২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে সিসিডিএম-এর আওতাভুক্ত সব ধাপের ক্রিকেট লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন। গত ৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে লিগ বর্জনের ঘোষনায় দুশ্চিন্তায় পড়ার কথা সিসিডিএম'র নব গঠিত কমিটির। তবে বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথম বিভাগের ক্লাবসমূহের প্রতিনিধিরা লিগে খেলতে রাজি হয়েছেন। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'আমরা ক্যালেন্ডার শুরু করব প্রথম বিভাগ দিয়ে। কোনো ক্লাবের পক্ষ থেকে আপত্তি আসেনি। কোনো কোনো ক্লাব লিগের সময়সূচি নিয়ে লিগ আয়োজনের কথা বলেছে। তবে তারা সবাই লিগ খেলবে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আমরা অতি শীঘ্রই দলবদল এবং লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা করব। নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ শুরু করতে চাই। জাতীয় লিগ, বিপিএলের পরে প্রিমিয়ার ডিভিশন শুরু করব।'
প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ক্লাবসমূহের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩ জন নভেম্বরের পরিবর্তে জানুয়ারিতে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।
প্রথম বিভাগ আগে শুরু করার কারন ও বলেছেন তিনি-
'প্রিমিয়ার ডিভিশনে যদি কেউ খেলতে না পারে, সে প্রথম বিভাগে খেলতে পারে। প্রথম বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ পরের বছর প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। প্রথম বিভাগে বেটার উইকেট দেয়াটা আমাদের লক্ষ্য। কারণ, মৌসুমের শুরুতে উইকেট ভাল থাকে। আমাদের সময়টা অনেক কম। এপ্রিল মাসের মধ্যে সবগুলো লিগ সম্পন্ন করতে চাই। আগামী বছর কবে কোন লিগ শুরু করব, তা আগেভাগে জানিয়ে দিব।'
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কিংস এরেনায় বাংলাদেশের পেশাদার ফৃুটবল লিগ এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেশ ক'বছর ধরেই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পর এবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সুদৃশ্য ক্রিকেট গ্র্যাউন্ডকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ভেন্যু হিসেবে পেতে যাচ্ছে সিসিডিএম। সভা শেষে এ তথ্য দিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'প্রথম বিভাগের জন্য ৫ টা মাঠ দরকার। আমরা ৭টি মাঠ পেয়ে গেছি। বসুন্ধরায় এবার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচ হবে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের সিলিকন, পিকেএসপির এক এবং দুই নম্বর গ্র্যাউন্ড, কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার মাঠ পাচ্ছি। এনএসসিএলের কারণে বিকেএসপির মাঠ দুটি পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।'
ছুঁতো খুঁজে ক্রিকেটারদের জিম্মি করার যে প্রবণতা ক্লাবসমূহের, এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সিসিডিএম। এমন পরিকল্পনার কথা বলেছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান-
' শুধু আর্থিক ব্যাপারেই নয়, কিছু চেঞ্জ এবার সিসিডিএম করবে। অর্গানাইজারদের নিয়েও আমরা কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।'
সভায় অংশ নিয়ে ৫০% বর্ধিত অ্যাপিয়ারেন্স মানি বরাদ্দের সুখবর পেয়েছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাব প্রতিনিধিরা। বর্ধিত প্রাইজমানি, ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স এবং জার্সির খরচের অনুদানের নিশ্চয়তাও পেয়েছেন উপস্থিত ক্লাব প্রতিনিধিরা। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিবির সহ সভাপতি ফারুক আহমেদের উপস্থিতিতে সভাটি প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। সিসিডিএম'র সাবেক সদস্য সচিব ফায়জুর রহমান মিতু ২১ বছর পর সিসিডিএম-এ ফিরেছেন। নব গঠিত সিসিডিএম'র ভাইস চেয়ারম্যান মিতু নিজের এই প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশি। বিসিবির অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলামও ছিলেন এই সভায় উপস্থিত।
No posts available.
৮ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৮ এম

হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে একের পর এক বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হচ্ছে ভারতের। কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার নেপালের বিপক্ষেও হেরে গেল দিনেশ কার্তিকের দল। ফলে বোল ফাইনালেও হয়তো খেলা হবে না তাদের।
মং কংয়ের মিশন রোড মাঠে শনিবার দুপুরের ম্যাচে ভারতকে মাত্র ৪৫ রানে অলআউট করে নেপাল। এর আগে নিজেদের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩৭ রান করে তারা। ৯২ রানের বড় জয়ে বোল ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল নেপাল।
এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কুয়েতের কাছে হেরে মূল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ভারত। পরে বোল রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও পাত্তা পায়নি তারা। এবার নেপালের বিপক্ষে তারা পেল হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ।
আগে ব্যাট করে নেপালের হয়ে ঝড় তোলেন সন্দিপ জোরা ও রশিদ খান। ৪ চার, ৬ ছক্কায় ১৭ বলে ৫৫ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয় রশিদের। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন জোরা।
তিন নম্বরে নেমে ১ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে ৭ বলে ৩১ রান করেন লোকেশ বাম।
রান তাড়ায় মাত্র ৩ ওভারে পুরো ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। প্রিয়াঙ্ক পঞ্চল ও ভারত চিপলির ব্যাট থেকে আসে ১২ রান করে।
নেপালের পক্ষে মাত্র ৭ রানে ৩ উইকেট নেন রশিদ। এছাড়া বশির আহমেদ ২টি ও রুপেশ সিং নেন ১টি উইকেট।

কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশ। বল হাতে একের পর এক ছক্কা হজমের পর ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ ধসে বড় ব্যবধানে হেরে গেল আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
মং কংয়ের মিশন রোড মাঠে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে রেকর্ড ১৪৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
এই জয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশ নেমে গেল প্লেট পর্বে। রোববার প্লেট সেমি-ফাইনালে খেলবে তারা।
আরও পড়ুন
| আরব আমিরাতের কাছেও হেরে গেল ভারত |
|
ছয় ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা হজম করেছেন মোট ২১টি ছক্কা। তাদের তুলোধুনো করে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৮ রান করেছিল আফগানিস্তান।
৮ ছক্কায় ১৪ বলে ৫১ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান বেন মেকডেরমট। ৫ ছক্কায় ৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন উইলিয়াম বসিস্টো। অধিনায়ক অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১১ বলে ৫০ রান।
পরে রান তাড়ায় প্রথম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন রকিবুল হাসান ও আবু হায়দার রনি। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০ বলে ২৫ রান করেন রকিবুল। শেষ দিকে একা ব্যাটিং করা রনির ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১৮ বলে ৫০ রান।
বল হাতে ক্রিস গ্রিন নেন ৩ উইকেট।

পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর যেন জিততেই ভুলে গেছে ভারত। গ্রুপ পর্বে কুয়েতের কাছে হারের পর এবার বোল রাউন্ডে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও জিততে পারেনি দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন দল।
হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে শনিবার বোল রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগে ব্যাট করতে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে ভারত। জবাবে ৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় আমিরাত।
গ্রুপ পর্বে কুয়েতের কাছে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। এবার আমিরাতের বিপক্ষেও হারায় বোল ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও কমে গেল তাদের। বোল রাউন্ডে পরের দুই ম্যাচে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ভারত।
আমিরাতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ঝড় তোলেন অভিমন্যু মিথুন ও দিনেশ কার্তিক।
৪ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় মিথুন করে ১৬ বলে ৫০ রান। ফিফটি করে ফেলায় বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয় তার। ৪টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন কার্তিক।
আমিরাতের পক্ষে ২ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নেন নিলানশ কেশানি।
রান তাড়ায় শুরুতেই তাণ্ডব চালান আমিরাত অধিনায়ক খালিদ শাহ। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৪ বলে ৫০ রান করে অবসরে যেতে হয় তার। আরেক ওপেনার সগির খান ১ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১১ বলে ৩১ রান।
চার নম্বরে নেমে ৫ বলে ২০ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ আফরান।

ক্রিকেটে সবসময়ই বলা হয়, ম্যাচের দৈর্ঘ্য যত কমে, ছোট দলের সঙ্গে বড় দলের পার্থক্যও তত কমে যায়। সেটি এতটাই কমে আসে যে, ৬ ওভারের ক্রিকেটে কুয়েতের কাছে হেরে গেছে ভারত। যার ফলে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের মূল আসর থেকে ছিটকে গেছে তারা।
মং কং মিশন রোড মাঠে শনিবার সকালে ভারতকে ২৭ রানে হারিয়েছে কুয়েত। এই জয়ে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে গেছে কুয়েত। আর ভারত নেমে গেছে বোল পর্বে।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কুয়েত। জবাবে ৫.৪ ওভারে ৬ উইকেটের সবকটি হারিয়ে ৭৯ রানের বেশি করতে পারেনি সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া ভারত।
কুয়েতের শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পাঁচ নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালান অধিনায়ক ইয়াসিন প্যাটেল। ২ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মেরে মাত্র ১৪ বলে তিনি করেন ৫৮ রান। এছাড়া বিলাল তাহির করেন ৯ বলে ২৫ রান।
অভিমন্যু মিথুন ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
রান তাড়ায় মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। প্রথম বলেই আউট হন রবিন উথাপ্পা। ৪ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। স্টুয়ার্ট বিনি করেন ২ বলে ২ রান।
পরে প্রিয়াঙ্ক পঞ্চল ১০ বলে ১৭, অভিমন্যু মিথুন ৯ বলে ২৬ ও শাহবাজ নাদিম ৮ বলে ১৯ রান করলেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
বল হাতেও কুয়েতের পক্ষে বড় অবদান রাখেন ইয়াসিন। ২ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন কুয়েত অধিনায়ক।
পুল 'সি'তে ভারত, পাকিস্তান ও কুয়েত- তিন দলেরই সমান ২ পয়েন্ট। তবে নেট রান রেটে সবার চেয়ে পিছিয়ে থাকায় বোল পর্বে নেমে গেছে ভারত। আর কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট পেয়েছে পাকিস্তান ও কুয়েত।
মূলত চার গ্রুপের তৃতীয় হওয়া চার দলকে নিয়ে আয়োজন করা হয় বোল পর্ব। যেখানে চার দলের মধ্যে চলে লড়াই। পরে পুরো টুর্নামেন্টের নবম সেরা দল নির্ধারিত হয় বোল ফাইনালের মাধ্যমে।

আইসিসির সভাতেও কোনো সমাধান মেলেনি এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্কের। তাই এখনও অনিশ্চয়তায় ঝুলছে ভারতের ট্রফি বুঝে পাওয়ার বিষয়টি। সমস্যা সমাধানে শিগগিরই গঠন করা হতে পারে একটি বিশেষ কমিটি।
দুবাইয়ে শুক্রবার ছিল আইসিসির ত্রৈমাসিক সভার শেষ দিন। অনেক সংশয়ের পর সেই সভায় সবাইকে চমকে দিয়ে হাজির হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভি।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সভার আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে এশিয়া কাপের ট্রফি ইস্যু ছিল না। অনেকটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রেখেই সবার সামনে তোলা হয় ট্রফি বিতর্কের ঘটনা।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসিসি চেয়ারম্যান জোরপূর্বক ট্রফিটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, শীঘ্রই এশিয়া কাপের ট্রফি ভারতকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
তবে এই আলোচনার পুরোটাই ছিল অনানুষ্ঠানিক। যেটা মূলত বিভিন্ন দেশের বোর্ড প্রতিনিধিদের হালকা মেজাজের আড্ডার মাঝে উত্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সবাই জানিয়েছেন, দ্রুতই এই ট্রফি বিতর্কের সমাধান হওয়া উচিত।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্ক সমাধানে একটি বিশেষ কমিটি করা হবে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এমন কোনো কমিটি হয়নি। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওমান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পঙ্কজ খিমজির নেতৃত্বে গঠিত হবে কমিটি।
গত সেপ্টেম্বরে ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কিন্তু ম্যাচ শেষে ট্রফি ওঠেনি তাদের হাতে। এসিসি ও পিসিবি চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে রাজি হয়নি ভারত।
বিপরীতে নাকভি নিজের অবস্থানে ছিলেন অনড়। এসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই ট্রফি তুলে দেবেন, এই সিদ্ধান্ত নেন নাকভি। ফলে সেদিন আর ট্রফি পাওয়া হয়নি ভারতের। পরে ভারতের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার ট্রফি চাওয়া হয়েছে।
তবে নাকভি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুবাইয়ে এসিসি কার্যালয়ে গিয়ে সূর্যকুমার যাদবদের অবশ্যই ট্রফি তার কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। এসিসি কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, তার অনুমোদন ছাড়া ট্রফি সরানো যাবে না।