অবসরের সিদ্ধান্ত বদলে আবারও সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরেছেন কুইন্টন ডি কক। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এক বছরের বেশি সময় ধরে নেই টি-টোয়েন্টিতেও।
এক বছর পর আবারও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন ডি কক। পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত দলে আছেন তিনি। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে গত বছর বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল। তবে বর্তমান প্রধান কোচ শুকরি কনরাডের সঙ্গে আলোচনার পর আবারও জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কোচ কনরাড ডি ককের প্রত্যাবর্তনকে দেখছেন দলের জন্য বিশাল স্বস্তি হিসেবে। তাঁর ভাষায়, ‘কুইন্টনের ফেরাটা আমাদের জন্য দারুণ এক প্রেরণা। সবাই জানে, সে দলের জন্য কী মানের অবদান রাখতে পারে। তার অভিজ্ঞতা, তার ক্লাস—এসব আমাদের সাদা বলের ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন
দুবাইয়ে হারছে পাকিস্তান, বাবর খেলছেন গলফ |
![]() |
ডি ককের ফিরে আসা শুধু ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসই বাড়াবে না, বরং পাকিস্তান সফরে ব্যাটিং লাইনআপে বাড়াবে শক্তি। তিন ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে অভিজ্ঞ ডি ককের উপস্থিতি তরুণদের জন্য বড় সহায়তা হবে। ডি কক ২০২১ সালে টেস্ট থেকেও অবসর নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল বড় ধাক্কা খেয়েছে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হাঁটুর নিচে মাংসপেশির চোটের কারণে পাকিস্তানের সফর থেকে ছিটকে গেছেন। তাঁর পরিবর্তে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন এইডেন মার্করাম। তবে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে আলাদা অধিনায়ক দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি দলে নেতৃত্ব দেবেন ডেভিড মিলার, আর ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাবেন ম্যাথু ব্রিটসকে।
সাদা বলের ক্রিকেটে দলে ফিরেছেন আরও কয়েকজন পরিচিত মুখ—জর্জ লিন্ডে, বিজর্ন ফরচুইন ও লেগস্পিনার নকাবা পিটার। তবে জাতীয় দলের চুক্তি না গ্রহণ করায় এই সিরিজে থাকছেন নেই অভিজ্ঞ স্পিনার তাবরাইজ শামসি ও পেসার আনরিখ নরকিয়া।
তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নিঃসন্দেহে কুইন্টন ডি কক। সামনে ভারত সফর ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি—এই সময়ে ডি ককের মতো বড় তারকার প্রত্যাবর্তনকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তান সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন সংস্করণের দল
টেস্ট দল: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহ্যাম, করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, টনি ডি জর্জি, জুবায়ের হামজা, সাইমন হারমার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশভ মহারাজ (শুধু দ্বিতীয় টেস্টে), উইয়ান মুলডার, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, প্রেনেলান সুব্রায়েন, কাইল ভেরেইনা।
টি-টোয়েন্টি দল: ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোইটজি, কুইন্টন ডি কক, ডোনোভান ফেরেইরা, রিজা হেন্ডরিক্স, জর্জ লিন্ডে, কুয়েনা মাফাকা, লুঙ্গি এনগিডি, নকাবা পিটার, লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে সিমেলানে, লিজাড উইলিয়ামস।
ওয়ানডে দল: ম্যাথু ব্রিটস্কে (অধিনায়ক), করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোইটজি, কুইন্টন ডি কক, টনি ডি জর্জি, ডোনোভান ফেরেইরা, বিজর্ন ফরচুইন, জর্জ লিন্ডে, কুয়েনা মাফাকা, লুঙ্গি এনগিডি, নকাবা পিটার, লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, সিনেথেমবা কেশিলে।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে চায় বাংলাদেশ |
![]() |
নামিবিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি দল
ডোনোভান ফেরেইরা (অধিনায়ক), নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোইটজি, কুইন্টন ডি কক, বিজর্ন ফরচুইন, রিজা হেন্ডরিক্স, রুবিন হারম্যান, কুয়েনা মাফাকা, রিভালদো মুনসামি, নকাবা পিটার, লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে সিমেলানে, জেসন স্মিথ, লিজাদ উইলিয়ামস।
No posts available.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:২৮ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:১০ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:১৯ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
আগামী মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। দুই অক্টোবর আহমেদাবাদে অনুষ্ঠাতব্য সিরিজে দেখা যাবে না ঋষভ পন্তকে। ইংল্যান্ড সফরকালীন বাঁ পায়ের তালুকে চিড় ধরা পড়ে ভারতের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। বর্তমানে তিনি পুর্নবাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী পরশু ভারতের বোর্ড সভা। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ১৫ জন খেলোয়াড় নির্বাচন করবেন। যেখানে গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকা বেশিরভাগই থাকবেন।
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ভারতের সহ-অধিনায়ক ছিলেন পন্ত। চতুর্থ টেস্টে পায়ে চোট লাগে তার। পরবর্তীতে এক্সরেতে পায়ের পাতায় চিড় ধরা পড়ে। পঞ্চম ও শেষ টেস্টে একাদশ থেকে ছিটকে পড়েন। তার পরিবর্তে নারায়ান জগদীসানের সুযোগ মেলে দলে।।
পন্তের অনুপস্থিতিতে উইকেটের পেছনে দেখা যাবে ধ্রুব জুরেলকে। তরুণ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছেন। নিতিশ কুমার রেড্ডি ও দেবদূত পাডিক্কাল রয়েছেন আলোচনায়। পাডিক্কাল, যিনি ভারতের ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিপক্ষে ১৫০ রান করেছিলেন। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে দুটি টেস্ট খেলেছেন। গত বছর পার্থ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি, যেখানে ২৫ রান করেছিলেন। রেড্ডিও ছিলেন ওই সিরিজে।
ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। ভারত বর্তমানে টেবিলের তৃতীয় স্থানে।
বিসিবির কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আদালত মামলাটির পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন ২৮ সেপ্টেম্বর। বিসিবি সভাপতির চিঠির ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও আপাতত কার্যকর থাকবে না ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগামী শুনানির পর আসবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
এ বি এম মনজুরুল আলম দুলালসহ চার সংগঠক বিসিবির জারি করা এক চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দায়ের করেন।
বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের স্বাক্ষর নিয়ে কাউন্সিলর ফরম পূরণ করেছেন অনেকে। তাঁদের অধিকাংশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য নন বলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর পূরণকৃত ফরম বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাতিল করে যুব ও ক্রীড়া সচিবকে নির্দেশনামূলক চিঠি দেন। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণের বাধ্যবাধকতা আছে বলে যুবও ক্রীড়া সচিবকে পদক্ষেপ নিতে বলেন।
যুব ও ক্রীড়া সচিবকে পাঠানো বুলবুলের সেই চিঠিতে ফুঁসে উঠেছেন জেলা ও বিভাগ থেকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাউন্সিলর হয়ে আসা সংগঠকেরা। তাঁদের পক্ষ হয়ে সংক্ষুব্ধ চার সংগঠক টাঙ্গাইলের এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন, লক্ষীপুরের মাইনুদ্দিন চৌধুরী, রাজবাড়ীর এ বিএম মুঞ্জুরুল আলম দুলাল ও গোপালগঞ্জের জসিমউদ্দিন খসরু সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন।
হাইকোর্টে রিট মামলার প্রেক্ষিতে বিসিবি সভাপতি বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে সিভিল মিসকেস পিটিশন (সিএমপি) দায়ের করা হয়। তবে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ কার্যকর রাখেননি। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ আপাতত কার্যকর থাকবে না ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এখন আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উত্তাপ ছড়ায় না। একপেশে হয়ে গেছে প্রতিবেশি দুদেশের লড়াই। ভারতের সামনে দাঁড়াতেই যেন ভুলে গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। এশিয়া কাপে সেটা আরও একবার চোখে পড়েছে। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর-দু’বার মুখোমুখি হয়ে দু’বারই বড় ব্যবধানে হেরেছে সালমান আলি আগার দল।
ভারতের কাছা পাত্তা না পেলেও ম্যাচ চলাকালীন বা আগে-পরের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে যেন শান্তি খুঁজছে পাকিস্তান। দুই অধিনায়কের হাত না মেলানো কাণ্ডে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে নালিশ, ম্যাচ বয়কটের হুমকি, দেরিতে মাঠে আসার ঘটনা ঘটায় তারা। এবার ফাখার জামানের আউট নিয়ে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পিসিবি। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের শরণাপন্ন হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
সুপার ফোরে পাকিস্তান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার অফ-কাটার ড্রাইভ করতে গিয়ে বলের গতিতে ধোঁকা খান ফাখার। বল উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনের হাতে জমা পড়ে বলে সিদ্ধান্ত নেন থার্ড আম্পায়ার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল গ্লাভসে জমা পড়ার আগে মাটির খুব কাছে স্পর্শ করে গেছে।
তার পরেও সেটিকে আউট দেওয়ায় প্রশ্ন তোলেন সালমান আলি। এমনকি ঘটনার পরপরই পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভেদ আকরাম চীমা ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে আপত্তি জানান। তবে এটি রেফারির এখতিয়ারের বাইরে বলে জানানো হলে বিষয়টি তিনি সরাসরি আইসিসির আম্পায়ার ম্যানেজারের কাছে উত্থাপন করেন।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে বল গ্লাভসে জমা পড়ার আগে মাটিতে লেগেছিল। তবে আম্পায়ারের কাজ সিদ্ধান্ত নেওয়া, ভুল করতেই পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি সেটা ভিন্নভাবে দেখেছি।’
দেশটির কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম এশিয়া কাপে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে আছেন। গতকাল ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ই তিনি বলেন, ‘ফাখারকে আউট দেওয়ার আগে আম্পায়ারের আরও কয়েকটা অ্যাঙ্গেল দেখে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল। আর যদি পরিষ্কার প্রমাণ না থাকে, তাহলে সুবিধাটা ব্যাটসম্যানের দিকেই দেওয়া উচিত।’
বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারের স্বাক্ষর নিয়ে কাউন্সিলর ফরম পূরণ করেছেন যারা, তাদের অধিকাংশ জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য নন বলে তাদের পূরণকৃত ফরম গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাতিল করে যুবও ক্রীড়া সচিবকে নির্দেশনামূলক চিঠি দিয়েছেন। জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণের বাধ্যবাধকতা আছে বলে যুবও ক্রীড়া সচিবকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
যুবও ক্রীড়া সচিবকে লেখা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে ফুঁসে উঠেছেন জেলাও বিভাগ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাউন্সিলর হয়ে আসা সংগঠকরা। তাদের পক্ষ হয়ে সংক্ষুব্ধ ৪ সংগঠক টাঙ্গাইলের এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন, লক্ষীপুরের মাইনুদ্দিন চৌধুরী, রাজবাড়ীর এ বিএম মুঞ্জুরুল আলম দুলাল এবং গোপালগঞ্জের জসিমউদ্দিন খসরু সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) হাইকোর্টে রীট মামলা দায়ের করেছেন।
হাইকোর্টে রীট মামলার প্রেক্ষিতে গিত ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকরিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত হয়েছে। এবং ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠিতে কেনো নতুন করে কাউন্সিলর তালিকা চাওয়া হলো, তা কেনো অবৈধ ঘোষনা করা হবে না, তার উপর রুল জারী করে ১০ দিনের মধ্যে বিসিবি সভাপতির কাছে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। বিচারপতি মো: মুজিবুর বহমান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। এই রীট মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এড. আসাদুর রউফ। বাদি পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম।
আদালতের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদি এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন -
‘বিসিবি সভাপতি গঠণতন্ত্র পরিপন্থিভাবে পুনরায় কাউন্সিলর প্রেরনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। বিসিবির গঠণতন্ত্রের কোথাও নেই এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণ করতে হবে। অথচ উনি চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন জেলাও বিভাগে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণে বাধ্যবাধকতা আছে। আদালতের আদেশে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলা এবং বিভাগ থেকে যেসব কাউন্সিলরদের নাম জমা পড়েছে, তাদের সবার কাউন্সিলরশিপ বৈধতা পেলো।’
বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরানের মন্তব্যে দুঃখ পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার চেয়েও তিনি বেশি হতাশ হয়েছেন কোচের অপমানজনক অভিযোগের কথা শুনে।
বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বোলিং করতে চান না জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ। তাই সুমনার জায়গায় নিশিতা আক্তারকে নেওয়া হয়েছে বলেছেন সারোয়ার ইমরান।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ এলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলা গত এপ্রিলের ম্যাচের উদাহরণ দিয়েছেন কোচ।
আরও পড়ুন
বাঁহাতি ব্যাটারকে বল করতে চান না সুমনা, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
“সুমনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দিন লেগেছে আমাদের। নির্বাচকদের সঙ্গে আমি ও অধিনায়কও ছিলাম। পাকিস্তানের সঙ্গে যখন আমরা খেলি, তখন তাদের বাঁহাতি ব্যাটার অপরাজিত ছিল। সেই সময় অধিনায়ক যখন সুমনাকে বল করতে বলল, তখন সুমনা বোলিং করেনি।”
“ঢাকাতে হোক বা প্রস্তুতি ম্যাচে হোক, বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে ও (সুমনা) বোলিং করতে পারে না। আমাদের মূল খেলা হলো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। আমাদের একজন অফ স্পিনার লাগবে, যে বাঁহাতি ব্যাটারকে বল করতে পারে।”
কোচের এই মন্তব্য শুনে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সুমনার। টি স্পোর্টসের সঙ্গে কথোপকথনে তার দাবি, দলের কথা চিন্তা করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং করতে চাননি তিনি।
“আমাকে বাদ দিয়েছে, এটা আমি মেনে নিলাম। কিন্তু এভাবে অভিযোগ করাটা খারাপ দেখায়। যখন কিনা আমি নিজের দেশের কথা চিন্তা করেছি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুধু শেষ ম্যাচেই একটু খারাপ বোলিং হচ্ছিল। বোলার হিসেবে প্রতিদিন তো ভালো করতে পারবেন না।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৩ ওভারে ২৪ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকেন সুমনা। সেদিন ২৩ ওভারের পর আর বোলিং করেননি তিনি। তার ওই ৩ ওভারের মধ্যে প্রতিটিতেই ক্রিজে ছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার মুনিবা আলি।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে সেদিনের ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরেন সুমনা।
“সেদিন ৩৫ ওভারের পর অধিনায়ক আমাকে জিজ্ঞেস করল যে, তুমি কি বল করতে পারবে? আমি তখন 'না' বলেছিলাম। কারণ আগের ওভারটায়ও আমি রান দিয়ে ফেলেছিলাম। তাই বলছিলাম যে, যারা রান কম দিচ্ছে, তাদের বোলিং করাও।”
“আমরা কিন্তু একদম অল্প ব্যবধানে বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছি। ওই সময় আমি বোলিং করে যদি রান দিয়ে দিতাম, সেটা কি দলের জন্য ভালো হতো? আমি তো সেজন্য দলের কথা ভেবেই তখন বোলিং করতে চাইনি। যেন রান রেট যতটা সম্ভব বেশি পাওয়া যায়।”
তার মতে, কোচের এই ধরনের অভিযোগ যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই অপমানজনক।
আরও পড়ুন
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কাছে হারের ব্যাখ্যায় যা বললেন নিগার |
![]() |
“আমাকে যখন দল থেকে বাদ দিয়েছে, এটাতেও এত বেশি কষ্ট পাইনি, যতটা পেলাম এই কথা শোনার পর। আমি তো আমার দলের কথা, দেশের কথা চিন্তা করেছি। তাই দল থেকে বাদ পড়েও আমি এতটা দুঃখ পাইনি। যতটা তার এই কথায় পেলাম।”
“এভাবেও আসলে বলা সম্ভব! মানুষ এভাবেও চিন্তা করে? একজন ক্রিকেটারের জন্য এমন কথাবার্তা অপমানজনক। যখন কেউ নিজের কথা না ভেবে, দেশের কথা চিন্তা করল এবং বিপরীতে কিনা এই কথা শুনতে হলো!”
এসময় সুমনা জানান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই বোলিং করতে না চাওয়ার কারণ ব্যাখা করেছিলেন তিনি।
“ম্যাচের পর ফিজিওসহ কোচ বসেছিলেন আমার সঙ্গে। জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কেন বোলিং করতে রাজি হইনি। তখন আমি বলেছিলাম যে, আমি ভালো অনুভব করছিলাম না। আর এটা তো হতেই পারে। আমি তো দলের কথাই চিন্তা করলাম। নিজের জন্য কিছু ভাবিনি।”