
পাকিস্তানকে হাতের নাগালে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ। ফিল্ডারদের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অঘোষিত সেমি-ফাইনাল হেরে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়েও ১১ রানে জিতে ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারল মাত্র ১২৪ রান।
আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ছাড়া কেউই কিছু করতে পারেননি। ২৫ বলে ৩০ রান করেন তিনি। আর কেউই ২০ রানও করতে পারেননি।
সাইফ হাসান ১৫ বলে ১৮ ও শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ১১ বলে ১৬ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে পাকিস্তানকে নাগালের মধ্যে রাখার বড় কারিগর তাসকিন। উইকেটের সেঞ্চুরি করার ম্যাচে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার। এছাড়া দুই স্পিনার রিশাদ ও মেহেদি নেন ২টি করে উইকেট।
তাসকিন ও রিশাদের উইকেট অবশ্য আরও বাড়তে পারত। তাসকিনের ওভারে পড়ে একটি ক্যাচ। আর রিশাদের চার বলের মধ্যে ২টি ক্যাচ ছাড়েন ফিল্ডাররা।
পাকিস্তানকে অবশ্য একশর আগেই অলআউট করার সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে পঞ্চাশ হওয়ার আগেই তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
এক পর্যায়ে ১২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫৫ রান। পরে ইনিংসের বাকি ৮ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে ভর করে ৮০ রান তোলে পাকিস্তান। এতে বড় ভূমিকা ছিল বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের।
১ ও ৩ রানে জীবন পেয়ে ১৯ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। একইভাবে মাত্র ১ রানে জীবন পেয়ে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুজন মিলে 'বোনাস' পান চল্লিশের বেশি রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। সপ্তম উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি গড়েন হারিস ও নাওয়াজ। যা জয়ের জন্য বড় ভূমিকা রাখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (ফারহান ৪, ফাখার ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, হারিস ৩১, আফ্রিদি ১৯, নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, রউফ ৩*; তাসকিন ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-২৮-২, সাকিব ৪-০-২৮-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩৩-১, রিশাদ ৪-০-১৮-২)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (সাইফ ১৮, ইমন ০, হৃদয় ৫, মেহেদি ১১, সোহান ১৬, শামীম ৩০, জাকের ৫, সাকিব ১০, রিশাদ ১৬*, তাসকিন ৪, মুস্তাফিজ ৬*; আফ্রিদি ৪-০-১৭-৩, ফাহিম ২-০-১৮-০, রউফ ৪-০-৩৩-৩, আবরার ৩-০-২৩-০, নাওয়াজ ৩-০-১৪-১, সাইম ৪-০-১৬-২)
ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী
No posts available.

ভারতের ১৬৮ রানের লক্ষ্যে জবাবটা ভালোভাবেই দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৬৭ রান। তবে এরপরই যেন ছন্দপতন। সফরকারীদের স্পিন বিষে নাকাল হয়ে নাটকীয় ধসে মাত্র ২৮ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই জয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিজে এগিয়ে গেল সূর্যকুমার যাদবের দল।
কুইন্সল্যান্ডে আজ পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের জয় ৪৮ রানের। ১৬৮ রানের জবাবে ১৮.২ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যাবধানে এগিয়ে গেলো ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত হয়েছিল।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু এনে দেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান তোলে ভারত।
সপ্তম ওভারে দলীয় ৫৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। অ্যাডাম জাম্পার বলে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে অভিষেক করেন ২৮ রান। এরপর তিনে নামা শিভাম দুবে ফেরেন ২২ রান করে।
এদিন ধীরস্থির ব্যাটিং করেন গিল। ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন। এরপর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ১০ বলে ২০, অক্ষর প্যাটেলের ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান করে ভারত। নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা নেন তিনটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করে অস্ট্রেলিয়াও। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ৪৮ রান। ১৯ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার ম্যাথুউ শর্ট। অধিনায়ক মিচেল মার্শ করেন ২৪ বলে ৩০ রান। ৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মিডল অর্ডারের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।
জশ ইংলিশ ১২, টিম ডেভিড ১৪, জশ ফিলিপে ১০, মার্কাস স্টয়নিস ১৭ রানে ফেরেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফেরেন ২ রান করে। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে ১১৯ রান করে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ভারতের হয়ে ম্যাচের সফলতম বোলার ওয়াশিংটন সুন্দর। ডানহাতি এই বোলার মাত্র ১.৩ ওভারে তিন রান দিয়ে উইকেট নেন। দুই উইকেট নিয়ে ব্যাটে-বলে দলের জয়ে দারুণ অবদান রাখা অক্ষর প্যাটেল হন ম্যাচসেরা। এ ছাড়া শিভাম দুবেও নেন দুটি উইকেট।
শনিবার গ্যাবায় সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল এখন নতুন পরিচয় পেয়েছেন। আয়ারল্যান্ড সিরিজে মেহেদী হাসান মিরাজদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। অভিজ্ঞতার দিক বিবেচনায় দেশের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের ওপর আস্থা রেখেছে দেশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি।
আশরাফুলের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে আয়ারল্যান্ড সিরিজ। অতিথিদের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে আজ মিরপুরে নিজের ইচ্ছা, আগ্রহ ও নতুন দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন আশরাফুল।
তিনি বলেন, “প্রত্যেক মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে। ক্রিকেট খেলা শেষ হওয়ার পর আমি সেকেন্ড লাইফ হিসেবে কোচিং করার কথা ভাবেছিলাম। যেহেতু আমার ক্রিকেট জীবনে অনেক ভালো ইনিংস আছে এবং খারাপ ইনিংসও আছে, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। এ কারণেই কোচিংয়ে আসতে চেয়েছি।”
আশরাফুল আরও যোগ করেন, “তিন বছর আগে একটা সুযোগ আসে। আবুধাবিতে লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স হচ্ছিল। তখন বুলবুল ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, লেভেল থ্রি কোর্স হবে, তুই চলে আয়। আমি নিজের খরচে গিয়েছিলাম এবং কোর্স সম্পন্ন করেছি।”
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, “শেষ দুই বছর রংপুর রাইডার্স আমাকে বড় ব্রেক দিয়েছে গ্লোবাল টি-২০ টুর্নামেন্টে কাজ করার জন্য। সেখানে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তারপর বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ—এমনকি মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ইয়ুথের হয়ে কাজ করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি একাডেমিতেও কোচিং করেছি।”
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, “মাঝে মাঝে আবার আমি ক্রিকেটও খেলতাম, আসলে খেলাটা এত ভালো করি যে ছাড়তে পারছিলাম না। ইংল্যান্ডে শেষ দুই বছর ক্রিকেটও খেলেছি। সবার একটা স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে কাজ করার। যেহেতু আমি ক্রিকেটের মানুষ, আজ বিসিবি আমাকে আয়ারল্যান্ড সিরিজে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। তাই টিমটাকে দেখতে চাই।”
আশরাফুল বলেন, “যখন খেলতাম তখনও স্বপ্ন দেখতাম, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হব, ভালো কিছু করব। এখন কোচিং লাইনে থাকায়, আমার ইচ্ছা আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রত্যেক সেকেন্ড ইনিংসে বড় বড় রান করবে। এটাই আমার লক্ষ্য।”

পার্থে ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। পিঠের চোটের কারণে ম্যাচটি খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে ফিরবেন এই পেসার।
জুলাইয়ে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে খেলেছেন কামিন্স। সেই সফর থেকে ফেরার পর পিঠে ব্যথা অনুভব করেন এই পেসার। এরপর পিঠে লাম্বার স্ট্রেস চোট ধরা পড়ার পর থেকেই বোলিংয়ে ফিরতে পারেননি।
পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এখন সংক্ষিপ্ত রান-আপ থেকে বল করছেন ৩২ বছর বয়সী কামিন্স। পুরোপুরি ফিট হওয়ার দিকে এগোচ্ছেন এই তারকা, 'সবকিছু পরিকল্পনামতো চলছে, এমনকি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। প্রতিটি সেশনে উন্নতি হচ্ছে। পার্থে পৌঁছে পুরো রান-আপে বল করার মতো অবস্থায় থাকব বলে আশা করছি।'
৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে শুরু হবে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট। দিবারাত্রির সেই ম্যাচ দিয়েই ফেরার লক্ষ্য কামিন্সের, 'এখন লক্ষ্য দ্বিতীয় টেস্ট। পার্থে শক্ত অনুশীলন সেশন পাব, তখনই বুঝব আমি ঠিক কোথায় আছি।'
বর্তমান অ্যাশেজের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-২ ড্র করেছিল অজিরা। সেবার কামিন্স ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোট ১৯ টেস্টে ২৪.১০ গড়ে ৯১ উইকেট নিয়েছেন এই তারকা অলাউন্ডার। প্রথম টেস্টে কামিন্সের জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন মিচেল স্টার্ক, সঙ্গে থাকবেন জশ হ্যাজলউড ও স্কট বোল্যান্ড।
অ্যাশেজে কতগুলো ম্যাচ খেলবেন সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চান না কামিন্স। 'যতটা সম্ভব খেলতে চাই। যদি কোনো ম্যাচে ৪০-৫০ ওভার বল করতে হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যেই পরের ম্যাচ থাকে, তখন বিশ্রাম নেওয়া লাগতে পারে। আপাতত মূল লক্ষ্য পুরোপুরি ফিট হওয়া।'
ইংল্যান্ড গত ১০টি অ্যাশেজ সিরিজের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জিতেছে মাত্র একবার, ২০১০-১১ মৌসুমে। পাঁচ টেস্টের সিরিজ শেষ হবে ৮ জানুয়ারি।

পাঁচ দলের অংশগ্রহণে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। তার আগে, আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করেছে আয়োজক কমিটি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি রেজিস্ট্রেশন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, চূড়ান্ত এই তালিকা প্রকাশ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
বিপিএলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর—এই পাঁচ শহরের দল অংশ নেবে। আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলো ঢাকা ক্যাপিটালস, চট্টগ্রাম রয়্যালস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, রংপুর রাইডার্স ও সিলেট টাইটান্স নামে খেলবে এবার।
বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন টগি স্পোর্টস আগের মতোই ‘রংপুর রাইডার্স’ নামেই পরিচিত থাকবে। চট্টগ্রামের টাইএঙ্গেল স্পোর্টস খেলবে ‘চট্টগ্রাম রয়্যালস’ নামে। নাবিল গ্রুপ মালিকানাধীন রাজশাহী ফ্রাঞ্চাইজি খেলবে ‘রাজশাহী ওয়ারিয়র্স’ নামে। ফ্রাঞ্চাইজিটি এবারই প্রথম বিপিএলে অংশ নিচ্ছে। যে কারণে নাম পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস মালিকাধীন ঢাকা খেলবে ‘ঢাকা ক্যাপিটালস’ নামে। সিলেট খেলবে ‘সিলেট টাইটান্স’ নামে।
এর আগে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান জানিয়েছেন, ‘অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, অভিজ্ঞতা এবং ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বিবেচনা করেই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে।’
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন মালিকানা পেলেও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগের নাম পরিবর্তন করতে পারবে না, তবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ব্যাপারে শিথিল আয়োজক কমিটি। সে সুবিধা পেল রাজশাহী ফ্রাঞ্চাইজি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর মাঠে গড়াবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এখনও দিন-তারিখ বা পূর্ণ সূচি নির্ধারিত হয়নি। তবে জানা গেছে, ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট।
গত মঙ্গলবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভা শেষে জানানো হয়, ১২তম আসরে অংশ নেবে পাঁচটি দল। যার অন্যতম হলো নাবিল গ্রুপ মালিকানাধীন রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য রাজশাহীর মালিকানা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবারই প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাজশাহী ওয়ারিয়র্স’ নামেই মাঠে নামবে তারা।
মালিকানা পাওয়ার পরপরই নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে দলটির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হান্নান সরকার।
এরই মধ্যে জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে দলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তিতে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে দলে ভেড়াতে পারে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
বিপিএলের দল পেতে আবেদন করেছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক পর্যালোচনায় বাদ দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানকে। বাকি ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান।
এবারের বিপিএলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর—এই পাঁচ শহরের দল অংশ নেবে। এর মধ্যে ঢাকার মালিকানা পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস, রংপুরের মালিকানা টগি স্পোর্টস, চট্টগ্রামের টাইএঙ্গেল স্পোর্টস, সিলেটের ক্রিকেট উইথ সামি, আর রাজশাহীর মালিকানা পেয়েছে নাবিল গ্রুপ।