২১ জুলাই ২০২৫, ৩:১৩ পিএম
এক বছরেরও বেশি সময় পর মিরপুরে টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ বাংলাদেশ দল জয় দিয়ে রাঙালেও আলোচনায় এসেছে উইকেটের আচরণ। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চিরচেনা ধীরগতির উইকেট অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দেখা যায়নি। এরপরও মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন উইকেটকে, যা তার কাছে মনে হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য অগ্রহণযোগ্য। আসলেই কি তাই?
মিরপুরের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটে যেখানে আবেদন থাকে স্পোর্টিং উইকেটের, সেখানে অধিকাংশ সময়ই এখানে দেখা মেলে বেশ স্লো, টার্নিং ও নিচু বাউন্সের। ফলে ব্যাটাররা পারেন না সহজাত আগ্রাসী ব্যাটিং করতে, আর বোলাররা দেখান দাপট। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়, বোর্ডে রান হয় কম আর ম্যাচ হয় লো-স্কোরিং।
মোটা দাগে রাখলে রোববার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটিকে সেই কাতারে আপনি রাখতেই পারেন। কারণ, আগে ব্যাট করা দল মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর সেটা তাড়া করতে প্রতিপক্ষকে খেলতে হয়েছে ১৬তম ওভার পর্যন্ত। ম্যাচটি যদি ২০২১-২২ সালের দিকেও হত, হেসনের দাবিকে আপনি যৌক্তিক মনে করতেই পারতেন। তবে এটা তো ২০২৫ সালের ম্যাচ এবং বাংলাদেশ দল তাদের ব্যাটিংয়ের সময় দেখিয়ে দিয়েছে, মিরপুরের উইকেট অন্তত এদিন লো-স্কোরিং ছিল না।
অবশ্য বাংলাদেশের আগে আনা যেতে পারে পাকিস্তানের ইনিংসের কথাও। বাংলাদেশকে চাপে ফেলে প্রথম তিন ওভারেই দলটি তুলে ফেলেছিল ৩২ রান। তবে অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। উইকেটের আচরণের সাথে তাল না মিলিয়ে বারবার বড় শট খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন পাকিস্তান ব্যাটাররা। ৪৬ রানেই তাতে হারাতে হয় ৫ উইকেট।
এর মাঝেও ফখর জামান খেলেন ৩৪ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস, যেখানে আবার তিনি জীবন পান দুই বার। এরপর আউট হন বিব্রতকর এক রান আউটে। পাকিস্তানের ইনিংসে এটি ছাড়াও ছিল আরও দুটি রান আউটের ঘটনা। একটি দলের তিন ব্যাটার যখন রান আউটের শিকার হন, ব্যাটিং বিপর্যয় তখন প্রায় অবধারিতই।
এর সাথে যোগ হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে একেবারেই না বুঝতে পারা। এটা বলার তো অপেক্ষা রাখে না যে, মিরপুরের উইকেটে মুস্তাফিজুর বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর পেসার। তার স্লোয়ার, কাঁটার এখানে ভীষণ কার্যকর হয়। প্রথম ম্যাচে তিনি আবার ছিলেন নিজের সেরা ছন্দে। চার ওভারে ১৮টি ডট দিয়ে মাত্র ৬ রানে নেন ২ উইকেট।
তার মানে, বাকি ১৫.৩ ওভারে পাকিস্তান করেছে মোটে ১০৪ রান! এই ফরম্যাটে প্রতিপক্ষের একজন বোলার যদি চার ওভারে দেন মাত্র ৬ রান, তাহলে নিশ্চিতভাবে ব্যাটিং করা দলকে অন্য বোলারদের ওপর ভীষণ চড়াও হতেই হবে। পাকিস্তান দল সেটাও পারেনি। অধিকাংশ ব্যাটাররা বাজে শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। ফলে ফখরের ইনিংস ও শেষের দিকে আব্বাস আফ্রিফির ক্যামিও বাদে রানের জন্য বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে সালমান আঘার দলকে।
ম্যাচ শেষে হেসন অবশ্য ব্যাটারদের ব্যর্থতা আড়াল করে অনেকটাই দায় চাপান উইকেটের ওপর। “এই উইকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এটা কোনো দলের জন্যই আদর্শ নয়। আমরা যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটার দায় আমাদেরই। তবে এই ধরনের উইকেট আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যবহার করা ঠিক নয়। হ্যাঁ, ফখর শুরুতে কিছু শট খেলেছিল। আর সেজন্যই আমাদের মনে হয়েছিল উইকেট হয়ত সহজ। কিন্তু আসলে তা ছিল না। বল মুভ করছিল বেশ, হঠাৎ হঠাৎ লাফ দিচ্ছিল। আর তখনই আমাদের ব্যাটাররা ভুল শট বেছে নিয়েছে। সাথে তিনটি রান আউটও আমাদের কাজটা আরও কঠিন করেছে।”
হেসনের মন্ত্যবের প্রেক্ষিতে আসা যাক বাংলাদেশের ইনিংস। তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস যখন আউট হন, তখন ২.২ ওভারে বোর্ডে রান মাত্র ৭। সেখান থেকে বাংলাদেশ ম্যাচ শেষ করেছে ২৭ বল হাতে রেখে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের মত চাপের মুখে ছিল বাংলাদেশও, তবে এই উইকেটে সেটা কীভাবে কাউন্টার করতে হয়, সেই ব্যাপারে পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয় রেখেছিলেন স্বচ্ছ ধারণা। জুটিতে তাই একজন বলের মেধা বুঝে আক্রমণে গেছেন, অন্যজন আবার অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেছেন।
টার্গেট ছোট হওয়ায় এটাই ছিল ব্যাট করার সেরা উপায়। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ ৩৭ বলে ৩৬ করে আউট হলেও ইমন ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। খেলেন মাত্র ৩৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস, যা তিনি সাজান ৫ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে। সাথে শেষের দিকে ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন জাকের আলি অনিক।
এই তিনজনের ব্যাটিংই বলে দেয়, দ্বিতীয় ইনিংসেও মিরপুরের উইকেট মোটেও ব্যাটিং বিরুদ্ধ ছিল না। টার্গেট নাগালের মধ্যে থাকায় রয়েসয়ে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। নাহলে অনায়াসেই তারা এই রান ১২-১৩ ওভারের মধ্যেও তাড়া করতে পারতেন। সব মিলিয়ে তাই বলা যায়, পাকিস্তান তাদের ব্যাটিং পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন করতে পারত, তাহলে ১৫০-১৬০ রান খুব সম্ভব ছিল তাদের জন্য। বাংলাদেশের ইনিংস তারই প্রমাণ।
অথচ হেসন কিনা অতীতের মিরপুরের উইকেটের সাথে এই ম্যাচের উইকেটের মিল টেনে দিয়েছেন সতর্ক বার্তা। “ভালো ক্রিকেটার তৈরি করতে হলে ভালো মানের উইকেট দরকার। বিপিএলে কিছু ভালো উইকেট দেখা গেছে ঠিকই, কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে এই উইকেটের কোনো মিল নেই। বাংলাদেশ দল যখন বিদেশে খেলে, তখন এমন উইকেট কিন্তু তাদের কোনো সাহায্য করে না। আপনি জানেন না এখানে ১০০, ১৩০ বা ১৫০ – কোনটা ভালো স্কোর। এটা কোনো দলের জন্যই ইতিবাচক নয়।”
হেসন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কোচদের একজন। ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবেও তার জুড়ি মেলা ভার। ক্রিকেটে ডাটার ব্যবহার তিনি বেশ করেন। অথচ পাকিস্তান কোচ কিনা তার দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতা আড়াল করলেন উইকেটের ওপর দোষ চাপিয়ে, যা বেশ হতাশাজনকই। তিনি যদি ঠিক হতেন, তাহলে একই উইকেটে বাংলাদেশ দলকেও করতে হত অনেক সংগ্রাম। ১১১ রান করতেই দেখা যেত উইকেটে চলে গেছে ৭-৮টি, আর ম্যাচ গড়িয়েছে ১৯-২০ ওভারে। এর কোনোটিই যেহেতু হয়নি, তাই হেসনের অভিযোগ আর ধোপে টেকে না, অন্তত এই ম্যাচের প্রেক্ষাপটে।
৩০ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
৩০ জুলাই ২০২৫, ৩:০১ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয় জিম্বাবুয়ে। কালে-ভদ্রে পরাশক্তিদের সাথে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় দলটি। এতেই বড়দের সাথে ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে। এ মাসের শুরুতে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঘরের মাঠে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। বুলাওয়েতে দুই টেস্টের দুটিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনেও শিক্ষানবীশ জিম্বাবুয়েকে দেখেছে দর্শক। টেস্টের প্রথম দিনটি পার করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টি-ব্রেকের আধ ঘন্টা পর মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে নিয়েছে ইনিংস। জবাব দিতে এসে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৯২/০। সব কটি উইকেট হাতে রেখে পিছিয়ে আছে সফরকারী দলটি মাত্র ৫৭ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিন কিউই পেসার ম্যাট হেনরির তোপের মুখে মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির ৫৪ রানে স্কোরটা তিন অঙ্কে টেনে নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান শিন উইলিয়ামস এদিন মাত্র ২ রানের মাথায় পেসার স্মিথের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘনীভূত হয়। ক্রেইগ আরভিন ১০১ মিনিট ব্যাটিং করে ৬টি বাউন্ডারির সাহােয্যে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। তাফাজা সিগা করেছেন ১১০ মিনিট স্থায়ীত্ব পাওয়া ব্যাটিংয়ে ৩০ রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৫টি চার।
কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ছড়িয়েছেন আতঙ্ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অবতীর্ন হয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট (৬/৩৯)। আর এক পেসার নাথান স্মিথ পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/২০)।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল হয়েছিল ভারতের ম্যাচ বয়কটে। তবে এরপর এশিয়া কাপে ভারতের সাথে পাকিস্তানের ম্যাচ নিশ্চিত হওয়ায়, আশা ছিল লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের মধ্যকার ম্যাচ খেলবে দুই দেশ। তবে সেমিফাইনালেও প্রতিবেশী দেশের সাথে ম্যাচ বয়কট করেছে ভারত। ফলে ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে চলে গেছে পাকিস্তান।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে গ্রুপ পর্বের পর সেমিতেও পাকিস্তানের সাথে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান, যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস বা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসকে।
টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, পিয়ুষ চাওলা, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও রবিন উথাপ্পার মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। শুরুতে রাজি হলেও গত ২০ জুলাই শেষ সময়ে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানান কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর বাতিল হয় ম্যাচটি।
সেই ম্যাচ থেকে উভয় দলই পয়েন্ট ভাগ করে নেয়। গ্রুপ পর্বে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস হয় চতুর্থ।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনে।
ওই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় দল এখনও মুখোমুখি হয়নি। সদ্য ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচিতে একই গ্রুপে থাকা এই দুই দলের সব মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। তবে লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচও বাতিল হওয়ায় নতুন করে শঙ্কা জাগতে পারে ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ব্রেন্ডন টেলরের জন্য খুলে যাচ্ছে জাতীয় দলের দরজা। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে তাকে যুক্ত করেছে জিম্বাবুয়ে।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন টেলর। এরপর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙার কারণে ৩৯ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটারকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই।
নিষেধাজ্ঞার সময় জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টেলর কোনো জাতীয় দল বা ঘরোয়া ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। তবে হারারের একটি বেসরকারি স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে এই সময়ে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন ফের ক্রিকেটে ফেরার আশা নিয়ে।
নিষেধাজ্ঞা শেষের আগে টেলর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাদক ও মদাসক্তি কাটিয়ে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট অনুভব করছেন।
জিম্বাবুয়ে এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে আছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তাফাদজওয়া সিগা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন তিনি, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে তার অবস্থান সাত।
ফলে দ্বিতীয় টেস্টে টেলর যদি দলে আসেন, আর নিজের পুরনো চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ফেরেন, তাহলে শন উইলিয়ামসসহ অন্যদের এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হতে পারে।
২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪টি টেস্ট খেলা টেলর নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছিলেন সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ৩৬.২৫ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে করেছেন ২ হাজার ৩২০ রান। শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগে বড় ধাক্কাই খেল ইংল্যান্ড। চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার পরিবর্তে ওলি পোপ ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন।
সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টারে ড্র হওয়া চতুর্থ টেস্ট থেকে একাদশে মোট চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। দলে ফিরেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল এবং তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাং। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই পেসার জোফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে। আর এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন।
সিরিজ জুড়ে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস বল হাতে পার করেছেন দুর্দান্ত সময়। এক সিরিজে করে ফেলেছেন নিজের সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন শতক। তবে চোট সামলে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ১১ ওভার। সেখানেও কয়েকবার তাকে ব্যাথায় ডান কাঁধ ধরতে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ডান হাতের বাইসেপ টেন্ডনে সমস্যা থাকলেও টেস্ট মিস করার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু পরে জানা যায়, স্টোকসের চোট গ্রেড থ্রি মাত্রার হওয়ায় পঞ্চম টেস্টে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেও খেলা সম্ভব হবে না তার।
স্টোকসের অনুপস্থিতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দেবে। সিরিজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ম্যানচেস্টারে গত দুই বছরে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পাশাপাশি শেষ দুটি টেস্টেই হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ফলে তাকে ছাড়া একাদশ সাজানো কঠিনই হবে স্বাগতিকদের জন্য।
ডসন বাদ পড়ায় স্টোকসের জায়গায় দলে আসা বেথেল হবেন দলের মূল স্পিনার। আর তার সঙ্গে স্পিন অপশন হিসেবে থাকছেন আরেক ব্যাটার জো রুট। আর পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন মাইকেল ওয়েন। তরুণ এই ব্যাটার প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলে। আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাকে।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার মূল অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ছাড়াই খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তিনি ছাড়াও এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আরেক অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ককে। ফলে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করবেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নজর কাড়েন ওয়েন। সিরিজে তিনি ১৯২.৩০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১২৫ রান। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে এই ফরম্যাটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও যে তিনি তিনি কার্যকর হতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। গত মৌসুমে তাসমানিয়ার হয়ে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৬৯ বলে ১৪৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস।
কামিন্স ও স্টার্ক না থাকলেও ক্যারিবিয়ানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড। ২০ ওভারের সিরিজের দলেও আছেন তারা। আর সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে না পারা ব্যাটার ম্যাট শর্টও ফিরেছেন দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন জেক ফ্রেজার-মার্কার্ক, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনলি ও জেভিয়ার বার্টলেট। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবসর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নেই ওয়ানডের দলে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে আগামী ১০ ও ১২ ও ১৬ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ চলবে ১৯ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
৮ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে