৯ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪৩ এম
ব্যাটারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে পারলেন না বোলাররা। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশ। হতাশার পরাজয়ে শুরু হলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের খেলা।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাবে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহর ফিফটির পর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাশমতউল্লাহ শহিদির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৭ বল বাকি থাকতে জিতে যায় আফগানরা।
তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। একই মাঠে শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল।
রান তাড়ায় গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ইতিবাচক শুরু পায় আফগানিস্তান। মাত্র ৯ ওভারের মধ্যে উদ্বোধনী জুটির পঞ্চাশ রান যোগ করেন তারা।
দশম ওভারে ইব্রাহিমকে স্টাম্পড করে এই জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। পরে সেদিকউল্লাহ অতলকে ক্যাচ আউট করেন তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর কমে আফগানদের রানের গতি। তবে তখন উইকেট পড়তে দেননি রহমত শাহ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। রয়েসয়ে খেলে দুজন মিলে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। দুজনই করেন ব্যক্তিগত ফিফটি।
পরপর দুই ওভারে রহমত ও গুরবাজকে আউট করেন সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজ। রহমতের মতো গুরবাজের ব্যাট থেকেও আসে ঠিক ৫০ রান।
দ্রুত ২ উইকেট নিলেও আফগানদের চাপে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো পঞ্চম উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাশমতউল্লাহ শহিদি।
সাকিবের ওভারে হ্যাটট্রিক চার মেরে পরে আউট হয়ে যান ৪৪ বলে ৪০ রান করা ওমরজাই। এরপর মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে জুটি বাধেন হাশমত। সহজ জয় পায় আফগানিস্তান।
ম্যাচের প্রথম ভাগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক ওভার পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্তও।
একপ্রান্ত আগলে রেখে হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান। কিন্তু দলের পঞ্চাশ হওয়ার পর ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান অভিষিক্ত ব্যাটার। ৫ চারে ৩৭ বলে করেন ২৬ রান।
মাত্র ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মন্থর গতিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন হৃদয় ও মিরাজ। ১০ ওভারে ৫০ রান করে ফেলা বাংলাদেশের একশ ছুঁতে লেগে যায় আরও ১৬ ওভার।
রয়েসয়ে ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি করেন হৃদয়। এরপর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ৮৫ বলে ৫৬ রান করা ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের জুটি।
হৃদয়ের বিদায়ের পর মিরাজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রশিদের গুগলিতে এলবিডব্লিউ হন ৮৭ বলে ৬০ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২ ইনিংসে তার ৪ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে ৫২.৩৩ গড়ে তার সংগ্রহ ৪৭১ রান। অবসরের আগে ১৫ ইনিংসে ৩২.৮৫ গড়ে ৪ ফিফটিতে ৪৬০ রান করেছিলেন মুশফিক।
মিরাজকে ফিরিয়ে মাত্র ১১৫ ম্যাচ ও ১০৭ ইনিংসে ২০০ উইকেট পূর্ণ করেন রশিদ। স্পিনারদের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম তিনি। তার চেয়ে কম ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন শুধু পাকিস্তানের কিংবদন্তি সাকলাইন মুশতাক।
এরপর জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহানও অল্পেই ফিরে যান। তানজিম হাসান সাকিব ১৭ রান করে দলকে দুইশ পার করান। আর শেষ দিকে একটি করে চার-ছক্কা মারেন তানভির ইসলাম।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন রশিদ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২২১ (সাইফ ২৬, তামিম ১০, শান্ত ২, হৃদয় ৫৬, মিরাজ ৬০, জাকের ১০, সোহান ৭, সাকিব ১৭, হাসান ৫, তাসকিন ৪*, তানভির ১১; বশির ৪-০-২৫-০, ওমরজাই ৯-০-৪০-৩, গাজানফার ৯.১-১-৫৫-৩, খারোটে ১০-১-৩২-১, রশিদ ১০-০-৩২-৩, নবী ৬-০-২৭-০)
আফগানিস্তান: ৪৭.১ ওভারে ২২৬/৫ (গুরবাজ ৫০, ইব্রাহিম ২৩, অতল ৫, রহমত ৫০, হাশমত ৩৩*, ওমরজাই ৪০, নবী ১১*; তাসকিন ৮-০-৫০-০, হাসান ৮-০-৪০-০, তানভির ১০-০-৪২-১, সাকিব ৭-১-৩১-৩, মিরাজ ১০-১-৩২-১, সাইফ ৩.১-০-২৪-০, শান্ত ১-০-৪-০)
ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
No posts available.
পাকিস্তানকে
হারিয়ে উড়ন্ত শুরুর পর থমকে গেছে বাংলাদেশে জয়ের চাকা। একাধিক ম্যাচে সুযোগ তৈরি করলেও
শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি, নাহিদা আক্তাররা।
তাই
এখন আর সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে না দল। বাকি দুই ম্যাচ জিতে সেরা পাঁচে থাকার লক্ষ্যের
কথা বললেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন।
নারী
ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে সোমবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মুম্বাইয়ের
ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমি মাঠে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে।
এখন
পর্যন্ত খেলা পাঁচ ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে আট দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে
বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারলে সমীকরণের মারপ্যাঁচে সেমি-ফাইনালেও খেলার সুযোগ
আছে তাদের।
তবে
সেটি যে বেশ কঠিন তা মেনে নিয়েছেন ফাহিমা। লঙ্কানদের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন সংবাদ
সম্মেলনে তাই সেরা পাঁচে থাকার লক্ষ্যের কথা বললেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার।
“হ্যাঁ! আমাদের এখনও সুযোগ আছে (সেমি-ফাইনাল খেলার)। এখনও আমাদের সুযোগ আছে ভালো কিছু... সেরা চারে ওঠা কঠিন তবে আমার মতে, আমরা যদি বাকি ২ ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে পাঁচে থাকতে পারব।”
“শুরু থেকেই আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং আশানুরূপ খেলাই খেলেছি সব দলের বিপক্ষে। সেদিক থেকে আমাদের প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছিল। এখনও আমাদের দলের ওপর ভালো প্রত্যাশা আছে। শেষ ম্যাচ ২টা ভালোভাবে খেলে আমরা পূর্ণ পয়েন্ট নিতে চাই।”
চোটের
কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি দলের পেসার মারুফা আক্তার। শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে তাকে পাওয়ার আভাস দিয়ে রাখলেন মারুফা।
“মারুফা
এখন অনেক ভালো আছে। গত ২ দিন খুব ভালো অনুশীলন করেছে। পুরোপুরি ফিট আছে। তাকে আমরা
কালকের ম্যাচে এভেইলেবল পাব।”
চলতি
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সে অর্থে রানের দেখা পাননি নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার অফ ফর্মে
ভুগছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে নিজের সেরা ছন্দে ফিরবেন অধিনায়ক, এমনটাই বিশ্বাস অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ফাহিমা
খাতুনের।
ভারত
ও শ্রীলঙ্কায় চলতি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাট
করেছেন জ্যোতি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা ৪২ বলে ৩২ রানের ইনিংসই টুর্নামেন্টে
এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ।
সব
মিলিয়ে ৫ ম্যাচে ১৪.২০ গড়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের সংগ্রহ মোটে ৭১ রান। তার এমন বাজে ফর্মের
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশও পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই।
অবশ্য বড় দলের বিপক্ষে জ্যোতির পরিসংখ্যান বরাবরই একটু
নাজুক। বিশ্বকাপে খেলা ৭ দলের বিপক্ষে ৪৮ ম্যাচে মাত্র ২২.৭০ গড়ে তার সংগ্রহ ৯৩১ রান।
এর বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে ৩৫.১৫ গড়ে তিনি করেছেন ৪৫৭ রান।
এই
পরিসংখ্যান কিছুটা ভালো করার সুযোগ এখনও আছে জ্যোতির সামনে। বিশ্বকাপে বাকি দুই ম্যাচে
শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। মুম্বাইয়ে সোমবার দুপুরের ম্যাচে তাদের
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
ওই
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ফাহিমা বলেছেন, এই ম্যাচে অনেক ভালো করবেন বাংলাদেশ
অধিনায়ক।
“অধিনায়কের
কথা আমি আলাদা করে মেনশন করব। আমরা সবসময় বলি, ও আসলে দলের ব্যাটিং লাইন-আপটা ধরে রাখে।
সেক্ষেত্রে ও রান পাচ্ছে... তবু আরও ২-৩টা ব্যাটার কিন্তু রান পাচ্ছে। ওর রানগুলো দলের
জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”
“ওর
সামর্থ্য অনেক। গত ২ দিন খুব ভালো অনুশীলন করেছে। ওকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে।
আমার মনে হয় কালকের ম্যাচে ও অনেক বেশি ভালো ব্যাটিং করবে।”
এখন
পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ৩ ম্যাচে ৬১ রান করতে পেরেছেন জ্যোতি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান। সোমবারের ম্যাচে এই সর্বোচ্চ
ছাড়িয়ে তার ব্যাটে নতুন কোনো অর্জনের আশায়ই থাকবে বাংলাদেশ দল।
পার্থে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং সব বিভাগে দুর্দান্ত অজিরা সফরকারীদের রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ৮ মাস পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে দলে ফেরায় ভারত। তবে লম্বা সময় ফেরাটা তাদের একদমই সুখকর হয়নি। কোহলি ব্যর্থ হয়েছেন রানের খাতা খুলতে। রোহিত পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে তাই বড় সংগ্রহও পায়নি ভারত। কয়েক দফা বৃষ্টির হানায় ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির ম্যাচে ২৬ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে অতিথিরা। ডিএলএসে মেথডে অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩১। মিচেল মার্শ-জশ ফিলিপের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৯ বাল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
দুই চারে ইনিংস শুরু করলেও দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন ওপনোর ট্রাভিস হেড (৮)। আরেক ওপেনার মার্শ ছিলেন সাবলীল। ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অজিরা। ১৭ বলে ৮ রানে আউট হন ম্যাথু শর্ট।
তৃতীয় উইকেটে মার্শ-ফিলিপের ৫৫ রানের জুটিতে জয়টা শুধু কেবল সময়ের অপেক্ষা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ৯৯ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার হন ফিলিপ। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৩৭ রান আসে এই উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকে।
বাকি কাজ ম্যাট রেনশোকে নিয়ে সারেন মার্শ। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রেনশো। তিন ছক্কা ও দুই চারে ৫২ বলে ৪৬ রান করে জয় নিয়ে ড্রেসিংরুমে যান মার্শ। ২১.১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে অজিরা।
তার আগে মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজলেউডদের তোপেরমুখে দিশোহারা হয়ে ওঠে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। ৪৫ রানে হারায় তারা ৪ উইকেট। কোহলি ০, রোহিত ফেরেন ৮ রানে। সাবেক দুই অধিনায়কের সঙ্গে নতুন ওয়ানডে কাপ্তান শুভমান গিলের নেতৃত্বের অধ্যায়ের শুরুটাও ভালো হয়নি। নাথান এলিসের বলে ফেরেন ১০ রানে।
মিডল অর্ডারে অক্ষর প্যাটেলের ৩১ ও লোকেশ রাহুলের ৩৮ রানের কল্যাণে ১০০ পেরোয় ভারত। মিচেল ওয়েন ও ম্যাথু কুনেম্যান সফরকারীদের দ্রুত লেজ গুটিয়ে দেন। কয়েক দফা বৃষ্টির পর ২৬ ওভারে খেলা নির্ধারণ হয়। আর ৯ উইকেটে ১৩৬ রান স্কোরে জমা করে ভারত। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কুনেম্যান, ওয়েন ও হ্যাজলেউড। ম্যাচসেরা হয়েছেন মার্শ।
আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত।
পাকিস্তানের বিমান হামলায় পাকতিকা প্রদেশে তিন তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসছে আফগানিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন। প্রথমে পাকিস্তান সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ায় তারা।
এবার জাতীয় দলের অধিনায়ক রশিদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন—আর তাঁর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি এবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে চান না!
রশিদ নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) প্রোফাইল থেকে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের নাম মুছে ফেলেছেন। তিন আফগান ক্রিকেটার- কবির, সিবঘাতুল্লাহ ও হারুনের মৃত্যুতে নীরব প্রতিবাদ জানালেন এই লেগ স্পিনার।
রশিদ লিখেছেন,
‘সাম্প্রতিক পাকিস্তানি বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নারী, শিশু ও তরুণ ক্রিকেটারসহ বহু মানুষের প্রাণহানি গভীরভাবে দুঃখজনক। যারা একদিন দেশের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ন দেখত, তাদের জীবন এভাবে শেষ হয়ে গেল— এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
এর আগে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) ঘোষণা দিয়েছে, পাকিস্তানে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে নিজেদের নাম। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে নিয়ে এই সিরিজ হওয়ার কথা ছিল, আফগানিস্তানের জায়গায় এখন অংশ নেবে জিম্বাবুয়ে।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবও রশিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নাইব লিখেছেন,
‘পাকিস্তানি সেনাদের এই বর্বরতা আমাদের জাতির মর্যাদা ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত, কিন্তু এটি আমাদের ভাঙতে পারবে না।’
নবীর ভাষায়,
‘উরগুনে তরুণ ক্রিকেটারদের শাহাদত হৃদয়বিদারক। এই নৃশংস হামলা আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।’
রশিদ খান এখন পর্যন্ত লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিন মৌসুমে খেলেছেন। ৪৪ উইকেট নিয়েছেন ১৫.৪৭ গড় ও ৬.১৩ ইকোনমি রেটে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর তাঁর সামনের পিএসএলে অংশগ্রহণ এখন বড় প্রশ্নের মুখে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে দলে ফিরলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৩০ বছর বয়সী নাসুম শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ৪.৪৮ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
একই ভেন্যুতে আগামী ২১ ও ২৩ অক্টোবর হবে সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে। তবে প্রথম ওয়ানডেতে দেখে গেছে উইকেটে ঘূর্ণির নাচন। উইন্ডিজের ৮টি উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ৬ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেটে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম।
তবে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ছিলেন কিছুটা খরচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম ওয়ানডেতে। ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছেন তানভীর। পরের ওয়ানডেতে আরেকজন বাঁহাতি হিসেবে নাসুমকে যুক্ত করল বিসিবি।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ও এনসিএলে ছন্দে ছিলেন নাসুম। সরাসরি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ মিরাজদের জন্য।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দল:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকার আলী অনিক, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।