
সিরিজ জিতেছে ভারত। সিরিজে রান পেয়েছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই তারকা ব্যাটার রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি। সিরিজ সেরা হয়েছেন কোহলি। ভারতের ক্রিকেটভক্তদের জন্য বেশ আনন্দের মূর্হুতই বটে।
আজ বিশাখাপত্তনমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে ৯ উইকেটে জিতেছে ভারত। রোহিত-কোহলির ফিফটি আর যশস্বী জয়সওয়ালের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের বলে-কয়ে হারাল স্বাগতিকরা।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৭.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করে। জবাবে ৬১ বল ও ৯ উইকেট বাকি রেখেই জয়ে নোঙর করে স্বাগতিকরা। ১২১ বলে ১১৬ করা যশস্বী হন ম্যাচসেরা। আর তিন ম্যাচের সিরিজে মোট দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে মোট ৩০২ রান করা কোহলি হন সিরিজসেরা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বর্তমানে সাড়ে তিনশো রানও নিরাপদ নয়। আগের ম্যাচেই সেটি দেখিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আজ নিজেরা তিনশো রানের কাছেও যেতে পারেনি। ২৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের উদ্বোধনী জুটিই বেশিরভাগ কাজ করে দিয়ে যায়। ১৫৫ বলে ১৫৫ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন রোহিত-জয়সওয়াল।
৭৩ বলে ৭৫ করা রোহিত থামেন কেশব মহারাজের বলে ম্যাথু ব্রিৎজকের তালুবন্দি হয়ে। ৭ চার ও ৩ ছয়ে ইনিংসটি সাজান ৩৮ বছর বয়সী ডানহাতি এই ওপেনার। এদিন দারুণ এক মাইফলকও স্পর্শ করেন রোহিত। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ২০ হাজার রানের ক্লাবে যোগ দিলেন তিনি। এ তালিকায় বাকিরা হলেন শচিন টেন্ডুলকার (৩৪৩৫৭), বিরাট কোহলি (২৭৯১০), রাহুল দ্রাবিড় (২৪২০৮)।
রোহিত ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে কোহলি-জয়সওয়ালের ১২৬ রানের জুটিতে হেসেখেলে জয় পায় ভারত। চার ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান জয়সওয়াল। ১২১ বলে ১১৬ রানের ইনিংসটি খেলতে ১২টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার।
কোহলি ভক্তরা হয়তো খানিকটা আফসোসই করেছেন। ইশ, যদি দক্ষিণ আফ্রিকার রান আরও বেশি হতো, তবে টানা তিন ম্যাচে হয়তো সেঞ্চুরি দেখা যেত ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরার ব্যাটে। টানা দুই চারে ভারতকে জেতানো কোহলি করেছেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। মেরেছেন ৬টি চার ও দু’টি ছক্কা।
এর আগে দীর্ঘ সময় পর টস ভাগ্য খুলে ভারতের। দীর্ঘ ২৫ মাস ও ২০ ম্যাচ পর অবশেষে ওয়ানডে টস জিতে ভারত। সবশেষ ২০২৩ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের পর ওয়ানডেতে টস জিততেই যেন ভুলে গিয়েছিল ভারত। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২০ ম্যাচের অপেক্ষা ঘোচালেন রাহুল।
টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাহুল। প্রথম ওভারেই রায়ান রিকেল্টনকে ফিরিয়ে ভারতকে দারুণ সূচনা এনে দেন আর্শদ্বিপ সিং। ১ রানে এক উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি-কক। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই ছুটছিল প্রোটিয়ারা। তবে বাভুমাকে কোহলির ক্যাচ বানিয়ে ১১৩ রানের জুটি ভেঙে ভারতকে ম্যাচে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা।
মিডল অর্ডারে ব্রিটজকে এবং ব্রেভিস ভাল শুরু করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন দু’জনই। ব্রিটজকেকে(২৪) ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আর ব্রেভিসকে(২৯) কুলদীপ যাদব। এডেন মার্করামও ফেরেন ১ রানে।
রান করতে পারেননি কভিন বসচ এবং মার্কো জানসেনও। দক্ষিণ আফ্রিকার রান যখন ১৯৯, এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি করা ডি-কক আউট হন কৃষ্ণার বলে বোল্ড হয়ে। ৮৯ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলার পথে দারুণ কয়েকটি রেকর্ডেও নাম লেখান তিনি। অবসর থেকে ফেরা এই বাঁহাতি ব্যাটার ২৩তম শতকে বিদেশের মাটিতে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির যৌথ রেকর্ড গড়েছেন। দেশের বাইরে তাঁর মোট সেঞ্চুরি এখন সাতটি। ডি ককের আগে চার ব্যাটার এই সংখ্যা ছুঁয়েছেন।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনাৎ জয়সুরিয়ার সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাগাভাগি করলেন ডি ককের। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২৩ ইনিংসে ৭টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে সমান সংখ্যাক শতক পাওয়া জয়সুরিয়াকে খেলতে হয়েছে ৮৫ ইনিংস। উইকেটকিপার হিসেবেও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করলেন ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। কুমার সাঙ্গাকারার সমান ২৩টি সেঞ্চুরি তাঁর।
ডি কক ফেরার পর ৭১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে মহারাজের ২৯ বলে ২০ রানের ইনিংসে কোনমতে ২৭০ করে তাঁরা। কুলদীপ এবং প্রসিদ্ধ ৪টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন অর্শদীপ এবং জাদেজা।
No posts available.

দল হারুক কিংবা জিতুক—মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর কাজটাই করে যান একান্তচিত্তে। গতকাল ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি দুবাই ক্যাপিটালস। ঠিকই বল হাতে জাদু দেখিয়েছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।
মোস্তাফিজ ৪ ওভারে নিয়েছেন ২টি উইকেট। ক্যাচ ধরেছেন ২টি। আজও মোস্তাফিজ বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ৩ ওভার বোলিং করে ২২ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। ভাগ্য ভালো, আজ তার দল আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮৬ রান তোলে দাসুন সানাকার দল। রভম্যান পাওয়েলের অপরাজিত ৫২ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে শক্তিশালী পুঁজি পায় দল।
লক্ষ্য পূরণে নেমে ডেভিড উইলি ও মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে পড়ে নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে ১০৩ রানে থামিয়ে দেয় জেসন হোল্ডারদের।
মূলত মোস্তাফিজ ও উইলির তোপে শুরুটা ভালো না হওয়াটাও বড় ধাক্কা ছিল নাইট রাইডার্সের। তার মধ্যে ওয়াকার সালমানখিলের স্পিন পড়তে গিয়ে রীতিমতো হাপিয়ে ওঠেন আন্দ্রে রাসেল ও রাদারফোর্ডরা।
দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট পাকিস্তানি স্পিনারের। চার উইকেট তোলেন সালমানখিল। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবি, মোস্তাফিজ ও উইলি।

যখন সব শেষ হয়ে যাবে—রাজনীতি, ক্রিকেট; তখন সাকিব আল হাসান কী করবেন? মানুষ তাঁর কোন দিক স্মরণ করবে, ক্রিকেটার সাকিবকে নাকি রাজনীতিবিদ সাকিবকে?
‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামক পডকাস্টে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আজ। সেখানে নিজের যাপিত জীবন, ইচ্ছা-উদ্দীপনা ও ফেলে আসা দিন তুলে ধরেছেন সাবেক অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, “আমার মনে হয়, ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় শেষ করেছি। হয়তো এখন রাজনীতির অংশ বাকি আছে। এটা এমন কিছু যা আমি বাংলাদেশের মানুষ এবং মাগুরাবাসীর জন্য করতে চাই। এটা ছিল আমার ইচ্ছা, যা এখনো আমার ইচ্ছা। দেখা যাক, আল্লাহ আমাকে কোথায় নিয়ে যান।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে ফেরেননি তিনি। ক্যারিয়ারের পাঠ শেষ করার আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়াটা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
সাকিব বারবার দেশে ফিরতে চাইলেও ফেরা হয়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ঠিকিই দেশে ফিরবেন এবং দেশ, বিশেষ করে মাগুরার মানুষের জন্য রাজনীতি করে যাবেন।
পডকাস্টে সাকিব বলেন, “আমি অবশ্যই চাই বাংলাদেশে ফিরতে। কারণ, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব।”

আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। মহাযঞ্চের আগে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সালমান আলি আগা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তান দলের অধিনায়ক কথা বলেছেন বিশ্বকাপে তাঁদের প্রস্তুতি, দলের ফিটনেস ও লক্ষ্য নিয়ে।
গ্রুপ ‘এ’ তে পাকিস্তানের সঙ্গী ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডস। অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন উঠলেও আগা জানান, তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে বড় কোন পরিবর্তন হবে না বলে জানান আগা, ‘বিশ্বকাপের আগে বড় কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। যে কম্বিনেশন তৈরি হয়েছে, সেটাই থাকবে।’
সামনের দুটি বিশ্বকাপ জিততে চান আগা, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে চাই। এগুলো আমার স্বপ্ন। সত্যি হলে দারুণ লাগবে।’

২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার এরপর আর দেশের হয়ে খেলেননি। বেশ কয়েকবার সম্ভবনা জেগেছিল, সাকিবেরও ইচ্ছা ছিল মিরপুর শেরে বাংলায় ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলবেন।
সাকিবের সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তবে আশা মরেও যায়নি। কারণ, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাননি তিনি। ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখনও স্বপ্ন দেখেন মাতৃভূমিতে ফিরবেন, লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াবেন।
বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন সাকিব। সেখান থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলছেন। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি–টোয়েন্টিতে (আইএলটি টি–টোয়েন্টি) এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলা সাকিবের বর্তমান গন্তব্য আরব আমিরাত।
আইএলটি টি–টোয়েন্টি চলাকালীন ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামক পডকাস্টে অংশ নেন সাকিব। তার সঙ্গে অতিথি ছিলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মঈন আলী।
পডকাস্টে সঞ্চালকের এক প্রশ্নে দেশের জার্সিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪৪৭ ম্যাচ খেলা সাকিব বলেন,
“আমি অবশ্যই চাই বাংলাদেশে ফিরতে। কারণ, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব।”
নিজের লাইফস্টাইল নিয়ে সাকিব বলেন,
“তুমি যে ‘স্বাভাবিক জীবন’-এর কথা বলছ, সত্যি বলতে আমি কখনোই সে জীবন চাইনি। আমি বাংলাদেশে যে জীবনটা কাটাচ্ছিলাম, সেটা আমার ভালোই লাগত। এমন না যে আমি সেই জীবনটা অপছন্দ করতাম। আমি তো আমার মতো করেই স্বাভাবিক জীবনে ছিলাম।”
সাকিব আরও বলেন, “আমার কখনো বেশি বন্ধু ছিল না। ছোটবেলা থেকেই বাইরে বেশি যেতাম না। আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়েছি, আর বড় হতে হতে ভালো দিকনির্দেশনা পেয়েছি। এগুলো আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’

পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুই দিনে হারের পর ব্রিসবেনে পিংক বলের টেস্টে ইংল্যান্ড হারল ৮ উইকেটে। সিরিজের আগে বেন স্টোকস হুংকার দিয়ে ইতিহাস রচনার কথা জানালেও আদতে তা ধোপে টেকেনি। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট ২-০ পিছিয়ে যাওয়ার দারুণে মন খারাপ সফরকারীদের। বিশেষ করে ক্যাপ্টেন স্টোকস তো বলেই দিলেন—দলে দুর্বলচিত্তের মানুষদের কোনো স্থান নেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬৫ রানের লক্ষ্য ১০ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে স্মিথের দল। ম্যাচের চতুর্থ দিন খানিক লড়াই করেন বেন স্টোকস। তবে তাকে থামিয়ে দিয়ে অনায়াসেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
আজ ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টোকস জানিয়েছেন, বিপদকালে তাঁর দল কতটা প্রেসার নিতে পেরেছে সেটাই আলচ্য।
তিনি বলেন, ‘‘ওরা (অস্ট্রেলিয়া) গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়। আমরা দুর্বল নই, কিন্তু এখন ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছি। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে, আমাদের কিছু একটা খুঁজে বের করতেই হবে।”
প্রথম ইনিংসে থিতু হয়ে যাওয়ার পর রান আউটে কাটা পড়লেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই এক প্রান্ত আগলে ব্যাট চালিয়ে যান স্টোকস। প্রায় ২২৯ মিনিট ক্রিজে পড়ে থেকে ১৫২ বল মোকাবিলা করে ফিফটি করেন ইংল্যান্ড অধিানয়ক।
স্টোকস যখন ব্যাট হাতে বাইশগজে নামেন তখন দল মৃতপ্রায়। সেটা জাগিয়ে তোলেন তিনি। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। তাই অনেকটা রাগ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেকবার বলেছি। অস্ট্রেলিয়া সফর দুর্বল লোকদের জন্য না। তারমধ্যে যে ড্রেসিংরুমে ক্যাপ্টেন আমি, সেখানে তো কখনই নয়।’’
ম্যাচশেষে বিবিসির ‘টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল’-এ দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ইংল্যান্ড দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জানিয়েছেন, দলের প্রস্তুতির মোটেও ঘাটতি ছিল না। বরং অতিরিক্ত অনুশীল হয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রস্তুতির অভাব ছিল—আমি তা মনে করি না। বরং আমরা হয়তো একটু বেশি অনুশীলনই করেছি। এই ম্যাচের আগে পাঁচটি জোরালো ট্রেনিং সেশন ছিল। কখনো কখনো ঘাটতি পুষিয়ে নিতে গিয়ে অতিরিক্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন,‘‘ক্রিকেট কেবল শারীরিক বা টেকনিক্যাল প্রস্তুতির খেলা নয়, মানসিক প্রস্তুতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ব্যাটিংয়ে ঘাটতি ছিল, বোলিংয়ে তো ছিলই, আর ফিল্ডিংতেও ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। ভালো দলের বিরুদ্ধে ১০ উইকেট নেওয়াই কঠিন, সেখানে ১৫টা নিতে গেলে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় সবাই জানে।’’