শিরোপার উল্লাসে ফেটে পড়ে ভারত।
২০২৩ সালে ভুটানে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের ফাইনালে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের আসর বসে ভুটানে। সেবারের ফাইনালেও ভারতের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হেরে যায় লাল সবুজের ছেলেরা। সেই ভারতের বিপক্ষে আরও একটি ফাইনালে হার দেখল লাল সবুজেরা।
এদিন খেলার চতুর্থ মিনিটে ভারতেন গুনি এইবারের পাস ঠিকঠাক রিসিভ করতে পারেনি দাল্লালমোন গাংতে। তবে বাংলাদেশের মোহাম্মদ আজম খানের পা থেকে ফের বল পেয়ে যান গাংতে। এবার তার শট রুখতে পারেনি কেউ। ভারত ১-০ তে এগিয়ে যায়।
২৫ মিনিটে ১-১ সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। নাজমুল হুদা ফয়সালের কর্নার মোহাম্মদ আরিফ হেড করে গোলমুখে দিলে মোহাম্মদ মানিকের হেড ভারত কিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে গোললাইন অতিক্রম করে।
৩৮ মিনিটে লিড পুনরুদ্ধার করে ভারত। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমনে উঠে ক্রস ফেলেছিলেন গুনি এইবা। কিপার তা ক্লিয়ার করলেও আজলান শাহ প্লেসিং শট নেন। তার বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁকা দিয়ে জালে জড়ায়।
৩৩ মিনিটে মোহাম্মদ আরিফের দূরপাল্লার শট ভারত কিপারের গ্লাভস ফসকালেও বাইরে যায়। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে আপ্রান চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। শুরুতেই ফয়সালের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ৬৯ মিনিটে ফয়সালের নেওয়া শট কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। বক্সের ভেতরে মানিকের নেওয়া হেড বেরিয়ে যায় জাল ঘেঁসে।
এসময় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৭৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে বল নিয়ে আতঙ্ক ছড়ান রিফাত কাজী ও ফয়সালরা। নিখুত ফিনিশিংয়ের অভাবে মেলেনি জালের দেখা।
৮৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় বায়জিদ বোস্তামির ডান পায়ের শট কর্ণারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন ভারতীয় গোলকিপার। এ সময় একের পর এক আক্রমণে ভারতীয় ডিফেন্ডারদের নাজেহাল করে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলে যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে। সাব্বিরের লং থ্রোয়ে জটলার মধ্য থেকে ইহসান হাবিব রিদুয়ানের দারুন এক গোলে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে ২-২ গোলে সমতায় ফিরে ফের ম্যাচ জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইব্রেকারে সেই ঝাঝটা আর পাওয়া যায়নি। হার মেনেই মাঠ ছাড়ে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
চেলসির বিপক্ষে জয়ের পর আবার সেই হারের তেতো স্বাদ পেতে হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আজ ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছে রেড ডেভিলরা। পেনাল্টি মিস করে ম্যান ইউর হতাশা আরও বাড়িয়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
মৌসুমের তৃতীয় হারে পয়েন্ট টেবিলের ১২ নম্বরে নেমে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৬ ম্যাচে ২ জয়, ২ হার ও ১ ড্রয়ে রুবেন আমোরিমের দলের অর্জন ৭ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ১১ নম্বরে ব্রেন্টফোর্ড।
আরও পড়ুন
চাকরি হারালেন পটার, নিয়োগ পেলেন নুনো |
![]() |
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যান ইউ। ৮ মিনিটে হেন্ডারসনের লম্বা পাসে দৌড়ে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নেন ইগার থিয়াগো। এরপর বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়ান ব্রেন্টফোর্ডের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড থিয়াগো।
২০ মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করে ব্যবধান ২-০ করেন ব্রেন্টফোর্ড। কেভিন শ্যাডের শট প্রথমবার ম্যান ইউর তুর্কি গোলকিপার আলতে বায়িন্দি ঠেকালেও বল পেয়ে যান থিয়াগো। ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ২৪ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ পুরোপুরি হাতছাড়া হওয়ার আগে ২৬ মিনিটে ব্যবধান কমায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম গোলটি করেন বেঞ্জামিন সেসতো। ব্রেন্টফোর্ডের গোলকিপার কাওইমহিন কেলেহার দু’বার আটকে দিলেও তৃতীয় চেষ্টায় বল জালে পাঠান স্লোভেনিয়ান ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
মোহামেডানের হার, বসুন্ধরা কিংসের ড্র |
![]() |
৭৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর দারুণ সুযোগ পান ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ব্রায়ান এমবাউমোকে বক্সে ফাউল করেন ব্রেন্টফোর্ডের ডিফেন্ডার নাথান কলিনস। তাতে পেনাল্টির বাঁশি বাজায় রেফারি। ভিএআরেও পেনাল্টি সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এরপর স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন ব্রুনো। ডান পাশে নেওয়া পর্তূগিজ মিডফিল্ডারের শট দারুণভাবে রুখে দেন ব্রেন্টফোর্ড গোলরক্ষক।
শেষ দিকে এক পাল্টা আক্রমণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ম্যাথিয়াস জেনসেন। নিরলস ইয়র্মোলিউক বল বাড়ান জেনসেনের কাছে। ম্যান ইউর গোলকিপার বায়িন্দিরের মাথার ওপর দিয়ে বল জালের মাঝ বরাবর পাঠয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন ইউক্রেনিয়ান মিডফিল্ডার।