লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই মহীরুহকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সামনের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে দেখা যাবে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের এই ওয়ানডে সিরিজের জন্য শনিবার দল ঘোষণা করতে পারতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যেখানে বড় প্রশ্ন মূলত অধিনায়কত্ব।
গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতার পর আবার এই সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন কোহলি ও রোহিত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ক্ষুদ্রতম সংস্করণ থেকে একসঙ্গে অবসর নিয়েছিলেন দুই অভিজ্ঞ তারকা। পরে টেস্ট ক্রিকেটও ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন
অজি কিংবদন্তির জায়গা নিলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার |
![]() |
টি-টোয়েন্টিতে রোহিতের জায়গায় নেতৃত্ব পান সুর্যকুমার যাদব। তার অধিনায়কত্বে সবশেষ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত।
আর টেস্টে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় শুবমান গিলকে। যিনি সবশেষ ইংল্যান্ড সফর ও ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এবার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভারতের নির্বাচকদের। ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোহিতের সঙ্গে সরাসরি বসেই এই বিষয়ে আলাপ করবেন তারা।
রোহিত-কোহলি ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের প্রায় সবাই থাকবেন অস্ট্রেলিয়া সফরের স্কোয়াডেও।
চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত। পার্থে আগামী ১৯ অক্টোবর হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। এরপর অ্যাডিলেইড ও সিডনিতে পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ২৩ ও ২৫ অক্টোবর।
ওয়ানডে সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। একইসঙ্গে দুই সিরিজের দল ঘোষণা করতে পারে বিসিসিআই।
No posts available.
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৩৪ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৩ পিএম
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার ৪ বছরের জন্য বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সঙ্গে সহ-সভাপতি হিসেবেও বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেন।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার বিসিবি পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের পর জানা যায় ২৫ জন নতুন পরিচালকের নাম। পরে এই পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি ও দুজন সহ-সভাপতি।
বিসিবির ২০তম সভাপতি হলেন বুলবুল।
সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে অবশ্য ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। কারণ সভাপতি পদে বুলবুল ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র তোলেননি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
একইভাবে ক্যাটাগরি-১ থেকে পরিচালক হওয়া শাখাওয়াত ও ক্যাটাগরি-২ থেকে ফারুক আহমেদ ছাড়া আর কেউ সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র তোলেননি। তাই তারা দুজনও বিনা ভোটেই সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
এর গত ৩০ মে প্রথমবার বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বুলবুল। তখন তিনি বলেছিলেন, কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন। তবে ৪ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব শেষে এবার নির্বাচন করে ৪ বছরের পূর্ণ মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
বুলবুল দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক আগে প্রায় ৯ মাসের জন্য বিসিবি সভাপতি ছিলেন ফারুক। এবার আগামী ৪ বছরের জন্য সহ-সভাপতি হিসেবে দেখা যাবে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ককে।
সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া শাখাওয়াত হোসেন এবারই প্রথম বিসিবির পরিচালক হয়েছেন। তবে গত কিছু দিন আগে বুলবুলের ক্রিকেট পর্যটন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে বোর্ডে কাজ করেছিলেন বরিশাল বিভাগ থেকে আসা এই পরিচালক।
নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদে এখন দেখা মিলেছে এক ঝাঁক নতুন মুখের। নির্বাচন শেষে প্রথমবারের মতো বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ১৮ জন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত দুজনসহ এই সংখ্যা ২০ জনের।
অর্থাৎ বিসিবির পরিচালনা পরিষদের মোট ২৫ জন সদস্যের মধ্যে ২০ জন এবারই প্রথম বোর্ডের দায়িত্ব নেবেন।
ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে আসা ১২ পরিচালকের মধ্যে ৯ জনই এবার প্রথম। এদের মধ্যে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের কাউন্সিলর ইশতিয়াক সাদেক ও ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের শানিয়ান তানিন নাভিন পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৪২টি করে ভোট।
এই দুজনের মতো ৪২ ভোট পেয়েছেন রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ। তবে তিনি এর আগে বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফারুকের পাশাপাশি ক্লাব থেকে আসা মনজুর আলম ও ইফতেখার রহমানও আগে বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে ছিলেন।
এই ক্যাটাগরিতে ইশতিয়াক সাদেক ও শানিয়ান তানিমের মতো আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৪) ও মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১) প্রথমবার বিসিবি পরিচালক হয়েছেন।
জেলা ও ক্রীড়া সংস্থা থেকে ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই প্রথমবার পরিচালক হয়েছেন। ঢাকা বিভাগ থেকে আসা আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের শুধু বিসিবি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের আসিফ আকবর ও আহসান ইকবাল চৌধুরী, খুলনা বিভাগের আব্দুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান, সিলেট বিভাগের রাহাত শামস এবং বরিশাল বিভাগের শাখাওয়াত হোসেন এবারই প্রথম বিসিবিতে পরিচালকের পদে বসবেন।
আর সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথমবার বিসিবি পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তাদের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়েছেন এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
বিসিবির পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ
ক্যাটাগরি - ১
আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর, আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান, মুখলেসুর রহমান, হাসানুজ্জামান, রাহাত শামস ও শাখাওয়াত হোসেন।
ক্যাটাগরি - ২
ইশতিয়াক সাদেক, আদনান রহমান দীপন, ফায়াজুর রহমান, আবুল বাশার, আমজাদ হোসেন, শানিয়ান তানিম, মোখছেদুল কামাল, এম নাজমুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, মনজুর আলম, মেহরাব আলম চৌধুরী ও ইফতেখার রহমান মিঠু।
ক্যাটাগরি - ৩
খালেদ মাসুদ পাইলট
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
এম ইসফাক আহসান, ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক
বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো, কয়েকজনের নাম প্রত্যাহারের ফলে আগেই নিশ্চিত ছিল বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালকের নাম। সব আগ্রহ ছিল সাবেক ক্রিকেটার কোটার ক্যাটাগরি-৩ এর পরিচালক নির্বাচন নিয়ে।
রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার হওয়া ভোটের পর সেখানে জয়লাভ করেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তার অন্তর্ভুক্তির ফলে এখন বিসিবির পরিচালনা পরিষদে সাবেক ক্রিকেটারের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জনে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া নির্বাচনের দিন নিশ্চিত হয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ফারুক আহমেদের নাম।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ১৫৬টি ভোটের মধ্যে ১১৫ জন ভোট প্রদান করেন কাউন্সিলররা।
এর মধ্যে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রথম ক্যাটাগরিতে ৩৫টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ৩০ ভোট। ক্লাব সংগঠকদের দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ৭৬ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৪২ ভোট। আর সাবেক ক্রিকেটারদের তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৪৫ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৪৩ ভোট। যেখানে বাতিল হয়েছে ১টি।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রথম ক্যাটাগরিতে আগেই নিশ্চিত ছিল ৬ পরিচালকের নাম।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসিফ আকবর ও আহসান ইকবাল চৌধুরী, খুলনা বিভাগ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান, সিলেট বিভাগ থেকে রাহাত শামস ও বরিশাল বিভাগ থেকে শাখাওয়াত হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ভোটের দিন ঢাকা বিভাগ থেকে ১৫টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গত রাতে ভোট থেকে সরে যাওয়া এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান কোনো ভোট পাননি।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মুখলেসুর রহমান। আর রংপুর বিভাগ থেকে জয় লাভ করেন হাসানুজ্জামান। তিনিও ৭ ভোট পান।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৪২টি ভোট পান ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম ও ফারুক আহমেদ। এর বাইরে নির্বাচিত আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৪), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১) ও ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পল। যেখানে ৩৫-৭ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন খালেদ মাসুদ।
এর বাইরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় মনোনীত দুজন পরিচালক হয়েছেন এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
২৫ জনের এই পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা মিলে একজন সভাপতি ও দুজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবে এই ভোট। এরপর রাত ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে তিন জনের নাম।
এখন পর্যন্ত সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া সহ-সভাপতি হতে পারেন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
বিসিবির পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ
ক্যাটাগরি - ১
ঢাকা বিভাগ- আমিনুল ইসলাম (১৫), নাজমুল আবেদীন ফাহিম (১৫)
চট্টগ্রাম বিভাগ- আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর
খুলনা বিভাগ- আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান
রাজশাহী বিভাগ- মুখলেসুর রহমান (৭)
রংপুর বিভাগ- হাসানুজ্জামান (৭)
সিলেট বিভাগ- রাহাত শামস
বরিশাল বিভাগ- শাখাওয়াত হোসেন
ক্যাটাগরি - ২
ইশতিয়াক সাদেক (৪২), আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), শানিয়ান তানিম (৪২), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৭), ফারুক আহমেদ (৪২), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১), ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)
ক্যাটাগরি - ৩
খালেদ মাসুদ পাইলট (৩৫)
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
এম ইসফাক আহসান, ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক
*ব্রাকেটে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পাকিস্তানের সিদরা আমিন। লেভেল-১ আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সতর্ক করা হয়েছে এই তারকা ব্যাটারকে। নামের পাশে যুক্ত করা হয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট।
আইসিসি জানিয়েছে, সিদরা আইসিসি প্লেয়ারস এবং প্লেয়ার সাপোর্ট পারসোনেলদের আচরণবিধির- ধারা ২.২ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই ধারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক, মাঠের সরঞ্জাম বা ফিক্সচার ও ফিটিংসের অপব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ঘটনাটি ঘটেছে রান তাড়ার সময় পাকিস্তানের ইনিংসের ৪০তম ওভারে, যখন সিদরা আউট হওয়ার পর রাগ করে তাঁর ব্যাটকে মাঠে জোরে আঘাত করেন। আউট হওয়ার আগে ১০৬ বলে ৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, সতর্কবার্তার পাশাপাশি সিদরার শৃঙ্খলাবিভাগে এক ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। এটি তাঁর গত ২৪ মাসের মধ্যে প্রথম অপরাধ। লেভেল ১ লঙ্ঘনের জন্য ন্যূনতম শাস্তি হলো অফিশিয়াল সতর্কবার্তা, সর্বোচ্চ শাস্তি হলো খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং এক বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
মাঠের আম্পায়ার লরেন এজেনবাগ ও নিমালি পেরেরা, থার্ড আম্পায়ার কেড়িন ক্লাস্টে এবং চতুর্থ আম্পায়ার কিম কটন অভিযোগটি করেছিলেন ম্যাচ রেফারিকে।
সিদরা নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। এমিরেটস আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেল অফ ম্যাচ রেফারি শ্যান্ড্রে ফ্রিৎসের প্রস্তাবিত শাস্তি গ্রহণ করেছেন, ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
সিদরা লড়াই একা করলেও ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান হেরে যায় ৮৮ রানে। আগামী পরশু কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবেন সিদরারা।
হারলে বা বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলে নিশ্চিত বিদায়। বিপরীতে শুধু জিতলেই চলবে না, মেলাতে হবে নেট রান রেটের সমীকরণ। বৃষ্টির চোখরাঙানি এড়িয়ে নানান নাটকীয়তা পেরিয়ে সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল রংপুর বিভাগ।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করল আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
সাত ম্যাচে মেট্রোর সমান ৭ পয়েন্ট এনসিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের। দুই দলই জিতেছে সমান ৩টি করে ম্যাচ। তাই বিবেচনায় আনা হয় নেট রান রেট। মেট্রোর (-০.০০১) চেয়ে এগিয়ে থাকায় পরের পর্বে উঠেছে রংপুর (+০.৪৪৫)।
রংপুরের প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ায় এখন জানা গেল প্লে-অফের চার দলের নাম। ছয় ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম। সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে খুলনা। আর ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ঢাকা।
বৃষ্টির শঙ্কা থাকা ম্যাচে টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯০ রান করে মেট্রো। এই টুর্নামেন্টে পুরো ২০ ওভার খেলে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। আগেরটিও মেট্রোর। গত বছর রংপুরের বিপক্ষেই ৯ উইকেটে ১০৭ রান করেছিল তারা।
পরে রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। তবে জিততে বেশি সময় লাগেনি। মাত্র ১১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেট রান রেটে মেট্রোকে পেছনে ফেলে দেয় তারা।
রংপুরের জয়ের নায়ক জাহিদ জাভেদ। প্রথমে ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। পরে ছয় নম্বরে নেমে ৩ চারে খেলেন ২২ বলে ২৬ রানের মহা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তাই তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
জাহিদ ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন রংপুরের অন্য দুই বাঁহাতি স্পিনার আবু হাশিম ও রাফিউজ্জামান রাফি।
মেট্রোর পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। মাত্র ৬৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর রকিবুল হাসান ১৪ ও শহিদুল ইসলাম অপরাজিত ১১ রান করে দলকে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান। তবে পরাজয় এড়াতে পারেনি মেট্রো।