৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০০ পিএম

এক সঙ্গে চার জনকে বদল! হৃদয়, শামীম, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজের ঠিকানা ডাগ আউটে! সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত করে সাইড বেঞ্চ পরখ করে দেখতে চাইলে এতো বড় পরিবর্তন করলে চোখে লাগতো না। কিন্তু যে পরিবর্তনে সুফলের চেয়ে কুফলটা বড়, তখন তো প্রশ্ন দেখা দিবেই। সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজই বলুন কিংবা টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ, দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার মোস্তাফিজ। সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল (৪-০-২১-৩) এই বাঁ হাতি কাটার মাস্টার। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডট বলে বিশ্বরেকর্ড করা এই বোলার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দিয়েছেন ৯+১২=২১টি ডট। সিরিজের শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পেতে চাইলে এমন বোলারকে কেনো সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হবে ? টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে যদি এটাকে মোস্তাফিজের বিশ্রাম বলে চালিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তা কেনো গ্রহনযোগ্য হবে ?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ঠ হয়েছে। প্রথমটি ডট বলের আধিক্য, দ্বিতীয়টি শেষ পাওয়ার প্লে-তে উইকেটের মড়ক। শেষ ম্যাচে বরং এই দুটি প্রকটভাবে ধরা পড়েছে। প্রথম ম্যাচে ডট বলের সংখ্যা ছিল ৪৮টি, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫০টি, উত্তোরত্তোর অবনতির গ্রাফে শেষ ম্যাচে সংখ্যটা ৫২-তে উন্নীত! প্রথম ম্যাচে শেষ পাওয়ার প্লে'র ৩০ বলে ৩০ রান নিতে হারাতে হয়েছে ৩ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৩৫ রান যোগ করে হারিয়েছে বাংলাদেশ ৫ উইকেট। শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচে শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৪২ রানে হারিয়েছে লিটনের দল ৭ উইকেট!
দলের সঙ্গে আছেন হেড কোচ, আছেন তার প্রায় কাছাকাছি বেতন পাওয়া সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট কোচ সালাউদ্দিন। মাসে এই দু'জনের পেছনে বিসিবিকে গুনতে হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার বেশি। অথচ, ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি কই ?
নিজেদের মনমতো উইকেট বানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফাঁদে ফেলতে চেয়ে উল্টো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পেতে হলো হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা! বিদেশের মাটিতে এই প্রথম হোয়াইট ওয়াশের উৎসব করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তিনটি ম্যাচেই উইকেট রিডিংয়ে ভুল করেছে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই দৃশ্যমান। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৫/৩ স্কোরের জবাব দিতে এসে বাংলাদেশ হেরেছে ১৬ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫০ রানের টার্গেটে হার ১৫ রানের। শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৫১/১০ পর্যন্ত স্কোর টেনে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের এই স্কোরের আবার দুই তৃতীয়াংশ এসেছে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে ( ৬২ বলে ৯ চার, ৪ ছক্কায় ৮৯)। ইনিংসের শেষ ওভারে শেফার্ডের প্রথম ডেলিভারিটি ছিল শর্ট, সেই ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে যেয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে মিস করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই শুধু সাহসের সাথে ব্যাট করেছেন। এবং এই ইনিংসের পথে বেশ কিছু মাইলস্টোনে পা দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ৩৩ রান পূর্ণ করে পৌছে গেছেন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাজার রানে। টানা দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১০ম ফিফটি পূর্ণ করেছেন। এ বছরের প্রথম ১০ মাসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশসমূহের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান এখন তানজিদ হাসান তামিমের (২৪ ম্যাচে ৭ ফিফটি, ১৩৬.২০ স্ট্রাইক রেট-এ ৭১১ রান)। তার পেছনে ছুঁটছেন ভারতের বিস্ময় ওপেনার অভিষেক শর্মা ( ১৪ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ৫ ফিফটিতে ৬৮০ রান)।
ইনিংসের ৪র্থ ওভারে রোস্টন চেজ এর ব্যাক অব লেন্থ ডেলিভারিতে কাট করতে যেয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে পারভেজ হোসেন ইমন (১০ বলে ১১) এবং ৮ম ওভারে খেরি পেরির বলে ডিপ মিড উইকেটে লিটন ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে (৯ বলে ৬) ফিরে আসার পর সাইফ হাসানের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৩ বলে ৬৩ রানে রেখেছেণ অবদান তানজিদ হাসান তামিম। ওপেনিং থেকে ৪ নম্বরে নেমে সাইফের ব্যাটিংটা ঠিকঠাকই ছিল। তবে অভিজ্ঞ পেসার হোল্ডারের শ্লোয়ারে খেলতে যেয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দেয়ার ( ২২ বলে ২ ছক্বায় ২৩) পর এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫তম ওভার থেকে ২০ তম ওভার, এই ৬ ওভারের প্রতিটিতেই একটি করে চার-কিংবা ছক্কা হয়েছে, পড়েছে ওভারপ্রতি উইকেট! শেষ ওভারে পড়েছে ৩টি উইকেট। যার মধ্যে শেফার্ডের প্রথম দুই বলে পড়েছে ২টি উইকেট ( তানজিদ, শরিফুল)।
ওয়ানডে সিরিজে চার-ছক্কার প্রদর্শনী করা রিশাদ টি-টোয়েন্টিতে বিবর্ণ। শেষ ম্যাচে খেরি-পেরিকে মিড অনের উপর দিয়ে খেলতে যেয়ে হয়েছেন এলবিডাব্লু (৩ বলে ৩)। শেফার্ডের বলে লং অনে বাউন্ডারির চেষ্টায় বিফল সোহান পাওয়েলের দারুণ ক্যাচে বন্দি (৩ বলে ১)। আকিলকে নাসুম সুইপ করতে যেয়ে এলবিডাব্লুতে পড়েছেণ কাটা (৩ বলে ১)। হোল্ডারকে সুইপ করতে যেয়ে জাকের আলী অনিকের পরিনতিও একই ( ৩ বলে ৫)। দুই অভিজ্ঞ পেসার শেফার্ড (৪-০-৩৬-৩), হোল্ডার (৪-০-৩২-২) শেষ দুই ওভারে শিকার করেছেন ৩ উইকেট!
১৫২ রানের চ্যালেঞ্জে ফেলে দেয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ভালই ঝাঁকুনি দিয়েছিলেন দুই স্পিনার শেখ মেহেদী-নাসুম। আথানজে (৮ বলে ১)-ব্রান্ডন কিং-কে (৭ বলে ৮) ঝটপট ফেরত পাঠিয়ে ভালই বার্তা দিয়েছেন এই দুই স্পিনার। তবে ক্ষতিটা করেছেন তাসকিন। তার অনিয়ন্ত্রিত প্রথম ওভারের চিত্রটা ছিল ৬,৪,৪,০,৪। আমির জাঙ্গোর চওড়া ব্যাটে এলোমেলো তাসকিনে ( ৩.৫-০-৫০-০) ম্যাচে লড়াইয়ের মানসিকতাই যে হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ দল।
বড্ড বিলম্বে জ্বলে উঠেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ। নিজের শেষ ওভারে ২টি গুগলি ডেলিভারিতে দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান রোষ্টন চেজ (২৯ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৫০)-কে মিড অনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন এবং আকিম অগাস্টিকে ( ২৫ বলে ১ চার, ৫ ছক্কায় ৫০) ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ফিরিয়েছেন। শেষ স্পেলটিও ছিল তার দারুন (১-০-৩-২)। তবে প্রথম ৩ ওভারে ৪০ রান খরচা করেছেন রিশাদ। যার মধ্যে ইনিংসের ১৩ তম ওভারে অগাস্টি পর পর তিন বলে মেরেছেন রিশাদকে ছক্কা!
এমন এক ম্যাচটা সহজ করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয়ের নেপথ্যে উঠে আসবে চেজ-অগাস্টির ৪৬ বলে ৯১ রানের পার্টনারশিপের কৃতিত্ব।
শেখ মেহেদীর বোলিং ছিল এক কথায় অসাধারন (৪-০-১৮-১)। তবে হাতে অকেশনাল স্পিনার থাকতে একটি ওভারও সাইফকে দেননি অধিনায়ক লিটন দাস। ২ ওভারের প্রথম স্পেল (২-০-১২-০) শেষে বোলিং পাননি বাঁ হাতি পেসার শরিফুল!
No posts available.
৮ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৮ এম

কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশ। বল হাতে একের পর এক ছক্কা হজমের পর ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ ধসে বড় ব্যবধানে হেরে গেল আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
মং কংয়ের মিশন রোড মাঠে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে রেকর্ড ১৪৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
এই জয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশ নেমে গেল প্লেট পর্বে। রোববার প্লেট সেমি-ফাইনালে খেলবে তারা।
আরও পড়ুন
| আরব আমিরাতের কাছেও হেরে গেল ভারত |
|
ছয় ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা হজম করেছেন মোট ২১টি ছক্কা। তাদের তুলোধুনো করে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৮ রান করেছিল আফগানিস্তান।
৮ ছক্কায় ১৪ বলে ৫১ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান বেন মেকডেরমট। ৫ ছক্কায় ৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন উইলিয়াম বসিস্টো। অধিনায়ক অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১১ বলে ৫০ রান।
পরে রান তাড়ায় প্রথম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন রকিবুল হাসান ও আবু হায়দার রনি। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০ বলে ২৫ রান করেন রকিবুল। শেষ দিকে একা ব্যাটিং করা রনির ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১৮ বলে ৫০ রান।
বল হাতে ক্রিস গ্রিন নেন ৩ উইকেট।

পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর যেন জিততেই ভুলে গেছে ভারত। গ্রুপ পর্বে কুয়েতের কাছে হারের পর এবার বোল রাউন্ডে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও জিততে পারেনি দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন দল।
হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে শনিবার বোল রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগে ব্যাট করতে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে ভারত। জবাবে ৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় আমিরাত।
গ্রুপ পর্বে কুয়েতের কাছে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। এবার আমিরাতের বিপক্ষেও হারায় বোল ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও কমে গেল তাদের। বোল রাউন্ডে পরের দুই ম্যাচে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ভারত।
আমিরাতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ঝড় তোলেন অভিমন্যু মিথুন ও দিনেশ কার্তিক।
৪ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় মিথুন করে ১৬ বলে ৫০ রান। ফিফটি করে ফেলায় বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয় তার। ৪টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন কার্তিক।
আমিরাতের পক্ষে ২ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নেন নিলানশ কেশানি।
রান তাড়ায় শুরুতেই তাণ্ডব চালান আমিরাত অধিনায়ক খালিদ শাহ। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৪ বলে ৫০ রান করে অবসরে যেতে হয় তার। আরেক ওপেনার সগির খান ১ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১১ বলে ৩১ রান।
চার নম্বরে নেমে ৫ বলে ২০ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ আফরান।

ক্রিকেটে সবসময়ই বলা হয়, ম্যাচের দৈর্ঘ্য যত কমে, ছোট দলের সঙ্গে বড় দলের পার্থক্যও তত কমে যায়। সেটি এতটাই কমে আসে যে, ৬ ওভারের ক্রিকেটে কুয়েতের কাছে হেরে গেছে ভারত। যার ফলে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের মূল আসর থেকে ছিটকে গেছে তারা।
মং কং মিশন রোড মাঠে শনিবার সকালে ভারতকে ২৭ রানে হারিয়েছে কুয়েত। এই জয়ে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে গেছে কুয়েত। আর ভারত নেমে গেছে বোল পর্বে।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কুয়েত। জবাবে ৫.৪ ওভারে ৬ উইকেটের সবকটি হারিয়ে ৭৯ রানের বেশি করতে পারেনি সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া ভারত।
কুয়েতের শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পাঁচ নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালান অধিনায়ক ইয়াসিন প্যাটেল। ২ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মেরে মাত্র ১৪ বলে তিনি করেন ৫৮ রান। এছাড়া বিলাল তাহির করেন ৯ বলে ২৫ রান।
অভিমন্যু মিথুন ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
রান তাড়ায় মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। প্রথম বলেই আউট হন রবিন উথাপ্পা। ৪ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। স্টুয়ার্ট বিনি করেন ২ বলে ২ রান।
পরে প্রিয়াঙ্ক পঞ্চল ১০ বলে ১৭, অভিমন্যু মিথুন ৯ বলে ২৬ ও শাহবাজ নাদিম ৮ বলে ১৯ রান করলেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
বল হাতেও কুয়েতের পক্ষে বড় অবদান রাখেন ইয়াসিন। ২ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন কুয়েত অধিনায়ক।
পুল 'সি'তে ভারত, পাকিস্তান ও কুয়েত- তিন দলেরই সমান ২ পয়েন্ট। তবে নেট রান রেটে সবার চেয়ে পিছিয়ে থাকায় বোল পর্বে নেমে গেছে ভারত। আর কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট পেয়েছে পাকিস্তান ও কুয়েত।
মূলত চার গ্রুপের তৃতীয় হওয়া চার দলকে নিয়ে আয়োজন করা হয় বোল পর্ব। যেখানে চার দলের মধ্যে চলে লড়াই। পরে পুরো টুর্নামেন্টের নবম সেরা দল নির্ধারিত হয় বোল ফাইনালের মাধ্যমে।

আইসিসির সভাতেও কোনো সমাধান মেলেনি এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্কের। তাই এখনও অনিশ্চয়তায় ঝুলছে ভারতের ট্রফি বুঝে পাওয়ার বিষয়টি। সমস্যা সমাধানে শিগগিরই গঠন করা হতে পারে একটি বিশেষ কমিটি।
দুবাইয়ে শুক্রবার ছিল আইসিসির ত্রৈমাসিক সভার শেষ দিন। অনেক সংশয়ের পর সেই সভায় সবাইকে চমকে দিয়ে হাজির হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভি।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সভার আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে এশিয়া কাপের ট্রফি ইস্যু ছিল না। অনেকটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রেখেই সবার সামনে তোলা হয় ট্রফি বিতর্কের ঘটনা।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসিসি চেয়ারম্যান জোরপূর্বক ট্রফিটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, শীঘ্রই এশিয়া কাপের ট্রফি ভারতকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
তবে এই আলোচনার পুরোটাই ছিল অনানুষ্ঠানিক। যেটা মূলত বিভিন্ন দেশের বোর্ড প্রতিনিধিদের হালকা মেজাজের আড্ডার মাঝে উত্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সবাই জানিয়েছেন, দ্রুতই এই ট্রফি বিতর্কের সমাধান হওয়া উচিত।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্ক সমাধানে একটি বিশেষ কমিটি করা হবে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এমন কোনো কমিটি হয়নি। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওমান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পঙ্কজ খিমজির নেতৃত্বে গঠিত হবে কমিটি।
গত সেপ্টেম্বরে ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কিন্তু ম্যাচ শেষে ট্রফি ওঠেনি তাদের হাতে। এসিসি ও পিসিবি চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে রাজি হয়নি ভারত।
বিপরীতে নাকভি নিজের অবস্থানে ছিলেন অনড়। এসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই ট্রফি তুলে দেবেন, এই সিদ্ধান্ত নেন নাকভি। ফলে সেদিন আর ট্রফি পাওয়া হয়নি ভারতের। পরে ভারতের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার ট্রফি চাওয়া হয়েছে।
তবে নাকভি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুবাইয়ে এসিসি কার্যালয়ে গিয়ে সূর্যকুমার যাদবদের অবশ্যই ট্রফি তার কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। এসিসি কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, তার অনুমোদন ছাড়া ট্রফি সরানো যাবে না।

বয়সের ঘর ৪৪ ছুঁয়ে ফেললেও আইপিএল অধ্যায় এখনও শেষ হয়নি মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগামী বছর ৪৫ ছুঁইছুঁই বয়সেও ভারতের এই জাকজমকপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলবেন দেশটির কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক।
চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান নির্বাহী কাশি বিশ্বনাথ ক্রিকবাজকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
"এটা (ধোনির আইপিএল খেলার খবর) সত্যি। এমএস আমাদের বলেছে, আগামী বছরের আইপিএলেও তাকে পাওয়া যাবে।"
আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলছেন ধোনি। তার মতোই ২০০৮ সাল থেকে এই দলীর সঙ্গে আছেন বিশ্বনাথ। তিনি জানিয়েছেন, সাঞ্জু স্যামসনকে দলে আনার আলোচনা থাকলেও, পরের মৌসুমে ধোনিও খেলবেন।
গত কয়েক বছর ধরেই, প্রতিটি আইপিএল শেষে প্রশ্ন ওঠে, আগামী বছর খেলবেন তো ধোনি? এবার চেন্নাইয়ের প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে মিলল সেই নিশ্চয়তা।
২০২৬ সালের আইপিএল খেললে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় বয়স্ক ক্রিকেটার হবেন ধোনি। ২০১৬ সালে ৪৫ বছর বয়সেও এই টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাড হগ।
গত বছরের আইপিএল অবশ্য খুব ভালো যায়নি ধোনি ও চেন্নাইয়ের জন্য। নিয়মিত অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াদের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে সেবার বিদায় নেয় চেন্নাই।
আগামী বছর খেলতে নামলে চেন্নাইয়ের হয়ে ১৭ ও আইপিএলে ধোনির ১৯তম আসর হবে সেটি। এখন পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে ২৪৮ ম্যাচ খেলে ৪ হাজার ৮৬৫ রান করেছেন ধোনি। তার নেতৃত্বেই ২০১০, ২০১১, ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই।