২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
গত ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠন করে পরবর্তীতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারি হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমান সভাপতি জনাব আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির পরবর্তী মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হতে ইচ্ছা প্রকাশ করে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় যুবও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মোহাম্মদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থন নিয়ে বিসিবির নির্বাচনে নিজের পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। বিসিবির নির্বাচনে জেলাও বিভাগীয় কোটার ক্যাটাগরি-১ এ কাউন্সিলর মনোনয়নে যুবও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে পর্যন্ত সম্পৃক্ত করেছেন তাঁরা।
গত ১১ সেপ্টেম্বও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে জেলা বিভাগীয় কোটার কাউন্সিলর মনোনয়নের নির্দেশিকা দিয়ে বিসিবির নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপের জানান দিয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এই আদেশ বিসিবির বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। সে কারণেই জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের সভাপতি (পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার) মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ওই পরিপত্র আমলে আনেননি।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে সব কটি জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে গঠিত হয়েছে এডহক কমিটি, সেইসব এডহক কমিটির কাউন্সিলর মনোনয়নের এখতিয়ার না থাকায় পরীক্ষিত সংগঠকদের মনোনীত করে বিসিবির নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর করে তা বিসিবিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনাররা। বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলাও বিভাগ থেকে যে সব কাউন্সিলরদের মনোনীত করেছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, সেই সব কাউন্সিলরদের নাম বাতিল করে পুনরায় জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহকে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে দেয়া নির্দেশনামূলক চিঠিতে বিসিবি সভাপতি লিখেছেন-
‘ কাউন্সিলর মনোনয়ন ফরম ২০২৫ পূরণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক গঠিত বিভাগীয়/জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে প্রেরণের যে বাধ্যবাধকতা আছে, তা যথাযথভাবে অনুসরন করে প্রেরণ করা হয়নি, সে সব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাকে ইতোপূর্বে প্রেরিত ফরমটি বাতিল করে একটি নতুন ফরম সংযুক্ত করে প্রেরণ করা হয়েছে, যা যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।'
যুবও ক্রীড়া সচিবকে লেখা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের এই নির্দেশমূলক চিঠি এখতিয়ার বর্হিভুত। সে কারণেই বিসিবি সভাপতির এই চিঠিতে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে ক্রিকেট সংগঠকবৃন্দ। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের সকল জেলাও বিভাগ এবং ঢাকার সকল ক্রিকেট ক্লাবসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির অফিস ঘেরাও এবং আইনী পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া ইশরাক হোসেন-' বিসিবির নির্বাচনে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ডিসিদের যেভাবে হুকুম দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিসিবির নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে।'
বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেছেন-
'নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচন কেন্দ্রীক সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন থেকে আসার কথা, অন্য কারো পক্ষ থেকে আসার কথা নয়। ডিসিদের প্রতি আমাদের অনুরোধ অনৈতিক নির্দেশ পালন থেকে বিরত থাকুন। তা না হলে জেলাও বিভাগে আন্দোলন হবে, মানবন্ধন করা হবে।'
বিসিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বর্তমান সভাপতির হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সিসিডিএম থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সিসিডিএম-এর সহ সভাপতি মাসুদুজ্জামান।
এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশের লিজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, ইস্রাফিল খসরু। লিখিত বক্তব্যে বিসিবির সাবেক পরিচালক এবং জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হয়ে আসা আবদুল্লাহ আল ফূয়াদ রেদোয়ান। বিসিবির কাউন্সিলর মনোনয়ন এবং প্রেরণ গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণী বিষয় বলে গঠণতন্ত্রের ৯.১-এর ‘ক’ ও ‘খ’ অনুযায়ী কাউন্সিলর মনোনয়নের এখতিয়ার স্ব স্ব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে দেয়া বিসিবি সভাপতির চিঠি প্রত্যাহার করে ওই দিন পর্যন্ত জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির স্বাক্ষরে যেসব কাউন্সিলের নাম জমা পড়েছে, তাদেরকে বৈধ কাউন্সিলর হিসেবে ঘোষণা করে যে সব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সৃষ্ট জটিলতার জন্য কাউন্সিলরের নাম প্রেরণ করেনি, সেই সব জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহকে কাউন্সিলর মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে বিসিবি সভাপতির দেয়া চিঠির কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলার মামলার আভাস পাওয়া গেছে। সংবাদ সম্মেলনে আগত জেলাও বিভাগের সংগঠকদের মধ্যে ৪জন ( টাঙ্গাইলের এড. আলী ইমাম তপন, লক্ষীপুরের কামরুদ্দিন চৌধুরী কামরু, রাজবাড়ীর এ বি এম মুঞ্জুরুল আলম দুলাল এবং গোপালগঞ্জের জসিমউদ্দিন খসরু রোববার রীট মামলা ফাইল করেছেন।
বিসিবির ভোটকেন্দ্র সোনারগাঁ হোটেলে, নির্বাচন ২ দিন পিছিয়েছে
বিসিবির পরিচালকদের মতামত না নিয়ে একক সিদ্ধান্তে কাউন্সিলর প্রেরণের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় ৩ দিন বর্ধিত করায় নির্বাচনের তফসিলেও রদবদল আনতে বাধ্য হয়েছে বিসিবি। আগামী ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচনের দিনক্ষণ নতুন করে ধার্য করা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ বার বিসিবির নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো ভবন। বিসিবির সর্বশেষ সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আমলে অনুষ্ঠিত তিন মেয়াদে (২০১৩, ২০১৭ এবং ২০২১) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির প্রশাসনিক কার্যালয় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তবে এবার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বিসিবির প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে হোটেল সোনারগাঁয়ের বলরুমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ২ পরিচালকের নাম ঘোষণা করে বিরতি দিয়ে সভাপতি এবং ২ সহ-সভাপতি নির্বাচনের রেওয়াজ ছিল। তবে এই নিয়ম ভেঙ্গেছে বিসিবি এবার।
আশ্চর্য হলেও সত্য একই দিনে (৬ অক্টোবর) পরিচালনা পরিষদের ২৩টি পদে নির্বাচনের ফলাফল সন্ধ্যা ৬টায় ঘোষনার পর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সভাপতি এবং সহসভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি নির্বাচনের তফসিল একনজরে
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর
খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ: ২৩ সেপ্টেম্বর
আপত্তির ওপর শুনানি: ২৪ সেপ্টেম্বর
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র বিতরণ: ২৬ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র দাখিল: ২৮ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র বাছাই ও তালিকা প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর
আপিল গ্রহণ ও শুনানি: ৩০ সেপ্টেম্বর
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: ১ অক্টোবর
পোস্টাল ই-ব্যালট বিসিবির ওয়েবসাইটে আপলোড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে): ১ অক্টোবর
পোস্টাল ই-ব্যালট গ্রহণ: ৬ অক্টোবর ( সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা)।
নির্বাচন ও ফল প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ( সন্ধ্যা ৬টা )।
সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন : ৬ অক্টোবর ( সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট)।
সভাপতিও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনের ফল প্রকাশ : ৬ অক্টোবর ( সন্ধ্যা ৯টা)।
No posts available.
তৃতীয় ওভারের শেষ বল। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বাউন্ডারি মারলেন শুবমান গিল। পরে পঞ্চম ওভারের শেষ বল। এবার হারিস রউফের পুল করে চার মেরে দিলেন গিল। দুবারই বোলারের সঙ্গে যেন লেগে গেল নন স্ট্রাইকে থাকা অভিষেক শর্মার।
আর সেটি কিনা ভালো লাগেনি ভারতীয় ওপেনারের। তাই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মুখের কথার জবাব দিতে নিজের ব্যাটকেই সবচেয়ে বড় অস্ত্র বানিয়ে নিলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন সহজ জয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় মাত্র ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। তার টর্নেডোতেই উড়ে গেছে পাকিস্তান। ১৭২ রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন
অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান |
![]() |
সহজ জয়ে অভিষেকের হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ২১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৯৭.২১ স্ট্রাইক রেটে ৭০৮ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ঝড়ো ফিফটির ম্যাচেও তার স্ট্রাইক ১৮৯.৭৪!
তাই প্রেজেন্টেশনে জানতে চাওয়া হয়, এত বেশি স্ট্রাইক রেটে খেলার পেছনে রহস্য কী? উত্তরে পাকিস্তানের বোলার-ফিল্ডারদের অহেতুক বাকবিতণ্ডার কথা বলেন অভিষেক।
“আজকের জন্য বিষয়টা খুবই সিম্পল ছিল। তারা যেভাবে বিনা কারণে আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, আমার সেটি একদমই ভালো লাগেনি।”
“তাই আমার মনে হয়েছে, আমি আমার ব্যাট দিয়েই এসবের জবাব দিতে পারি। আর অবশ্যই ম্যাচটি জিতে (জবাব দিতে পারি)। শুধু এটিই ঘুরছিল আমার মাথায়। তাই দলের জন্য ভালো কিছু করতে চাচ্ছিলাম।”
আরও পড়ুন
ছক্কার ফিফটি করে অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কায় ওড়ান অভিষেক। সব মিলিয়ে চারটি ওভারে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন তিনি। ছোট্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে প্রায় ২৭ বার কোনো ওভারের প্রথম বল সীমানার বাইরে পাঠালেন তিনি।
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
ওভারের শুরুতে চড়াও হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলের পক্ষ থেকে পাওয়া স্বাধীনতার কথা বলেন অভিষেক।
“আমার মনে হয়, এটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন কাউকে এরকম খেলতে দেখবেন... এজন্য তার অবশ্যই অধিনায়ক ও কোচের সমর্থন দরকার। তারা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে।”
“এই ইন্টেন্টটা তারা প্রতি ম্যাচে দেখতে চায়। আমিও সেভাবেই অনুশীলন করি। যেন শুরুতেই মারতে পারি। আমি এভাবেই খেলব এবং দিনটি আমার হলে দলের জয় নিশ্চিত করব।”
সুযোগ পেয়েও প্রতিশোধ নিতে পারল না পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের মতো এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচেও ভারতের কাছে হারল তারা। অভিষেক শর্মার ঝড়ের সামনে কোনো জবাবই দিতে পারেনি সালমান আলি আগার দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। আগে ব্যাট করে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় এশিয়া কাপের আটবারের চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের এটি ১২তম জয়। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এ নিয়ে টানা ৬ ম্যাচ জিতল তারা।
আরও পড়ুন
নির্বাচিত হলে ক্রিকেট ছেড়ে দেবেন তামিম |
![]() |
ভারতের জয়ের নায়ক অভিষেক ৬ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেছেন ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এছাড়া শুবমান গিলের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪৭ রান।
রান তাড়ায় শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দেন অভিষেক। এরপর আর থামাথামি নেই। অভিষেকের সঙ্গে যোগ দেন শুবমান গিল।
দুজনের ঝড়ে পঞ্চম ওভারে পঞ্চাশ করে ফেলে ভারত। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান হয় তাদের সংগ্রহ।
আরও পড়ুন
ছক্কার ফিফটি করে অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
৪টি করে চার-ছক্কা মেরে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে ফেলেন অভিষেক। দশম ওভারে পূর্ণ হয় ভারতের একশ রান।
দশম ওভারের চতুর্থ বলের হঠাৎ দেওয়া হয় পানি পানের বিরতি। এরপর প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ৮ চারে ২৮ বলে ৪৭ রান করা গিল। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৯ বলে ১০৬ রানের ইনিংস।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি ভারতের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২০১২ সালে গৌতম গম্ভীর ও অজিঙ্কা রাহানে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন।
আরও পড়ুন
সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বেথেলের সিরিজ জয় |
![]() |
পরের ওভারে সূর্যকুমার যাদবকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন হারিস রউফ। তবু দলের ওপর চাপ আসতে দেননি অভিষেক। ফাহিমের ওভারে দুটি চার মারেন তিনি। পরের আবরার আহমেদের বল ওড়ান ছক্কায়।
ঠিক পরের বলে মারব কি ছাড়ব, দোটানায় পড়ে লং অনে ক্যাচ দেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। মাত্র ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা কমে ভারতের ঝড়। রানের চাহিদা খুব বেশি না থাকায় ঝুঁকিও নিতে হয়নি তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসনের।
তবু সহজে তেমন রান করতে পারেননি তারা দুজন। ২৫ রানের জুটি গড়তে ২৬ বল খেলেন তিলক ও স্যামসন। ১৭তম ওভারে রউফের বলে বোল্ড হন ১৭ বলে ১৩ রান করা স্যামসন।
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি তিলক ও হার্দিক পান্ডিয়া। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিলক। ৭ বলে ৭ রান করেন হার্দিক।
এর আগে ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের পূর্ণ সুবিধা পায় পাকিস্তান। ইনিংসে ৪টি ক্যাচ ছেড়ে দেন ভারতের ফিল্ডাররা। দুবার জীবন পেয়ে দলের সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন সাহিবজাদা ফারহান।
ভারতের পক্ষে বল হাতে সফল পার্ট টাইম মিডিয়াম পেসার শিবাম দুবে। ছয় নম্বরে বোলিংয়ে এসে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট দুইটি নেন তিনি।
পাকিস্তানের ইনিংসটি ভাগ করা যায় তিন ভাগে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফারহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করে তারা।
আরও পড়ুন
শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলেন ভারতীয় ওপেনার |
![]() |
এরপর ব্যাটারদের চেপে ধরেন দুবে ও কুলদিপ যাদব। পরের ৭ ওভারে মাত্র ৩৮ রান করতে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পরে শেষ ৩ ওভারে আবার ঝড় তুলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, সালমান আলি আগারা। শেষটা নিজেদের প্রত্যাশামাফিক করে ৩ ওভারে ৪২ রান নেয় সালমানের দল।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফারহানের ক্যাচ ছেড়ে দেন অভিষেক শর্মা। তখনও রানের খাতা খোলেননি ফারহান।
নিজের পরের ওভারে ফাখার জামানকে আউট করেন হার্দিক। উইকেটের পেছনে সাঞ্জু স্যামসনের ক্যাচটি নিয়ে সংশয় ছিল আম্পায়ারদের। রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার জানান, বলের নিচেই ছিল স্যামসনের আঙুল।
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টিতেও দুঃস্বপ্নের অভিষেক বেকারের |
![]() |
এরপর বরুণ চক্রবর্তীর বলে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ ছাড়েন কুলদিপ যাদব। ৪ রানে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ২১ রানে আউট হন আগের তিন ম্যাচে টানা শূন্য রানে ফেরাম সাইম।
অষ্টম ওভারে আবার জীবন পান ফারহান। বরুণের বলে ওয়াইড লং অনে আবার ক্যাচ নিতে পারেননি অভিষেক। এবার ৩২ রানে ছিলেন ফারহান। দুবার জীবন পেয়ে ৩৪ বলে ফিফটি করেন পাকিস্তান ওপেনার।
ফিফটির পর কমে যায় ফারহানের রানের গতি। শেষ ১১ বলে মাত্র ৮ রান করতে পারেন তিনি। দুবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ফারহান। এর আগে হুসাইন তালাতকেও আউট করেন ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
১৮তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভারে ১৭ রান খরচ করেন দুবে। পরের ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ইনিংসের চতুর্থ ক্যাচ ছেড়ে দেন শুবমান ফিল। এবার ৬ রানে জীবন পান ফাহিম আশরাফ।
আরও পড়ুন
সিরিজ জিততে বেথেল-বাটলারদের চাই ১৫৫ রান |
![]() |
পরে শেষ ওভারে একটি করে চার-ছক্কা হজম করে ১৪ রান দেন হার্দিক। ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফাহিম।
নিজের বাজে দিনে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেছেন বুমরাহ। তার ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় খরুচে বোলিং। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ রান দিয়েছিলেন বুমরাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭১/৫ (ফারহান ৫৮, ফাখার ১৫, সাইম ২১, তালাত ১০, নাওয়াজ ২১, সালমান ১৭*, ফাহিম ২০*; হার্দিক ৩-০-২৯-১, বুমরাহ ৪-০-৪৫-০, বরুণ ৪-০-২৫-০, কুলদিপ ৪-০-৩১-১, অক্ষর ১-০-৮-০, দুবে ৪-০-৩৩-২)
ভারত: ১৮.৫ ওভারে ১৭৪/৪ (অভিষেক ৭৪, গিল ৪৭, সূর্যকুমার ০, তিলক ৩০*, স্যামসন ১৩, হার্দিক ৭*; আফ্রিদি ৩.৫-০-৪০-০, সাইম ৩-০-৩৫-০, আবরার ৪-০-৪২-১, রউফ ৪-০-২৬-২, ফাহিম ৪-০-৩১-১)
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে তামিম ইকবাল। ৩৬ বছর বয়সী এই পোষ্টার বয় এখন চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট। বিপিএল এবং ডিপিএলে এখনও তার কদর অনেক। তার ক্যাপ্টেন্সিতে বিপিএলে ফরচুন বরিশাল পেয়েছে শিরোপা। ওল্ড ডিওএইচএস-এর কাউন্সিলর হয়ে এখন তামিম বিসিবির আসন্ন নির্বাচনী ময়দানে রাত-দিন কাটাচ্ছেন প্রচারণায়। অলিখিত ভাবে একটি প্যানেলকে দিচ্ছেন নেতৃত্ব। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এবং ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট সংগঠকদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে পরিচালক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচিত হলে ক্রিকেট ছেড়ে দিবেন বলেও আগাম ঘোষণা দিয়েছেন তামিম-
'আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সবাই জানে, যে আমি যদি বিসিবিতে নির্বাচিত হই, তাহলে আমি আর ক্রিকেট খেলব না। কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে আমি খেলতে পারব না। নির্বাচিত হলে ক্রিকেটের সাথে সম্পর্ক থাকবে না। তারপর যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে, তাই আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমি নির্বাচিত হলে, তাহলে এই দেশে ক্রিকেটের সাথে আমার কোনও সম্পৃক্ততা থাকবে না। তবে, যদি অন্য কোথাও কোনও চ্যারিটি ম্যাচ হয়, তাহলেও আমি তাতে অংশগ্রহণ করতে স্বাধীন।'
আরও পড়ুন
ছক্কার ফিফটি করে অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন। তার ইচ্ছায় নির্বাচনী তপশিলে বার বার পরিবর্তন এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন-
' আমি যদি ভুল করে না থাকি, তাহলে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর, সকল বিষয় অবশ্যই এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কাউন্সিলর মনোনয়নের সময়সীমা প্রথমে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং হঠাৎ করেই বিসিবির পরিচালকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি বার্তা আসে যে কাউন্সিলর প্রেরণের সময়সীমা বাড়ানো হবে, প্রথমে ১৯ সেপ্টেম্বর এবং তারপর ২২ সেপ্টেম্বর। প্রথম যখন কাউন্সিলর নাম প্রেরণের তারিখ পরিবর্তন করা হয়, তখন তিন-চারজন পরিচালকের কিছুটা সম্মতি ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন পিছিয়ে দেয়া হয়, তখন অন্য কারও সাথে পরামর্শ না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।'
আরও পড়ুন
সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বেথেলের সিরিজ জয় |
![]() |
জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষর নিয়ে পরীক্ষিত সংগঠকরা কাউন্সিলর ফরম জমা দেয়ার পরও কেনো তাদের ফরম বাতিল করে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণের চিঠি যুবও ক্রীড়া মন্ত্রানালয়কে দিলেন বিসিবি সভাপতি, তার সমালোচনা করেছেন তামিম-
' জেলা প্রশাসনের স্বাক্ষর সহ কাউন্সিলর মনোনয়ন জমা দেওয়ার রেওয়াজ আছে। এরকম অনেক রিসিভিং কপি আমাদের হাতে আছে। ঠিক এমন সময় কাউন্সিলর প্রেরনে সময়সীমা বাড়ানো হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর বিসিবি সভাপতি এ ধরণের চিঠি দেন কীভাবে ? গঠণতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিসিবি সভাপতি এই ধরনের কোনও চিঠিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে, তিনি স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। যদি তিনি নির্বাচন সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তাহলে তিনি কীভাবে এত বিস্তারিত নির্দেশনা দেন?'
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
যুবও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে নির্বাচনকেন্দ্রীক একটার পর একটা অগঠণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এমনটাই মনে করছে তামিম-
' বুলবুল ভাই কিছুদিন আগে বলেছেন, উপদেষ্টা চাইলে তিনি বিসিবিতে নির্বাচন করবেন। এই কথা বলে কিন্তু তিনি তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন।'
আইসিসি সরকারের হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধী, তা বুলবুলকে মনে করিয়ে দিতে চান তামিম-
'বিসিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আইসিসিতে কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে উনি অনেক ভাল জানেন। উনি যে বিসিবির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছেন, এ ব্যাপারে একজনও দ্বিমত পোষন করবেন না।'
শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম বলেই ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারলেন অভিষেক শর্মা। পরে চতুর্থ ওভারে আবরার আহমেদের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে পাঠালেন সীমানার ওপারে। একইসঙ্গে তিনি গড়ে ফেললেন বিশ্ব রেকর্ড।
আবরারের বলে মারা ছক্কাটি ছিল অভিষেকের ক্যারিয়ারের ৫০তম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২০ ইনিংস ব্যাটিং করে ৫০টি ছক্কা মারলেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার। এটিই দ্রুততম ৫০ ছক্কার রেকর্ড।
এই রেকর্ডে অবশ্য তার সঙ্গী আছেন এভিন লুইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ওপেনারও ক্যারিয়ারের ২০ ইনিংসেই ৫০টি ছক্কা মেরেছিলেন।
আরও পড়ুন
সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বেথেলের সিরিজ জয় |
![]() |
তবে বলের হিসেবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সবাইকে ছাড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন অভিষেক। ছক্কার ফিফটি করতে তার লেগেছে মাত্র ৩৩১ বল।
এত দিন রেকর্ডটি ছিল এভিন লুইসের। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৩৬৬ বলে মেরেছিলেন ৫০ ছক্কা। তালিকার পরের নামগুলো আন্দ্রে রাসেল (৪০৯), হযরতউল্লাহ জাজাই (৪৪৯০) ও সূর্যকুমার যাদব (৫১০)।
আর ইনিংসের হিসেবে অভিষেক ও গিলের পরে আছেন জাজাই (২), ক্রিস গেইল (২৫) ও সূর্যকুমার যাদব (২৯)।
ডাবলিনে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ১৫৫ রানের লক্ষ্য ১৭.১ ওভারে পৌঁছে অতিথিরা। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো ইংল্যান্ড। পাশাপাশি দেশটির সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতলেন জ্যাকব বেথেল।
শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে রান চাকা সচল করেন ফিল সল্ট ও জর্ডান কক্স। দু’জনে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে সল্ট ২৩ বলে ২৯ রান করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে টম ব্যান্টনকে নিয়ে ছোটেন কক্স। ৩১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বেঞ্জামিন হোয়াইটের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন কক্স। বাকি কাজটুকু সারেন টম ব্যান্টন। ২৬ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্যান্টন।
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও রস অ্যাডায়ার। পল স্টার্লিং ৭ রানে ফিরলে ভাঙে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৫২ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যাডায়ার। বাইশ গজ ছাড়ার আগে ডান হাতি এই ব্যাটার স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৩ বলে ৩৩ রান। এরপর হ্যারি ট্যাক্টর ২৭ বলে ২৮ রান করে ইনিংস টেনে লম্বা করেন । শেষদিকে গ্যারেথ ডিলানির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে (২৯ বলে ৪৮ রান) ১৫৪ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড।