১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম

সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সবদিক থেকেই কিছুটা এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। খেলাটা ক্যারিবিয়ানে হলেও এখানে শেষ দুই ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি যে ছিল সঙ্গী। আর সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ চারটি সিরিজ জয়ের ধারা। ব্যাটাররা ভালো একটা পুঁজি এনে দিলেও প্রথম ম্যাচে বোলাররা পারেননি জেতাতে। ফলে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ সিরিজে টিকে থাকার, যেখানে জয়ের নেই বিকল্প।
আর সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে সেন্ট কিটসের উইকেট ঠিকঠাক পড়তে পারা। প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়ার সময় মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ২৮০ রানই যথেষ্ট হবে। শেষ পর্যন্ত ২৯৪ রান করে হারার পরও বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, রানের কোনো কমতি ছিল না তাদের বোর্ডে। তবে এই রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে তাড়া করেছে, ম্যাচ বের করে নেওয়া শাই হোপ ও শেরফান রাদারফোর্ড যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, সেটাই বলে দেয় যেয় রানটা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
কারণ, সেন্ট কিটসের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। বল দুই ইনিংসে ব্যাট এসেছে আদর্শভাবেই। স্পিনাররা পাননি সেভাবে সহায়তা। তবে পেসাররা ভালো করেছেন। বাংলাদেশের দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা শুরুর দিকে তো চাপেই ফেলে দিয়েছিলেন। তবে মাঝের ওভারগুলোতে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া জুটি গড়েন হোপ ও রাদারফোর্ড।
এই সময়ে দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মিরাজ কেউই পারেননি প্রভাব ফেলতে। উল্টো দুজনই ছিলেন খরুচে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই এক স্পিনার হিসেবে মিরাজকেই রাখে বাংলাদেশ দলে আনতে পারে বাড়তি পেসার হিসেবে শরিফুল ইসলামকে। মুস্তাফিজুর রহমান না থাকায় একজন বাঁহাতি পেসারের উপস্থিতি যোগ করতে পারে বোলিংয়ে ভিন্ন মাত্রা।
আবার রিশাদের জায়গায় দলে আসতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদও। এছাড়া একাদশে আর পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা না বললেই চলে। তবে চিন্তার কারণ হতে পারেন ওয়ানডেতে রীতিমত নিজেকে হারিয়ে খোঁজা লিটন দাস। এই বছর তিন ওয়ানডে খেলেও তার রান যায়নি দুই ডিজিটে। গত ম্যাচে তিনে নেমে আরও একবার দলকে হতাশ করেছেন। অভিজ্ঞতার বিচারে তিনি আরেকটা সুযোগ পেলেও তার ফর্মহীনতা বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে।
তবে এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হবে উইকেটের আচরণ অনুযায়ী আগে ব্যাটিং করলে নিজেদের লক্ষ্যটা ঠিক করা সঠিকভাবে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি ফিফটি করেন মিরাজ, ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। পরের দুজন একশ স্ট্রাইক রেট বজায় রাখলেও মিরাজ অনেকটাই ধীরগতির ব্যাটিং করেন। ৭৪ রান করতে বল খেলেন ১০১টি। অথচ উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। ফলে রানের গতি তিনি যদি বাড়াতে পারতেন, তাহলে হয়ত বাংলাদেশের স্কোরটা হতে পারত ৩২০ রানের মত স্কোর।
সেটা না হওয়ার মূল কারণ, মিরাজের টস ও ম্যাচের পরেও ৩০০ রানের কম স্কোরকেও যথেষ্ট ভাবা। প্রতিপক্ষের ব্যাটিং বার্তা দিয়েছে, ২০-৩০ রান কম করেছে বাংলাদেশ। আর তাই ব্যাট হাতে ধারাবাহিক মিরাজকে চারে নেমে আরেকটু আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হবে। আর অধিনায়ক হিসেবে নিতে হবে আরও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। তাহলেই মিলতে পারে সিরিজে সমতা ফেরানো সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায়।
No posts available.
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম

বাংলাদেশের খেলাধুলায় প্রতিভা তৈরির আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩৯ বছরের পথচলায় উঠে এসেছেন অসংখ্য নামি-দামি খেলোয়াড়। যাঁরা নিজেদের মেধা, কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্যের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সাক্ষর রেখে চলেছেন।
গুণী এসব খেলোয়াড়দের সম্মান জানাতে আজ বুধবার উন্মোচন করা হলো বিকেএসপির ‘৫০ লিজেন্ডারি খেলোয়াড়’-এর নামফলক।
বিকেএসপির অডিও-ভিজ্যুয়াল সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম।
অডিও ভিজ্যুয়াল অনুষ্ঠান শেষে র্যালিতে অংশ নেন উপস্থিত সবাই এবং বিকেএসপির প্রশাসনিক ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত লিজেন্ডদের নাম সম্বলিত একটি নাম ফলক উন্মোচন করেন।
বিকেএসপি লিজেন্ডস’ তালিকায় যাঁরা আছেন:
ক্রিকেট: নাঈমুর রহমান, মুশফিকুর রহিম, আবদুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান, শারমিন আক্তার, ফারজানা হক, মুমিনুল হক, লিটন দাস ও মারুফা আক্তার।
ফুটবল: মাসুদ রানা, হাসান আল মামুন, মনোয়ার হোসেন, ফিরোজ মাহমুদ টিটু, জাহিদ হাসান এমিলি, জাহিদ হোসেন, মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, আঁখি খাতুন, রহমত মিয়া, ঋতুপর্ণা চাকমা, আফঈদা খন্দকার ও শেখ মোরছালিন।
হকি: আ ন ম মামুন উর রশীদ, আলমগীর আলম, টুটুল কুমার নাগ, মাহাবুবুল এহসান রানা, রাসেল মাহমুদ জিমি ও মামুনুর রহমান চয়ন।
শুটিং: আসিফ হোসেন খান, শারমিন আক্তার ও আবদুল্লাহ হেল বাকি।
সাঁতার: কারার মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মাহফিজুর রহমান সাগর ও মাহফুজা খাতুন শীলা।
আর্চারি: হাকিম আহমেদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, দিয়া সিদ্দিকী, আবদুর রহমান আলিফ ও সাগর ইসলাম।
অ্যাথলেটিকস: বিমল চন্দ্র তরফদার, ফৌজিয়া হুদা জুই, মেজবাহ আহমেদ, জহির রায়হান ও শিরিন আক্তার।
বাস্কেটবল: মিঠুন কুমার বিশ্বাস, সামসুজ্জামান খান ও খালেদ মাহমুদ আকাশ।
বক্সিং: আবদুর রহিম।
টেনিস: এস কে মহিউদ্দিন ওয়ালিউল্লাহ ঝিলান।

কক্সবাজার একাডেমি মাঠে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বড় পুঁজি নিয়েও জিততে পারল না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২৬ রান করে বাংলাদেশ। সিরিজের আগের তিন ম্যাচে এত রান হয়নি। তবে এটিকেও মামুলি বানিয়ে ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে গেছে সফরকারীরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের পক্ষে তিন নম্বরে নেমে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন অচেনা জান্নাত। এছাড়া মাইমুনা নাহার ২৪ ও সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা করেন ২০ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রোজিনা আকরাম ও মেমুনা খালিদ।
রান তাড়ায় ঝড়ো ফিফটি করেন ফিজা ফিয়াজ। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক ইমা নাসিরের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৪২ রান। দুজন মিলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি।
একই মাঠে শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে দুই দল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের পর ঢাকার ক্লাব সংগঠকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। ক্যাটাগরী-২ কোটায় ১২ পরিচালক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র তুলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন যারা, বিসিবির নির্বাচিত পরিচালনা পরিষদকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট বর্জনে একাট্টা হয়েছেন সেই সব সংগঠক। ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের ব্যানারে ৪৩টি ক্লাব একজোট হয়ে সিসিডিএম-এর আওতাভুক্ত সকল লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে ২০২৫-২৬ ক্রিকেট মৌসুম শুরু করতে চেয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম)। এবং এই লিগ আয়োজনের জন্য করনীয় সব পদক্ষেপও নিয়েছে সিসিডিএম। তবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলোয়াড়দের দলবদল যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হলেও কিছু কিছু ক্লাবের অসহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু করতে পারেনি সিসিডিএম। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু করতে চেয়েও তিনদিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর থেকে এই লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিডিএম। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৩টি ক্লাব বার্ষিক অনুদানের চেক বুঝে নিয়েছে। তবে অবশিষ্ট ক্লাবগুলো অনঢ় অবস্থান থেকে সরে না আসায় সুষ্ঠুভাবে লিগ সম্পন্ন করা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিসিসিকে চাপের মুখে ফেলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে একই ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করেছেন তারা। বিরোধীদের ওই দুটি সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে বিসিবি। বিসিবি পরিচালকও সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন, বিসিবি পরিচালকও ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান শানিয়ান তানিম এবং বিসিবি পরিচালকও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মোকসেদ আলম বাবু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান, আবাহনী লিমিটেডের পরিচালক শেখ বশির আহমেদ মামুন এবং সূর্যতরুণ ক্লাবের কর্মকর্তা ফাহিম সিনহার বক্তব্যের জবাব দিয়েছে সিসিডিএম। বিরোধীদের পক্ষ ত্যাগ করে ক্রিকেট লিগে খেলার পক্ষে তামীম অবস্থান নেয়ায় তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিষোদগার না ছড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি এবং মঙ্গলের জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সকল ধাপের লিগ সম্পন্ন করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছে সিসিডিএম।
লিগে অংশ না নিলে বাইলজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে সিসিডিএম। প্লেয়িং কন্ডিশনের সেই শর্তের বিষয়টি ক্লাবসমূহ অবগত আছে বলে মনে করছেন ফারুক আহমেদ। ঢাকা ক্রিকেট লিগ এদেশের হাজার হাজার ক্রিকেটারদের রুটি-রুজির অন্যতম উৎস। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে লিগে অংশ নিবে সকল ক্লাব, সেই আহ্বান জানিয়েছেন বিসিবি সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ-
'একটা ব্যাপার স্পষ্ঠ। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এখন লিগ বর্জনে সোচ্চার। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আছে। তাই বলে ক্রিকেটকে বন্ধ করা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। দেশে গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলা। লিগ না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ক্রিকেটাররা। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থে খেলা মাঠে গড়ানো দরকার।'
ক্লাব ক্রিকেটকে জিম্মি করছে যারা, তাদের হাত থেকে ক্রিকেটকে মুক্ত করতে ক্লাব ক্রিকেটের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার পক্ষে অবস্থান নেয়নি বিসিবি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন ফারুক আহমেদ-
'ক্লাব ক্রিকেট টাকা পয়সা খরচ করে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে ক্লাব ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত না হলে কিংবা সকল ক্লাব অংশ না নিলে ক্রিকেটারদের জন্য বিকল্প ভাবনাও আছে বিসিবির। এমনটাই জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ-' ক্লাব ক্রিকেট না হলে বোর্ড বিকল্প টুর্নামেন্ট করবে।'
ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন বিসিবি, সিসিডিএম স্বীকৃত কোনো সংগঠন নয়, সমাজকল্যান মন্ত্রানালয়ের নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠানও নয়। সে কারণে তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়ার পক্ষে নয় সিসিডিএম। লিগে অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ক্লাব তাদের প্যাডে লিখিত দিয়ে সিসিডিএমকে জানায়নি বলেও সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন উপস্থিত গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন-
' আমরা লিগ খেলব না, এরকম কোনো চিঠি সিসিডিএমকে পাঠায়নি একটিও ক্লাব।'

টানা দুবার আইপিএলের দলে থেকেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সরে দাঁড়ান হ্যারি ব্রুক। এ জন্য শাস্তিরমুখে পড়েন ইংলিশ ব্যাটার। নতুন আইপিএল নিয়মে, ২০২৮ মৌসুমের আগে আর কোনো আইপিএলে খেলতে পারবেন না তিনি। নতুন নিয়মে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিষেধাজ্ঞার শিকার ব্রুক।
আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার বড় সুখবর পেলেন ব্রুক। ‘দ হান্ড্রেডের’ সবচেয়ে দামি ক্রিআইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার বড় সুখবর পেলেন ব্রুক। ‘দ হান্ড্রেডের’ সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার এখন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো রিটেনশন চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ব্রুক ২০২৬ দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলবেন প্রায় পাঁচ লাখ পাউন্ড মূল্যের চুক্তিতে।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন, ব্রুকের বর্তমান দল নর্দার্ন সুপার-চার্জার্স এখন নতুন নামে সানরাইজার্স লিডস হিসেবে খেলবে। তাঁর সঙ্গে ৪ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড মূল্যের চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হতে পারেন তিনি।
ব্রুক গত দুই মৌসুমে নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের অধিনায়কত্ব করেছেন। আইপিএল থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দ্য হান্ড্রেডে বড় চুক্তি নিশ্চিত করেছেন।
এই বছর দ্য হান্ড্রেডের চুক্তি ও পরিচালনা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এসেছে। আগের পাঁচ মৌসুম পর্যন্ত সব ফ্র্যাঞ্চাইজি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হতো, এবার হোস্ট কাউন্টি ও প্রাইভেট ইনভেস্টররা যৌথভাবে দায়িত্ব নেবেন। খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়মও বদলেছে, যেখানে দলগুলো সর্বোচ্চ চা খেলোয়াড় নিলামের আগে কিনতে পারবেন। অন্তত একজন অবশ্যই আগের বছরের দল থেকে হতে হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইতিমধ্যেই রিটেনশন চুক্তি সম্পন্ন করেছে। সানরাইজার্স লিডস ব্রুকের সঙ্গে ব্রাইডন কার্স ও মিচেল মার্শকেও দলে নিয়েছে। ওয়েলশ ফায়ারের সঙ্গে ফিল সল্টের চুক্তি হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মূল্যে।
মেয়েদের দ্য হান্ড্রেডেও চুক্তি চলছে। মারিজান কেপ লন্ডন স্পিরিটে যাচ্ছেন, মেগ ল্যানিং ম্যানচেস্টার সুপার জায়ান্টসে, লরেন বেল সাউদার্ন ব্রেভের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন এবং ফ্রেয়া কেম্প ওয়েলশ ফায়ারে যোগ দিচ্ছেন।
সব দলের রিটেনশন চূড়ান্ত করতে হবে আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে। তারপরে মার্চে হবে প্রথম অকশন। আগামী বছরের ২১ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত হবে দ হান্ড্রেড।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে একই দলে খেলার ঘটনা আছে অনেক। এবার আগামী বছরের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে যমজ দুই ভাইয়ের একসঙ্গে খেলার ঘটনা। জিম্বাবুয়ে দলে ডাক পেয়েছেন মাইকেল ব্লিগনট ও কিয়ান ব্লিগনট।
তারা দুজন জিম্বাবুয়ের সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার অ্যান্ডি ব্লিগনটের সন্তান।
জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে। যেখানে বড় খবর মূলত যমজ ভাইদের জায়গা পাওয়া।
খেলোয়াড়ি জীবনে জিম্বাবুয়ের জার্সিতে ৭৪ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন অ্যান্ডি ব্লিগনট। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও খেলেছেন হার্ড-হিটিং অলরাউন্ডার। বাবার মতোই অলরাউন্ডার যমজ দুই ভাই মাইকেল ও কিয়ান।
'সি গ্রুপে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে। পেসার সিমবারাশে মুদজেঙ্গেরেরের অধিনায়কত্বে খেলবে তারা। এছাড়া গত বছরের বিশ্বকাপ খেলা নাথানিয়েল হ্লাবাঙ্গানাও আছেন ১৫ জনের দলে।
আগামী ১৫ জানুয়ারি শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে উদ্বোধনী দিনেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড
সিমবারাশে মুদজেঙ্গেরেরে (অধিনায়ক), কিয়ান ব্লিগনট, মাইকেল ব্লিগনট, লিরয় চিওআউলা, তাতেন্দা চিমুগোরো, ব্রেন্ডন সেনজেরে, নাথানিয়েল হ্লাবাঙ্গানা, তাকুদজওয়া মাকোনি, পানাশে মাজাই, ওয়েবস্টার মাধিধি, শেলটন মাজভিতোরেরা, কুপাকওয়াশে মুরাদজি, ব্র্যান্ডন ন্দিওয়েনি, ধ্রুব প্যাটেল ও বেনি জুজে।