
বোলিংয়ে গড়িমসি করছিল আইরিশ বোলাররা! শততম টেস্টে মুশফিকুর রহিমকে থামানোর যত ফন্দিফিকির। আজ অবশ্য এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফেরাতে পারেননি তাঁরা, তবে প্রথম দিন সেঞ্চুরি করতেও দেননি। মিরপুর টেস্টে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২ রান। সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক।
এতে অবশ্য মুশফিক বিচলিত নন। দিনের শেষ দিকে বোলিংয়ে এসে সময় নষ্ট করতে দেখা যায় আইরিশ বোলারদের। ৯০ ওভারের পরও যথেষ্ট সূর্যের আলো ছিল। মুশফিক-লিটনরা আরেকটা ওভার বেশি করানোর আবেদন করলেও অতিথিরা সেটিতে রাজি হয়নি। স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে অনফিল্ড আম্পায়াররা দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন। আইরিশরাও চেয়েছিল সেঞ্চুরিটা না হোক। কাল আরেকটা সুযোগ নেওয়ার অপেক্ষায় ম্যাকব্রাইন-হামফ্রেসরা।
তার আগে গ্যালারিতে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ড্রেসিংরুমে কোচিং স্টাফ-সতীর্থরা মুশফিকের সেঞ্চুরি উদযাপনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে যান। তবে শেষ কয়েক ওভার কিছুটা সময় নষ্ট করেন আয়ারল্যান্ড বোলাররা। ১৮৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। আরেকটি ওভার পেলে তিন অঙ্ক পূর্ণ করেই হয়তো উঠতেন।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থ মুমিনুল জানিয়েছেন, সেঞ্চুরি না হলেও মুশফিক বিচলিত নন। বললেন,
'একসময় মনে হচ্ছিল, আজকে হয়ে যাবে (সেঞ্চুরি)। যদিও ওরা দেরি করেছে (বোলিংয়ে), এই কারণে হয়তো হয়নি। আমার আমিও খুব বেশি চিন্তিত না, কারণ উনি আগেও ১০০ করেছেন, ২০০ করার অভ্যাস আছে।'
মুমিনুল আশাবাদী, কাল দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে রুট-পন্টিংদের পাশে নাম লিখাবেন মুশফিক,
'আমিও জানি, ওই জায়গায় উনি প্যানিক (বিচলিত) হয় না। প্যানিক কম হয় আল্লাহ্র রহমতে, সেই কারণে আত্মবিশ্বাস আছে। অন্য কেউ থাকলে হয়তো একটু চিন্তায় থাকতাম। উনি যেহেতু আছে, আমার মনে হয় উনিও প্যানিক হয় না, আমরাও কেউ প্যানিক না। কালকে ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে।'
মুশফিকের সামনে হাতছানি দিচ্ছে, শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে তালিকায় নিজের নাম লেখানোর।
ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও প্রথম সেশনে ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে পথ দেখান দুই অভিজ্ঞ মুশফিক-মুমিনুল। চতুর্থ উইকেটে ২১৪ বলে গড়েন ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি। দ্বিতীয় সেশন পুরোটা আইরিশদের হতাশ করেছেন দুজনে।
স্কোর ২০০ পেরোনোর পর তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই খেই হারান মুমিনুল। ম্যাকব্রাইনের বলে সুইপ করতে গিয়ে বুটে পড়ে স্লিপে ধরা পড়লেন। ১ চারে ৬৩ রানে ফিরলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
No posts available.
৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০৪ পিএম
৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:২২ পিএম

ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেসের প্রমাণ দিয়ে দুই মাসের বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফিরলেন ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তবে শেষ হয়নি শুবমান গিলের অপেক্ষা। ফিটনেসের ছাড়পত্র পেলেই তিনি খেলতে পারবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ১৫ জনের দলে রাখা হয়েছে গিলকেও। তবে এখনও নিশ্চিত নয়, আদৌ খেলতে পারবেন কিনা তারকা ওপেনার।
কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় ঘাড়ে চোট পেয়েছিলেন গিল। সেই চোট এতটাই তীব্র ছিল যেন কলকাতার একটি হাসপাতালে আইসিইউতেও থাকতে হয়েছিল ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডের নিয়মিত অধিনায়ককে।
চোট থেকে মুক্তি পেয়ে আপাতত বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গিলের। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলেই কেবল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারবেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
গিল ও পান্ডিয়াকে ফিরিয়ে ঘোষণা করা স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকা রিঙ্কু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডি।
কুটাকে ৯ ডিসেম্বর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর চন্ডীগড়ে ১১, ধর্মশালায় ১৪, লখনৌতে ১৭ ও আহমেদাবাদে ১৯ তারিখ সিরিজের শেষ ম্যাচে লড়বে দুই দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুবমান গিল (সহ-অধিনায়ক, ফিটনেস প্রমাণ সাপেক্ষে), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবাম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুন চক্রবর্তী, আর্শদিপ সিং, কুলদিপ যাদব, হার্ষিত রানা, ওয়াশিংটন সুন্দর।

লক্ষ্যটা তেমন বড় ছিল না। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই ৮৯ রানের টার্গেটও ছুঁতে পারল না বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দল। স্বাগতিকদের মাত্র ৭৫ রানে অলআউট করে ১৩ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
কক্সবাজার একাডেমি মাঠে বুধবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১৯.৪ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অধিনায়ক ও ওপেনার ইমা নাসির। ৪১ বলের ইনিংসে ১টি চার মারেন তিনি। এছাড়া পাঁচ নম্বরে নেমে একটি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ২২ রান করেন আরিশা আনসারি।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন জারিন তাসমিন লাবণ্য। এছাড়া ২টি শিকার ধরেন হাবিবা ইসলাম পিংকি।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই হোঁচট খেতে থাকে বাংলাদেশ। মাত্র ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকেই যায় তারা।
তবু অরিত্রি নির্জনা মন্ডল ২০ ও সাদিয়া আক্তার ১৬ রান করলে কিছুটা আশা জাগে জয়ের। শেষ দিকে ববি খাতুন ১৩ রান করে দলকে আরও কিছুটা এগিয়ে দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেনি স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শাহার বানু। ৪ ওভারে মাত্র ৫ রানে ২ উইকেট নেন রোজিনা আকরাম।
একই মাঠে শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল।

অস্ট্রেলিয়ান তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সম্পর্কে এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় ধারাভাষ্যকার পদমজিৎ সেহরাওয়াত। ২০১৭ আইপিএলের একটি ঘটনা শেয়ার করেন তিনি।
আইপিএলের ১৩ মৌসুমের মধ্যে পাঞ্জাবের হয়ে ৬টি মৌসুমে খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। দলটিতে ২০১৪-২০১৭,২০২০ ও ২০২৫ সালে খেলেছেন তিনি।
সেহরাওয়াত জানালেন, ম্যাক্সওয়েল পাঞ্জাবে থাকাকালীন ২০১৭ সালে দলের এক বোলারকে অপমান করেছিলেন। এই ঘটনায় ম্যাক্সওয়েলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন শেবাগ।
ভারতের জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল আজতকের এক পডকাস্টে সেহরাওয়াত বলেন, ‘পাঞ্জাবের একজন বোলারকে অপমান করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কোচ বীরেন্দর শেবাগ সঙ্গে সঙ্গেই সবাইকে জড়ো করে ম্যাক্সওয়েলকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিলেন।’
শেবাগ ২০১৪ ও ২০১৫ মৌসুমে পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন। এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দলটির মেন্টর ও ক্রিকেট অপারেশনস এবং কৌশলগত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শেবাগের সাথে ম্যাক্সওয়েলের সম্পর্ক কখনই ভালো ছিল না। ২০২৪ সালে নিজের প্রকাশিত বইয়ে ম্যাক্সওয়েল তাঁদের তিক্ত সম্পর্কের কথা জানান। ২০১৭ মৌসুমে পাঞ্জাব প্লে-অফে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় শেবাগ তাকে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দিয়ে ‘বড় হতাশা’ বলে উল্লেখ করেন।
আইপিএলে সবশেষ ২০২৫ মৌসুমে পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে আগামী ২০২৬ মৌসুম থেকে আর খেলবেন না তিনি। তাই ১৬ ডিসেম্বর আইপিএল নিলামে দেখা যাবে না ম্যাক্সওয়েলকে।

মার্কো ইয়ানসেনের ওভারের শেষ বল। গ্যালারির ৬০ হাজারের বেশি দর্শকের সবাই তখন দাঁড়িয়ে। কারণ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে বিরাট কোহলি। পায়ের ওপর করা ডেলিভারি লং অনের দিকে ঠেলেই সেই রান নিয়ে নিলেন ভক্তদের 'কিং' কোহলি। আর গর্জনে ফেটে পড়ল পুরো গ্যালারি।
রায়পুরে বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও তিন অঙ্কের জাদুকরী স্পর্শ পেয়েছেন কোহলি। সব মিলিয়ে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি ৫৩তম সেঞ্চুরি। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলি শতকের দেখা পেলেন এই নিয়ে ৮৪ বার।
সেঞ্চুরির পর ইনিংস আর বড় না হলেও শহীদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দর্শকদের পূর্ণ বিনোদনই দিয়েছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এ নিয়ে ৩৪টি ভিন্ন মাঠে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার আগে ৩৪টি ভিন্ন মাঠে ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল শুধু শচীন টেন্ডুলকারের।
অথচ এই সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ায় অনেকেই গেল গেল রব তুলেছিলেন কোহলিকে নিয়ে। ওই সিরিজেই শেষ ম্যাচে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তাদের দমিয়ে রেখেছিলেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট।
এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যেন নিজের সেরা ছন্দই ফিরিয়ে আনলেন ৩৭ বছর বয়সী কোহলি। মাত্র ৯০ বলে ৭ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মেরে তিনি পূর্ণ করলেন সেঞ্চুরি। অর্থাৎ ৩৭ বছর পেরিয়েও ৬০ রান তিনি করেছেন দৌড়ে।
আরও পড়ুন
| সেরা আটে মোস্তাফিজ, রিশাদ-ইমন-সাইফদের বড় লাফ |
|
ক্যারিয়ারে ১১তম বার পরপর দুই ম্যাচে অর্থাৎ 'ব্যাক টু ব্যাক' সেঞ্চুরি করলেন তর্কযোগ্যভাবে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ব্যাটার। সবশেষ ২০২২-২৩ সালে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছিলেন কিংবদন্তি এই ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি আছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের।
এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোহলির এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। এ নিয়ে ভিন্ন চারটি দেশের বিপক্ষে সাত বার এর বেশি সেঞ্চুরি করলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে কোহলির।
সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অবশ্য আর বেশি দূর যেতে পারেননি। লুঙ্গি এনগিডির বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় লং অন সীমানার অনেক ভেতরে ধরা পড়েছেন কোহলি। ৯৩ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়ে গেছেন তিনি।
পঞ্চম ওভারে রোহিত শর্মার বিদায়ের পর ক্রিজে যান কোহলি। কিছুক্ষণ পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। এরপর রুতুরাজ গাইকদকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৯৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন কোহলি।
কোহলির আগেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৮৩ বলে ১০৫ রান করে আউট হন রুতুরাজ।
পরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নিজের ট্রেডমার্ক উদযাপনে অলিম্পিয়ানদের মতো লাফিয়ে উঠে বাতাসে ঘুষি ছোড়েন কোহলি। পরে বরাবরের মতোই আকাশপানে চেয়ে প্রয়াত বাবার সঙ্গে অদৃশ্য কথোপকথনও সারেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে চমৎকার বোলিং করে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও পুরস্কার পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেরা আটে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে রিশাদ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসানদেরও।
যথারীতি বুধবার ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
আইরিশদের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এর সৌজন্যে দুই ধাপ এগিয়ে এখন বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে আছেন তিনি। মোস্তাফিজের নামের পাশে রয়েছে ৬৬৫ রেটিং পয়েন্ট।
এছাড়া সিরিজসেরার পুরস্কার জেতা শেখ মেহেদি হাসান ৩ ধাপ এগিয়ে এখন উঠে এসেছেন ১৪ নম্বরে। বোলারদের তালিকায় ৫ ধাপ লাফিয়ে ১৯ নম্বরে উঠেছেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার সমান ৫ ধাপ এগিয়ে এখন ২৫ নম্বরে নাসুম আহমেদ।
আরও পড়ুন
| মায সাদাকাত, কে এই পাকিস্তানের ভবিষ্যত সুপার স্টার |
|
তানজিম হাসান সাকিব এগিয়েছেন দুই ধাপ, আছেন ৩৫ নম্বরে। সিরিজে কিছুটা খরুচে বোলিং করে এক ধাপ পিছিয়ে এখন ৫১ নম্বরে শরিফুল ইসলাম। আর ছুটিতে থাকা তাসকিন আহমেদ কোনো ম্যাচ না খেলে ১০ ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৫২ নম্বরে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে বরুণ চক্রবর্তী।
ব্যাটারদের তালিকায় ২১ ধাপ লাফ দিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনারর পারভেজ হোসেন ইমন। ক্যারিয়ার সেরা ৫৪২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩৮ নম্বরে উঠে এসেছেন। তার ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংও এটিই।
এছাড়া ৫ ধাপ এগিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ৪২ নম্বরে আছেন তাওহিদ হৃদয়। তানজিদ হাসান তামিম (১ ধাপ নেমে ১৯), সাইফ হাসান (৯ ধাপ নেমে ৩৯) ও লিটন কুমার দাস (২ ধাপ নেমে ৪৪) র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছেন।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে আগের মতোই শীর্ষে ভারতের অভিষেক শর্মা।
ব্যাটিংয়ে পেছালেও অলরাউন্ডারদের তালিকায় বড় লাফ দিয়েছেন সাইফ হাসান। ২৭ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন উঠে এসেছেন ৭৩ নম্বরে। এই তালিকায় শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার সাইম আইয়ুব।