
টুর্নামেন্টের ফরম্যাটের কারণেই মাঠে একটি বল গড়ানোর আগেই ভারত পেয়ে গিয়েছিল ফেবারিট তকমা। সেটা জাসপ্রিত বুমরাহ ছিটকে যাওয়ার পরও। কারণ, একমাত্র দল হিসেবে যে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবগুলো ম্যাচ এক ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে রোহিত শর্মার দল। অনুমিতভাবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে খেলছে দলটি। আর তাদের সামনে সর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়া, যারা টেনেটুনে চলে এসেছে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে। তবে আইসিসি ইভেন্টে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া মানেই যে পুরনো অনেক হিসাব-নিকাশের ব্যাপ্তিও।
আর সেখানেই শক্তি-অভিজ্ঞতায় অনেকে পিছিয়ে থেকেও অজিরা এই ম্যাচের আগে পেতে পারে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ফাইনালের আগে অপরাজিত ছিল ভারত। এরপর তাদের জয়রথ থামিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। এবার অবশ্য তিনি তো ননই, দলে নেই আরও দুই তারকা পেস বোলার মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউডও।
ফলে নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম অনভিজ্ঞ এক বোলিং লাইনআপ নিয়েই এই টুর্নামেন্টে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জস ইংলিসের বীরত্বে জয় পেলেও, ৩৫১ রান হজম করাটা ফুটিয়ে তোলে দলটির বোলিং দুর্বলতা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচেও ২৭০ রানের বেশি দিয়ে ফেলেন তারা। বৃষ্টি বাগড়া না দিলে হয়ত ওই ম্যাচটা জিতেও জেট অস্ট্রেলিয়া, কারণ সেরা ফর্মে যে হাজির হয়েছিলেন ট্রাভিস হেড।
ঠিক এই নামটির কারণেই দুর্বল এক বোলিং লাইনআপ নিয়েও ভারতের বিপক্ষে আশার আলো আছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পেলেই যে বিশেষভাবে জ্বলে ওঠেন এই মারকুটে ব্যাটার। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন হেডই। আগে-পরে রোহিত-কোহলিদের বিপক্ষে তার রয়েছে অবিশ্বাস্য ভালো ফর্ম।
তবে স্রেফ হেডের ওপর ভরসা করে ভারতকে আটকানোর ছক কষলে ভুলই করবে অস্ট্রেলিয়া। কারণ, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশেনরা নেই সেরা ছন্দে। ইংলিস-কেরি-ম্যাক্সওয়েলদের ওপর তাই থাকবে বাড়তি দায়িত্ব। আর সে কাজটা আরও কঠিন হবে দুটি কারণে, যা ভারতের বিপক্ষে তাদের লড়াইকে করে তুলেছে ‘অসম’।
চোটের কারণে তিন তারকা বোলার হারানো অস্ট্রেলিয়াকে যে এই ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার খেলতে হবে দুবাইতে, যেখানে ভারত কিনা খেলে ফেলেছে তিনটি ম্যাচ। পাকিস্তানে তিনটি ম্যাচ খেলা অজিদের মানিয়ে নিতে হবে তুলনামূলক স্লো, স্পিন উইকেটে।
পাশাপাশি কন্ডিশনের সাথে দারুণভাবে মানিয়ে নেওয়া ভারতের রয়েছে আসরের সেরা স্পিন শক্তি। রবীন্দ্র জাদেজা, আকসার প্যাটেল, কুলদীপ ইয়াদাভের সাথে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেন রহস্য স্পিনার ভারুণ চক্রবর্তী। আর প্রথম ম্যাচেই নেন ৫ উইকেট। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে চার স্পিনার খেলার।
আর সেটা হলে, অস্ট্রেলিয়াকে সামলাতে হবে চারজন বিশ্বমানের স্পিনারদের, যাদের সবাই আছেন সেরা ফর্মে। অন্যদিকে ব্যাটারদের মধ্যে শ্রেয়াস আইয়ার আছেন রানের মধ্যে। শুবমান গিল ও বিরাট কোহলি করে ফেলেছেন একটি করে সেঞ্চুরি। বল ও ব্যাট হাতে সেরা ছন্দে আছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, যা ভারতকে সুযোগ করে দিচ্ছে চার স্পিনার খেলানোর।
সব মিলিয়ে তাই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি রোহিতের দলের জন্য ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রতিশোধের মঞ্চ, আর স্মিথ-হেডদের জন্য অসম লড়াইয়ে সব চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়ে আইসিসি ইভেন্টে আরও একবার নিজেদের রাজত্ব বজায় রাখার।
শেষ হাসি তাহলে কার? উত্তর জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়, ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়।
No posts available.
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পিএম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:১৬ পিএম

অসুস্থতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে গেছেন অক্ষর প্যাটেল। তাঁর জায়গায় দলে ডাক পড়েছে আরেক স্পিন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদের।
আজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বিসিসিআই উল্লেখ করেছে, লখনৌতে রয়েছেন প্যাটেল। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। অসুস্থতার কারণে এবং কিছু পরীক্ষা বাকি থাকায় প্যাটেল চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন না জসপ্রিত বুমরাহ। ব্যক্তিগত কারণে অনুপস্থিত ছিলেন ভারতীয় পেসার। তবে চতুর্থ ম্যাচে তাঁকে মাঠে দেখা যাবে। প্যাটেল ও বুমরাহর স্থলে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন কুলদীপ যাদব ও হর্ষিত রানা।
নতুন অর্ন্তভুক্ত হওয়া শাহবাজ ভারতের জার্সিতে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে তিনি এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন। বর্তমানে তিনি সায়েদ মুস্তাক আলী ট্রফিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। তবে হঠাৎ দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
চতুর্থ ও পঞ্চম টি টোয়েন্টির জন্য ভারত দল: সূর্যকুমার যাদব (ক্যাপ্টেন), শুবমন গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবম দুবে, জিতেশ শর্মা (উইকেটকিপার), সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, আরশদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, ওয়াশিংটন সুন্দর ও শাহবাজ আহমেদ।

শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার জিততে প্রয়োজন ৮ রান। বাকি আছে ২ উইকেট। পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে দিলেন চামিকা হিনাটিগালা। পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল আফগানিস্তান আর বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেমি-ফাইনালে উঠে গেল শ্রীলঙ্কা।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে সোমবার আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে 'বি' গ্রুপের দুই সেমি-ফাইনালিস্ট দল। বাংলাদেশের পাশাপাশি সেরা চারে উঠেছে লঙ্কানরাও।
গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচই হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে আফগানিস্তান ও নেপালের। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে নির্ধারিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল।
সোমবারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৩৫ রানে অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। সাতজন ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও একজনের বেশি ফিফটি করতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওসমান সাদাত।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সেথমিকা সেনেবিরত্নে ও দুলনিথ সিগেরা। এছাড়া হিনাটিগালা ও রাসিথ নিমসারা পান ২টি করে উইকেট।
পরে রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বিরান সামুদিথা। আর শেষ দিকে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন হিনাটিগালা। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
একই মাঠে বুধবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

ব্রিসবেন হিটকে নতুন উচ্চতায় তোলার বার্তা নিয়ে বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ শুরুর কথা বলেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে তিনি দেখলেন ঠিক এর বিপরীত। অস্ট্রেলিয়ার লিগে ভুলে যাওয়ার মতোই এক অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানি পেসারের।
জিলংয়ে সোমবার মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ব্রিসবেনের হয়ে বিগ ব্যাশে পথচলা শুরু করেন আফ্রিদি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তাকে পুরো ৪ ওভার বোলিং করাতে পারেনি ব্রিসবেন। কারণ একাধিক 'বিমার' (কোমর-উচ্চতার নো বল) করায় তৃতীয় ওভারেই আফ্রিদির বোলিং নিষিদ্ধ করে দেন আম্পায়াররা।
যেটুকু বোলিং করেছেন, তাতেও বেশ খরুচে ছিলেন আফ্রিদি। ২.৪ ওভারে ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা খেয়ে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি। বিপরীতে পাননি কোনো উইকেট। ১৬টি বৈধ ডেলিভারি করার পথে ২ ওয়াইড ও ৩টি নো বল করেছেন আফ্রিদি।
এদিন দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আক্রমণে আনা হয় আফ্রিদিকে। একটি ওয়াইড বলসহ মোট ৯ রান দেন তিনি। পরে ১৩তম ওভারে আবার আক্রমণে এসে দুই চার ও এক ছক্কা হজম করে ১৯ রান দেন ২৫ বছর বয়সী পেসার।
১৮তম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন আফ্রিদি। প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন তিনি। তৃতীয় ডেলিভারি আফ্রিদি করেন কোমর উচ্চতার নো বল। ফ্রি হিটে কোনো বাউন্ডারি দেননি। তবে পরের বল আবার করেন নো বল।
এবারও ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেনি মেলবোর্নের ব্যাটাররা। পরের ডেলিভারি আবার কোমর উচ্চতার নো বল করলে আম্পায়াররা থামিয়ে দেন আফ্রিদিকে। যে কারণে ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় তার স্পেল।
ওই ওভারে ৪ বলেই ১৫ রান দিয়ে ফেলেন আফ্রিদি। সব মিলিয়ে ১৬টি বৈধ ডেলিভারিতে ৪৩ রান দিয়ে শেষ হয় আফ্রিদির অভিষেক।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের পেস বিভাগের নেতা তাসকিন আহমেদ। গতির ঝড় ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলেছেন তিনি। এবার তার কাছে আরও বড় চাওয়া জানিয়ে রাখলেন শোয়েব আখতার।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের ১২তম মৌসুম। এবারের টুর্নামেন্টে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শোয়েব। রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার হয় চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠান।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শোয়েব আখতার বলেন, এবারের বিপিএলে তাসকিনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারিটি দেখতে চান তিনি।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিমি. প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ডেলিভারি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন শোয়েব আখতার। সেই রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ। এবার বিপিএলে তাসকিনের কাছে সেই রেকর্ড ভাঙার আবদার করে রাখেন পাকিস্তানের গতি তারকা।
“আমি চাই তাসকিন আমার গতির রেকর্ড ভেঙে দিক।”
এবার দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শোয়েব আখতার। বিপিএল শুরু হলে আবারও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এই দফায় বাংলাদেশে এসে নিজের ভালো লাগার কথা বললেন শোয়েব।
“আমি এই দেশকে অনেক ভালোবাসি। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। তবে এখানে আসা হচ্ছিল না। বাংলাদেশের ব্যাপারে আমার ভালোবাসা সবাই জানে। আর বাংলাদেশও আমাকে কতটা ভালোবাসে সেটিও আমি জীবনভর দেখেছি। তাই অনেক ধন্যবাদ। এখানে এসে আমি সত্যিই খুশি।”

আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয়ের পর নেপালের সঙ্গে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে মোহাম্মদ সবুজ, সাদ ইসলামদের চমৎকার বোলিংয়ের পর জাওয়াদ আবরারের ঝড়ো ফিফটিতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার আগে ব্যাট করতে নামা নেপালকে মাত্র ১৩০ রানে অল আউট করে দেয় বাংলাদেশ। পরে জাওয়াদের ঝড়ে ১৫১ বল বাকি থাকতে জিতে যায় তারা।
যুব এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের মিশনে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। অন্যথায় সুযোগ থাকবে পরের ম্যাচ খেলে শেষ চার নিশ্চিত করার।
নেপালের বিপক্ষে রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। মাত্র ২৯ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান রিফাত বেগ (৫) ও আজিজুল হাকিম তামিম (১)।
তবে বিপদ আর বাড়তে দেননি জাওয়াদ ও কালাম সিদ্দিকি এলিন। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি। ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন কালাম।
আরও পড়ুন
| বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সূচি |
|
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ বলে ৭০ রান করেন আগের ম্যাচে ৯৬ রান করা জাওয়াদ। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সবুজ। এছাড়া সাদ, শাহরিয়ার আহমেদ ও তামিম নেন ২টি করে উইকেট।
বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।