১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৩৪ পিএম

নোয়াহ লাইলস ও কিশানে টম্পসনকে পেছনে ফেলে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষ ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতেছেন অবলিক সেভিল। বিশ্বরেকর্ড গড়তে জ্যামাইকার এই স্প্রিন্টার সময় নিয়েছেন ৯.৭৭ সেকেন্ড। রুপা জিতেছেন তারই স্বদেশি টম্পসন। তিনি সময় নিয়েছেন ৯.৮২ সেকেন্ড। আমেরিকান স্প্রিন্টার নোয়াহ লাইলস হয়েছেন তৃতীয়। তিনি সময় নিয়েছেন ৯.৮৯ সেকেন্ড।
২০১৬ রিও অলিম্পিকে উসাইন বোল্টের সোনা জয়ের পর প্রথমবারের মতো আবারও বিশ্ব শিরোপা জিতলেন কোনো এক জ্যামাইকান স্প্রিন্টার। আর টোকিওর গ্যালারিতে বসে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেখলেন বোল্ট নিজেই। সেভিলের জয়ের পর খুশিতে রীতিমতো লাফিয়েছেন সর্বকালের দ্রুততম মানব।
আরও পড়ুন
| রেকর্ড গড়ে বিশ্বের নতুন দ্রুততম মানবী জেফারসন-উডেন |
|
নারী স্প্রিন্টারদের ১০০ মিটার ফাইনালে ১০.৬১ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মেলিসা জেফারসন-উডেন। দৌড়ের প্রথম ৫০ মিটারেই আমেরিকান দৌড়বিদ এগিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিশ্চিত করেন। দ্বিতীয় হয়েছেন জ্যামাইকার টিনা ক্লেটন, আর সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়ান আলফ্রেড প্যারিস অলিম্পিকে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জয়ের সাফল্য পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি, তিনি থামেন তৃতীয় স্থানে।
No posts available.
১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৮:০১ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৪৬ পিএম

দাবা বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আরিয়ান তারিকে রুখে দিয়েছিলেন মনন রেজা নীড়। তবে আজ একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পেরে উঠেননি তিনি। তাই প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক মাস্টারকে।
ভারতের গোয়ায় চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি ফাহাদ রহমানও প্রথম রাউন্ডের বৈতরণী পার হতে পারেননি। তবে ইউক্রেনের গ্র্যান্ডমাস্টার ভাসিল ইভানচুকের বিপক্ষে ড্র করেছেন তিনি।
শনিবারের ম্যাচে হারের কারণে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পাননি ফাহাদ। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে একমাত্র এনামুল হক রাজীবের।

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে টঙ্গী স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। প্রতিযোগিতার জন্য আজ রোববার ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ।
একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় আর্চারির বাংলাদেশ লিগের ফাইনাল। চার লিগের পয়েন্ট যোগ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। রানার্সআপ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে তীরন্দাজ ও বাংলাদেশ আনসার।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করার প্রত্যয় কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখের। তিনি বলেন, ‘আগের আসরে কোনো পদক জিততে পারিনি আমরা। এবার অন্তত তিনটি পদক জিততে চাই।’ তবে কোন কোন ইভেন্টে পদক জেতার সম্ভাবনা আছে, সেটি জানাননি বাংলাদেশের এই জার্মান কোচ।
আগামী ৮ নভেম্বর থেকে পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। ঘরের মাঠের প্রতিযোগিতায় সুবিধা কতটা নিতে পারবে বাংলাদেশ, সেটি বলা কঠিন। কারণ এখন পর্যন্ত জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি দেশের আর্চাররা। সেখানে বর্তমানে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প চলছে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে।
কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ বলেন,
‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের জন্য ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম আমি। সেখানকার বাতাসের প্রবাহটা কিছুটা ভিন্ন, সেটা পরীক্ষা করতে চাই। টঙ্গীতে একেবারেই বাতাস নেই।’
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালের এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি পদক জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চান বাংলাদেশ কোচ।
জাতীয় দলের আর্চার সাগর ইসলাম বলেন,
‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট। নিজেদের মাঠে খেলব—এই সুবিধাটা আমাদের আছে। এবার আমাদের লক্ষ্য উপরে থাকার। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে নামব।’
এশিয়ান আর্চারির আসর শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দুই ভেন্যুতে—জাতীয় স্টেডিয়ামে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর এবং আর্মি স্টেডিয়ামে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দল
রিকার্ভ পুরুষ দল: আব্দুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, রাকিব মিয়া ও রামকৃষ্ণ সাহা।
রিকার্ভ নারী দল: সিমা আক্তার শিমু, ইতি খাতুন, সোনালি রায় ও মোসাম্মত মনিরা আক্তার।
কম্পাউন্ড পুরুষ দল: মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, হিমু বাছাড়, নেওয়াজ আহমেদ রাকিব ও সোহেল রানা।
কম্পাউন্ড নারী দল: বন্যা আক্তার, পুষ্পিতা জামান, কুলসুম খাতুন ও মিথিলা আক্তার।

চমক দেখালেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। দাবা বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আজ নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আরিয়ান তারিকে রুখে দিয়েছেন তিনি। তবে হেরেছেন আরেক বাংলাদেশি দাবাড়ু ফাহাদ রহমান।
ভারতের গোয়ায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দাবা বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড। নীড় এদিন খেলতে বসেন সাদা ঘুঁটি নিয়ে। শুরুটা করেন রোসোলোমিও অ্যাটাক (অবস্থানগত আক্রমণ) কৌশলে। মিডল গেমে ভুল করলেও এন্ড গেমে দারুণ প্রতিরোধ দেখান তিনি। ফলে ৪২তম চালে গিয়ে ড্র মেনে নেন নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টারও।
অন্যদিকে, সাদা ঘুঁটির সুবিধা পেয়েও ফাহাদ ছিলেন ভুলের মধ্যেই। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেন ম্যাচ ড্র করার। কিন্তু তাঁকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ইউক্রেনিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার ভাসিল ইভানচুকের।
আগামীকাল রোববার কালো ঘুঁটি নিয়ে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবেন নীড়-ফাহাদ। জিতলে নীড় পৌঁছে যাবেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবই বাংলাদেশের একমাত্র দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পেরেছিলেন। এবার সেই পথে কেউ হাটতে পারেন কি-না দেখার অপেক্ষা।

ঢাকা জেলা প্রশাসক ভলিবলে প্রতিযোগিতায় বালক-বালিকা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল। আজ বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের মেয়েদের ফাইনালে ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল ২-০ সেটে হারিয়েছে রমনা শিক্ষা থানা দলকে।
বিকেল ৪টায় ছেলেদের ফাইনালে নবাবগঞ্জ উপজেলা বালক দলকে ২-১ সেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল। গত ১৮ অক্টোবর থেকে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয় আন্তঃইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে ৫টি উপজেলা চ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মাহাবুব-উল-আলম। সমাপনী ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেট তানভীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক হাসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) ও টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক শামীমা সুলতানা, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র।
ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম, জপাল শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ বুলুসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

টানা তৃতীয়বারের মতো জাতীয় মহিলা দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন নোশিন আনজুম। ১১ রাউন্ডের মধ্যে ৩ ড্র, একটি হার ও ৭টি জয় নোশিনের। শুক্রবার শেষ রাউন্ডে ড্র করেন ওয়ারশিয়া খুশবুর সঙ্গে। তাতে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা। ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় মহিলা দাবা খেলা নোশিন পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে। স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। দাবায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে আজ শনিবার কথা বলেছেন টি-স্পোর্টসের সঙ্গে।
টি-স্পোর্টস: জাতীয় নারী দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও চ্যাম্পিয়ন হলেন, অভিনন্দন
নোশিন আনজুম: ধন্যবাদ। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। এবার অলিম্পিয়াড আছেতো, সেজন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সব কিছু মিলে অনেক খুশি।
টি-স্পোর্টস: প্রতিযোগিতায় কোন ম্যাচটি সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে?
নোশিন আনজুম: দশম রাউন্ড আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল। কালো ঘুটি নিয়ে ওই রাউন্ডে ড্র করতে হয়েছিল।
টি-স্পোর্টস: দাবায় আপনার এই অর্জনে কার অবদান বেশি?
নোশিন আনজুম: আমার মায়ের। শুরু থেকেই… ১১-১২ বছর বয়স থেকে আম্মু-ই আমাকে দাবা ফেডারেশনে নিয়ে যায়। তিনিই আমাকে অনুপ্রেরণা দেন।
টি-স্পোর্টস: হেরে গেলে কিংবা চাপের মধ্যে পড়লে ওই সময়টা কি করেন?
নোশিন আনজুম: হারলে তো অবশ্যই খারাপ লাগে। তখন জীবনের সেরা সময়গুলোর কথা ভাবি। হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করি। মা আমাকে মোটিভেট করে।
টি-স্পোর্টস: সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লক্ষ্য কি?
নোশিন আনজুম: আপাতত অলিম্পিয়াডে ভালো করার লক্ষ্য। কারণ অলিম্পিয়াডে যদি ভালো করি তবে দাবা বিশ্বকাপেও ভালো করতে পারব।
টি-স্পোর্টস: দাবাড় ক্যারিয়ারে কোন অর্জনটা পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন?
নোশিন আনজুম: গ্রান্ডমাস্টার হতে চাই।
টি-স্পোর্টস: আপনার চোখে বাংলাদেশে দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কি?
নোশিন আনজুম: অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করি বাংলাদেশের অবস্থান খুবই খারাপ। দাবায় পপুলারিটি কম। তাতে কি হয়- আমরা স্পন্সর পাই না। আর এটা তো একটা ইনডোর গেমস। অন্যান্য দেশের গ্রান্ডমাস্টার হলে সরকার থেকে সুযোগ-সুবিধা দেয় কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না। কোচিং করিয়ে কিংবা অন্য উপায় টাকা আয় করতে হয়।
টি-স্পোর্টস: এবার জাতীয় নারী দাবার মান কেমন দেখলেন
নোশিন আনজুম: আমার কাছে এবারে প্রতিযোগিতা কঠিন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে হয়েছে। ১২ জনের মধ্যে ৯জনই তো অনেক ইয়াং ছিলাম।
টি-স্পোর্টস: এবার কাকে সবচেয়ে বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হয়েছে
নোশিন আনজুম: আলোর সঙ্গে আমি হেরেছি। এরপর ওয়ারশিয়া খুশবু এবং জান্নাতও অনেক ভালো খেলেছে। তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন ছিল।
টি-স্পোর্টস: দেশের সেরা নারী দাবাড়ু আপনি, তারপরও রেটিং নর্ম কম, এ নিয়ে আক্ষেপ হয় না?
নোশিন আনজুম: হ্যা অবশ্যই, আক্ষেপ তো থাকেই। রেটিং না বাড়লে তো নর্ম পাবো না। দেশে খেললে আসলে হয় না। কারণ দেশে সব খেলোয়াড়ের রেটিং কম। দেশের বাইরে খেলতে হয়, কিন্তু সেটার জন্য আর্থিক সহায়তা বা স্পন্সর নেই।
টি-স্পোর্টস: দাবাড় বাইরে প্রিয় কাজ কি
নোশিন আনজুম: বই পড়া, গান শোনা।
টি-স্পোর্টস: দাবাড়ু না হলে কি হতেন
নোশিন আনজুম: অন্য কোনো স্পোর্টসে থাকতাম। আমার ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালো লাগে। এছাড়া আর্চারি আমার অনেক পছন্দের।
টি-স্পোর্টস: বাংলাদেশের কোনো ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়কে চেনেন?
নোশিন আনজুম: খেলা দেখা হয় না। শীতকাল আসলে খেলা হয়। আসলে খেলতে ভালো লাগে, দেখতে না।
টি-স্পোর্টস: গান শুনতে পছন্দ করেন, শিল্পী হওয়ার ইচ্ছে ছিল কখনও?
নোশিন আনজুম: একদম না।
টি-স্পোর্টস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুষ্টি বিজ্ঞানে পড়ছেন, অন্য কোনো সাবজেক্ট না নিয়ে এটাই কেন
নোশিন আনজুম: ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্সের অন্য কোনো সাবজেক্ট নিলে… আমার আসলে ম্যাথমেটিক অনেক পছন্দের, ভালো লাগার সাবজেক্ট। কিন্তু সেটা নিলে খেলাটা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। আমি দুইটাই (খেলা এবং পড়াশোনা) এক সঙ্গে চালাতে চেয়েছিলাম।
টি-স্পোর্টস: দাবা এবং পড়াশোনার মধ্যে কোনটিকে প্রায়োরিটি বেশি দেন?
নোশিন আনজুম: অবশ্যই দাবা। এটা আমার প্যাশনের জায়গা। এটা আমি নিজে অনুধাবন করি যখন জোনাল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছিলাম। পড়ালেখায় খারাপ করলে অতটা খারাপ লাগে না, কিন্তু দাবায় খারাপ করলে নিতে পারি না। এই জন্য আমার কাছে মনে হয় যে যদি দুইটার মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হয় তাহলে অবশ্যই দাবাকে নিব।
টি-স্পোর্টস: দাবা খেলা শুরু করেন কখন থেকে
নোশিন আনজুম: ক্লাস ফোরে থাকতে, আমার ৯ বছর বয়স থেকে। ২০১৩ সালে ঢাকায় আসি। পরের বছর ভিকারুননিসায় ভর্তি হই। ওখানে একটা টুর্নামেন্টে সিনিয়র একজনকে হারাই। তখন আম্মুও আমাকে এই খেলাটায় অনুপ্রাণিত করেন। দাবাড় প্রতি ঝোকটাও তখন থেকে বেড়ে যায়।