ফর্ম যেমনই হোক, মাস দুয়েক আগেও ইংল্যান্ড সফরে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির খেলা নিয়ে ছিল না সংশয়। তবে আচমকাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম জন। সেই ধাক্কার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটে জোর গুঞ্জন, একই পথে হাঁটতে চান কোহলিও। যদিও প্রাথমিকভাবে এতে সম্মতি নেই বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই)।
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের হাইভোল্টেজ পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, যা হবে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অংশ। ইএসপিএনের খবর অনুযায়ী, গত এপ্রিলেই নাকি বোর্ডকে এই নিজের এই সিরিজে না খেলা এবং লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন কোহলি।
ইএসপিএন জানিয়েছে, গত এক মাস ধরে কোহলি এই বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআই কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিতভাবে আলোচনা করে যাচ্ছেন। এটি দীর্ঘ হওয়ার কারণ, অন্তত ইংল্যান্ড সফরে সাবেক অধিনায়ককে দলে চাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
শেষ পর্যন্ত যদি কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তাহলে ইতি ঘটবে ১৪ বছরের এক গৌরবময় টেস্ট ক্যারিয়ারের, যেখানে তিনি ১২৩টি টেস্টে ৪৬.৮৫ গড়ে করেছেন ৯ হাজার ২৩০ রান। এর মধ্যে অধিনায়কত্ব করেছেন ৬৮টি ম্যাচে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ২০২০ সালের পর থেকে এই ফরম্যাটে তার গড় চল্লিশের নিচে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে সেঞ্চুরির পর টেস্টে পরবর্তী শতকের দেখা পেতে সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত।
২০২০ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে কোহলি তিন ফরম্যাটেই রানের জন্য বেশ ভুগেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি তার রান খরা যাচ্ছে টেস্টেই। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ২৫৪ রানের ইনিংসের সময় তার গড় ছিল ৫৫.১০। অথচ গত ২৪ মাসে ডানহাতি এই ব্যাটারের গড় ছিল কেবল ৩২.৫৬! অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারতের শেষ সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করলেও বাকি ইনিংসগুলোতে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে।
ভারতের বর্তমান টেস্ট দলে ইংল্যান্ডের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কোহলির। এই কারণেই সেরা ছন্দে না থাকলেও ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা মনে করেন, ইংল্যান্ড সফরে কোহলির অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে যখন তাদের খেলতে হবে নতুন একজন অধিনায়কের অধীনে।
টেস্টে কোহলির অন্যতম সেরা সাফল্য ছিল ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে। সে বছর পাঁচ টেস্টের সিরিজে তিনি ছিলেন দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানস্কোরার (৫৮৩ রান)।
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ৬৮ ম্যাচের মধ্যে কোহলি জয় পান ৪০টি ম্যাচে, আর ছিল ১৭টিতে। এই রেকর্ডে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক তিনিই। পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে মাহেন্দ্রা সিং ধোনি (৬০ ম্যাচে ২৭ জয়) এবং সৌরভ গাঙ্গুলি (৪৯ ম্যাচে ২১ জয়)।
No posts available.
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
স্রেফ উড়িয়ে দেওয়া যাকে বলে। এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা হলো চ্যাম্পিয়নের মতোই। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করার পর, রাত তাড়াতেও বিশ্বরেকর্ডই করলো ভারত। ৫৮ রান তাড়া করতে ভারত খেলেছে মাত্র ২৭টি ডেলিভারি, হারিয়েছে একটি উইকেট।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে বলের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় পেল ভারত। ২০২৪ সালে ওমানের বিপক্ষে ১০১ বল হাতে রেখে জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর কুড়ি ওভারে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জিতল তারা। আমিরাতের ৫৮ রান তাড়ায় ৯৩ বল হাতে রেখে জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৮১ হাতে থাকতে জিতেছিল ভারত।
আরও পড়ুন
একেই বলে পেশাদার দল |
![]() |
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ছয় মেরে ইনিংস সূচনা করলেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে শুবমান গিল ৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে দুবাইয়ে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম ওভারেই ৮ রান তুলে নেন আলিশান শারাফু। পরের দুই ওভারে আরো ১৫ রান যোগ করে আমিরাত। ধসের শুরুটা হয় চতুর্থ ওভারে। ১৭ বলে ২২ রান করা শরাফুর স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন বুমরাহ। আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই।
এরপর বাকি ব্যাটারা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই। আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের (১৯ বলে ২২) ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আর বাকি কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ২.১ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন কুলদিব যাদব। আর ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন দুবে।
আগামী রোববার ভারতের পরের ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে।
চার মাস আগে সারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে জয়ে কী উৎসবই না করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মাত্র ক'দিন আগে নিজেদের মাঠে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ৪টি ম্যাচেই দারুণ লড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অথচ, যে-ই না প্রতিপক্ষ ভারত, সেই ছিন্ন ভিন্ন হতে হলো পেট্রো ডলারের এই দেশের ক্রিকেট দলকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড দুটিই ৯ উইকেটে। ৯ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মিরপুরে ৮২ রান তাড়া করে ভারত ৯ উইকেটে জিতেছে ৫৯ বল হাতে রেখে। আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বুধবার রাতের জয়টিও সেই একই ব্যবধানে। তবে ৫৮ রান তাড়া করে এই ব্যবধানে জিতেছে ভারত ৯৩ বল হাতে রেখে।
প্রতিপক্ষ পুঁচকে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে তাই বলে কিন্তু বিন্দুমাত্র হালকা মেজাজে খেলেনি ভারত। পুরোপুরি পেশাদার দলের মতোই নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে খেলে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ রাউন্ডে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই নেট রান রেটকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের কাজটা এগিয়ে রেখেছে ভারত।
আরও পড়ুন
কুলদিব-দুবের তোপে সর্বনিম্ন রানের বিব্রতকর রেকর্ড আমিরাতের |
![]() |
টসে জিতে আবুধাবির উইকেটে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫৭ রানে ইনিংস গুড়িয়ে দেয়ার নায়ক চায়নাম্যান বোলার কুলদ্বীপ যাদব, পেসার শিবাম দুবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে নিজের অভিষেককে স্মরনীয় করে রেখেছেন এই দুই বোলার। চায়নাম্যান কুলদ্বীপ যাদব ১৩ বলের এক স্পেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যাটারদের গোলক ধাঁধায় ফেলে পেয়েছেন ৪ উইকেট (২.১-০-৭-৪)। পেসার শিবাম দুবে ১২ বলের স্পেলে পেয়েছেন ৩ উইকেট (২-০-৪-৩)।
৭৯ বল স্থায়ীত্ব পাওয়া ইনিংসে ৫২টি ডট করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৬টি চার-এর পাশে একটি মাত্র ছক্কা মারতে পেরেছে তারা। অথচ কী জানেন, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে স্বাগতিক দলটির স্কোর ছিল ৪১/২। ২২ বলে ২৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভেঙ্গে যাওয়ায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়েছে তাদের ইনিংস। ৩১ রানে হারিয়েছে তারা ১০ উইকেট! দুই ওপেনার আলিশান শরাফু (১৭ বলে ২২) এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম (২২ বলে ১৯) ছাড়া অবশিষ্ট ৯ ব্যাটারের কেউ ডাবল ফিগারের দেখা পাননি। এই ৯ জনের মধ্যে ৩ জন ১-এ থেমেছেন, ৪ জন ফিরে গেছেন ২ রান করে!
আরও পড়ুন
অভিজ্ঞ পেসারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দল |
![]() |
৫৮ রানের টার্গেট পেয়েও ধীরে-সুস্থে ব্যাটিংয়ের পক্ষে নন অভিষেক শর্মা-শুভমন গিল। ইনিংসের প্রথম বলে হায়দার আলীকে মিড অফের উপর দিয়ে ছক্কায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রোহিত শর্মার আদর্শ রিপ্লেশমেন্ট। জুনায়েদের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দেয়ার আগে ১৮৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় করেছেন ৩০। শুভমন গিল ৯ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২০ রানের হার না মানা ইনিংসে অভিষেককে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যে মহাদেশীয় টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মিশনে এসেছে, প্রথম ম্যাচেই জানিয়ে দিয়েছে তা সূর্যকুমারের দল।
এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো দারুণ শুরুরই আভাস দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩.৪ ওভারে ২৬ রান করে স্বাগতিকরা। তবে জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আমিরাতের ইনিংস। কুলদিব যাদব ও শিবাম দুবের ঘূর্নিতে দিশেহারা হয়ে ১৩.১ ওভারে ৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
টি-২০ তে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডেই লিখল আমিরাত। এর আগে দুবাইতেই ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ রানে অলআউট হয় তারা। কুড়ি ওভারে ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের এটি সর্বনিম্ন ইনিংস। এছাড়া এশিয়া কাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের বিব্রতকর রেকর্ডেও জায়গা হলো মধ্য প্রাচ্যের দেশটির। ২০২২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হংকংয়ের ৩৮ রান টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন
অবসরের সময় জানালেন ওতামেন্ডি |
![]() |
দুবাইয়ে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম ওভারেই ৮ রান তুলে নেন আলিশান শারাফু। পরের দুই ওভারে আরো ১৫ রান যোগ করে আমিরাত। ধসের শুরুটা হয় চতুর্থ ওভারে। ১৭ বলে ২২ রান করা শরাফুর স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন বুমরাহ। আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই।
এরপর বাকি ব্যাটারা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই। আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের (১৯ বলে ২২) ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আর বাকি কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ২.১ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন কুলদিব যাদব। আর ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন দুবে।
চোট কাটিয়ে প্রায় এক বছর পর সরাসরি বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন উদেশিকা প্রবোধানি। তাকে নিয়েই সামনের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।
ঘরের মাঠে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দল থেকে বাদ পড়া ব্যাটার ইমেশা দুলানিকেও ফেরানো হয়েছে দলে। তবে বাদ পড়েছেন রাশ্মিকা সেভান্দি, মানুদি নানিয়াক্কারা, হানশিমা করুনারত্নে ও ইনোশি ফার্নান্দো।
গত বছরের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন প্রবোধানি। ফিরে ফিরে আসা হ্যামস্ট্রিং চোট কাটিয়ে প্রায় এক বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ দিয়েই আবার মাঠে নামবেন ৩৯ বছর বয়সী বাঁহাতি এই অভিজ্ঞ পেসার।
আরও পড়ুন
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে দুই ‘জুজু’ |
![]() |
প্রবোধানির সঙ্গে পেস বিভাগে আরও থাকছেন ৩৫ বছর বয়সী আচিনি কুলাসুরিয়া ও ২৪ বছর বয়সী মালকি মাদারা। নানিয়াক্কারার জায়গায় স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া দুলানি মূলত ব্যাক-আপ হিসেবে থাকবেন দলের সঙ্গে।
ব্যাটিং বিভাগে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর সঙ্গে আছেন হাসিনি পেরেরা, বিশ্মি গুনারত্নে, হার্শিতা সামারাবিক্রমা, কাভিশা দিলহারি, নিলাক্ষী ডি সিলভা, পিউমি বাদালগে ও আনুশকা সাঞ্জিভানি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বিশ্বকাপের নতুন আসর। গুয়াহাটিতে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের সঙ্গে খেলবে তারা। এরপর চারটি ম্যাচ কলম্বোতে খেলবে লঙ্কানরা। পরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে মুম্বাই যাবে তারা।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই: অশ্বিন |
![]() |
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে আবার কলম্বোয় ফিরবে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড
চামারি আতাপাত্তু (অধিনায়ক), হার্শিতা সামারাবিক্রমা, বিশ্মি গুনারত্নে, নিলাক্ষী সিলভা, কাভিশা দিলহারি, আনুশকা সাঞ্জিভানি (উইকেটরক্ষক), ইমেশা দুলানি, হাসিনি পেরেরা, আচিনি কুলাসুরিয়া, পিউমি বাদালগে, ডেওমি ভিহাঙ্গা, মালকি মাদারা, উদেশিকা প্রবোধানি, সুগান্ধিকা কুমারি, ইনোকা রানাভিরা।
ট্রফি উঁচিয়ে ধরার বড় স্বপ্ন নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ দল। সেই মিশনে বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিপক্ষ হংকং। আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় দিয়েই আসর শুরুর প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের। তবে অতীত রেকর্ড মাথায় রাখলে, ম্যাচটি মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। এর পেছনে রয়েছে দুইটি জুজু- প্রথমত হংকং আর দ্বিতীয়টি আবু ধাবির মাঠ।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই: অশ্বিন |
![]() |
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত হংকংয়ের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য খেলেছেও শুধু একটি ম্যাচ। তবে সেটিও আবার নিজেদের ঘরের মাঠে। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল হংকং।
চট্টগ্রামে হওয়া ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৮ রানে অল আউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। অল্প পুঁজি নিয়েও অবশ্য বোলাররা লড়াই করেন। তবে মুনির দারের ২৭ বলে ৩৬ রানের সৌজন্যে ২ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় পায় হংকং।
ওই ম্যাচের প্রায় ১১ বছর পর আবার হংকংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি হংকং। আর টানা তিন সিরিজ জিতে দারুণ ছন্দে আছে বাংলাদেশ। তাই ম্যাচটিতে পরিষ্কার ফেবারিট লিটন কুমার দাসেরই দল।
আরও পড়ুন
‘রান স্কোরিং ওয়ার্কশপে’ সমস্যা সমাধানে জোর রেনশ-রসের |
![]() |
তবে সেই জয়টি পেতে আবু ধাবি জুজুও কাটাতে হবে বাংলাদেশের। কারণ জায়েদ স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত জয়ের রেকর্ড নেই তাদের। ২০২১ সালে ওই মাঠে দুই টি-টোয়েন্টি খেলে ন্যুনতম লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
জায়েদ স্টেডিয়ামে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। পরে তাদেরকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ম্যাচের একটিতেও ব্যাটে-বলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
ইংলিশদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৪ রান করে তারা। দলের সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম। সেটিও কিনা ৩০ বল খেলে। আর কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। পরে ১৪.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন
ফর্মে সই নিয়ে ফিক্সিং বন্ধের উপায় খুঁজবেন বুলবুল |
![]() |
আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চূড়ান্ত ভরাডুবির সামনে পড়ে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্কিয়ার গতির ঝড়ে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। আট নম্বরে নামা শেখ মেহেদি হাসান ২৭ রান করে দলকে পঞ্চাশের আগে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান।
চার বছর পর এবার অবশ্য প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল। তাই দুই জুজু কাটিয়ে উঠতে পারলেই জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম জয়ের পাশাপাশি হংকংকে প্রথমবার হারানোর কীর্তি গড়তে পারবে বাংলাদেশ।