২০ আগস্ট ২০২৫, ৯:৫৭ পিএম
মাঝে যেভাবে খবর বাতাসে ভাসছিল, তাতে আলেকজান্ডার ইসাকের নিউক্যাসল ইউনাইটেড ছাড়াটা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। তবে লিভারপুলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তাকে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভালো লাগেনি সুইডিশ স্ট্রাইকারের। ক্ষোভে বলেই দিলেন, কথা দিয়ে কথা না রাখায় তার পক্ষে নিউক্যাসলের সাথে আর সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
গত ১ আগস্ট ইসাকের জন্য লিভারপুলের দেওয়া ১১০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেয় নিউক্যাসল। তবে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার মনে করছেন, তাকে আগে দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী বড় ক্লাব থেকে উপযুক্ত প্রস্তাব এলে তাকে যেতে দেওয়ার শর্ত মানেনি ক্লাব। এই কারণেই চটেছেন তিনি।
সম্প্রতি পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন পিএফএ-এর পুরস্কার বিতরণীতে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে ইসাক ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন।
সেখানে তিনি লিখেন,
“অন্যরা যখন নিজের মতো করে মনগড়া কথা বলেছে, তখন অনেক দিন ধরেই আমি চুপচাপ ছিলাম। আমার সেই নীরবতাই তাদেরকে ভুল ব্যাখ্যা ছড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। বাস্তবতা হলো, ক্লাব অনেক আগে থেকেই আমার অবস্থান জানত এবং আমাকে কিছু প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। আর এখন তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। যখন প্রতিশ্রুতি ভেঙে যায় এবং বিশ্বাস হারিয়ে যায়, তখন সেই সম্পর্ক আর টিকিয়ে রাখা যায় না। আমি এখন সে জায়গাতেই পৌঁছে গেছি। আমার ঠিকানা পরিবর্তনই এখন সবার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।”
ইসাকের এই বক্তব্যের পর নিউক্যাসলও চুপ থাকেনি। তারাও একটি বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে তারা করেছে পাল্টা অভিযোগ।
“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অ্যালেক্স এখনো আমাদের সাথেই চুক্তিবদ্ধ এবং তাকে ক্লাব ছাড়ার প্রতিশ্রুতি কোনো ক্লাব কর্মকর্তার পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়নি। আমরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে চাই। তবে আমরা খেলোয়াড়দের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তাদের মতামতও শুনি। আমরা ইতোমধ্যেই অ্যালেক্স ও তার প্রতিনিধিদের জানিয়ে দিয়েছি যে, এই গ্রীষ্মে তাকে বিক্রির যে শর্ত প্রয়োজন, তা পূরণ হয়নি।”
২৫ বছর বয়সী ইসাককে ঘিরেই এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে সবচেয়ে বড় আলোচনার হচ্ছে। প্রথম প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর লিভারপুল আর নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়নি। উল্লেখ্য, দলবদলের উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। তার আগেই ইসাককে ঘিরে ত্রিমুখী পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
মৌসুমের শুরুতেই আক্রমণভাগের শক্তি কমল আর্সেনালের। জার্মান ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ হাঁটুর চোটে পড়েছেন, যা তাকে বেশ কিছুটা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে দিতে পারে বলেই খবর। আর ইএসপিএনের দাবি, দীর্ঘ সময়ের জন্যই অনুপস্থিত থাকতে হবে তাকে।
চোটের সাথে হাভার্টজের লড়াই নতুন নয়৷ এই বছরই মাঠে ফিরেছেন হ্যামস্ট্রিং চোট কাটিয়ে। তার এবারের চোট কতটা গুরুতর, তা এখনো নিশ্চিত নয়। বুধবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের অনুশীলনে অংশ নেননি তিনি, যা আভাস দেয় তার দীর্ঘমেয়াদী চোটের। ক্লাব সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, হাভার্টজের হাঁটুর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পরই চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন
নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশ্রুতি ভাঙার’ অভিযোগ ইসাকের |
![]() |
২৬ বছর বয়সী হাভার্টজ যদি শেষ পর্যন্ত লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যান, তাহলে সেটা আর্সেনালের জন্য বড় ধাক্কাই হতে পারে। কারণ, গাব্রিয়েল হেসুসকেও পাচ্ছে না তারা, যিনি জানুয়ারিতে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর থেকেই বাইরে আছেন।
সাথে হাভার্টজের চোটের ফলে এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ৬৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে যোগ দেওয়া ভিক্টর গিওকেরেসই আর্সেনালের একমাত্র স্বীকৃত সেন্টার ফরোয়ার্ড। যদিও লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড ও গাব্রিয়েল মার্তিনেলির এই পজিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে অনুশীলন ক্যাম্পে হাভার্টজ হ্যামস্ট্রিংয়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে কঠোর পুনর্বাসনের মাধ্যমে ফিরে আসেন। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে এই সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে তিনি শেষ ৩০ মিনিট মাঠে ছিলেন।
ভুটানে সহজ জয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। বুধবার থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছে অর্পিতা বিশ্বাসরা। জোড়া গোল করেছেন আলপি আক্তার। অন্য গোলটি করেছেন ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি।
ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের জয় পাওয়াটা এখন আর বড় কোনো ঘটনা নয়। জয়ের ব্যবধান কত, বরং তা নিয়েই হয় আলোচনা। গেল বছর সিনিয়র সাফের সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেন ঋতুপর্ণা চাকমারা।
আর এই বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দেখায় ৪-১ ব্যবধানে। পরের ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতেন মোসাম্মৎ সাগরিকা ও আফঈদা খন্দকাররা।
সিনিয়র সাফে দুটি শিরোপা আছে বাংলাদেশের। বয়সভিত্তিক সাফের সবকটি ক্যাটাগরিতেও আছে শিরোপা। তবে অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এখনও শিরোপা জিততে পারেনি লাল সবুজের মেয়েরা। যদিও বয়সভিত্তিকের এই আসরটি এর আগে একবারই হয়েছিল। সাফের এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা নিজেদের করে নেওয়ার লক্ষ্যে এবার শুরুটা দারুণ হলো মাহবুবুর রহমান লিটুর দলের।
তবে এদিন ম্যাচের শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল না বাংলাদেশের জন্য। রক্ষণে আধিপত্য বিস্তার করে স্বাগতিক দলের মেয়েরা। ম্যাচের চার মিনিটে ভুটানের কুয়েনদেন সোনামের আচমকা শট কোনোমতে ফেরান বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেঘলা রানী। ফিরতি বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য বেশি দেরি করেনি বাংলাদেশ। ১১ মিনিটে মোমিতার শট ভুটানের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে আলপি আক্তারের শট ঠেকান ভুটানের গোলরক্ষক কেলজাং ওয়াংমো।
২০ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি বক্সের কাছাকাছি পেয়ে যান প্রীতি। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি তিনি। প্রতি আক্রমণে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে ভুটান।
আরও পড়ুন
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি জাম্পার |
![]() |
ভুটানি এক ফরোয়ার্ডের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে আটকান মেঘলা রানী। ৩৪ মিনিটে বাংলাদেশকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করে ভুটান। মামনি চাকমার কর্নার থেকে হেড করেন আলপি আক্তার। তবে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করা হয়।
প্রথমার্ধের যোগ করার সময়ের দুই মিনিটের মাথায় ডেডলক ভাঙ্গেন প্রীতি। আলপি আক্তারের উচু করে বাড়ানো বল পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক এবং ভুটানের দুই ফুটবলার এগিয়ে আসলেও জটলার মধ্য থেকে হেডে বল জালে জড়ান প্রীতি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতীতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর ৫৪ মিনিটে বুলেট গতির শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আলপি আক্তার। গোলে অ্যাসিস্ট করেন ফাতেমা আক্তার। তার ডিফেন্স-চেড়া পাস থেকে বল নিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ভুটানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলপি।
৫৯ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন প্রীতি। ৬১ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় ভুটান। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে শট নেন ভুটানের কুয়েনদেন সোনাম। তবে সেই শট ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেঘলা। শট ফিরিয়ে দিলেও বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। ফিরতি বলে রিনজিন দেমা ছোদেন গোল করে ব্যবধান কমান।
৬৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন আলপি আক্তার। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল জটলা থেকে আলতো টোকায় জালে জড়ান আলপি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দিনের অপর ম্যাচে নেপালকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা।
২০ আগস্ট ২০২৫, ৮:৩৫ পিএম
ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফাবিও ফুটবল ইতিহাসে নিজের নাম লিখেছেন নতুন উচ্চতায়। গড়েছেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড, এমনটাই দাবি তার ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের।
গত মঙ্গলবার কোপা সুদামেরিকানায় আমেরিকা দে কালি-এর বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন ফাবিও। এটি ছিল অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষকের ক্যারিয়ারের ১ হাজার ৩৯১তম ম্যাচ।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড অনুযায়ী, ফাবিও পেছনে ফেলেছেন সাবেক ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে (১ হাজার ৩৯০ ম্যাচ)। যদিও শিলটন নিজে দাবি করেন যে, তিনি ১ হাজার ৩৮৭টি ম্যাচ খেলেছেন।
রেকর্ড গড়ায় ৪৪ বছর বয়সী ফাবিওকে ম্যাচ শেষে ক্লাবের পক্ষ থেকে স্মারক ফলক ও চিত্রকর্ম উপহার দেওয়া হয়। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি সব সময় চেষ্টা করি প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে। আজকের দিনটির জন্য আমার পরিবার, বন্ধু, স্ত্রী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ঈশ্বরের সাহায্য ছাড়া এসবের কিছুই সম্ভব হতো না।"
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ২৭টি শিরোপাজয়ী ফাবিও ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পেলেও কখনই জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। চলতি বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি ফ্লুমিনেন্সের হয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার বয়স হবে ৪৫ বছর।
ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় ফাবিও ও শিলটনের পর তালিকায় আছেন যথাক্রমে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (১ হাজার ২৮৭), পল বাসটক (১ হাজার ২৮৪) ও রজেরিও সেনি (১ হাজার ২২৬)। এদের মধ্যে ফাবিও বাদে শুধুমাত্র রোনালদোই এই তালিকার একমাত্র সদস্য যিনি খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও।
২০ আগস্ট ২০২৫, ৭:০৮ পিএম
প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম হটস্পার গ্রীষ্মের শুরুতেই নিজেদের নতুন হোম কিট উন্মোচন করেছে। চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি তো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেই নতুন জার্সি পরে মাঠে নেমে গেছে।
আগের মৌসুমগুলোর মতো এবারও কিটের নকশায় এসেছে বিচিত্র সব অনুপ্রেরণা থেকে— স্টেডিয়াম, শপিং মল, ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্য থেকে শুরু করে ব্রিটেনের বড় বড় নদীপথ পর্যন্ত! যদিও কিছু দল এখনও সব কিট উন্মোচন করেনি। এরই মধ্যে যা সামনে এসেছে, সেগুলোর র্যাঙ্কিং করেছে ক্রীড়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন।
দারুণ ব্যাপার হলো, ৫৩টি কিট র্যাঙ্কিং করেছে ইএসপিএন, সবাইকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছে আর্সেনালের থার্ড কিট। এখন পর্যন্ত সবার শেষে ম্যানচেস্টার সিটির থার্ড কিটটি।
আর্সেনালের থার্ড কিটই কেন সেরা?
গানারদের কিটের পৃষ্ঠপোষক খেলাধুলা সামগ্রীর বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। ইতিহাস আর আবেগের সংযোগ– কিটটা বানানো হয়েছে হাইবারিতে খেলা শেষ মৌসুমের ২০ বছর পূর্তি স্মরণে। হাইবারি শুধু একটা মাঠ না, আর্সেনাল ভক্তদের আবেগের প্রতীক। তাই জার্সিটা সঙ্গে সঙ্গে নস্টালজিয়া জাগায়।
ডিজাইনে অনন্যতা– এখানে শুধু রঙ নয়, হাইবারির আর্ট ডেকো নকশা ও স্থাপত্য ফুটে উঠেছে। কিটের জ্যামিতিক প্যাটার্নগুলো ইস্ট স্ট্যান্ডের ফ্যাসাদ থেকে নেওয়া। এ রকম ঐতিহ্যভিত্তিক নকশা অন্য ক্লাবগুলোতে সচরাচর দেখা যায় না।
রঙের শৈল্পিক ব্যবহার– অফ-হোয়াইট আর গাঢ় লালের সমন্বয়টা একদিকে আভিজাত্যপূর্ণ, অন্যদিকে আলাদা। মার্বেল হল আর ভেন্যুর অভ্যন্তরীণ সজ্জার প্রতিফলন এটাকে আরও আলাদা করে তোলে।
বিলাসবহুল ফ্যাব্রিক ও প্যাটার্ন– শুধু দেখতে সুন্দর না, কাপড়ের বুননেও ভিক্টোরিয়ান যুগের ছোঁয়া রয়েছে। ফলে জার্সিটা মাঠে এবং বাইরে দু’জায়গায় পরার মতো। এমন কিট সেরা না তকমা না পেলে প্রশ্নেই তো থেকে যাবে!
২ নম্বরে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের থার্ড কিট
নিউক্যাসেলের এই কিটের বিশেষত্বগুলো হলো নস্টালজিয়া ইফেক্ট– ক্লাবের ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের কাল্ট অ্যাওয়ে কিটের রঙ ও ডিজাইনকে আধুনিকভাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে, যা বিশেষ করে সেই সময়ের সমর্থকদের মনে পুরনো স্মৃতি জাগায়।
রঙের কম্বিনেশন– ডার্ক ব্লু, সবুজ এবং সোনালি রঙের অনন্য মিশ্রণ কিটটিকে দৃষ্টিনন্দন ও স্বতন্ত্র করেছে।
রেট্রো ট্রিফয়েল লোগো– কিটের লোগোটি রেট্রো স্টাইলের, যা সামান্য আভিজাত্য এবং পুরনো ক্লাসিক ফিল যোগ করেছে।
সাবধানী আধুনিকীকরণ– আসল কিটের কিছু বিশদ যেমন পাশের স্ট্রাইপিং বা বিশাল সীহর্স গ্রাফিক বাদ দেওয়া হলেও, কিটটি এখনো ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক ফ্যাশনকে সুন্দরভাবে মেলাতে সক্ষম। সংক্ষেপে এটি পুরনো ক্লাসিকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং সমসাময়িক আধুনিকতা একসঙ্গে নিয়ে আসা কিট।
৩ নম্বরে এভারটনের হোম কিট
নতুন স্টেডিয়াম থেকে অনুপ্রাণনা– জার্সিটি হিল ডিকিনসন স্টেডিয়ামের জন্য তৈরি, যা আগামী মৌসুমে এভারটনের নতুন ৫২ হাজার আসনবিশিষ্ট নিজেদের স্টেডিয়াম।
রয়্যাল ব্লুর নকশায় অভিনবত্ব– ঐতিহ্যবাহী রঙের মধ্যে এই জার্সিতে আলাদা সর্বত্র-ছড়ানো নকশা ব্যবহার করা হয়েছে, যা সাধারণ এভারটন হোম জার্সিতে কম দেখা যায়।
জলের প্রতিনিধিত্ব– তরঙ্গের আকৃতির ডিজাইনটি নতুন স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত রিভার মার্সিকে চিত্রিত করে, যা স্থানীয় পরিবেশ এবং ক্লাবের নতুন ঘরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
সহজ কিন্তু অর্থবহ নকশা– জার্সিটি জটিল নয়, তবে প্রতিটি ডিজাইন উপাদান অর্থবহ ও গল্পবহুল, যা জার্সিকে শুধুমাত্র দেখার জন্য নয়, বরং অনুভব করার জন্যও বিশেষ করে তোলে।
এটি নতুন স্টেডিয়ামের প্রতি শ্রদ্ধা, স্থানীয় পরিচয় ও অভিনব ডিজাইন একসঙ্গে তুলে ধরেছে।
নিউক্যাসলের হোম কিটটি জায়গা করেছে ৪ নম্বরে। ৫ নম্বরে সান্ডারল্যান্ডের থার্ড কিট। ৬ নম্বরে আর্সেনালের হোম, ৭ নম্বরে নটিংহ্যাম ফরেস্টের অ্যাওয়ে, ৮ নম্বরে ম্যানসিটির অ্যাওয়ে, ৯ নম্বরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হোম, ১০ নম্বরে বার্নলির হোম জার্সি।
মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ৪ জনের অভিষেক করিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ওসাসুনার বিপক্ষে ফল পেতেও সমস্যা হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবের। নতুনরা গোল-অ্যাসিস্ট না পেলেও, তাদের পারফরম্যান্সে বেশ খুশি ক্লাবের কোচ জাভি আলোনসো।
নতুন করে দলে যোগ দেওয়া তিন ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, ডিন হুইসেন ও আলভারো কারেরাসকে শুরুর একাদশেই রাখেন আলোনসো। আর দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনোকে।
ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টি থেকে করা গোলে ১-০ গোলে জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তাদের দাপট ছিল আরও বেশি। বিভিন্ন ফুটবল ওয়েবসাইটের বিচারে, দলের নতুন চার ফুটবলারই পান সন্তোষজনক রেটিং।
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গেই অবসর নিতে চান সুয়ারেজ |
![]() |
পরে ম্যাচ শেষে আলোনসোও বলেন নিজের সন্তুষ্টির কথা।
“আমার মনে হয় না, বার্নাব্যুতে (রিয়ালের) শার্টের ওজন তাদের পারফরম্যান্সে কোনো (নেতিবাচক) প্রভাব ফেলেছে। তারা চার জনেই ভালো খেলেছে হয়তো দুর্দান্ত কিছু করেনি। তবে তারা নিখুঁত ছিল। কোনো ভুল করেনি এবং নার্ভাসও ছিল না দলের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।”
ক্লাবের অন্যান্য ফুটবলারদের সঙ্গে নতুন ৪ জনের সমন্বয় খুব ভালো হয়েছে বললেন আলোনসো।
“যারা (৩ জন) শুরু থেকে খেলেছে এবং দ্বিতীয়ার্ধে নামা মাস্তানতুনো দলের মধ্যে একটা এনার্জি যোগ করেছে। আগের থেকেই ক্লাবে থাকা ফুটবলারদের সঙ্গে তাদের সমন্বয়টা দারুণ। প্রথম ম্যাচ হিসেবে আমি অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি।”