কয়েকদিন আগে রোহিত শর্মাসহ ভারতের একাধিক ক্রিকেটার ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সেলেন্সে। সেই তালিকায় ছিলেন না দলের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। এরপরই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল তাঁর ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে এবার সেই জল্পনার অবসান ঘটল। বেঙ্গালুরুতে না গিয়ে ইংল্যান্ডেই ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।
বর্তমান ভারতীয় দলের মধ্যে বিদেশ থেকে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া প্রথম খেলোয়াড় কোহলি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোহলির এই ফিটনেস টেস্ট তত্ত্বাবধান করেছে বিসিসিআই নিজেই।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধ আফগানদের |
![]() |
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া কোহলি এখন কেবল ওয়ানডে সংস্করণে খেলছেন। সবশেষ গত মার্চে ভারতের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ওয়ানডে সিরিজে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
কোহলি ছাড়া বেঙ্গালুরুতে ফিটনেস টেস্ট সম্পন্ন করেছেন রোহিত, মোহম্মদ সিরাজ, শুবমান গিল, জিতেশ শর্মা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, অভিষেক শর্মা, হর্ষিত রানা, শ্রেয়াস আইয়ার, রিঙ্কু সিংরা।
প্রথম ধাপের এই পরীক্ষায় খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও চোট থেকে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া যাচাই করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অধিকাংশ ক্রিকেটারই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
রাবীন্দ্র জাদেজা, লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্ত, আকাশ দীপ ও নীতিশ কুমার রেড্ডির ফিটনেস টেস্ট হবে চলতি মাসেই। যারা চোট বা অসুস্থতার কারণে প্রথম ধাপে অংশ নিতে পারেননি, তারাও পরবর্তী দফায় ফিটনেস পরীক্ষা দেবেন।
No posts available.
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:২৬ এম
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
শুধু মৃত্যু আর করই জীবনের একমাত্র সত্য নয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ক্রমবর্ধমান ধনসম্পদও এই তালিকার অংশ- জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ লিখেছে এই কথা। আর এটি লেখার কারণ, পাঁঁচ বছরে বিসিসিআইয়ের অবিশ্বাস্য পরিমাণের আয়।
ভারতের প্রাদেশিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে পাঠানো আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ মাস আগে নগদ অর্থ ও ব্যাংক হিসাব মিলিয়ে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে ছিল ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি)। গত এক বছরে যা আরও বেড়েছে।
সবারই জানা, ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই সবচেয়ে ধনী। কিন্তু তাদের ধনসম্পদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্ক জানা যায় না। তবে ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গত বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশকৃত অর্থ বিবরণী।
যেখানে বলা হয়েছে, গত বছর বিসিসিআইয়ের অর্থ সম্পদের পরিমাণ ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপি। গত ১২ মাসে এটি নিশ্চিতভাবেই আরও বেড়েছে। যা কিনা জানা যাবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পর। এর বাইরে কয়েক হাজার কোটি রুপি আয়কর দেওয়ার জন্যও আলাদা রেখেছে তারা।
২০২৪ সালের এজিএমে বিসিসিআই সেক্রেটারি জানিয়েছেন যে, ২০১৯ সালে তাদের ব্যাংক-ব্যালেন্স ছিল ৬০৫৯ কোটি রুপি। সেটিও কিনা বিভিন্ন প্রাদেশিক অ্যাসোসিয়েশনকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার আগে। আর ২০২৪ সালে সেই অর্থ বিতরণ করে দেওয়ার পর এই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপি।
অর্থাৎ ২০১৯ সালের পর পাঁচ বছরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ধনসম্পদ বেড়েছে ১৪ হাজার ৬২৭ কোটি। এছাড়া ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালে তাদের ব্যাংক-ব্যালেন্স বেড়েছে ৪ হাজার ১৯৩ কোটি রুপি। সাধারণ তহবিলের পরিমাণ ৩ হাজার ৯০৬ কোটি রুপি থেকে ৪ হাজার ৮২ কোটি রুপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৮৮ কোটি রুপিতে।
এজিএমের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের আয়কর বাবর ৩ হাজার ১৫০ কোটি রুপি আলাদা করে রেখেছে বিসিসিআই। যদিও বিষয়টি এখন কোর্টে আইনি প্রক্রিয়াধীন, তবু প্রয়োজন পড়লে যেন দিতে দেওয়া যায়, তাই আগেই সংরক্ষণ করে রেখেছে তারা।
তবে ২০২৪ সালে মিডিয়া রাইটস থেকে আয় কমেছে ভারতের। ২০২৩ সালে তারা ২ হাজার ৫২৪ কোটি ৮০ লাখ রুপি আয় করেছিল তারা। কিন্তু পরের বছর সেটি কমে নেমে গেছে ৮১৩ কোটি ১৪ লাখ রুপিতে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ঘরের মাঠে কম ম্যাচ খেলায় মিডিয়া রাইটস থেকে আয় কমেছে।
ক্রিকেট ইতিহাসে অসংখ্য কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার দাপট দেখিয়েছেন। তবে ক্যারিয়ারসেরা আইসিসি রেটিংয়ের ভিত্তিতে বাছাই করলে অনেক কিংবদন্তিই সেরা দশে জায়গা পাননি। সম্প্রতি উইজডেনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সর্বকালের সেরা ১০ পেসারের তালিকায় নেই ওয়াসিম আকরাম, জিমি অ্যান্ডারসন, জসপ্রীত বুমরাহর মতো তারকারা পেসাররা।
আইসিসি প্লেয়ার রেটিং সিস্টেম চালু হয় ১৯৮৭ সালে। পরবর্তীতে অতীতের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও এটি প্রয়োগ করা হয়। রেটিং সর্বোচ্চ ১০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত হতে পারে। কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান সর্বোচ্চ ৯৬১ রেটিং পেয়েছিলেন। বোলারদের মধ্যে সিডনি বার্নস শীর্ষে আছেন ৯৩২ রেটিং নিয়ে। এখন পর্যন্ত ১৮ জন পেসার টেস্টে ৯০০ রেটিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
আরও পড়ুন
১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট |
![]() |
আইসিসির রেটিং অনুযায়ী সর্বকালের সেরা পেসারদের তালিকা
সিড বার্নস
২৭ টেস্ট, ১৮৯ উইকেট, গড় ১৬.৪৩, ২৪ বার ইনিংসে ৫ উইকেট
সেরা রেটিং: ৯৩২
বার্নসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৯০১ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত, তাঁর ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ার দীর্ঘ ২৩ বছর, যেখানে তিনি ৭১৯ উইকেট নেন, বোলিং গড় ১৭.০৯। খেলায় সবচেয়ে ভালো বোলারদের মধ্যে বার্নসকে সবচেয়ে এগিয়ে ধরা হয়। পরিসংখ্যান বলে কোনো বোলার টেস্টে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নেননি এরচেয়ে কম গড়ে। আইসিসি টেস্ট বোলিং রেটিংয়ে তাঁর চেয়ে উচ্চে পৌঁছায়নি।
বার্নস প্রথমবার ৯০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেন ১৯১২ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট এবং ২৯ রানে ৮ উইকেট নেওয়ার পর। এরপর তিনি কখনও ৯০০-এর নিচে নামেননি। শীর্ষ রেটিং অর্জন তাঁর শেষ টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে। দুই ইনিংসেই ৭টি করে উইকেট নেন, ম্যাচে ১৪-১৪৪ নিয়ে শেষ করেন।
আরও পড়ুন
ড্র-ই ম্যাচের ন্যায্য ফল, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
জর্জ লোহম্যান
১৮ টেস্ট, ১১২ উইকেট, গড় ১০.৭৫, ইনিংসে ৫ উইকেট ৯ বার
সেরা রেটিং: ৯৩১
ইমরান খান
৮৮ টেস্ট, ৩৬২ উইকেট, গড় ২২.৮, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৩ বার
সেরা রেটিং: ৯২২
যৌথভাবে গ্লেন ম্যাকগ্রা
১২৪ টেস্ট, ৫৬৩ উইকেট, গড় ২১.৬৪, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৯ বার
সেরা রেটিং: ৯১৪
যৌথভাবে প্যাট কামিন্স
৭১ টেস্ট, ৩০৯ উইকেট, গড় ২২.১০, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৪ বার
সেরা রেটিং: ৯১৪
যৌথভাবে কার্টলি অ্যামব্রোস
৯৮ টেস্ট, ৪০৫ উইকেট, গড় ২০.৯৯, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯১২
যৌথভাবে ভেরন ফিল্যান্ডার
৬৪ টেস্ট, ২২৪ উইকেট, গড় ২২.৩২, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩ বার
সেরা রেটিং: ৯১২
আরও পড়ুন
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় জিম্বাবুয়ের |
![]() |
ইয়ান বোথাম
১০২ টেস্ট, ৩৮৩ উইকেট, গড় ২৮.৪০, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৭ বার
ক্যারিয়ারসেরা রেটিং: ৯১১
যৌথভাবে ম্যালকম মার্শাল
৮১ টেস্ট, ৩৭৬ উইকেট, গড় ২০.৯৪, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯১০
যৌথভাবে রিচার্ড হ্যাডলি
৮৬ টেস্ট, ৪৩১ উইকেট, গড় ২২.২৯, ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
শন পোলক
১০৮ টেস্ট, ৪২১ উইকেট, গড় ২৩.১১, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
ডেল স্টেইন
৯৩ টেস্ট, ৪৩৯ উইকেট, গড় ২২.৯৫, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
ওয়াকার ইউনিস
৮৭ টেস্ট, ৩৭৩ উইকেট, গড় ২৩.৫৬,, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
অক্টোবরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) ২০২৫-২৭ চক্রের প্রথম সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফর করবে প্রোটিয়ারা।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এ মাঠে তিন বছরেরও বেশি সময় পর আবার টেস্ট ফিরছে। এ বছরের শুরুর দিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভেন্যুটি নতুন করে সংস্কার করা হয়, তারপরই এটিই হবে প্রথম টেস্ট আয়োজন।
আরও পড়ুন
ড্র-ই ম্যাচের ন্যায্য ফল, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
১২ অক্টোবর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। জুনে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অভিযান লাল বলে। পাকিস্তানের জন্যও এটি নতুন চক্রের প্রথম সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যেখানে সম্প্রতি সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে। তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে এ মাঠেই। ২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিরছে। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সীমান্ত উত্তেজনার কারণে সূচি বদলে গিয়েছিল, ফলে ভেন্যুটি খালি পড়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৮ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে। এরপর লাহোরে হবে বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ ফয়সালাবাদে- ৪, ৬ ও ৮ নভেম্বর।
আরও পড়ুন
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় জিম্বাবুয়ের |
![]() |
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী সুমাইর আহমেদ বলেন,
‘আমরা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ অভিযাত্রার প্রথম সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছি। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে শুরু হওয়া নতুন চক্র আমাদের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের জন্য উচ্চমানের ক্রিকেট উপহার দেবে।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সূচি:
অক্টোবর ১২-১৬ – প্রথম টেস্ট, লাহোর
অক্টোবর ২০-২৪ – দ্বিতীয় টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি
অক্টোবর ২৮ – প্রথম টি-টোয়েন্টি, রাওয়ালপিন্ডি
অক্টোবর ৩১ – দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, লাহোর
নভেম্বর ১ – তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, লাহোর
নভেম্বর ৪ – প্রথম ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৬ – দ্বিতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৮ – তৃতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসেখেলে জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা পরের ম্যাচেই দেখল বড় হার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে লঙ্কানরা। সফরকারীদের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সংস্করণে জিম্বাবুয়ের এটি দ্বিতীয় জয়।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা করা কঠিনই। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেলেও ৩৪ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচ এখন অলিখিত ফাইনাল। এই বছর আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদও পেল জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
নেপালের সঙ্গে ড্র করল বাংলাদেশ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ছোট লক্ষ্যকে কঠিন বানিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। তারপর ব্রায়ান বেনেট-রায়ান বার্লের ২৬ রানের জুটি ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেয়। ১৯ রান করে বেনেট ফিরলেও ২২ বলে ২০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বার্ল। ছয়ে তাসিঙ্গা মুসেকিউয়া খেলেন ১৪ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লঙ্কান পেসার দুশমান্ত চামিরা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং ধসে ১৭.৪ ওভারে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানের পর এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোনিম্ন স্কোর। বল হাতে ছড়ি ঘুরান সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভান্স। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। আর ২.৪ ওভারে ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
রাজার ঘূর্ণির কবলে সর্বনিম্ন রানের নতুন রেকর্ড শ্রীলঙ্কার |
![]() |
ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
শুরুটা করেন ব্লেসিং মুজাবারানি। তারপর আক্রমণে যোগ দেন সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভানস। জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রাজার স্পিন বিষে নীল হতে হলো সফরকারী ব্যাটারদের।
হারারাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ধসে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এই সংস্করণে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ল লঙ্কারা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রান তাদের সর্বোনিম্ন স্কোর। এবার অবশ্য ৩ রান বেশি করে নিজেদের সর্বনিম্ন রেকর্ড অক্ষত রাখলো চরিত আসালাঙ্কার দল। মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকট।
আরও পড়ুন
আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য লড়ে যাবেন জোকোভিচ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বত্বিতে নেই জিম্বাবুয়েও। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ রান তুলতে ২ উইকেট খুইয়েছে তারা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।