
গতির জন্যই তার পরিচিতি বিশ্ব জুড়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য তো নাহিদ রানার বোলিং দেখাটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিশেষ এক উপলক্ষ্য। বিপিএলের শুরু থেকে সেটা দেখাচ্ছেনও বেশ। তবে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের তরুণ এই পেসার গতির চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন লাইন-লেন্থের দিকেই। ম্যাচ সেরা হলেও তাই একটু কম গতি অনেকের মনেই জাগাতে পারে প্রশ্ন। তবে নির্ভার নাহিদ বললেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করার স্কিল রপ্ত করছেন তিনি।
চলতি বিপিএলের আগে স্বীকৃত ক্রিকেটে একবারও ম্যাচ সেরা হননি নাহিদ। সেই একই ক্রিকেটার এবার পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুইবার জিতেছেন ম্যাচ সেরার খেতাব। নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৫০ কি.মি. গতিতে বোলিংয়ে নাহিদের বোলিংয়ের মূল শক্তির জায়গা। তবে ঢাকার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে সেটা কিছুটা কম ছিল। অবশ্য তাতেও কমেনি বোলিংয়ের ধার। চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
| ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
|
ম্যাচ সেরা হয়ে নাহিদ জানিয়েছেন তুলনামূলক বলের গতি কম হওয়ার কারণ।
“আমি বেশি কিছু চিন্তা করিনি। শুধু চিন্তা করেছি ব্যাটারদের বুঝে, উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি। যেটা বললাম আগে, যে পরিস্থিতি ছিল, সেই অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করছি।”
নাহিদের মত এই বিপিএলের দুর্দান্ত ফর্মে আছে তার দলও। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতে আছেন পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে। ঢাকার বিপক্ষে ১১১ রান তাড়া করে জয় ধরা দিয়েছে ৪০ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই। আসরে এখন পর্যন্ত কোনো দলই পারেনি রংপুরকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে।
আরও পড়ুন
| ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের টানা পঞ্চম জয় |
|
নিজের ও দলের ভালো ফর্মে খুশি নাহিদ।
“অবশ্যই, অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু আমার দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি। নিজের পারফরম্যান্সের জন্য আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে।”
নাহিদ এখন পর্যন্ত এই বিপিএলে উইকেট নিয়েছেন ৯টি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৭.১৫ করে। গড়টাও দুর্দান্ত, ১৫.১১!
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম

বেটিং প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ানএক্স বেট' এর সঙ্গে জড়িত অর্থপাচার মামলায় ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার সম্পদ জব্দ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থাটি ধাওয়ান-রায়নার নামে থাকা মোট ১১ কোটি ১৪ লাখ ভারতীয় রুপির সম্পদ জব্দ করেছে। আজ ভারতের প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) এই খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শিখর ধাওয়ানের প্রায় সাড়ে চার কোটি রুপির স্থাবর সম্পত্তি এবং সুরেশ রায়নার ৬ কোটি ৬৪ লাখ রুপির মিউচুয়াল ফান্ড জব্দ করেছে ইডি। তদন্ত সংস্থার দাবি, এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার জেনেশুনেই অনলাইন বেটিং অ্যাপ 'ওয়ানএক্স বেট'এর প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
ভারত সরকার সম্প্রতি রিয়েল মানি অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করার নতুন আইন কার্যকর করেছে। এরই অংশ হিসেবে বেআইনি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
ইতোমধ্যেই শিখর ধাওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সংস্থাটি। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটারের বক্তব্য ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক ভারতীয় ব্যাটার সুরেশ রায়নাকেও আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
তদন্ত শুধু ক্রিকেটারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইতোমধ্যেই প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল ও মেটার প্রতিনিধিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। পাশাপাশি 'প্যারিম্যাচ' নামে আরেকটি বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি।
এসব তদন্তের মূল লক্ষ্য হলো এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংঘটিত ব্যবহারকারী প্রতারণা ও কর ফাঁকির ঘটনা উন্মোচন করা। ইডি জানিয়েছে'ওয়ানএক্স বেট' নেটওয়ার্ক ভারত থেকে এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জাহানারা বলেছেন, অসংখ্যবার বিসিবিতে যৌন হয়রানির কথা অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি।
বিষয়টি ‘সংবেদনশীল’ বলে বিসিবি অভিযোগগুলো গভীরভাবে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের অনুসন্ধানের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেবে।
বিসিবি আরও জানিয়েছে, ‘বিসিবি তার সব খেলোয়াড় ও কর্মীদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বোর্ড এ ধরনের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার পর প্রথম সেঞ্চুরি কুইন্টন ডি ককের। টপ-অর্ডারের এই ব্যাটারের দুর্দান্ত এক ইনিংসে তাঁর দল দক্ষিণ আফ্রিকাও পেল দাপুটে এক জয়। আর এই জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরল প্রোটিয়ারা।
ফয়সালাবাদে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ ৮ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নয় উইকেট হারিয়ে ২৬৯ সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিৎজকের দল।
এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় আছে ওপরে। রান তাড়ায় মোট ১১টি ছক্কা মারে প্রোটিয়া ব্যাটাররা, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ক্রিকেট এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১১৯ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন ডি কক।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে একই ভেন্যুতে আগামী শনিবারের ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিল।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লুহান-দ্রে প্রিটোরিয়াস-কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮১ রান। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের খাটিয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক বোলারদের ছাতুপেটা করে সেঞ্চুরি করেন ডি কক। অবসর ভেঙে ফেরা বাঁ হাতি এই ব্যাটারের এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম।
দক্ষিণ আফ্রিকা যখন জয় থেকে ৩৬ রান দূরে, দ্বিতীয় উইকেটে ডি কক-টনি ডি জর্জির জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। শেষ হয় তাদের ১৫৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। ৬৩ বলে ৭৬ করেন জর্জ। এরপর ম্যাথু ব্রিটৎজকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন ডি কক।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ধসের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ২২ রানেই স্বাগতিকদের তিন টপ-অর্ডারের ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখায় প্রোটিয়া বোলাররা। ফখর জামান শূন্য, বাবর আজম ১১ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪ রান করে আউট হন। দুই পেসার নান্দ্রে বার্গার আর করবিন বচের তোপে পড়ে তারা।
এরপর সালমান আলি আগাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৯২ রান। ফিফটি করা সায়েম আউট হলে শেষ হয় সেই জুটি। ছন্দের খোঁজে থাকা এই ওপেনার করেন ৬৬ বলে ৫৩ রান।
৩০ ওভারে দলীয় ১৩০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২০ বলে ১০ রান করা হোসাইন তালাত নাকাবায়োমজি পিটারের শিকার হন। আড়াইশো পেরোনো পাকিস্তানের জন্য তখন কঠিনই ছিল।
একপ্রান্ত আগলে রাখা সালমান আগার ফিফটির সঙ্গে মোহাম্মদ নেওয়াজের আরেকটি পঞ্চাশার্ধো ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহই পায় তারা। বশের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সালমান করেন ১০৬ বলে ৬৯ রান। ৩ চার ও ৪ ছয়ে নেওয়াজ করেন ৫৯ বলে ৫৯ রান। এ ছাড়া শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন ১৮ বলে ২৮ করা ফাহিম আশরাফ।
দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট নেন বার্গার। তিনটি পিটার আর বশ নেন দুটি।

ক্লাব অনুদান, প্রাইজমানি, জার্সি এবং ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স ৫০ শতাংশ বাড়িয়েও বিরোধীদের মন গলাতে পারেনি সিসিডিএম। ক্রিকেটারদের রুটি-রুজির বিষয়টিও বিবেচনায় আনেনি ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে গত ৭ অক্টোবর সকল লিগ বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের একটি অংশ।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ২০ টি ক্লাবের মধ্যে ১০টি ক্লাব তাদের পক্ষে আছে বলে গণমাধ্যমকে জানালেও ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচনী প্যানেলকে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের ক্লাব ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব বর্জনকারীদের ডাকে সাড়া দেয়নি। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের ক্লাব শাইনপুকুরও বর্জনকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুুুলি দেখিয়ে ক্রিকেটারদের দলবদলে অংশ নিয়েছে।
ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে ৮টি ক্লাব আনুষ্ঠানিক দলবদলে অংশগ্রহন থেকে বিরত থেকেছে। সূর্যতরুণ, ওরিয়েন্ট, আম্বার স্পোর্টিং, পারটেক্স স্পোর্টিং, কাকরাইল বয়েজ, খেলাঘর, কলাবাগান এবং গাজী টায়ার্স প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ২ দিনব্যাপী খেলোয়াড়দের দলবদলে অংশ নেয়নি। ১৩ লাখ ৫০ হাজার করে নির্ধারিত ক্লাব অনুদানের চেকও নেয়নি এই ৮টি ক্লাব।
গত ৫ নভেম্বর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলোয়াড়দের দলবদলের প্রথম দিন ৮টি ক্লাবের পক্ষে (বিকেএসপি, ব্লুজ ক্রিকেটার্স, বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব , ওল্ড ডিওএইচএস, প্রাইম দোলেশ্বর, শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব এবং উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব)।
সাইন করেছেন ৪৭ জন ক্রিকেটার। দলবদলের দ্বিতীয় দিনে (৬ নভেম্বর) আরও ৮৯ জন ক্রিকেটার নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন। এদিন দলবদলে সরব ছিল বারিধারা ডেজলার্স, বসুন্ধরা রাইডার্স, ঢাকা স্পার্তান্স এবং লালমাটিয়া ক্লাব)। দলবদলের আনুষ্ঠানিকতার ২ দিনে নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন ১০৬ ক্রিকেটার। এর বাইরে ৮৯ জন ক্রিকেটার টোকেন তুলে তা কাছে রেখেছেন। ফ্রি ক্রিকেটার হিসেবে তারা যে কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। তবে এদের অধিকাংশের সঙ্গে পুরোনো ক্লাবের যোগাযোগ হয়েছে।
লিগ শুরুর আগে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে পারে বর্জনকারী ক্লাবগুলো, এমন সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন সিসিডিএম-এর চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-' নানা মাধ্যমে জানতে পেরেছি, কারো কারো চাপে প্রকাশ্যে দলবদলে অংশ নিতে আসেনি চার-পাঁচটি ক্লাব। তবে ওই ক্লাবগুলোর অফিসিয়ালরা কিন্তু পুরোনো ক্রিকেটারদের অধিকাংশকে রেখে দিয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটারকে টোকেন তুলতে পাঠিয়েছেন তারা। যারা টোকেন তুলেছেন, তাদের অনেকেই এইসব ক্লাবকে টোকেন জমা দিয়ে পুরোনো ক্লাবে থেকে যেতে পারেন।'
এদিকে ক্রিকেটারদের রুটি রুজির পথ বন্ধ করে লিগ বর্জনকারী ক্লাবসমূহের বিপক্ষে সোচ্চার হতে চাইছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। কোয়াবের নব নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যানকে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বসে বিষয়টা সুরাহা করতে চান সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-' বিসিবির নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ নতুন কিছু নয়।
তবে নির্বাচনের ইস্যুতে এর আগে কখনো কিন্তু লিগ বর্জনের ডাক কেউ দেননি। নির্বাচনকালীন সময়ে বিভেদ ভুলে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লিগে অংশ নিয়েছেন। সে কারণেই অংশগ্রহনমূলক লিগ আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চাই। আইসিসির সভায় যোগ দিতে বিসিবি সভাপতি এখন দেশের বাইরে। উনি দেশে ফিরে আসার পর কোয়াব এবং সিসিডিএম নেতৃবৃন্দ বসে একটা গ্রহনযোগ্য সমাধানের পথ বের করব। যদি বিরোধীদের সবাইকে আনতে না পারি, তখন যারা স্বোচ্ছায় অংশ নিতে চায়, তাদেরকে নিয়ে লিগ আয়োজন করা হবে। বাকিদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বাইলজ অনুযায়ী।'
প্রথম বিভাগ থেকে এক আসরে অবনমন হওয়ার কথা ২টি ক্লাবের। সেখানে ৮টি ক্লাব লিগে অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে বড় ধরণের সংকট তৈরি হবে। এক সঙ্গে এতো ক্লাব অবনমন হলে তো দ্বিতীয় বিভাগ থেকে সম সংখ্যক ক্লাবকে দিতে হবে প্রমোশন। এটাই ভাবনায় ফেলেছে সিসিডিএমকে।
৭টি ভেন্যু ঠিক করে, মানসম্পন্ন পীচ প্রস্তুত করেও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়লে দূর্ভাবনা বাসা বাধারই কথা সিসিডিএম-এর।

ভারতের ১৬৮ রানের লক্ষ্যে জবাবটা ভালোভাবেই দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৬৭ রান। তবে এরপরই যেন ছন্দপতন। সফরকারীদের স্পিন বিষে নাকাল হয়ে নাটকীয় ধসে মাত্র ২৮ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই জয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিজে এগিয়ে গেল সূর্যকুমার যাদবের দল।
কুইন্সল্যান্ডে আজ পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের জয় ৪৮ রানের। ১৬৮ রানের জবাবে ১৮.২ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যাবধানে এগিয়ে গেলো ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত হয়েছিল।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু এনে দেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান তোলে ভারত।
সপ্তম ওভারে দলীয় ৫৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। অ্যাডাম জাম্পার বলে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে অভিষেক করেন ২৮ রান। এরপর তিনে নামা শিভাম দুবে ফেরেন ২২ রান করে।
এদিন ধীরস্থির ব্যাটিং করেন গিল। ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন। এরপর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ১০ বলে ২০, অক্ষর প্যাটেলের ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান করে ভারত। নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা নেন তিনটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করে অস্ট্রেলিয়াও। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ৪৮ রান। ১৯ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার ম্যাথুউ শর্ট। অধিনায়ক মিচেল মার্শ করেন ২৪ বলে ৩০ রান। ৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মিডল অর্ডারের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।
জশ ইংলিশ ১২, টিম ডেভিড ১৪, জশ ফিলিপে ১০, মার্কাস স্টয়নিস ১৭ রানে ফেরেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফেরেন ২ রান করে। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে ১১৯ রান করে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ভারতের হয়ে ম্যাচের সফলতম বোলার ওয়াশিংটন সুন্দর। ডানহাতি এই বোলার মাত্র ১.৩ ওভারে তিন রান দিয়ে উইকেট নেন। দুই উইকেট নিয়ে ব্যাটে-বলে দলের জয়ে দারুণ অবদান রাখা অক্ষর প্যাটেল হন ম্যাচসেরা। এ ছাড়া শিভাম দুবেও নেন দুটি উইকেট।
শনিবার গ্যাবায় সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।