‘সিদ্ধান্তটি নেবে বাফুফে।’
‘আমার তরফ থেকে ছোট একটি গিফট থাকবে। সেটি আপনাদের জানানো হবে না। আমি চার তলায় (বাফুফে ভবনের) গিয়ে ওদের হাতে দিয়ে আসব।’
‘এখান থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয় আমাদের পাইপ লাইন অনেক শক্ত। যে কারণে যে বছর আমরা সিনিয়র দল কোয়ালিফাই করল, একই বছর বয়সভিত্তিক দলও কোয়ালিফাই করল। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’
‘পূর্ব এশিয়া থেকে বেশি দল এসেছে। দ্বিতীয়তে আছে দক্ষিণ এশিয়া। সে জন্য সাফের একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। তাদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে কারণে আমরা অনেক ম্যাচ খেলতে পারি। ভারত-বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করেছে, সেটা সাফেরই অবদান।’
No posts available.
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২:৫৩ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম

বাংলাদেশ ফুটবলে এখন উন্নতির জোয়ার। হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমের আগমনে বেড়েছে দলের আত্মবিশ্বাস। যার ছাপ স্পষ্ট সাম্প্রতিক মাঠের পারফরম্যান্সেও। বাংলাদেশ ফুটবলের অগ্রগতি স্বীকার করে নিলেন ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে আজ তিনি জানালেন, আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ দল। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে দারুণ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় তিনি।
২০১০ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসে ঢাকায় খেলেছেন সান্ধু। বাংলাদেশ দলের উন্নতির বিষয়ে এই গোলকিপার বলেন, ‘এখানে খেলা সবসময়ই কঠিন। বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নতি করেছে, অবকাঠামোও ভালো।’
মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছায় ভারতীয় দল। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তেজনা কমতি নেই।
সান্ধু জানালেন, দুই দেশের ম্যাচ সবসময়ই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, ‘প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশ সবসময়ই আমাদের বিপক্ষে ভালো করতে চায়। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ সবসময়ই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ম্যাচটা সুন্দর নাও হতে পারে, অগোছালোও হতে পারে। কিন্তু মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ভারত ম্যাচের চারদিন আগে নেপালের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। গত মার্চে শিলংয়ে এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
ভারতের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান এবার আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে, ‘আমাদের লক্ষ্য সেরাটা দেওয়া। কোচের ফর্মুলা মাথায় রেখে খেলতে পারলে ফল পক্ষে আসবে। এবার জিততে চাই।’
২০১৫ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দল এবং পরে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে ঢাকায় খেলেছেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। বাংলাদেশের পরিবেশ ও দর্শকদের প্রশংসা করে এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘বাংলাদেশের দর্শকরা ফুটবল ভালোবাসে। জাতীয় স্টেডিয়ামে খেললে চাপ থাকে, তবে পরিবেশ দারুণ।’
গতকাল ঢাকায় পৌঁছায় ২৩ সদস্যের ভারতীয় দল। বাংলাদেশের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ ঝিঙ্গান বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে। খেলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে, এই ম্যাচও তেমন হবে আশা করি।’
আজ হালকা অ্যাক্টিভেশন সেশন আর বিকেলে ট্রেনিং করেছে ভারত। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে অফিসিয়াল ট্রেনিংয়ে অংশ নিবে ভারত।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। ড্রাগাও স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এ ম্যাচে জয় কিংবা ড্র করলেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করবে রবার্তো মার্টিনেজের দল। হারলে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড জয় পেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে যাবে আইরিশরা। তাতে প্লে–অফের বাধা উতরে বিশ্বকাপ খেলতে হবে পর্তুগালকে।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রোনালদোকে পাচ্ছে না পর্তুগাল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা–মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের শুরুতে কয়েকটি ম্যাচেও হয়তো ‘সিআর সেভেন’কে ছাড়াই মাঠে নামতে হতে পারে পর্তুগালকে। প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে কনুই দিয়ে আঘাত করে দলকে বিপদেই ফেলেছেন তিনি।
ম্যাচের আগে দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সিআর সেভেন লিখেছেন—
“চলো দল! আজ এবং সব সময় আমরা একসাথে থাকব—পর্তুগাল ও আমাদের পতাকার জন্য!”
আর্মেনিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে পর্তুগালের মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ বলেন, রোনালদো নিজের ভুল বুঝতে পারছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বলেন—
‘ম্যাচের উত্তাপ, মুহূর্তের আবেগ, ভালো ফল না পাওয়ার হতাশা—ফুটবলে এমন ঘটনা ঘটেই। এমন এক মুহূর্তে ক্রিস (রোনালদো) এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, যা তার জন্য বিপদ ডেকে আনে। অবশ্যই, সে জানে এটা সে করতে চায়নি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে। সে জানে সে ভুল করেছে, এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে, রোববার আমাদের সাহায্য করতে পারবে না।’

১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার দ্বারপ্রান্তে নরওয়ে। তাদের জন্য কাজটা এতটাই সহজ যে ইতালির বিপক্ষে হার, জিত কিংবা ড্রয়ে কোনো সমস্যা নেই; কেবল ৯ গোল বা তার বেশি ব্যবধানে না হারলেই হয়।
ইতালি এই মুহূর্তে ঠিক তিন পয়েন্ট পেছনে টেবিলের শীর্ষে থাকা নরওয়ের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলা ৭ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জাল ৩৩ বার কাঁপিয়ে নরওয়ে গোল হজম করেছে মাত্র ৪টি।
তাই নরওয়ের জালে ৯ গোল দিয়ে ম্যাচ জেতা কঠিন থেকে কঠিনতর হবে ইতালির জন্য। কেননা সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে আজ ৯ গোলের ব্যবধানেই জিততে হবে চারবারের বিশ্বকাপজয়ীদের। যা এক প্রকার অসম্ভবই বটে।
শেষ পর্যন্ত এমনটা হলে ইতালিকে খেলতে হবে বিশ্বকাপ প্লে-অফ। যেখানে তারা সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। এবারও সেই প্লে-অফের পরীক্ষা দিতে হতে পারে ইতালিকে।

ম্যাচ চলাকালে নারী রেফারিকে উদ্দেশ্য করে যৌন বৈষম্যমূলক মন্তব্যের কারণে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের নন-লিগের একটি ম্যাচ। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর।
শনিবার নর্দার্ন প্রিমিয়ার লিগ মিডল্যান্ডস ডিভিশনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এএফসি রাশডেন ও ডায়মন্ডস এবং কভেন্ট্রি স্ফিঙ্কস ক্লাব। ডায়মন্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমার্ধের শেষদিকে গ্যালারি থেকে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে একজন দর্শক ‘লিঙ্গবিদ্বেষী’ মন্তব্য করেন।
এই ঘটনাটি মাঠে থাকা ক্লাব কর্তারা শুনে ফেলেন। ম্যাচ শেষে এক বিবৃতিতে রাশডেন অ্যান্ড ডায়মন্ডস জানিয়েছে, তারা এ ঘটনায় “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশ।”
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ |
|
ক্লাবের এক মুখপাত্র বলেন, দোষী ব্যক্তি যদি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের সহযোগিতা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়নি।
ডায়মন্ডসের কোচ এলিয়ট স্যান্ডি জানান, রেফারি খেলা থামিয়ে অভিযুক্ত দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দিতে বলেন। এরপর ম্যাচ আবার শুরু হলেও বিরতির সময় রেফারি জানান, তিনি আর নিরাপদ বা স্বস্তি বোধ করছেন না। ফলে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
স্যান্ডি বলেন, 'আজ যা ঘটেছে তার কোনো জায়গা ফুটবলে নেই। তার জন্য (রেফারি) আমার খুব খারাপ লাগছে।'
প্রত্যক্ষদর্শী বা যাদের কাছে তথ্য আছে, তাদের ক্লাবে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে ডায়মন্ডস।

ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও নতুন মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন হ্যারি কেইন। তবে এতে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না ইংল্যান্ডের তারকা ফরোয়ার্ড। ব্যালন ডি অরের মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেতে দলীয় ট্রফিও জিততে জানেন তিনি।
চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে ২৩ গোল করে ফেলেছেন কেইন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে চার ম্যাচে তার গোল তিনটি। গত মাসে লাটভিয়ার বিপক্ষে করেন দুই গোল। ওই ম্যাচ জিতেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের।
রোববার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আলবেনিয়ার মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ব্যালন ডি অরের ব্যাপারে। উত্তরে তিনি জানান, দলীয় ট্রফি জিততে হবে আগে।
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ |
|
“আমি হয়তো এই মৌসুমে ১০০ গোল করতে পারি। কিন্তু আমি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অথবা বিশ্বকাপ না জিততে পারি, তাহলে খুব সম্ভবত ব্যালন ডি অর জিততে পারব না।”
“আর্লিং হলান্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই। যে কোনো ফুটবলারের ক্ষেত্রেই একই কথা। আপনাকে ওই বড় ট্রফিগুলো জিততে হবে।”
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে 'কে' গ্রুপে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট পেয়েছে ইংল্যান্ড। জার্মান বুন্দেসলিগায় ১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ।
মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে ব্যালন ডি অর জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে বললেন কেইন।
“বায়ার্ন মিউনিখে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। তাই এটি আমার পক্ষে কিছুটা কাজ করতে পারে। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও তাই। ক্লাব ও দেশের হয়ে সব কিছু যদি ঠিকঠাক এগোয়, তাহলে ব্যালন ডি অরের মতো পুরস্কার জেতার আলাপ করা যেতে পারে।”