গুঞ্জন বাতাসে ভাসছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চলমান আইপিএলে খেলার জন্য মুস্তাফিজুর রহমানকে অনাপত্তিপত্র প্রদান করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে সেটা খুবই অল্প সময়ের জন্য। স্রেফ ছয় দিনের জন্য তাকে আইপিএলে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে শুক্রবার বিসিবি জানিয়েছে, ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুস্তাফিজুর রহমানকে ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আইপিএলের জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে জাতীয় দলের সাথে থাকা বাঁহাতি এই পেসার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে প্রথম টি-টোয়েন্টির দলে থাকবেন, যা শারজাহতে মাঠে গড়াবে আগামী ১৭ মে।
আরও পড়ুন
মুস্তাফিজদের দলে যোগ দিচ্ছেন না স্টার্ক সহ ৩ বিদেশী |
![]() |
এই ম্যাচতি খেলেই সরাসরি ভারতে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দেবেন মুস্তাফিজুর। এক সপ্তাহ বিরতির পর শুরু হয়ে যাওয়া আইপিএলে বিদেশী খেলোয়াড়দের অনেকেই আসছেন না। দিল্লির ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক আর ভারতে না ফিরতে চাওয়ায় তার বদলি হিসেবে মুস্তাফিজুরকে নেয় তারা।
গত বছর মেগা নিলামে অবিক্রীত থেকে যাওয়া মুস্তাফিজুরের ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। তবে দিল্লি তাকে দলে টানতে গুনেছে ৬ কোটি রুপি।
দিল্লি পরবর্তী ম্যাচআগামী ১৮ মে, দিল্লিতে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে। সব ঠিক থাকলে এই ম্যাচেই দেখা যেতে পারে মুস্তাফিজুরকে।
No posts available.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:২০ পিএম
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি উদযাপনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। গত সপ্তাহে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে তাঁর ফিফটি উদযাপন নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করে ভারত। আজ আইসিসির শুনানিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন, আইসিসির শুনানিতে পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা অতীত উদাহরণ টেনে বলেছেন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলিও এর আগে একই রকম বন্দুকের মতো অঙ্গভঙ্গি করে উদ্যাপন করেছেন। আরও যোগ করেন, একজন পাঠান হিসেবে এই ধরনের অঙ্গভঙ্গি তাদের অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রকাশ, যা আনন্দের মুহূর্তে-এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানেও সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সাহিবজাদার ও হারিস রউফের ‘উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গি’ নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করার পর ফারহান শুনানিতে হাজির হন। ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর এই অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি, যা পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেয়।
রউফও সমালোচনার মুখে পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর তিনি ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ভূপাতিত করার ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উস্কানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
দুজন পাকিস্তানি খেলোয়াড়—ফারহান ও হারিস—আইসিসির কাছ থেকে জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। জরিমানার পরিমাণ ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, তবে স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই।
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
এই ঘটনাগুলো আবারও সামনে এনেছে ক্রীড়াবিদদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে এমন অঙ্গভঙ্গি এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা। গতকাল বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে নিশ্চিত করেছে।
স্থগিত হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আজ আবার শুরু হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৭১ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা।
এদিন টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দৌরগোড়াতেই হোঁচট খায় ঢাকা। সে ধাক্কা সামাল দেন আরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন। দু’জনের দুই ফিফটিতে ১৭১ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। জবাবটা একদমই ভালো হয়নি রংপুরের। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে নাসির হোসেন-অনিক সরকাররা ছিলেন খোলসবন্দি। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ছিল রান। ঢাকার শুরুটা খারাপ হলেও সমস্যা বুঝতে দেননি আরিফুল ইসলাম। ধাক্কা সামলে তিনিই দলকে টেনে তুলেন। ১০০ মিনিটের কাছাকাছি ক্রিজে থেকে ৪৫ বলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৫৯ রান। বাউন্ডারি ছিল ৬টি, ছক্কা একটি।
ঢাকাকে দ্বিতীয় ফিফটি উপহার দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বেশ আগ্রাসী ছিলেন আজ। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে ৩২ বলে করেন ৬৪ রান। চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন সমানতালে। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
আরিফুল দলকে টেনে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। সেটাকে পুঁজি করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করান মোসাদ্দেক।
রান তাড়ায় নেমে রংপুরের বেশিরভাগ ব্যাটার ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। নাইম ইসলাম কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত টিকেও ছিলেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে কেবল দলের পতন দেখে গেলেন তিনি। ওয়ানডাউনে নেমে অপরাজিত ছিলেন। দলের সর্বোচ্চ রানও তার। ৩৭ বলে এক চারে স্কোরকার্ডে জমা করেন ২৬ রান। শেষ দিকে আবু হাসিম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মোসাদ্দেক তাকে ফেরান ২৫ রানে।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি রিপন মন্ডল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে মোসাদ্দেক তোলেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা বিভাগ: ২০ ওভারে ১৭১/৩ (মোসাদ্দেক ৬৪*, আরিফুল ৫৯*; মুকিদুল ১/৬)।
রংপুর বিভাগ: ১৭.১ ওভারে ১০০/৯ (নাঈম ২৬*, হাশিম ২৫,; তাইবুর ৩/২২, রিপন ২/১১)।
ফল: ঢাকা বিভাগ ৭১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন।
এশিয়া কাপ আয়োজনের আগে থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছিল তর্কযুদ্ধ। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর বিতর্কিত কিছু ঘটনা পরস্থিতি আরও বেশি উত্তপ্ত করেছে। এরই মধ্যে ফাইনালও নিশ্চিত করেছে দল দুটি।
পাকিস্তান দলের কোচ মাইক হেসন খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা এবার সব ধরনের বিভ্রান্তি এড়িয়ে শুধুই ক্রিকেটে মনোযোগী থাকে, কারণ তারা ভারতের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের ফাইনালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চলতি টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার দেখা হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। এতদিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মাঠের বাইরের বিষয় আর অঙ্গভঙ্গি, ক্রিকেট নয়।
গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন,
‘দেখুন, আমার বার্তা খুবই স্পষ্ট—শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দাও। আমরা সেটাই করব। অঙ্গভঙ্গি সবসময়ই থাকে, বিশেষ করে চাপের ম্যাচগুলোতে আবেগ থাকে।’
ফাইনাল নিশ্চিতের পর শিরোপা জয়ের সুযোগও নিতে চায় পাকিস্তান। কোচ হেসনের ভাষা,
‘আমরা এই সুযোগের যোগ্য। এখন আমাদের ওপর নির্ভর করছে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা। এতদিন পর্যন্ত সব ম্যাচ ছিল নিজেদের এমন অবস্থানে নেওয়ার জন্য, যেখানে শিরোপা জেতা সম্ভব। যে ম্যাচটা আসল সেটাই ফাইনাল, আর সেখানেই আমাদের মনোযোগ—সবচেয়ে ভালো খেলাটা দেখানো, যখন সেটা সবচেয়ে জরুরি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে পাকিস্তান—বিশেষ করে চাপের মুখে থেকেও জিততে পেরেছে তারা। হেসন বলেন,
‘দেখুন, টুর্নামেন্টের ভিন্ন ভিন্ন ধাপে প্রতিপক্ষ আপনাকে নিখুঁত খেলতে দেবে না, আর আমরা অনেক দূরে ছিলাম নিখুঁত খেলা থেকে। প্রথম ১০ ওভারেই সেটা বুঝেছি। কিন্তু এই দলে অসাধারণ মানসিকতা আছে। গত কয়েক মাসে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি যেখানে পুরো ৪০ ওভার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। লড়াই করে ফিরতে হয়েছে। তবে একটা জিনিস বলতে পারি, পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা নিয়ে এই দল ভীষণ গর্বিত।’
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন দলটির সাবেক প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট জানিয়েছে, হাই পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। খেলোয়াড় ও কোচদের উন্নয়ন এবং হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন স্টিড।
স্টিড চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি শেষ করেন। আট বছর ব্লাকক্যাপদের কোচ ছিলেন। তাঁর অধীনে নিউজিল্যান্ড ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলেছে নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুন
সোহান-শান্তর তাণ্ডবে সহজ জয় রাজশাহীর |
![]() |
স্টিড নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৩৪ বছর ধরে। দেশের হয়ে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে যুক্ত হন। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন নিউজিল্যান্ড নারী দলের প্রধান কোচ। ছয় বছর ক্যানটারবেরি দলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালে ছেলেদের জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে স্টিড বলেন,
'গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট আমার হৃদয়ে রয়েছে এবং এখনো খেলাটিতে অবদান রাখতে পারছি, এটা আমার জন্য খুবই স্পেশাল। আমি এখনো কোচিংয়ে আগ্রহী। শেখাতে ও উন্নতি করতে সাহায্য করতে চাই। যদি আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারি এবং তাতে ব্ল্যাকক্যাপস কিংবা হোয়াইট ফার্নসরা বিশ্ব মঞ্চে জিততে পারে তবে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় সাফল্য।'
আরও পড়ুন
‘লিটনকে না পাওয়া ব্যাটিংয়ে বিশাল ক্ষতি’ |
![]() |
স্টিড সম্প্রতি রঞ্জি ট্রফির দল অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। দেশের বাইরে কাজের সুযোগ করে দেওয়ায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন,
‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আমাকে বাইরে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এতে করে আমি নতুন কিছু শিখতে পারব এবং তা আবার আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে আনতে পারব। এটাই আমার লক্ষ্য।’
বিরূপ আবহওয়ার কারণে ১০ দিন স্থগিত ছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সংস্করণ। পরিবর্তিত সূচিতে আজ থেকে আবারও শুরু হয়েছে এনসিএল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ছিল ছক্কা-চারের ফুলঝুরি। যদিও সোহান-শান্তর ঝোড়ো ইনিংসে খুলনার বিপক্ষে ৮ উইকেটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী।
চলতি এনসিএলে প্রথম জয় রাজশাহীর, খুলনা দেখেছে প্রথম হার। সিলেটে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান তোলে খুলনা। রাজশাহী ১৬.১ ওভারেই ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে।
আরও পড়ুন
‘লিটনকে না পাওয়া ব্যাটিংয়ে বিশাল ক্ষতি’ |
![]() |
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও হাবিবুর রহমান সোহান। মাত্র ২.৫ ওভারেই দলীয় স্কোরে যোগ কেরেন ৫২ রান। ৮.৫ ওভারে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৩ রান।
সোহন-শান্তর জুটি থামে ১৪৮ রানে। তখন জয়টা কেবল অপেক্ষার ব্যাপার রাজশাহীর। সোহান আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪৫ বলে ৯৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৬টি ছক্কা। শান্ত ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচসেরা হয়েছেন সোহান। খুলনার পেসার রবিউল হক ২৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২ উইকেট।
আরও পড়ুন
ভারত সফর শেষ উইন্ডিজ তারকা পেসারের |
![]() |
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। দলীয় স্কোরে রান জমা হওয়ার আগেই ফেরেন ওপনোর ইমরানুজ্জামান। ১৩ রানেই হারায় তারা ৩ উইকেট।
চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেন। সৌম্য খেলেছেন ৩৪ বলে ৬৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংসে। মেরেছেন ৬টি করে চার ছক্কা। আফিফ করেন ৪৫ বলে ৫০ রান। জুটিতে আসে ৬৫ বলে ১০১ রান। রাজশাহীর নিহাদুজ্জামান ৩ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট।