
দীর্ঘমেয়াদী চোট থেকে সেরে ওঠার পর ফুটবলারদের প্রায়ই দেখা যায় নতুন চোটে পড়তে। নেইমারের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। এক বছর পর মাঠে ফেরার কিছুদিন বাদেই আবার চোটের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। স্বাভাবিকভাবেই তাতে জোড়াল হচ্ছে সংশয়ের মেঘ। আল হিলাল ফরোয়ার্ড মনে করেন, যথেষ্ট সাবধানতা বজায় রেখে খেলতে হবে তাকে।
গত বছর অক্টোবরে এসিএল চোট পান নেইমার। ফেরেন গত মাসের শেষের দিকে, আল হিলালের জার্সিতে। সোমবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এলিট ম্যাচে এস্তেগলালের বিপক্ষে নামেন ৫৮তম মিনিটে। ৩০ মিনিটেরও কম সময় খেলার তার তাকে তুলে নেওয়া হয়। ডান পায়ের পিছনের অংশটি চেপে ধরেন নেইমার। চোখেমুখে অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। ডাগআউটে বসে রাগে বুট ছুঁড়ে মারতে দেখা যায় তাকে।
ম্যাচের পর নেইমার অবশ্য সমর্থকদের প্রতি দিয়েছেন ইতিবাচক বার্তা।
“এটা একটা ক্র্যাম্পের মতো মনে হয়েছিল, তবে এটা খুব তীব্র ছিল! আমি কিছু পরীক্ষা করব এবং আশা করি এটি গুরুতর কিছু নয়। ১ বছর পর মাঠে ফিরে এমন কিছু হওয়া স্বাভাবিক, ডাক্তাররা ইতিমধ্যে আমাকে সতর্ক করেছেন এই ব্যাপারে। আমাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আরও মিনিট খেলতে হবে।”
গত মৌসুমে পিএসজি থেকে আল হিলালে যোগ দেন নেইমার। চোটে পড়ার আগে খেলতে পারেন মাত্র পাঁচটি ম্যাচ। এই মৌসুমেও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না। আগামী জানুয়ারির আগ পর্যন্ত সৌদি প্রো লিগ ম্যাচগুলোর জন্য তাকে নিবন্ধন করতে পারবে না ক্লাবটি। ফলে আপাতত খেলে যেতে হবে স্রেফ অন্য প্রতিযোগিতায়।
ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারকে নিয়ে খুব তাড়াহুড়া করার ইচ্ছা নেই আল হিলালের। একই অবস্থান ব্রাজিলেরও। চলতি মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে দলে রাখেননি দরিভাল জুনিয়র। তিনিও বলেছেন, নেইমারকে শতভাগ ম্যাচ ফিটপেস ফিরে পেতে সময় দিতে চান তারা।
No posts available.
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩০ পিএম

দুই দিন পর মাঠে গড়াচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। আর দলবদলের শেষ দিন আজ। শুক্রবার শেষ দিনে বাজিমাত করেছে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। তারা দলে ভিড়িয়েছে জাতীয় দলের পাঁচ তারকা নারী ফুটবলারকে- তহুরা খাতুন, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। এছাড়া দুজন বিদেশি খেলোয়াড়ও নিবন্ধন করেছে দলটি।
শুক্রবার ফরাশগঞ্জের ম্যানেজার বাবুরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফুটবলার তহুরা খাতুনও জানিয়েছেন এবার তাঁদের দেখা যাবে ফরাশগঞ্জ ক্লাবে। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-২০ দলের থেকেও কয়েকজন ফুটবলার নিবন্ধন করেছে পুরোনো এই ক্লাবটি।
চমক হিসেবে নেপাল জাতীয় নারী দলের দুই ফুটবলার- ডিফেন্ডার পূজা রানা ও মিডফিল্ডার সবিতা রানা মাগারের সঙ্গে চুক্তি পাকা করেছে ফরাশগঞ্জ। গোলকিপার হিসেবে ফরাশগঞ্জ নিয়েছে ফুটসাল দলে থাকা সেজুতিকে।
আরও পড়ুন
| ‘সম্মান’ না পেয়ে নারী লিগে খেলছেন না একাধিক তারকা ফুটবলার |
|
ফরাশগঞ্জের কোচিং উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন কামাল আহমেদ বাবু। দলটি হেড কোচের দায়িত্ব দিয়েছে আবু ফয়সালকে। এরই মধ্যে তারা ৩৫ জনের স্কোয়াড তৈরি করে ফেলেছে। দল নিয়ে সন্তুষ্ট বাবুরাম বলেন, ‘আমরা যে স্কোয়াডটা করেছি তাতে সন্তুষ্ট। আশা করি এই দল নিয়ে ফাইট দিতে পারব এবং ফাইনাল খেলব।’
আগেই রাজশাহী স্টার্স দলে ভিড়িয়েছে আফঈদা খন্দকার, ঋতুপর্ণা চাকমা ও শিউলি আজিমকে। পুলিশ ক্লাবে এবার খেলছেন অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের তারকা ফুটবলার মোসাম্মৎ সাগরিকা। তাঁর সঙ্গে আছেন সতীর্থ কোহাতি কিসকু, সুরমা জান্নাত ও আইরিন আক্তার।
নারী ফুটবল এর আগে হয়েছিল ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে। ওই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। এরপর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও মাঠে ফেরেনি এই প্রতিযোগিতা। অবশেষে অনেকটা তড়িঘড়ি করে লিগ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কেননা আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ান কাপ খেলবে বাংলাদেশ সিনিয়র নারী দল। পরের মাসে থাইল্যান্ডে হবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের লড়াই। ওই প্রতিযোগিতাতেও খেলবেন মোসাম্মত স্বাগরিকা, মুনকি আক্তাররা।
১১ দল নিয়ে হতে চলা এবারের নারী লিগের সবগুলো ম্যাচ হবে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।

আফ্রিকা কাপ নেশনসে সবচেয়ে সফল দল মিসর। যদিও ২০১০ সালের পর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্যের এই ট্রফির দেখা পায়নি তারা। এরপরও প্রতিবার শিরোপার দাবীদার হয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করে মিসর। মোহাম্মদ সালাহ-ওমর মারমুশের এই দল এবার আটবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিযান শুরু করেছে।
আফকনের চলতি সংস্করণের শুরুটা জয় দিয়ে করেছে মিসর। গ্রুপ ‘বি’-র প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সালাহর যোগ করা সময়ের গোল ২-১ গোলে জেতে তারা। এ গ্রুপের অন্য ম্যাচে একই ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় অ্যাঙ্গোলাকে। এবার প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাওয়া দুই দল মুখোমুখি হবে। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামবে মিসর-দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিসরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হুগো ব্রুস। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই তারকা মোহামেদ সালাহ ও ওমর মারমুশকে নিয়ে কোনো ভীতি অনুভব করছেন না বলে জানান তিনি।
আফ্রিকা কাপ নেশনসের ২০১৭ সংস্করণের ফাইনালে মিসরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যামেরুন। আর ক্যামেরুনের কোচ ছিলেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান কোচ ব্রুসই। বেলজিয়ান এই দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, সালাহ বা মারমুশকে আটকাতে তিনি কোনো আলাদা কৌশল নেবেন না।
গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হুগো ব্রুস বলেন, ‘আমরা কাউকে আলাদা করে লক্ষ্য করছি না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দল।’
আরও পড়ুন
| আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সকে বিশ্বকাপের সমতুল্য মর্যাদা দাবি |
|
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সবাই জানি সালাহ কতটা ভালো, মারমুশ কতটা ভালো, ত্রেজেগে ও অন্য খেলোয়াড়রাও কতটা মানসম্মত। তারা নিঃসন্দেহে দারুণ একটি দল। তাহলে কেন আমরা একজন খেলোয়াড়কে নিয়েই ভাবব? আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে পুরো দলটিকে হারানোর জন্য।’
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে সবশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০১৯ আসরে। সেবার শেষ ষোলোতে স্বাগতিক মিসরকে ১–০ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই এগিয়ে যায়।
ব্রুস আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হবে মিসরকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলা। সেটা করা সম্ভব তখনই, যখন আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলব এবং যেসব খেলোয়াড়কে আমরা স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করি, তাদেরই কাজে লাগাব।’

দেড় বছরের বেশি সময় পর আবার ফিরতে যাচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে উদ্বোধনী দিনের খেলা। তার আগে দলবদলের শেষ দিন আগামীকাল শুক্রবার। কিন্তু এই লিগে থাকছে না সিনিয়র জাতীয় দলেরই ৬-৭ জন তারকা ফুটবলার। প্রাপ্য সম্মান না পেয়ে লিগে না খেলার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র ফুটবলার বলেন, ‘আমার সঙ্গে এখন পর্যন্ত দুটি ক্লাব যোগাযোগ করেছে। কিন্তু যে টাকার বিনিময়ে খেলতে বলেছে তাতে কিছুই হয় না। আমরা রাজি হইনি। কারণ এখানে সম্মানের বিষয় জড়িত।’
সিনিয়র দলের হয়ে সাফ জিতেছেন, নিয়মিত খেলছেন জাতীয় দলের হয়ে। তবে দেশে ফুটবল লিগ নিয়মিত না হওয়ায় সেভাবে স্বাবলম্বী নন এই ফুটবলাররা। তারা তাকিয়ে থাকেন এই লিগের জন্য। সেটি যখন দেড় বছর পর ফিরলো তখন তারাই বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন না খেলার। কতটা অভিমান জমা হলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ওই নারী ফুটবলার বলেন, ‘দেখেন আমরা প্রায় সবাই অত্যন্ত গরীব পরিবারে জন্ম নিয়েছি। আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি এই লিগটার জন্য। কিন্তু আমাকে দেড় লাখ, ২ লাখ টাকা অফার করছে। এত কম টাকায় খেলার চেয়ে না খেলাই উত্তম।’
যদিও লিগ শুরুর আগে শোনা গেছে বিদেশি খেলোয়াড়ও থাকবে। লিগ জমজমাট হবে এমনটাই আশা করছিলেন অনেকে। কিন্তু দেশের তারকা ফুটবলাররাই যখন প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে লিগ না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তখন নারী লিগ কতটা জৌলুস পাবে সেই প্রশ্ন থাকছেই।
সিনিয়র নারী দলের আরেক ফুটবলার বলেন, ‘একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে মিনিমাম একটা সম্মান তো আশা করতেই পারি। সেটা যখন না মেলে তখন আসলে হতাশ হই, খারাপ লাগে। একটা ক্লাবের সঙ্গে আমার কথা এগিয়েছিল, কিন্তু তারা জানায় জুনিয়র দলের কয়েকজন তারা সাইনিং করে ফেলেছে যে কারণে আমাদের সঙ্গে চুক্তিটা হয়নি। আমিও ভাবলাম জুনিয়র ওরা খেলুক। আমি এক বছর না খেললে কিছু হবে না।’
এবারের লিগে বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়দের গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রতিটি দলে অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে অনূর্ধ্ব-২০ এর দুজন খেলোয়াড় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। তবে সিনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম করেনি ফেডারেশন। কিন্তু পুল সিস্টেম নিয়ে অনেক ক্লাবই নির্দিষ্ট করে না জানায় সমস্যাটা আরও বেশি হয়েছে।
আগামী বছর প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ। মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় সিনিয়র দলের পর এপ্রিলে অনূর্ধ্ব-২০ দল খেলবে থাইল্যান্ডে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়ালের ঘোষিত ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’র প্রস্তুতিটা নারী লিগ থেকে হবে তেমনটাই আশা ছিল। কিন্তু সিনিয়র দলের একাধিক তারকা ফুটবল দল না পাওয়ায় তাদের প্রস্তুতির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।

সাতটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ৩০ দেশের অংশগ্রহণে চলছে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স টুর্নামেন্ট। আফ্রিকা ফুটবলের এই মর্যাাদার লড়াইকে বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সমতুল্য মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড সামুয়েল চুকওয়েজি।
আজ অন স্পোর্টস টিভির সঙ্গে আলাপকালে চুকওয়েজি বলেন, “সবাই আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে খেলতে চায়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতা। যেমনভাবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা বিশ্বকাপকে সম্মান দেওয়া হয়, ঠিক একইভাবে আফ্রিকা কাপকেও সম্মান করা উচিত।”
নাইজেরিয়া শেষ ষোলোতে পৌঁছালে ক্লাব ফুটবলে ফুলহ্যামের হয়ে ছয়টি ম্যাচ খেলতে পারবেন না চুকওয়েজি।
তিনি বলেন,
“আমরা জানি, বছরের ভুল সময়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হয়েছে। তবে যখন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ডাক আসে, তখন খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।”
গ্রুপ সি-তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তানজানিয়াকে ২-১ গোলে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন চুকওয়েজি। আগামী শনিবার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে নাইজেরিয়া।
চুকওয়েজির বক্তব্য স্পষ্ট, আফ্রিকার সেরা ফুটবলাররাও চাইতে পারেন আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সকে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান টুর্নামেন্টের মতো মর্যাদা দেওয়া হোক, কারণ টুর্নামেন্টটি কেবল ক্রীড়াই নয়, এটি আফ্রিকার ফুটবল ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য।

স্কটল্যান্ড, নটিংহ্যাম ফরেস্ট ও ডার্বি কাউন্টির সাবেক উইঙ্গার জন রবার্টসন আর নেই। যাকে এক সময় ম্যানেজার ব্রায়ান ক্লফ ‘আমাদের খেলার একজন পিকাসো’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি আজ ৭২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
১৯৮০ সালে হামবুর্গকে হারিয়ে ইউরোপীয় কাপ ধরে রাখে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। সেই শিরোপা জেতা ম্যাচে একমাত্র জয়সূচক গোলটি ছিল রবার্টসনের।
১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের হয়ে জয়সূচক গোল করেছিলেন রবার্টসন। পরের বছর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই জিতেছিল স্কটল্যান্ড। ৫-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেছিলেন রবার্টসন।
দেশের হয়ে ২৮টি ম্যাচ খেলেন রবার্টসন। মোট গোল করেন ৮টি। ১৯৭০-১৯৮৩ পর্যন্ত নটিংহ্যামের হয়ে ৩৮৬ম্যাচ খেলে ৬১ গোল করেন লেফট উইঙ্গার। ডার্বি কাউন্টির হয়ে ৭২ ম্যাচে মাঠে নেমে করেন ৩ গোল। এই ক্লাবটিতে দুই মৌসুম কাটানোর পর ফের ১৯৮৫ সালে ফিরে যান নটিংহ্যামে। তবে পুরোনো ফর্ম আর ধরে রাখতে পারেননি। নটিংহ্যামে দ্বিতীয় অধ্যায়ে ১১ ম্যাচ খেলেন তিনি।
খেলা ছাড়ার পর নটিংহ্যাম ফরেস্ট সতীর্থ মার্টিন ও'নিলের সহকারী কোচ হিসেবে ওয়াইকম্ব ওয়ান্ডারার্স, নরউইচ সিটি, লেস্টার সিটি, সেল্টিক এবং অ্যাস্টন ভিলায় দায়িত্ব পালন করেন রবার্টসন।