
আবারও মেসি-রোনালদো দ্বৈরথের স্বাক্ষী হতে পারতো ফুটবলপ্রেমীরা। রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসির প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবার মরুর মঞ্চাস্থ হতো। তবে সব ভেস্তে দেয় সৌদি সরকার।
মেসির সৌদি প্রো লিগে খেলার গুঞ্জন ছিল অনেক আগ থেকেই। পিএসজি ছেড়ে শেষ পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পরও মাঝেমধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে, আর্জেন্টাইন মহাতারকা যোগ দিচ্ছেন রোনালদোদের লিগে। সেই খবর নাকি বাস্তবে রূপ নেওয়ার খুব কাছাকাছিও ছিল।
সৌদি আরবের এক শীর্ষ ফুটবল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরাই মেসির সৌদি আরবের ক্লাবে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন! দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ই মায়ামি তারকাকে ‘অনুমতি দেয়নি’ দেশটির লিগে খেলার।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে মেজর লিগ সকারের চার মাসের বিরতিতে ফিট থাকতে সৌদি আরবে খেলতে চেয়েছিলেন মেসি। সৌদি প্রো লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মেসির এজেন্ট এ বিষয়ে যোগাযোগও করেছিল। এমএলএসের নিয়মিত মৌসুম অক্টোবরে শেষ হয়ে পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবার শুরু হয়। আর এ সময়েই সৌদি আরবে খেলতে চেয়েছেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
আরও পড়ুন
    
| ফিফার খড়গ এবার মোহামেডানের ওপর |   | 
মাহদ স্পোর্টস একাডেমির সিইও আবদুল্লাহ হাম্মাদ একটি পডকাস্টে বলেন, ‘গত ক্লাব বিশ্বকাপের সময় মেসির দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে সৌদি আরবে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল। কারণ এমএলএসে তখর চার মাসের বিরতি ছিল। ফিট থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চেয়েছিলেন মেসি। ডেভিড বেকহামের সময়েও এমনটা হয়েছিল। যখন তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির হয়ে এসেছিলেন এবং এসি মিলানে খেলারও সুযোগ পেয়েছিলেন।’
হাম্মাদ জানিয়েছেন, তিনি প্রস্তাবটি সৌদির ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “সৌদি লীগ অন্য কোনো টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে না।”
পডকাস্টে এরপর হাম্মাদকে জিজ্ঞেস করা হয়, তবে কি সৌদি আরব মেসির প্রস্তাব নাকচ করে দেয়? তার জবাব, ‘হ্যা, এটাই বাস্তব।’
২০২৩ সালে রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পরই রাতারাতি সৌদি আরবের ফুটবল জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। রোনালদোর পথের পথিক হয়ে এরপর নেইমার, করিম বেঞ্জেমা, রিয়াদ মাহরেজ ও সাদিও মানের মতো বড় তারকা ফুটবলাররা মরুর দেশটির লিগ মাতাতে আসেন।
No posts available.




৩১ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম


৩১ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম



ক্রীড়ায় যে কোনো ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ- ভারত ম্যাচ মানে বাড়তি উত্তেজনা থাকে। এমনটা বেশি দেখা যায় ক্রিকেটে। এরপরই ফুটবলে ভারতকে হারাতে মুখিয়ে থাকেন জামাল ভূইয়ারা। আরও একবার সেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, আসছে ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে তাদের আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটি এএফসি বাছাইয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম ম্যাচ। আর ভারতের বিপক্ষে প্রতিযোগিতায় ফিরতি লড়াই। ২৫ মার্চ শিলংয়ে প্রথম দেখায় গোলশূন্য ড্র করে দুই দল। এবার জয়ের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ। ভারতও জানিয়েছে তারা জেতার জন্যই বাংলাদেশে আসবে।
বাছাইয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট স্রেফ ২। হাতে থাকা পরের দুটি ম্যাচে জয় দিয়ে শেষ করতে চায় লাল সবুজেরা। ভারত ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্প, আজ থেকে শুরু অনুশীলন। এদিন সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন, মিডফিল্ডার শেখ মোরছালিন ও ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।
ভারত ম্যাচ বলে আলাদা কোনো অনুপ্রেরণা কাজ করছে কি না জানতে চাইলে রহমত বলেন,
‘যেহেতু ১৮ তারিখ ভারতের সঙ্গে ম্যাচ আছে, আমাদের প্লেয়াররা সবাই উজ্জীবিত। ভারতের সঙ্গে খেলা হলে সবাই অনেক এক্সাইটেড থাকে। তো আগের মতো এবারও সবাই এক্সাইটেড আছে। সবাই প্রস্তুতিতে মনোযোগী।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশর চেয়ে এগিয়ে ভারত। তাদের অবস্থান ১৩৬-এ, বাংলাদেশ- ১৮৩। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম এবং ফাহামিদুলরা আসার পর শক্তি বেড়েছে দলের। চলমান বাছাই প্রতিযোগিতায়ই খেলা ৪টি ম্যাচেই লড়াই করেছে বাংলাদেশ।
ভারতের সঙ্গে হারাটা তাই বেমানান হবে কি না, প্রশ্ন রাখা হয় শেখ মোরছালিনের কাছে। তিনি বলেন,
‘অবশ্যই হারা বেমানান হবে। আমাদের দল এখন ভাল। অবশ্যই আমাদের জিততে হবে। এর বিকল্প আমরা কিছু দেখছি না।’
দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন তাদের মিশন একটাই যেভাবে হোক ভারতকে হারানো চাই,
‘মিশন তো একটাই যে আমাদের খেলাটা ভারতের সঙ্গে। তাদের বিপক্ষে আমরা শেষবার মনে হয় ২০০৩ এ এখানে জিতেছিলাম। আমরা এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্স থেকে বাদ পড়ে গিয়েছি। তবে দেশের পতকাকে গর্বিত করার জন্য আমাদের কিছু সুযোগ রয়ে গেছে।’

কারাবাও কাপে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে লিভারপুল। প্রায় ৯১ বছর পর ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে এমন লজ্জায় পড়ল অল রেডসরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ও প্রিমিয়ার লিগেও একই দুর্দশা লিভারপুলের। দলের এমন বাজে অবস্থায় স্কোয়াড ও কোচ আর্নে স্লটের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাইরের কথায় কান দিতে চান না ডাচ কোচ। রবিবার প্রিমিয়ার লিগের অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখির আগে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে স্লট জানিয়েছেন, তিনি তাঁর দল নিয়ে খুবই খুশি।
গত শনিবার ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হারের ম্যাচে দলে ১০টি পরিবর্তন আনেন স্লট। তিন তরুণ খেলোয়াড়কে শুরুর একাদশে সুযোগ দেন এবং আরও পাঁচজন তরুণ খেলোয়াড়কে বদলি হিসেবে নামান।
রবিবার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তিনি আরও বলেছেন,
‘আমি খুবই খুশি আমার দল নিয়ে। এখানে সকল কোয়ালিটির খেলোয়াড় রয়েছে।’
২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ ফর্মে নেই। নতুন মৌসুমে সংযোজন ফ্লোরিয়ান ভির্টজ ও হুগো একিতিকেও ফর্মহীন। ইনজুরিতে আলেকজান্ডার ইসাক, জেরেমি ফ্রিমপং, রায়ান গ্রাভেনবার্চ ও অ্যালিসন বেকার। এ নিয়ে স্লট বলেছেন,
‘যখন তিন–চারজন চোটে পড়ে, তখন কার্যত তুমি আবার ১৬ জন খেলোয়াড়ে নেমে আসো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০ বা ২১ জন খেলোয়াড়ই যথেষ্ট—কিন্তু তাদের ফিট রাখা জরুরি, যেমনটা আমরা গত মৌসুমে করেছিলাম।’
আশা নিয়ে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড থেকে ইসাককে ভিড়িয়েছিল লিভারপুল। অথচ প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত গোলমুখ খুলতে পারেননি তিনি। বরং দলের দুর্দিনে পড়েছেন ইনজুরির কারণে। স্লট বলেছেন,
‘ইসাক ইনজুরিতে। দলের সব খেলোয়াড়কে ফিট রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন অনুপস্থিত। একই খেলোয়াড়দেরই বারবার খেলতে হচ্ছে। হয়তো গত মৌসুমে আমরা ভাগ্যবান ছিলাম, এবার কিছুটা দুর্ভাগা।’
২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ জয়ীরা নতুন মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচের চারটিতে হেরেছে তারা, জয় ৫টিতে। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে ৭ পয়েন্ট দূরে লিভারপুল।

ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা অবশেষে রেহাই পেলেন স্পট-ফিক্সিং অভিযোগ থেকে। তবে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা না করায় ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের তারকাকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে পাকেতার বিরুদ্ধে আনা চারটি স্পট-ফিক্সিং অভিযোগ থেকে পাকেতাকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করেছে স্বাধীন কমিশন। তবে কমিশন জানায়, পাকেতা তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছু প্রশ্নের উত্তর ও প্রয়োজনীয় তথ্য সময়মতো দেননি, যা এফএর নিয়মবিরোধী। ফলে কোনো জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে কমিশন শুধু ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এফএ পরে জানায়, পাকেতাকে নির্দোষ ঘোষণার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে না। সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তদন্তের কারণে ম্যানচেস্টার সিটিতে তাঁর সম্ভাব্য ট্রান্সফার হাতছাড়া হওয়ায় পাকেতা এখন এফএর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কমিশনের লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়—পাকেতা সব সময়ই আইনি পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারপরও একজন খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল এফএর নিয়ম মেনে চলা। কমিশন আরও উল্লেখ করে, পাকেতা শেষ পর্যন্ত সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই সাক্ষ্য বিবৃতি ও ফোনের তথ্য জমা দেন, যা তদন্তে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।
রায়ে বলা হয়, পাকেতার শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাস নেই। ইতোমধ্যে আইনজীবীসহ এই তদন্তে তাঁরও অনেক টাকা খরচ হয়েছে এবং মানসিকভাবে মারাত্মক চাপের মধ্য দিয়ে গেছেন।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে তাঁর ম্যানচেস্টার সিটিতে যাওয়ার সম্ভাব্য চুক্তি বাতিল হয়ে যায়—যা তাঁর ক্যারিয়ারের বড় ধাক্কা ছিল। কমিশন সিদ্ধান্ত দেয়, তদন্ত ও শুনানির মোট খরচের ৯০ শতাংশ এফএ বহন করবে, আর পাকেতাকে দিতে হবে বাকি ১০ শতাংশ।
যদিও পাকেতা এখন মুক্ত, পুরো প্রক্রিয়াটি তাঁর ফুটবল জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। কমিশনের ভাষায়— যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হতো, পাকেতার ক্যারিয়ার হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যেত।

আফগানিস্তানের বদলি হিসেবে শেষ মুহূর্তে নেপালকে বেছে নেয় বাংলাদেশ। ১৮ নভেম্বর এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে লাল সবুজেরা। ওই ম্যাচ নিয়ে কথা উঠে। সবারই প্রশ্ন- কেন বারবার নেপাল, অন্য কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ কেন নয়।
প্রসঙ্গটি উঠে আজকের বাফুফের মিডিয়া সেশনেও। শুক্রবার থেকে শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ফুটবলারদের মাঠের অনুশীলন। পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সামনে আসলে শেখ মোরছালিনের কাছেও জানতে চাওয়া হয় নেপাল ম্যাচ নিয়ে। জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার বলেন,
‘এখন আসলে দিন শেষে আমাদের যা আছে, যেভাবে আছে ওভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। মনে হয় না খুব একটা প্রভাব ফেলবে। আসলে আমরা অত কিছু নিয়ে ভাবছি না কাদের সঙ্গে খেলছি। আমাদের এখন জিততে হবে ভারতের বিপক্ষে।’
সর্বশেষ ৬ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে হাভিয়ের কাবরেরার দল। গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ভুটানের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশ। এবার ভারত ম্যাচের প্রস্তুতির জন্যই মূলত নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে শক্ত প্রতিপক্ষ হলে সেটা দলের জন্য ভালো হতো কি না জানতে চাওয়া হলে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন,
‘প্রত্যেকটা ম্যাচের আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি শক্ত টিম হয় অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু শক্ত প্রতিপক্ষ না পাওয়া গেলে অন্তত সমমানের একটা টিম থাকলে হয়। প্রস্তুতি তো প্রস্তুতিই।’

শৈশব থেকেই টটেনহ্যাম হটস্পারের ছায়াতলে বেড়ে ওঠেন আলফি হোয়াইটম্যান। ১০ বছর বয়সে যোগ দেন ক্লাবের একাডেমিতে, আর ১৬ বছর বয়সে স্কুল ছাড়ার পর পূর্ণ সময়ের ফুটবল জীবনে প্রবেশ করেন।
ধারে দুই মৌসুম খেলেছেন সুইডিশ ক্লাব ডেগেরফোর্স আইএফে, কিন্তু স্পার্সের মূল দলে জায়গা করে নিতে পারেননি হোয়াইটম্যান। গোলরক্ষক তালিকার নিচের দিকেই ছিলেন সব সময়। গত মৌসুম শেষে টটেনহ্যাম তাঁকে ছেড়ে দিলে, হোয়াইটম্যান ভেবেছিলেন অন্য ক্লাবে নতুন করে শুরু করবেন। কিন্তু নিজের ভেতরের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যান—তিনি সুখী নন।
গলফ, গুচ্চি, মার্সিডিজ—সব ছিল, কিন্তু শান্তি ছিল না মসনে। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি—যখন হাতে ছিল ইউরোপা লিগজয়ের উজ্জ্বল স্মৃতি।
নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হোয়াইটম্যান বলেন, ‘১৭-১৮ বছর বয়স থেকেই ভেতরে একটা প্রশ্ন জাগত—এটাই কি সব? ট্রেনিং, ভিডিও গেমস, আর সেই একই রুটিনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। বুঝেছিলাম, আমি সুখী নই।’
দামি গাড়ি-পোশাকে সুখ পাননি হোয়াইটম্যান,
‘ফুটবলারের জীবন নিয়ে একটা প্রচলিত ধারণা আছে—গলফ, দামি ব্র্যান্ডের ব্যাগ, বিলাসী গাড়ি। আমি নিজেও সেরকম ছিলাম—গুচ্চি ওয়াশব্যাগ, মার্সিডিজ। কিন্তু বুঝলাম, এগুলো আমার আসল আমি নয়। সবাই একে অপরের প্রতিচ্ছবি হয়ে যাচ্ছিলাম।’
অসন্তুষ্টি থেকে মুক্তি পেতে হোয়াইটম্যান শুরু করেন ভিন্ন কিছু—ড্রামা ক্লাস, মিডিয়া ও ফটোগ্রাফির প্রশিক্ষণ। ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন, এখানেই তাঁর সুখ,
‘ওরা কিছু তৈরি করত—ছবি, গল্প, অভিব্যক্তি। সেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করত।’
এখন তিনি পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন হোয়াইটম্যান, খুঁজে পাচ্ছেন জীবনের নতুন অর্থ। ক্লাব ছাড়লেও কোনো আক্ষেপ নেই। তাঁর ভাষায়,
‘আমি ফুটবলের দুনিয়া ছেড়েছি নিজের শর্তে। এবার বাঁচব, যেভাবে সত্যিকারের আমি হতে চাই।’
২৬ বছর বয়সেই আলফি হোয়াইটম্যান হয়তো অনেকের চোখে ‘অকালবিদায়ী’, কিন্তু তাঁর গল্প মনে করিয়ে দেয়—জীবনের জয় শুধু ট্রফিতে নয়, নিজের শান্তি খুঁজে পাওয়াতেও।