১০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম

অ্যাশেজের রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী এই টেস্ট সিরিজে কত শত গল্প যে আছে, সে হিসেব করতে দিন পার হবে। আর মাঠে দুই দলের মর্যাদার লড়াইয়ের প্রাণ যে সমর্থকরা। গ্যালারিতে দর্শক সারির স্লোগান, হাততালি কিংবা দুয়োধ্বনি ভিন্ন এক আমেজই সৃষ্টি করে।
আর দিন দশেক পরই শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ। পার্থে শুরু হতে যাওয়া মহারণের প্রথম টেস্টে একধরনের হুঙ্কারই যেন দিয়ে রাখল ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসরা যে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেতে যাচ্ছে। দলকে সমর্থন দিতে ৪০ হাজারেরও বেশি ইংল্যান্ড সমর্থককে দেখা যেতে পারে স্টেডিয়ামে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের দর্শক বিখ্যাত গ্রুপ বর্মি আর্মি। এই সংগঠনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস মিলার্ড জানিয়েছেন, কেবল যুক্তরাজ্য থেকেই অন্তত ৩৫,০০০ সমর্থক অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন, আর প্রবাসী ইংলিশদের যুক্ত করলে মোট সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের একটি জাতীয় দৈনিক দ্যা আই পেপারকে ক্রিস মিলার্ড বলেন, ‘আমরা ট্যুরিজম অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কাজ করছি, আর সব দিক থেকেই দেখা যাচ্ছে— এটি হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘অ্যাওয়ে’ অ্যাশেজ।’
২০২১-২২ সালের অ্যাশেজে যুক্তরাজ্যের সমর্থকদের অস্ট্রেলিয়া যেতে দেওয়া হয়নি, করোনা মহামারির কারণে বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন বন্ধ ছিল। শেষবার যখন ইংলিশ সমর্থকরা দলকে সমর্থন দিতে অসিদের দেশ সফর করে ২০১৭-১৮ সালে। তখন প্রায় ৩০ হাজার সমর্থক পুরো সিরিজে দলের সঙ্গে ছিল।
এ বছর সেই রেকর্ড সহজেই ভাঙবে। এমনকি কয়েক মাস আগেই অস্ট্রেলিয়া সফর করা ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়নস রাগবি দলের আনুমানিক ৪০,০০০ সমর্থকের সংখ্যাও ছাড়িয়ে যাবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট সমর্থকদের উপস্থিতি।
এবারের অ্যাশেজ ঘিরে আগ্রহ এতটাই বেশি যে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই রেকর্ড ভাঙে। জুন মাসে একদিনেই বিক্রি হয়েছিল ৩ লাখ ১১ হাজার টিকিট। এর মধ্যে ছয় ভাগের এক ভাগই কিনেছেন যুক্তরাজ্যের সমর্থকরা। সেই হিসেবে পুরো সিরিজে বিক্রি হওয়া এক মিলিয়ন টিকিটের মধ্যে দেড় লাখেরও বেশি থাকবে ইংল্যান্ড সমর্থকদের হাতে।
২০১৭-১৮ সালের মতো এবার আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইংলিশ ভক্তদের আলাদা করে রাখার নিয়ম রাখেনি, এবার তারা একসঙ্গে বসতে পারবেন। ফলে গ্যালারিতে ইংল্যান্ডের পতাকা আর ‘বার্মি আর্মি’র স্লোগান থাকবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। মিলার্ড মনে করেন েএর প্রভাব দেখা যেতে পারে খেলাতেওম, ‘মজার ব্যাপার হলো, প্রতিটি স্টেডিয়ামে প্রথম যে ব্লকগুলোর টিকিট শেষ হয়েছে, সেগুলোই ইংলিশদের অংশ। এভাবেই হওয়া উচিত। তারা চায় সিরিজটা হোক এক মহাযজ্ঞ, আর তার শুরুটা হয় সমর্থকদের দিয়েই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘খেলোয়াড়রাও নিজেরাই বলে— যেমন ২০২০ সালে নিউল্যান্ডস টেস্টের পঞ্চম দিনে, তারা বলেছিল যে বার্মি আর্মির বিরামহীন হর্ষধ্বনি ছাড়া সেই ম্যাচটা জেতা সম্ভব হতো না। আমরা কেবল ভক্ত, এর চেয়ে বেশি কিছু নই, কিন্তু যদি আমাদের উপস্থিতি ম্যাচের ফলাফলে সামান্য হলেও প্রভাব ফেলে, তাহলে সেটাই তো দারুণ ব্যাপার— তাই না ?’
No posts available.

দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মাস তিনেক আগে। দীর্ঘ সময় গোপন রাখার পর অবশেষে নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন রশিদ খান। নেদারল্যান্ডসে কয়েক দিন আগে এক দাতব্য অনুষ্ঠানে এক নারীর সঙ্গে রশিদকে দেখা যাওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। এবার আফগানিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার নিশ্চিত করেছেন, তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।
নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে রশিদ লিখেছেন,
‘২০২৫-এর ২ আগস্ট জীবনের নতুন ও অর্থবহ অধ্যায় শুরু করলাম। আমি আমার দ্বিতীয় বিয়ে সম্পন্ন করেছি। এমন একজন সঙ্গীকে বেছে নিয়েছি, যিনি ভালোবাসা ও শান্তিতে জীবনকে পূর্ণ করতে পারেন। অনেকদিন ধরেই এমন একজন জীবনসঙ্গী খুঁজছিলাম।’
নেদারল্যান্ডসে ভাইরাল হওয়া ছবির প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,
‘কয়েকদিন আগে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটি চ্যারিটি ইভেন্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু যা ধারণা মানুষ পেয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। সত্যি কথা হলো, তিনি আমার স্ত্রী। এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। সবাইকে ধন্যবাদ।’
যদিও রশিদ তাঁর পোস্টে ‘দ্বিতীয় বিয়ে’ শব্দটি উল্লেখ করেননি, তবে পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যমে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলা হয়েছে।
অবশ্য রশিদ তাঁর স্ত্রীর ছবি কখনো শেয়ার করেননি। আফগান অধিনায়কের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে, গত বছরের অক্টোবরে অত্যন্ত ধুমধামে। রশিদ ও তাঁর তিন ভাই—আমির খলিল, জাকিউল্লাহ এবং রাজা খান একসঙ্গে প্রথমবারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন আফগান দলের তারকা ক্রিকেটাররা, যেমন মোহাম্মদ নবী, মুজিব-উর-রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নজিবউল্লাহ জাদরান, রহমত শাহ, ফজলহক ফারুকি।

দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ইডেন গার্ডেনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছে। আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত আট জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়। এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে, ছয়জনের পরিচয় অজানা। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তাধীন, তবে একই সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশ আন্তঃরাজ্য দুর্বৃত্তের চক্র ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক উপাদান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
| ‘শামিকে খেলতে না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না’ |
|
এই ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশ ইডেন গার্ডেন ও সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে বাড়তি নজরদারি চালু করেছে। স্টেডিয়াম, দলগুলোর হোটেল থেকে শুরু করে যাতায়াতের প্রতিটি জায়গায় কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রধান প্রবেশ ও প্রস্থান পথে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে সিসিটিভি নজরদারি।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) ও পুলিশ যৌথভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করছে।
দুটি দল আজ সকাল থেকেই ইডেনে অনুশীলন শুরু করার কথা। পুরো অনুশীলন ও ম্যাচ চলাকালে নিরাপত্তা থাকবে সর্বোচ্চ সতর্কতায়। ইডেন গার্ডেনে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের আগে নিরাপত্তা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায় টপ-অর্ডার থেকে প্রয়োজন ছিল বড় ইনিংস। তিন অঙ্ক ছুঁতে না পারলেও সেই চাওয়া বেশ ভালোভাবেই পূরণ করলেন সৌম্য সরকার। রোমাঞ্চকর এক জয় পেল খুলনা। চমৎকার বল করে ৫ উইকেট নিয়েও পরাজিত দলে রইলেন নাঈম হাসান।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২ উইকেটে হারায় খুলনা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিন ২৩৭ রানের লক্ষ্য ৬৬.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে খুলনা।
শেষ দিন খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রান। হাতে ছিল পুরো ১০ উইকেট। কিন্তু সৌম্য ও শেখ মেহেদি হাসান ছাড়া বাকিদের ব্যর্থতার কারণে একপর্যায়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য জয় পায় দলটি।
আরও পড়ুন
| তিন উইকেট নিয়ে আবার ক্যাচ মিসের আক্ষেপ |
|
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৫১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে খুলনার ইনিংস থেমে যায় ২৮১ রানে। ফলে ৭০ রানের লিড পায় চট্টগ্রাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৬ রানের গুটিয়ে যায় তারা। ফলে আড়াইশর নিচে লক্ষ্য পায় খুলনা।
তিন ম্যাচে খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়। আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র করা চট্টগ্রাম এবার প্রথম পেল পরাজয়ের তেতো স্বাদ।
প্রথম ইনিংসে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি সৌম্য। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১১৯ বলে তিনি খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। দ্বিতীয়বারও তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আশা জাগিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু নাঈমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৯০ বলে ৭১ রান করে।
পরে আট নম্বরে নেমে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদি। অষ্টম উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তিনি গড়েন ৫৭ রানের মূল্যবান জুটি।
৩২ ওভারে ১০২ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নাঈম হাসান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে ভারত দলে নেই মোহাম্মদ শামি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক সাদা বলের সিরিজেও তাঁকে বিবেচনায় রাখা হয়নি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার জানিয়েছিলেন— ফিটনেসজনিত কারণে শামিকে দলে নেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে নির্বাচকদের। এ ব্যাপারে অবশ্য পাল্টা-পাল্টি অবস্থান রয়েছে দুপক্ষের।
তবে দুঃসময়ে এবার শামি পাশে পেয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে। তাঁর মতে, শামি পুরোপুরি ফিট এবং এখনই জাতীয় দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত।
সৌরভ মনে করছেন, শামির ফিটনেস নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বরং রঞ্জি ট্রফিতে লম্বা স্পেলে দারুণ বোলিং করেই তা প্রমাণ করেছেন তিনি। কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গাঙ্গুলি বলেন, ‘শামি দুর্দান্ত। রঞ্জির দুই-তিনটি ম্যাচেই তিনি প্রায় একাই জেতালেন বেঙ্গলকে। নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই নজর রাখছেন। ফিটনেস ও দক্ষতার বিচারে শামি সেই শামিই আছে। তাই আমার মতে, টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি— ভারতের হয়ে খেলতে না দেওয়ার কোনো কারণই দেখি না।’
শামি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি সম্পূর্ণ ফিট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তবে সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করা হয়নি।
রঞ্জি ট্রফির চলমান মৌসুমে প্রথম তিন ম্যাচে ৯৩ ওভার বোলিং করে ১৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। গড় ১৫.১৩, সেরা বোলিং ৫/৩৮—যা তাঁর ফর্ম ও ফিটনেসের স্পষ্ট প্রমাণ। যদিও চতুর্থ রাউন্ডে তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন।
২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালই ছিল তাঁর সর্বশেষ টেস্ট। এখন তরুণ ফাস্ট বোলারদের প্রস্তুত করা হচ্ছে, তাই শামির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবু সৌরভের বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় শামির মতো বোলারকে সহজে বাদ দেওয়া যায় না।

ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ার ব্যর্থতা থেকে যেন বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট নিলেও, একটি ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে ঠিকই প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে আয়ারল্যান্ড।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন চা বিরতি পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। অথচ খুব সহজেই এটি ৫ উইকেট কিংবা আরও বেশি হতে পারত। দ্বিতীয় সেশনে ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ওভারেই পল স্টারলিংকে আউট করেন নাহিদ রানা। প্রথম সেশনে স্লিপে ক্যাচ ছাড়লেও এবার ভুল করেননি সাদমান ইসলাম। ৭৬ বলে ৬০ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ আইরিশ ওপেনার।
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজে স্মিথকে থামাতে ‘বডিলাইন’ বোলিং করবে ইংল্যান্ড! |
|
পরের ওভারে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কার্টিস ক্যাম্ফার ও অভিষিক্ত ক্যাড কারমাইকেল। দুজন মিলে যোগ করেন ৫৩ রান। নিজের অভিষেকেই ফিফটির দেখা পান কারমাইকেল। তবে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় বল তার ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে উঠে যায় ওপরের দিকে। প্রথম স্লিপ থেকে কিছুটা বাম দিকে দৌড়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শান্ত। এবারও আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে ৫৩ রান করা কারমাইকেলকে ফেরায় বাংলাদেশ।
পরে লরকান টাকারকে আউট করার সুযোগ আনেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি শান্ত। ১১ রানে বেঁচে যান টাকার। প্রথম সেশনে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
সেশনের বাকি সময়ে আর উইকেট পড়তে দেননি ক্যাম্ফার ও টাকার। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তাদের সংগ্রহ ৩৪ রান। ক্যাম্ফার ৭১ বলে ৩৫ ও টাকার ৫০ বলে ২২ রানে অপরাজিত।
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে চতুর্থ বলে ব্যালবার্নিকে এলবিডব্লিউ করে দেন হাসান মাহমুদ। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি আইরিশ অধিনায়কের।
বল যখন ব্যাটের কাছে ছিল, তখন অবশ্য স্পাইক দেখা গিয়েছিল। তবে ব্যাট ও বলের মাঝে স্পষ্ট ফাঁকা থাকায় সেটি পাত্তা দেননি আম্পায়ার। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ব্যালবার্নি।
আরও পড়ুন
| টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, মুরাদের অভিষেক |
|
এরপর দ্রুত আউট হতে পারতেন পল স্টারলিং ও ক্যাড কারমাইকেল। চতুর্থ ওভারে নাহিদ রানার বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম। ৮ রানে প্রথম জীবন পান অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পরের ওভারে হাসানের বলে শর্ট মিড উইকেটে সহজ সুযোগ পান তাইজুল ইসলাম। এবার ১০ রানে থাকা কারমাইকেল বেঁচে যান। পরে ষষ্ঠ ওভারে নাহিদের বলে তৃতীয় স্লিপে ১০ রানে থাকা স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ব্যাটারই জীবন পেয়ে সতর্ক হয়ে যান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। নবম ওভার থেকে স্পিন আক্রমণ চালান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন অভিষিক্ত হাসান মুরাদ।
মধ্যাহ্ন বিরতির এক ওভার আগে তাইজুলের বলে কারমাইকেলের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কিপার ও প্রথম স্লিপের ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে চলে যায়। পরের ওভারে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অল্পের জন্য বোল্ড হননি অভিষিক্ত ব্যাটার।
এছাড়া পুরো সেশনে আর সুযোগ দেননি স্টারলিং ও কারমাইকেল।