৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:২৫ পিএম
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, শক্তিমত্তার বিচারেও এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে মাঠের খেলায় আগে ব্যাট করা দুর্বার রাজশাহী দাপট দেখাল শুরু থেকেই। দুই ওপেনার অল্পে বিদায় নিলেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখালেন এনামুল হক বিজয় ইয়াসির আলি। দুজনই করলেন ফিফটি। তাদের ব্যাটে ব্যাটে চড়ে দলটি পেল বিশাল স্কোর। মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট হারানো বরিশালকে পথ দেখালেন মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম আশরাফ। দুজনের অপরাজিত ফিফটি আসরে শুভসূচনা এনে দিল বরিশালকে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের প্রথম ম্যাচে বরিশাল জিতেছে ৪ উইকেটে। রাজশাহীর করা ৩ উইকেটে ১৯৭ রান দলটি পাড়ি দিয়েছে ১১ বল হাতে রেখেই।
দিনের শুরুতে রাজশাহীকে শুরুতেই চাপে ফেলে দিয়েছিলন কাইল মায়ার্স। পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার জিসান আলম ও মোহাম্মদ হারিস। তবে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দেন এনামুল ও ইয়াসির মিলে। পাল্টা আক্রমণ শানান বরিশালের বোলারদের ওপর। পাওয়ার প্লেতে আসে ৪০ রান।
আরও পড়ুন
মাহেদির ঘূর্ণিতে বড় জয়ে রংপুরের শুভসূচনা |
রিপন মন্ডলের করা সপ্তম ওভারে আসে তিন বাউন্ডারি। তার করা পরের ওভারে চার ও ছক্কা হাঁকান এনামুল। ইয়াসির তুলনামূলক আগ্রাসী হলেও এনামুল ইনিংসের মাঝপথে ধরে খেলেন। চার মেরে পঞ্চাশে পা রাখেন ৪২ বলে। তানভির ইসলামকে টানা দুই ছক্কা মেরে পরের ওভারে ফিফটি তুলে নেন ইয়াসিরও। ডানহাতি এই ব্যাটার এজন্য বল খেলেন ৩৬টি।
ফাহিম আশরাফের বলে ৫১ বলে এনামুল ৬৫ রানে আউট হলেও ইয়াসির একাই ইনিংস টেনে নেন শেষ পর্যন্ত। শেষ ওভারে রিপনকে দুই ছক্কার পাশাপাশি মারেন একটি চারও। মাত্র ৪৭ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির পাশাপাশি হাঁকান ৮টি ছক্কা।
রান তাড়ায় ইনিংসে প্রথম বলেই জিসানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ বলে ৭ রানে তাসকিন আহমেদের প্রথম শিকারে পরিণত হন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
খানিক বাদে মায়ার্সকেও এক ডিজিটে শিকার বানান তাসকিন। হাসান মুরাদের লেগ সাইডের বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। একপ্রান্ত আগলে কিছুটা লড়াই করা তাওহীদ হৃদয় ৫ চারে করেন ৩২ রান।
আরও পড়ুন
ঝড়ো ফিফটির কৃতিত্ব মাহমুদউল্লাহকেই দিলেন ফাহিম |
এরপর সাতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদির ১৭ বলে ২৭ রানের ক্যামিও বরিশাল শিবিরে যোগায় জয়ের আশা। তার বিদায়ের পর সপ্তম উইকেটে রাজশাহীর মুঠো থেকে বের করে নেন মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম। শুরুটা করেন ফাহিমই, মুরাদের এক ওভারে মারেন টানা তিন ছক্কা।
মোমেন্টাম এরপর থেকেই চলে যায় বরিশালের দিকে। একের পর এক বাজে বল করে রাজশাহীর বোলাররা তাদের কাজটা আরও সহজ করে দেন। প্রতি ওভারেই চার-ছক্কার মার চলতে থাকায় বল-রানের ব্যবধান আর চাপে ফেলতে পারেনি বরিশালকে। সেই ধারায় কঠিন সমীকরণ থেকে দলটি ম্যাচ জেতে হেসেখেলেই।
মাত্র ২৬ বলে ৪টি ছক্কা ও ৫ চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। নয়ে নামা ফাহিম ছিলেন আরও আগ্রাসী। মাত্র ২১ বলে করেন ৫৪ রান। ইনিংস সাজান ৭টি ছক্কা ও এক চারে।
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে
প্রথমবারের মত গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে। সাইফ হাসান সেখানে দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় রেখেছিলেন বড় অবদান। বিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে সেভাবে অবশ্য হাসেনি তার ব্যাট। তবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ঝকঝকে এক ফিফটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তরুণ এই ব্যাটার। সাইফ মনে করেন, দলে তার ভূমিকাটা ঠিক এমনই।
বয়সভিত্তিক দল থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটারদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় সাইফকে। খেলেছেন জাতীয় দলের হয়েও। তবে জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। লাল বলের ক্রিকেটে পরিচিতি পেলেও বিগ হিটিংটা যে ভালোই পারেন, তা বেশ ভালোভাবেই দেখাচ্ছেন জিএসএল থেকেই। সেই ধারায় বিপিএলে বৃহস্পতিবার বরিশালের বিপক্ষে রান তাড়ায় অপরাজিত থাকেন ৪৬ বলে ৬২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে।
ম্যাচ সেরা হয়ে সাইফ জানান দায়িত্ব পূরণের আনন্দের কথা।
“আমার মনে হয় জিএসএল থেকেই আমার ওপর একটা দায়িত্ব ছিল। সবাই আমাকে খুব ভালো গাইড করেছে, টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রত্যেকেই আমার ওপর অনেকে ভরসা রেখেছে।”
সাইফ ব্যাটিংয়ে নামেন ১৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর। একপ্রান্তে অ্যালেক্স হেলস শুরুতে চাপে থাকলেও চার-ছয় মেরে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। ৩টি ছক্কার সাথে মারেন ৬টি চারও। হেলসের সাথে গড়েন ১১৩ রানের জুটি।
ইংলিশ ব্যাটারের সাথে তাই জয়ের কৃতিত্ব ভাগাভাগি করেছেন সাইফ।
“যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছি, অনেক চাপ ছিল। তবে খুশি যে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি। ওই পরিস্থিতিতে আসলে হেলসের সাথে কথা বলার পর ব্যাটিং করাটা অনেক সহজ হয়েছিল। তাতে আমরা খুব ভালোভাবে জিততে পেরেছি।”
এই ম্যাচে বরিশাল একাদশে ছিলেন না জাতীয় দলের তারকা লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সাইফ অবশ্য মনে করছেন, যিনি খেলেছেন, তিনিও কোনো অংশে কম ছিলেন না।
“রিশাদ তো মাঝের ওভারগুলোতে খুব ভালো করে আসছে। ও উইকেট টেকার। জিএসএলে খুব ভালো বোলিং করেছে৷ তবে এই দলে তানভীরও আছে, উনিও উইকেট টেকার। তাই আমরা সেভাবে ঝুঁকি নেইনি। কারণ, কন্ডিশনের হিসেবে সেই দলটির সেরা বোলার ছিল। তবে হ্যাঁ, আপনি যেটা বললেন, মিডল ওভারে রিশাদ খুব ভালো বোলার।”
বোলাররা সবাই মিলে রাখলেন সমান অবদান। তামিম ইকবালের শুরুর ঝড় গতিতে আটকালেন নাহিদ রানা। এরপর পথ হারানো ফরচুন বরিশাল টেনেটুনে পেল একটা লড়াই করার মত স্কোর। দ্রুত দুই উইকেট হারালেও অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসানের শতরানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রংপুর রাইডার্স পেল আরও একটি সহজ জয়। আসরে এটি নুরুল হাসান সোহানের দলের টানা তৃতীয় জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ ম্যাচে রংপুর জিতেছে ৮ উইকেটে। বরিশাল গুটিয়ে গিয়েছিল ১২৪ রানে। ৩০ বল হাতে রেখে অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রংপুর।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে চার মেরে সূচনা করেন প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া হেলস। ওপেনিং জুটিতে এই ম্যাচে বদল এনেও অবশ্য কাজের কাজ হয়নি রংপুরের। বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে আসা আজিজুল হাকিম। দুই বল বাদে তাকে অনুসরণ করেন তৌফিক খানও।
তবে দুই উইকেটের ওভারের শেষটা ভালো হয়নি ইকবাল হোসেন ইমনের। দুই চার সহ বাকি তিন বলে ১০ রান নেন সাইফ হাসান। হেলস ও সাইফ মিলে পাওয়ার প্লের বাকিটা কাটিয়ে দেন ভালোভাবেই, বোর্ডে জমা হয় ৪৮ রান৷ এরপর ইমনের ওপর ফের চড়াও হন সাইফ।
সপ্তম ওভারে এক ছক্কা মারার পর ঝড় বইয়ে দেন নবম ওভারে। তিনটি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কায় ওই ওভারে আসে ২০ রান, যা জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দেয় রংপুরকে।
এরপর হাত খোলেন হেলস। মাত্র ৩৮ বলে এই বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন সাইফ। এরপর শাহিনের এক ওভারে তিনি ও হেলস মিলে দুটি ছক্কা মেরে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা এগিয়ে ফেলেন অনেকটাই।
দুজন মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে ১১৩ রানের জুটিতে। সাইফ ৪৬ বলে করেন ৬২ রান। আর হেলসের নামের পাশে ৪৯ রান, ৪১ বলে।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বরিশালের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। প্রথম ওভারের চার-ছক্কা মারেন তামিম ইকবাল। অন্যপ্রান্তে ছন্দহীন নাজমুল হোসেন শান্ত টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হলেও বরিশাল অধিনায়ক বজায় রাখেন আক্রমণ। শেখ মাহেদিকে মারেন টানা তিন বাউন্ডারি।
আক্রমণে এসেই তাওহীদ হৃদয়কে ফিরিয়ে দেন এই ম্যাচ দিয়ে দলে আসা পেসার আকিফ জাভেদ। টানা তিন বলে তামিমকে রান না করতে দিয়ে চাপে ফেলে দেন নাহিদ। অভিজ্ঞ এই ওপেনার ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে খেলতে এসে এরপর ক্লিন বোল্ড হন তরুণ এই পেসারের বলে।
মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স চেষ্টা করেন ইনিংস মেরামতের। তবে দুই ওভারের মধ্যে দুজনকেই হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বরিশাল। বড় ধাক্কাটা দিয়ে একই ওভারে মায়ার্সের পর আগের ম্যাচে ফিফটি করা ফাহিম আশরাফকেও ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
৮০ রানে ৬ উইকেট হারালেও বরিশালের ভরসা ছিল দুই অভিজ্ঞ সেনানি মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ নবির ওপর। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ এদিন অবশ্য থামেন অল্পেই। ৯৮ রানে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফেলা দলটির ১২০ রান পার করার পেছনে এরপর অবদান নবির।
নাহিদের এক ওভারে দুই চার ও এক ছক্কা মেরে শেষ পর্যন্ত রান আউট হওয়ার আগে আফগান অলরাউন্ডার করেন ১৯ বলে ২১।
১৮ রানে ৩ উইকেট নেন খুশদিল শাহ। সমান দুটি করে উইকেট নাহিদ আকিফের।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফাইফার বা পাঁচ উইকেট নেওয়াটা শুরু থেকেই বেশ কঠিন কাজ। অহরহই এই কীর্তির দেখা মেলে না বলেই ব্যাপারটা একজন বোলারের জন্য খুব বড় কিছুই। সেখানে তাসকিন আহমেদ শিকার করেছেন গুনে গুনে ৭ উইকেট, যা কিনা এর আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে করতে পেরেছেনই মাত্র দুজন! বিপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়ে তাই তাসকিনের উচ্ছ্বাস পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
বিপিএলে বৃহস্পতিবার দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে চার ওভারে স্রেফ ১৯ রানে নেন ৭ উইকেট। শেষ ওভারে নেন তিন উইকেট। এর আগে ২০ ওভারের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল মালেশিয়ার শ্যাজরুল ইদ্রুসের (৮ রানে ৭ উইকেট) ও লেস্টারশায়ারের কলিন অ্যাকারম্যানের (১৮ রানে ৭ উইকেট)।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে তাই তাসকিনের কন্ঠে মিলল তৃপ্তির সুর। “ফাইফার তো যে কোনো ফরম্যাটেই অনেক স্পেশাল ব্যাপার। কারণ অনেকবারই তিন-চার উইকেট পেয়েছি। কিন্তু ৫ উইকেট পেতে একটু ভাগ্যও লাগে। আমার জন্য এটা একটা বড় পাওয়া। বিপিএলের ইতিহাসে আমার নাম থাকবে খেলা ছাড়ার পরও, এটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার।”
তাসকিন সহ মাত্র তিন জনের টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পাওয়াই বলে দেয়, কাজটা ভীষণ ভীষণ কঠিন। তার এই বোলিং ফিগার এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশেরও সেরা। তাই প্রশ্নটা চলে আসল সংবাদ সম্মেলনে যে, ৭ উইকেট নেওয়ার কথা কী তাসকিনের চিন্তায় ছিল?
বাংলাদেশ পেসার দিয়েছেন সরল উত্তর।
“হ্যাঁ, এটা ভেবেছি আগে (হাসি)। আসলে না ভাবলে হতো না। তবে উইকেট পেতে হলে ভাগ্যও পাশে থাকতে হয়। কিন্তু আমি খুশি যে, বোলিংয়ে যেটা করতে চেয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে। ভালো বোলিং করতে পারাই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট তো অনেক সময় কম-বেশি হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।”
গত বছরটা তাসকিন কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতোই। তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে স্রেফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নিয়েছেন ৬৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, এক পঞ্জিকাবর্ষে যা বাংলাদেশের কোনো পেসারের জন্য সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার নতুন রেকর্ড। এই বিপিএলে ২ ম্যাচেই হয়ে গেল ১০ উইকেট।
তাসকিন মনে করেন, তার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই সময়।
“সত্যি বলতে আমার মনে হয়, আমার দেওয়ার সময় শুরু হয়েছে। এতদিন বোর্ড পাশে থেকেছে, অভিজ্ঞতা হয়েছে, পরিস্থিতি ভালো বুঝতে পারি, ম্যাচ সচেতনতা ভালো হচ্ছে। আমার দায়িত্ব এখন দলকে দেওয়া, যে দলেই খেলি, বাংলাদেশ হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি।”
বিজয় দিবস টেনিসে পুরুষ এককের মূলপর্বের খেলায় আর্মি অফিসার্স ক্লাবের জারিফ আবরার ৬-৩, ৬-৪ গেমে উত্তরা ক্লাবের জাওয়াদ মোহাম্মদ ভূঁঞাকে এবং আমেরিকান ক্লাবের মো: রুস্তম আলী ৬-১, ৬-২ গেমে মাহাদি হাসান আলভিকে (পাশা) পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছেন।
মহিলা এককের সেমি-ফাইনালে বিকেএসপির হালিমা জাহান ৬-৩, ৬-১ গেমে নওগাঁ টেনিস ক্লাবের ইয়ানা কোরেইশিকে এবং বিকেএসপির সুবর্না খাতুন ৬-২, ৬-৩ গেমে ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের সুস্মিতা সেনকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়।
বালিকা একক ১৮ বছর গ্রুপে বিকেএসপির হালিমা হাজান ৬-৩, ৬-৩ গেমে বিকেএসপির জান্নাতুন ফেরদৌস মিতু কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বালক একক ১৪ বছর গ্রুপের খেলায় বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৭-৬, ৬-২ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মো: আকাশ হেসেন কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
গতকাল বালিকা একক ১৪ বছর গ্রুপের ফাইনালে মাদারীপুর টেনিস ক্লাবের জান্নাত হাওলাদার ৬-১, ৬-১ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মাসতুরা আফরিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আগামিকাল ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে দর্শকদের মাঝে তুমুল সাড়া ফেলেছিল রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের লড়াইগুলো। প্লে-অফে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া বরিশাল শেষ পর্যন্ত জিতেছিল শিরোপাও। নতুন আসরে দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎকে ঘিরে তাই ছড়াচ্ছে বাড়তি উত্তাপ।
মিরপুরে সেই লড়াইটি শুরু হচ্ছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রংপুর দলে এসেছেন বিপিএলে অভিষেক ম্যাচ খেলতে যাওয়া অ-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এছাড়াও এসেছেন পাকিস্তানের বোলার আকিফ জাভেদ।
আরও পড়ুন
তাসকিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচে রাজশাহীর অনায়াস জয় |
এখন পর্যন্ত রংপুর খেলেছে দুই ম্যাচ। দুটিতেই জিতেছে একবারের বিপিএলে চ্যাম্পিয়নরা। আর বরিশাল তাদের খেলা এক ম্যাচেও জয়ের দেখা পেয়েছে। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জেতা সেই ম্যাচে বিশাল রান তাড়ায় টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম আশরাফের দুই ফিফটিতে দলটিকে ইতিবাচক ফলাফল এনে দেয়। রংপুর ম্যাচে এটি নিশ্চিতভাবেই তামিম ইকবালের দলকে যোগাবে বাড়তি অনুপ্রেরণা।
রংপুর রাইডার্স:
অ্যালেক্স হেলস, আজিজুল হাকিম তামিম, সাইফ হাসান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মাহেদী হাসান, নাহিদ রানা, কামরুল ইসলাম, আকিফ জাভেদ।
ফরচুন বরিশাল:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, কাইল মায়ার্স, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নবী, তানভীর ইসলাম, ইকবাল হাসান ইমন।