২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৫২ পিএম
সান্তোসে থাকতেই নেইমার মুগ্ধ করেছিলেন ফুটবল বিশ্বকে। রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তো সেই তরুণ নেইমারের ফুটবল স্কিলে ছিলেন মুগ্ধ। তাকে দলে টানতে চেষ্টার রাখেননি কমতি। এমনকি ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে দলে ভেড়াতে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতেও রাজি ছিলো রিয়াল। তবে এমন আর্থিক প্রস্তাবও নেইমারকে টলাতে পারেনি, বরং লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। তাই রিয়ালের এমন প্রস্তাব ফিরিয়ে বেছে নিয়েছিলেন বার্সেলোনাকেই।
সান্তোস থেকে ২০১৩ সালে নেইমার যোগ দেন বার্সেলোনায়। তবে তার আগে তার সামনে ছিল রিয়ালের অবিশ্বাস্য প্রস্তাব। যেটি চাইলেই তরুণ নেইমার লুফে নিতে পারতেন। বেতন যে পেতেন প্রায় তিন গুণ বেশি। তবে সেটা করেননি তিনি। অর্থিক প্রস্তাবে সায় না দিয়ে শুনেছিলেন নিজের মনের কথা। হেঁটেছেন স্বদেশী কিংবদন্তী রোনালদিনিয়োর পথে। আর পূরণ করেছেন মেসির সাথে খেলার স্বপ্নও।
আরও পড়ুন
নেইমারকে পেতে নাম বদলে ফেলার বাজি ধরেছিলেন গার্দিওলা |
![]() |
সম্প্রতি ‘পডপাহ’ নামের এক পডকাস্টে রিয়ালের সেই অবিশ্বাস্য প্রস্তাবের কথা খোলসা করেছেন নেইমার। “রিয়াল থেকে আমাকে ব্ল্যাঙ্ক চ্যাক দেওয়া হয়েছিল, যত ইচ্ছে তত দিতে প্রস্তুত ছিল। তবে আমি মন থেকে শুধু বার্সেলোনাকেই চেয়েছি। ফ্লোরেন্তিনো সবসময়ই আমাকে পছন্দ করতো। তবে আমার চিন্তায় ছিল রোনালদিনহো সেখানে খেলেছিল, আর আমি মেসির সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম।”
অবশ্য শুধু পেরেজই না, নেইমারের ওপর মুগ্ধ ছিলেন ওই সময়ে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ পেপ গার্দিওলাও। রিয়ালের মতো অবশ্য আর্থিক প্রস্তাব তিনি দেননি। বর্তমান সিটি কোচ নেইমারকে দেখিয়েছিলেন তার ক্যারিয়ার বদলে দেওয়ার ছক। সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চেয়েছেন বায়ার্নে। তবে নেইমার গার্দিওলার ডাকেও সাড়া দেননি। থেকে গেছেন বার্সেলোনায়ই।
বার্সেলোনায় অবশ্য নেইমারের ক্যারিয়ার খুব একটা লম্বা হয়নি। কাটিয়েছেন চার মৌসুম। ম্যাচ খেলেছিলেন ১৮৬ টি, গোল করেছেন ১০৫ টি, আর অ্যাসিস্টের সংখ্যা ৭৬।
আরও পড়ুন
ক্যাম্প শুরু বাংলাদেশের, কাবরেরা বলছেন রোমাঞ্চিত হামজা |
![]() |
এরপর ২০১৭ সালে নেইমার রেকর্ড অর্থে বার্সেলোনা ছেড়ে পাড়ি জমান পিএসজিতে। সেখান থেকে যান আল হিলালে। দেড় মৌসুম সৌদি ক্লাবটিতে কাটয়ে এই জানুয়ারিতে ফিরেছেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। নতুন গুঞ্জন সেখান থেকে নেইমার আবারও ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বার্সেলোনাতে।
১৬ জুন ২০২৫, ২:০২ পিএম
১৫ জুন ২০২৫, ২:৪৭ পিএম
৩২ দলের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আগেও যেমন ছিল, আসর শুরুর পরও তা চলছে সমানভাবেই। বায়ার্ন মিউনিখ ও নিউজিল্যান্ডের সেমি-প্রফেশনাল দল অকল্যান্ড সিটির মধ্যকার একপেশে ম্যাচের পর প্রশ্নটা জোড়াল হয়েছে আরও। তবে ফুটবলের বিশ্বায়নের দিক চিন্তা করলে ব্যাপারটা দারুণ কিছুই বটে। কলেজের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে মেকানিকদের নিয়ে গড়া একটা দল খেলছে বায়ার্নের মত শীর্ষ ক্লাবের বিপক্ষে, এটা তো কেবল স্বপ্নেই সম্ভব!
ক্লাব বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন বিশাল ব্যবধানে জয় আগে দেখা যায়নি। কিন্তু চলমান ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই সেটিই ঘটিয়েছে বায়ার্ন। জার্মান জায়ান্টরা ১০-০ গোলে স্রেফ উড়িয়ে দিল অকল্যান্ড সিটিকে - যা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড।
বিরতির আগেই ৬ গোল করে ফেলা বায়ার্ন যেভাবে ছেলেখেলা করছিল প্রতিপক্ষকে নিয়ে, তাতে ১২-১৫টা গোল হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। জামাল মুসিয়ালা হ্যাটট্রিকে শেষ পর্যন্ত তারা জিতেছে ‘মাত্র’ ১০ গোলে।
পুরো ম্যাচে গোলের জন্য বায়ার্ন শট নিয়েছে ৩১টি, অন টার্গেট ১৭টি। আর অকল্যান্ড? গোটা ম্যাচে মাত্র ১টা শটই নিতে পেরেছে তারা। সেটাও বা কম কি! এতোটা একপেশে লড়াইয়ে তাদের কাছ থেকে এর বেশি আশা করাটাও যে বোকামির শামিল।
আরও পড়ুন
সিটিতে যোগ দিয়ে ব্যালন ডি'অরের স্বপ্ন দেখছেন শেরকি |
![]() |
সব জায়গাতেই যে দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। বায়ার্নের স্কোয়াডের বার্ষিক আয় ৯৫১.৫ মিলিয়ন ইউরো, আর অকল্যান্ড স্কোয়াডের আয়? মাত্র ৪৮৮.০০০ ইউরো!
স্কোয়াডের দলগত ট্রান্সফার মূল্য হিসাবে বায়ার্নের নামের পাশে রয়েছে যেখানে প্রায় ৯০৪ মিলিয়ন ইউরো, সেখানে অকল্যান্ডের মূল্য মাত্র ৪.৫৮ মিলিয়ন ইউরো!
অকল্যান্ডের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়ের আয় মাত্র ৬৬ ইউরো। সেখানে বায়ার্নের তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের এক সপ্তাহের বেতন (৪.০০০০ ইউরো) পেতে অকল্যান্ডের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়ের লাগবে ১১৭ বছর!
পেশাদার সব ফুটবলার নিয়ে যেখানে গড়া বায়ার্নের স্কোয়াড, সেখানে অকল্যান্ডের আছেন অপেশাদার সব খেলোয়াড়, যারা অন্য কাজের ফাঁকে খেলেন ক্লাবের হয়ে। লেফট-ব্যাক নাথান লোবো ক্লাব বিশ্বকাপ চলাকালীন হোটেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিচ্ছেন। দলের অন্য খেলোয়াড়রা কেউ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, কেউ কোকা-কোলার সেলস বিক্রয় প্রতিনিধি, কেউবা আবার গাড়ি বিক্রেতা।
এরপরও জানতে চান দুই দলের র্যাঙ্কিং ব্যবধান? বায়ার্ন আছে ৬ নম্বরে। আর অকল্যান্ড ৫ হাজার ৭৪তম স্থানে।
আরও পড়ুন
৫৮ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন জাপানের কাজুয়োশির |
![]() |
বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব আর সেমি-প্রফেশনাল একটি দলের মাঝে এত এত ব্যবধানের প্রভাব তাই মাঠেও ছিল বিস্তর। তবু অকল্যান্ড সিটির জন্য এটা ছিল একটি স্বপ্নের রাত, যেখানে ১০ গোল খেলেও তারা ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিছু খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলার সুযোগ তো পেয়েছে, যা তাদের কাছে একটা স্বপ্নই ছিল এতদিন ধরে। এটাই হয়ত এই ক্লাব বিশ্বকাপের স্বার্থকতা।
লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে ছাঁটাইয়ের পর নতুন কোচ খুঁজে নিতে বেশি সময় নিচ্ছে না ইতালীয় ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি)। ইতালি জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক মিডফিল্ডার জেনারো গাত্তুসো, যা নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির প্রধান প্রতিনিধি জানলুইজি বুফন।
সবশেষ আন্তর্জাতিক বিরতিতে নরওয়ের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর স্পালেত্তিকে বরখাস্ত করে এফআইজিসি। এরপর তার অধীনে শেষ ম্যাচে মোলডোভার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় ইতালি। এরপর অবশ্য পরবর্তী কোচ হিসেবে বেশি আলোচনায় এসেছিল ক্লাউদিও রানিয়েরির নাম। শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা পেতে যাচ্ছেন আরেক ইতালিয়ান কোচ গাত্তুসো।
আরও পড়ুন
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিপাকে ইন্তারের ইরানিয়ান ফরোয়ার্ড তারেমি |
![]() |
সম্প্রতি ইতালির স্টেট ব্রডকাস্টার রাই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী গোলকিপার বুফন জানান গাত্তুরসোর নিয়োগের বিষয়টি। “আমরা এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি, এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। প্রেসিডেন্ট আর পুরো ফেডারেশন বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আমাদের বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত আমরা সেরা সিদ্ধান্তই নিয়েছি।”
৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ইতালি জাতীয় দলের হয়ে ৭৩টি ম্যাচ খেলেছেন। ছিলেন ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও। সবশেষ কোচ হিসেবে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ান ক্লাব হাজদুক স্প্লিটের দায়িত্বে। পারস্পরিক সমঝোতায় সেখান থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
আর কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে, সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিয়নে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ভুমিকার মাধ্যমে। এরপর এসি মিলান, নাপোলি, ভ্যালেন্সিয়া, মার্সেইসহ বিভিন্ন ক্লাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার কোচিং ক্যারিয়ারের একমাত্র শিরোপা আসে ২০২০ সালে, নাপোলির হয়ে জেতেন কোপা ইতালিয়া। এরপর ২০২১ সালে ফিওরেন্তিনায় দায়িত্ব নেওয়ার ২২ দিনের মাথায় বাতিল করেন চুক্তি।
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে এখন থাকার কথা ছিল ইন্তার মিলান স্কোয়াডের সাথে। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তেহরানে আটকে পড়েছেন দলটির ইরানিয়ান ফরোয়ার্ড মেহদী তারেমি। ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার কারণে তিনি সময়মতো ক্লাবে ফিরতে পারছেন না। ফলে মিস করতে যাচ্ছেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুটা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইন্তারের ক্লাবের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেরি আ দলটির ক্লাব বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সময় এটা বড় এক ধাক্কাই।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিরতিতে দেশের হয়ে খেলতে ইরানে যান তারেমি। সেখানে গিয়ে তিনি উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলেন। ওই ম্যাচে তিনি একটি গোল করেন, আর ইরাম ম্যাচটি জেতে ৩-০ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন
বার্সেলোনায় ‘যোগ দিচ্ছেন’ স্প্যানিশ গোলরক্ষক গার্সিয়া |
![]() |
তবে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতির ঘটায় ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভ্রমণ জটিলতায় পড়ে গেছেন তারেমি। মিস করেছেন নির্ধারিত ফ্লাইট। কবে যোগ দিতে পারবেন ইন্তারের সাথে, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চিয়তা। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইতালিতে না ফেরায় তাকে ছাড়াই ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমাচ্ছে ইন্তার।
এখন পর্যন্ত ৩২ বছর বয়সী তারেমির ব্যাপারে ইন্তার বা ইরান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে শনিবার ইতালির শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া দৈনিক লা গাজ্জেত্তা দেল্লো স্পোর্ত জানিয়েছে,
“ইরানিয়ান স্ট্রাইকার তারেমি ইন্টার মিলানের সাথে যোগ দিচ্ছেন না। প্রথম ম্যাচে না, এমনকি পরবর্তী কোনোটিতেও না।”
ইন্তার তাদের ক্লাব বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে আগামী মঙ্গলবার, মেক্সিকোর ক্লাব মনতের্রের বিপক্ষে। লা গাজ্জেত্তা দেল্লো স্পোর্তের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এই ম্যাচের পাশাপাশি পুরো আসরেও তারেমির খেলার সম্ভাবনা আর নেই।
গুঞ্জনটা বাতাসে ভাসছিল কয়েকদিন ধরেই। গত মৌসুমে লা লিগার অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়াকে দলে নিতে প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করে ফেলেছে বার্সেলোনা, খবর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের। সব ঠিক থাকলে খুব দ্রুতই নাকি আসতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
ইএসপিএন সূত্রের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছে, গার্সিয়াকে দলে টানার জন্য এস্পানিওলের সাথে তার চুক্তিতে থাকা ২৫ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করেছে বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাবটি শুক্রবার এই অর্থ লা লিগার অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে। আশা করা হচ্ছে, দলবদলের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন
ক্লাব ফুটবলে ফ্রান্সেই প্রত্যাবর্তন পগবার? |
![]() |
২৪ বছর বয়সী গার্সিয়া বার্সার সঙ্গে ছয় বছরের জন্য চুক্তি করতে যাচ্ছেন, যা ২০৩১ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রীষ্মে যোগ দেওয়া হলেও মূল গোলরক্ষক হওয়াটা তার জন্য হবে কঠিন কাজই। কারণ, তাকে লড়তে হবে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন, ভয়েচেখ শেজনি ও ইনাকি পেনিয়ার সাথে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি ক্লাবও নাকি গার্সিয়ার প্রতি আগ্রহী ছিল। গত গ্রীষ্মেও আর্সেনাল তাকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আর এই বছর তাকে দলে পেতে যোগাযোগ করে ম্যানচেস্টার সিটি, অ্যাস্টন ভিলা, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও বোর্নমাউথও। তবে সব ক্লাবকে পেছনে ফেলে গার্সিয়াকে পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বার্সেলোনাকেই।
এস্পানিওল অবশ্য নিজেদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে গার্সিয়াকে হারাতে চায়নি। কিন্তু চুক্তিতে থাকা নির্ধারিত রিলিজ ক্লজের কারণে ও স্প্যানিশ এই গোলরক্ষকের ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছার কারণে তারা কিছুই করতে পারেনি শেষ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
রিয়ালে নাম লেখালেন আর্জেন্টিনার প্রতিভাবান মিডফিল্ডার মাস্তান্তুয়ানো |
![]() |
গত মৌসুমে লা লিগা সহ তিনটি ঘরোয়া শিরোপা জেতে বার্সেলোনা। মৌসুমের শুরুতে টের স্টেগেন চোটে পড়লে ক্লাবটিতে যোগ দেন শেজনি। এরপর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে এখন তিনি আছেন স্থায়ী চুক্তির খুব কাছাকাছি অবস্থানে।
দেড় বছরের বেশি মাঠের বাইরে থাকার পর আবারও প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফেরার দ্বারপ্রান্তে পল পগবা। ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ ওয়ানের ক্লাব মোনাকোর সঙ্গে চুক্তির আলোচনায় রয়েছেন এই ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডার।
পগবা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্টোস্টেরনের অতিরিক্ত মাত্রা ধরা পড়ায় চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। আপিলের পর সেই নিষেধাজ্ঞা ১৮ মাসে নেমে আসে। তবে তার মাঠে ফেরাটা কঠিন হয়ে যায় সেই সময়ের ক্লাব য়্যুভেন্তাস গত নভেম্বরে চুক্তি বাতিল করায়। এরপর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি পগবা।
৩২ বছর বয়সী পগবা তাই এখন ফ্রি এজেন্ট। বিভিন্ন সময়ে সৌদি প্রো লিগ ও আসছে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ দলগুলোর তাকে নিয়ে আগ্রহের খবর এসেছে। তবে কোনোটাই পায়নি গতি। আর সবশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, মোনাকোর সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডারের।
পগবার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ফ্রান্সেই। ২০০৯ সালে লে আভর ছেড়ে ১৬ বছর বয়সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন। এরপর আর কখনই ফরাসি দলের হয়ে খেলেননি তিনি। ২০১১ সালে ইউনাইটেডের সিনিয়র দলে অভিষেক হলেও সেভাবে ম্যাচ খেলতে না পারায় ২০১২ সালে নাম লেখান য়্যুভেন্তুসে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সেখানে প্রথম দফায় জেতেন ৪টি সেরি আ শিরোপা।
এরপর ২০১৬ সালে তৎকালীন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে (৮৯ মিলিয়ন ইউরা) ইউনাইটেডে ফেরেন। জেতেন ইউরোপা লিগ ও লিগ কাপ। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ২০২২ সালে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবার ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ফেরেন য়্যুভেন্তুসে।
তবে চোটের কারণে সেভাবে খেলতেই পারেননি আর। উল্টো এসবের প্রভাবে মিস করেন ২০২২ বিশ্বকাপও। এরপর আসে বড় ধাক্কাটা। ডোপিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান, যা পরে কমে আসায় টিকে যায় ক্যারিয়ার।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে