টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন দেশটির কোনো সাবেক ক্রিকেটার। সৌরভ গাঙ্গুলি ও রজার বিনির পর এবার এই চেয়ারে বসার সুযোগ পেলেন মিথুন মানহাস।
মুম্বাইয়ে রোববার হওয়ার বোর্ডের ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লির সাবেক এই অধিনায়ক। সাধারণ সভার আগে সভাপতি হিসেবে তিনি একাই মনোনয়ন তুলেছিলেন।
গত অগাস্টে রজার বিনি সরে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন রাজিব শুক্লা। এখন মানহাস নির্বাচিত হওয়ায় আবার নিজের সহ-সভাপতি পদে চলে যাবেন শুক্লা। এছাড়া আগের মতোই বোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দেবজিত সাইকিয়া।
আরও পড়ুন
ধ্রুপদি ফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের একাদশ কেমন হবে |
![]() |
মানহাস ছাড়াও বোর্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ শুরু করবেন কর্ণাটক ও ভারতের সাবেক স্পিনার রঘুরাম ভাট। আর সাইকিয়ার সঙ্গে যুগ্ম সচিব হিসেবে থাকবেন প্রভুতেজ সিং ভাটিয়া।
এছাড়া জাতীয় দলের নির্বাচল প্যানেলে এস শারাথ ও সুব্রত ব্যানার্জির জায়গায় নেওয়া হয়েছে সাবেক দুই তারকা ক্রিকেটার প্রজ্ঞান ওঝা ও আরপি সিংকে। নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন অজিত আগারকার। অন্য দুই সদস্য অজয় রত্র ও এসএস দাস।
নারী দলের নির্বাচক প্যানেলের প্রধান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নিতু ডেভিডকে। তার জায়গায় এই দায়িত্ব পেয়েছেন অমিত শর্মা। প্যানেলের বাকি সদস্যরা হলেন শ্যামা দে, সুলক্ষণা নাইক, জয়া শর্মা ও শাবন্তী নাইডু।
৪৬ ছুঁইছুঁই মিথুনের জন্ম ১৯৭৯ সালে ভারত অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরে। জাতীয় দলের জার্সি না পারলেও ঘরোয়া লিগে লম্বা সময় খেলেছেন মিথুন। খেলেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল)। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলা জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম ক্রিকেটারও তিনি।
জম্মুতে জন্ম নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লিতেই বেশি সময় কাটান মানহাস। পরে ২০১৫ সালে দিল্লি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ফিরে যান এবং ২০১৬ সালে অবসর নেন।
এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন দলে কোচিং ও ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের পুরুষ অনূর্ধ্ব-১৯ দল, আইপিএল দল কিংস এলিভেন পাঞ্জাব, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাট টাইটানস।
আরও পড়ুন
ভারতের চেয়ে কম ভুল করলেই ফাইনাল জিতব: সালমান |
![]() |
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯৭-৯৮ থেকে ২০১৬-১৭ মৌসুম পর্যন্ত ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৯৭১৪ রান করেছেন মানহাস, ছিল ২৭টি সেঞ্চুরি। ১৩০ লিস্ট-এ ম্যাচে করেছেন ৪১২৬ রান, ৯১ টি-টোয়েন্টিতে ১১৭০ রান তার।
No posts available.
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২৭ পিএম
৮ দলের অংশগ্রহণে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়, বাকি সব ম্যাচ ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুতে।
নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। লিগপর্ব শেষে শীর্ষ চার দল উঠবে সেমিফাইনালে, সেখান থেকে নির্ধারিত হবে ফাইনালের দুই দল।
আরও পড়ুন
পাওয়ার হিটিংয়েই নাকাল বাংলাদেশ |
![]() |
বাংলাদেশের নিগার সুলতানাদের প্রথম ম্যাচ ২ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এরপর পর্যায়ক্রমে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজরা।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দলের ম্যাচসূচি:
২ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান
কলম্বো
দুপুর সাড়ে ৩টা
৭ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড
গোয়াহাটি
দুপুর সাড়ে ৩টা
১০ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড
গোয়াহাটি
দুপুর সাড়ে ৩টা
১৩ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশাখাপত্তম
দুপুর সাড়ে ৩টা
১৬ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া
বিশাখাপত্তম
দুপুর সাড়ে ৩টা
২০ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা
ডি ওয়াই পাতিল
দুপুর সাড়ে ৩টা
২৬ অক্টোবর
বাংলাদেশ বনাম ভারত
ডি ওয়াই পাতিল
দুপুর সাড়ে ৩টা
অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধ্বসের পর বোলারদের নৈপুণ্যে জয়ের আশা জাগাল পাকিস্তান। কিন্তু তিলক ভার্মার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মিলিয়ে গেল তাদের সব সম্ভাবনা। আরেকটি চমৎকার জয়ে এশিয়া কাপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববারের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ভারত। ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ১৯.৪ খেলে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল।
এশিয়া কাপে ভারতের এটি নবম শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা শ্রীলঙ্কার। আর বাকি দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৬ ম্যাচে ভারতের এটি ১৬তম জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১৪৬ (ফারহান ৫৭, ফাখার ৪৬, সাইম ১৪, হারিস ০, সালমান ৮, তালাত ১, নাওয়াজ ৬, আফ্রিদি ০, ফাহিম ০, রউফ ৬, আবরার ১*; দুবে ৩-০-২৩-০, বুমরাহ ৩.১-০-২৫-২, বরুণ ৪-০-৩০-২, অক্ষর ৪-০-২৬-২, কুলদিপ ৪-০-৩০-৪, তিলক ১-০-৯-০)
ভারত: ১৯.৪ ওভারে ১৫০/৫ (অভিষেক ৫, গিল ১২, সূর্যকুমার ১, তিলক ৬৯*, স্যামসন ২৪, দুবে ৩৩, রিঙ্কু ৪*; আফ্রিদি ৪-০-২০-১, ফাহিম ৪-০-২৯-৩, নাওয়াজ ১-০-৬-০, রউফ ৩.৪-০-৫০-০, আবরার ৪-০-২৯-১, সাইম ৩-০-১৬-০)
ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জিকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাকিব-তামিমরা কেন গেইল-পোলার্ডদের মত পাওয়ার হিটিং করতে পারেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটার এর ব্যাখায় খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তফাৎটা। কাছ থেকে দেখার ও কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছিলেন, চাইলেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের পক্ষে ওই ধরনের পাওয়ার হিটিং সম্ভব নয়। স্রেফ গায়ের জোরে ছক্কা হাঁকানোর সেই দক্ষতা সহজাত হতে হয়। তবে সেটা যেহেতু নেই, তাদের বাংলাদেশের ব্যাটারদের উচিত গেইলদের মত চারটি ছক্কায় ২৪ রান করার চেয়ে ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৪ রান করার দিকে মনোযোগ দেওয়া। কারণ, দিনশেষে রানটাই আসল, সেটা সিঙ্গেলস থেকেই হোক, চার মেরে হোক আর ছক্কা থেকে। ম্যাকেঞ্জি অনেক আগে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ দল যেন আজও আটকে আছে সেই গোলকধাঁধার মধ্যেই।
আরও পড়ুন
মোসাদ্দেকের ঘূর্ণি, শিবলির ঝড়ে উড়ে গেল সিলেট |
![]() |
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলকে রান তাড়ায় খেলতে হত হিসেবী ক্রিকেট। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন এই উইকেটে ছক্কা মারার চেয়ে বেশি দরকার ছিল সিঙ্গেস-ডাবলস নেওয়া আর সুযোগ বুঝে বড় শট খেলা। অথচ মাত্র ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে প্রতিটি ব্যাটার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ছক্কা মারার। গোটা ইনিংসে ৭টি ছক্কার মার এলেও শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় জাকের-শামীমদের জন্য। প্রচুর ডট বলের চাপে শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে হয় ১১ রানে। তাতে সমাপ্তি ঘটে ফাইনালে খেলার স্বপ্নের। অথচ মাত্রাতিরিক্ত পাওয়ার হিটিংয়ের চেষ্টা না করলে হয়ত সহজেই আরেকটি এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারত বাংলাদেশ। কেন সেটা হলো না?
এখানে আলোচনায় সবার আগে আসবেন এশিয়া কাপের আগে অল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ দলের সাথে কাজ করা জুলিয়ান উডের নাম। বিশ্বের প্রথম পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে পরিচিত উড লিটন-জাকেরদের দীক্ষা দেন পাওয়ার হিটিংয়ের। তিনি আসার পর থেকে সবার মধ্যে একটা বদ্ধ ধারণা হয়েই গিয়েছিল যে, এখন থেকে হয়ত নিয়মিতভাবে বড় বড় ছক্কা হাঁকাতে পারবেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নেদারল্যান্ডসের সাথে সিরিজে তার কিছু ঝলকও দেখা যায়। তবে ক্রিকেটে কন্ডিশন ও পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার স্কিল জানাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা বড় মঞ্চে বারবার ভুলে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হলে পিসিবি চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নেবে ভারত? |
![]() |
পাকিস্তানের সাথে সেই ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান পাঁচে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। সাইম আইয়ুবের শিকার হওয়ার আগে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার এরপর খেলেন ২০টি বল, আর রান করেন মাত্র ১০! নেই কোনো চার বা ছয়ের মার। অথচ তিনি যখন ক্রিজে যান, তখন বল ও রানের ব্যবধান ছিল নাগালের মধ্যেই। কিন্তু অতিরিক্ত পাওয়ার হিটিংয়ের চেষ্টায় তিনি ডট বল খেলে চাপ বাড়ান নিজের ও দলের ওপর। চারে নামা অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ১০ বলের ইনিংসে একটি ছক্কা মেরেও করতে পারেন মাত্র ১১ রান।
সেই ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটারদের মাঝেও ছিল সেই একই প্রচেষ্টা। ইনিংসের শুরু থেকেই সবাই চেষ্টা করেছেন বড় শট খেলার, যার চড়া মাশুল গুনতে হয়েছে দলকে। পাকিস্তানের আগে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও একই ভুল করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫১ বলে ৬৯ রান করা সাইফ হাসান একাই হাঁকান ৫টি ছক্কা, যেখানে বাকিরা মিলে মারতে পারেন মাত্র একটি ছক্কা। ১৬৯ রানের টার্গেটে থেমে যেতে হয় মাত্র ১২৭ রানেই। এই ম্যাচেও ছিল সেই একই চিত্র। সাইফ একপ্রান্ত আগলে খেললেও অন্যরা বড় শট মারার চেষ্টায় বিলিয়ে দেন উইকেট।
আরও পড়ুন
দলে ফিরলেন সৌম্য, জাকেরই অধিনায়ক |
![]() |
বাংলাদেশের এই দলে ফিনিশার রোলে খেলা জাকের আলি অনিক ছক্কা মারার জন্য অল্প সময়েই পরিচিতি পেয়েছেন বেশ। তবে এশিয়া কাপে প্রায় ৭০টি ডেলিভারি খেলেও তার ব্যাট থেকে আসেনি একটি ছক্কার মার। দলে যার ভূমিকাই ফিনিশিং টাচ দেওয়া, তিনিই যদি ছক্কা হাঁকাতে না পারেন, তাহলে সেটা দলের ওপর বাড়তি চাপ যোগ করে। জাকেরের অতিরিক্ত পাওয়ার হিটিংয়ের প্রচেষ্টা তার জন্য বারবার বুমেরাং হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, চলতি বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছক্কা মারার ক্ষেত্রে নিজেদের সেরা সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এরই মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে এসব ছাপিয়ে বড় মঞ্চে ভালো করতে হলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা, যা করতে পারছেন না তাওহীদ-জাকেররা। ক্রিকেটার হিসেবে তারা যতদিন পর্যন্ত পরিণতবোধ না দেখাতে পারছেন, ততদিন পর্যন্ত উডের মাপের পাওয়ার হিটিং কোচ এনেও কাজের কাজ খুব একটা কাজ হবে না।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রোববারের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা বিভাগের কাছে পাত্তাই পায়নি সিলেট বিভাগ। মোসাদ্দেক হোসেনের ঘূর্ণি জাদু ও আশিকুর রহমান শিবলির ব্যাটিং তাণ্ডবে ৯ উইকেটে ব্যবধানে জয় পায় ঢাকা।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩৪ রান করতে পারে সিলেট। জবাবে ১৭ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় মোসাদ্দেক-শিবলিদের ঢাকা।
আরও পড়ুন
দলে ফিরলেন সৌম্য, জাকেরই অধিনায়ক |
![]() |
তিন ম্যাচে ঢাকার এটি দ্বিতীয় জয়। মোট ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আট দলের মধ্যে চার নম্বরে আছে সিলেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়েন অমিত হাসান ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা।
৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ বলে ৫২ রান করেন অমিত। গালিবের ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫২ রান। দুজনকেই আউট করেন মোসাদ্দেক।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হলে পিসিবি চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নেবে ভারত? |
![]() |
সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এছাড়া শুভাগত হোম ও মাহফুজুর রহমান রাব্বির শিকার ২টি করে উইকেট।
পরে রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৩ রান করে ফেলে ঢাকা। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৯ বলে ৬০ রান করে আউট হন শিবলি।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি রায়ান রাফসান রহমান ও আরিফুল ইসলাম। রাফসানের ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৪৫ বলে ৪৬ রান। আরিফুল করেন ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ২৬ রান।
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর নিজেদের স্কোয়াডে তেমন কোনো পরিবর্তন আনল না বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে বদল মাত্র একটি। সেটিও চোটের কারণে।
পেটের বাম পাশের পেশির চোটের কারণে আফগানদের বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না লিটন কুমার দাস। তার অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকবেন জাকের আলী অনিক।
আর স্কোয়াডে লিটনের জায়গায় সুযোগ পেলেন সৌম্য সরকার। এনসিএল টি-টোয়েন্টির মাঝপথে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানে চড়বেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার।
গত মে মাসে পাকিস্তান সফরের দলে ছিলেন সৌম্য। তবে চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান তিনি। এরপর আবার এই সিরিজ দিয়েই দলে ফিরলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বছরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আর এই ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলা হয়নি সৌম্যর। আর গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন তিনি।
লিটনের চোটে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাকের। ওই দুই ম্যাচেই বাজেভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবু লিটনের অনুপস্থিতিতে জাকেরের ওপরই ভরসা রাখছে বিসিবি।
নিয়মিত অধিনায়কের চোটের ব্যাপারে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পেটের পেশির সমস্যায় ভুগছেন লিটন। আপাতত পর্যবেক্ষণ ও পুনর্বাসনে আছেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজের ব্যাপারে তাই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ২ অক্টোবর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই মাঠে পরের দুই ম্যাচ ৩ ও ৫ তারিখ। এর আবু ধাবিতে ৮, ১১ ও ১৪ অক্টোবর হবে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
জাকের আলী অনিক (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন ও সৌম্য সরকার।