২৩ নভেম্বর ২০২৫, ২:৩৯ পিএম

হাসান মুরাদ টানা দুই বলে ফেরালেন গ্যাভিন হোই-ম্যাথু হামপ্রিজকে। তাঁকে ঘিরে সতীর্থদের বুনো উল্লাস। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে আয়ারল্যান্ড খেলল ১১৩.৩ ওভারে, যেন রীতিমতো ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়। এই প্রথম কোনো বিদেশি দল মিরপুরে খেলল ১০০ ওভারের বেশি! শেষ পর্যন্ত ২১৭ রানের জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন শান্তরা।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাস যেন নিজের মতো করে হাঁটা এক দীর্ঘ যাত্রা। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পথচলা কখনো আনন্দে ভরেছে, কখনো হতাশায়। আবার কোনো কোনো দিন এমনও এসেছে, যখন ছোট্ট একটি জয়ই মনে হয়েছে পাহাড় জয়ের মতো।
শীত আর মিষ্টি রোদের মিশ্র দুপুরে আজ বাংলাদেশ পেল টেস্টের ২৫ বছরে ২৫তম জয়। ১০ নভেম্বর গেল টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয় সংখ্যার হিসেবে হয়তো খুব বড় নয়। প্রতিপক্ষও বিশ্বের শক্তিধর দল নয়। কিন্তু ইতিহাস তো কেবল স্কোরকার্ডে লেখে না—ইতিহাস লেখে মুহূর্তে, গল্পে, পথচলায়। মিরপুরের এই জয় সেই পথচলারই অংশ।
অলৌকিক কিছু না ঘটলে মিরপুর টেস্টে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য, জিততে আয়ারল্যান্ডকে গড়তে হতো ইতিহাস। চতুর্থ দিন শেষে আইরিশদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। জিততে অতিথিদের দরকার ছিল আরও ৩৩৩ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ৪ উইকেট।
প্রায় সাড়ে তিন বছর মিরপুরে পঞ্চম দিনের খেলা গড়াল। শান্ত-মিরাজদের জয় যেন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর মধ্যেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ালেন কার্টিস ক্যাম্ফার-অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনেরা। আইরিশদের লোয়ার অর্ডার সিলেট টেস্টেও এবং সবশেষ সফরেও ভুগিয়েছিল।
আজ উইকেট পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় দিনের ১৪তম ওভার পর্যন্ত। তাইজুল ইসলাম ভাঙলেন ক্যাম্ফার-ম্যাকব্রাইনের প্রতিরোধ। এলবিডব্লিউ করে তিনি ফেরালেন ম্যাকব্রাইনকে। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি ২১ রান করা বাঁহাতি ব্যাটারের। টেস্টে তাইজুলের এটি ২৫০তম উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। সব মিলিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আড়াইশ উইকেট পেলেন।
ক্যাম্ফার ও ম্যাকব্রাইনের জুটিতে ১০৫ বলে আসে ২৬ রান। অষ্টম উইকেটে জর্ডান নিলকে নিয়ে ৪৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন ক্যাম্ফার। প্রথম ইনিংসেও কিছুটা ভুগিয়েছিলেন লোয়ার অর্ডার নিল। এবার থিতু হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হলেন ৩০ রানে। দ্বিতীয় নতুন বলে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেট পেলেন মিরাজ।
হারের মাঝেও সলিড টেস্ট ইনিংস খেলেছেন ক্যাম্ফার। ২৫৯ বলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। একাই খেলেছেন ৪৩.১ ওভার। দল হারলে লড়াকু ক্যাম্ফার অপরাজিতই রইলেন।
বাংলাদেশ টেস্টে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারি, চট্টগ্রামে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। তারপর বহু আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে—হয়তো সমৃদ্ধ অর্জন নেই, কিন্তু ইতিহাস তো আর বসে নেই।
তবে এবারের সিরিজ জয়ের পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট, মাইলফলকের টেস্টে সেঞ্চুরি (১০৬) ও ফিফটির (৫৩*) রেকর্ড। টেস্টে তাইজুলের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়া, মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে বিদেশি দলের ১০০ ওভার এবং সাড়ে তিন বছর পর পঞ্চম দিনে খেলা গড়ানো- সবকিছু তো রূপকথার মতো।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা অর্জন করে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম জয়। টেস্টের ২৫ বছরে ২৫তম জয়—এ সংখ্যাটি হয়তো আরও বড় হতে পারত, আরও বেশি দ্রুত আসতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের যাত্রা এমনই—এখানে প্রতিটি অর্জন সংগ্রামের গল্পে মোড়া, প্রতিটি সাফল্যের পেছনে আছে পরিশ্রম, হতাশা, আবার নতুন করে শুরু করার দৃঢ়তা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৭৬
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৬৫
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৯৭/৪ ডিক্লে.
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫০৯, ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ (ক্যাম্ফার ৭১*, ম্যাকব্রাইন ২১, নিল ৩০, হোয়ে ৩৭, হামফ্রিজ ০; ইবাদত ১১-৩-২৯-০, তাইজুল ৪০-৭-১০৪-৪, খালেদ ১২-০-৪৫-১, মিরাজ ২৭-১১-৪৯-১, মুরাদ ২২.৩-১১-৪৪-৪, মুমিনুল ১-০-২-০)
No posts available.
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৪৫ পিএম

আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে ১২৬ রানের লক্ষ্য মামুলি বটে। সহজ বলার কারণ—রাইজিং স্টারর্স টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ১৯৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এর আগে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ১৫৩ করেছিল আকবর আলীর দল। প্রথম দুটির একটিতে ১৭১ রান এবং অন্যটিতে ৭৮ রান তাড়া করে ৩৯ বল হাতে রেখে জিতেছিল বাংলাদেশ।
দোহায় আজ ইতিহাস শিরোপার মঞ্চে ১২৬ রানের হিসাব মিলাতে হিমশিম খায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেললেও বহুকষ্টে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছুঁতে পারে আকবর আলীরা। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে চতুর্থ বলেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান শাহীনস। তাতে ২০১৯ সালের পর আবারও ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারল লাল সবুজেরা।
এদিন সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নামেন হাবিবুর রহমান সোহান ও আবদুল গাফফার সাকলায়েন। প্রথম বলে ১ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই সাকলায়েনকে হারায় বাংলাদেশ। পরের বলটি ছিল ওয়াইড, সেখান থেকে আসে মোট ৫ রান। তৃতীয় বলে জিসানকে ফেরান আহমেদ দানিয়াল। সব মিলিয়ে পাকিস্তান পায় ৭ রানের টার্গেট।
জবাব দিতে নেমে দুই বল হাতে রেখে ট্রফি জেতে পাকিস্তান। রিপন মণ্ডলের করা প্রথম বলে লেগ-বাই থেকে এক রান নেয় তারা। দ্বিতীয় বল থেকে সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে চার মারেন সাদ মাসুদ। আর চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে পাকিস্তান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান শাহীনস। ২৫ রানে তিন উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত থামে ১২৫ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৩৮ রান করেন সাত নম্বরে নামা সাদ মাসুদ। ২৩ বলে ২৫ রান করেন আরাফাত মিনহাস।
পাকিস্তানের ইনিংসের ১৯তম ওভার ছিল বিভীষিকাময়। এক ওভারে তিন ব্যাটারকে ফেরান রিপন মণ্ডল। মাঝের ওভারগুলোতে স্পিনারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিলই। মজার বিষয়—পাকিস্তানের ইনিংস শুরু হয়েছিল রান আউট দিয়ে, শেষটাও হলো রান আউটেই।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিপন মণ্ডল ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে হাবিবুর রহমান সোহান শুরুটা করেন আগুনে ব্যাটিংয়ে। তিনি যখন ব্যক্তিগত ২৬ রানে ফেরেন, দলের স্কোর ৩৬। তার আগে জিসান ফিরেছিলেন ৬ রানে। এরপর আর দাঁড়াতে পারেননি আকবররা। ৩৬ থেকে ৫৩ রানে উঠতেই ৬ ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।
শেষ দিকে এসএম মেহেরব ও স্পিনার রাকিব চেষ্টা চালিয়ে যান। উইকেটে থিতু হয়ে লড়াই ধরে রাখেন। তাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। ৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শতকের কাছাকাছি। তবে মেহেরব ফেরার পর আশা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো উড়ে যায়।
শেষ উইকেটে সাকলায়েন ও রিপন মণ্ডল ম্যাচে প্রাণ ফেরান। বিশেষ করে শেষ ওভারে রিপন ৬ রান তুলে ম্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে।

ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হজমের পর কার ভালো লাগে? নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি পাকিস্তানি পেসার আব্বাস আফ্রিদিরও। অভিস্কা ফার্নান্দো হাতে বাউন্ডারি হজমের এক বল পরই সাইফ হাসানকে ক্রিজ ছাড়া করেন তিনি। তাতে কিছুটা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন।
আবু ধাবিতে টি-টেনের ১৬তম ম্যাচে আজ কোয়েটা ক্যাভালরি মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাসপিন স্টালিয়নসের। আজম খান নেতৃত্বাধীন ক্যাভালরি ৫ রানে জয় পায়। টুর্নামেন্টে যা তাদের টানা পঞ্চম জয়।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ১০ ওভারে ১০০ রান করে কোয়েটা। সর্বোচ্চ রান আসে খাজা নাফের ব্যাট থেকে। ১৭ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। দলীয় রান গড়তে সাহায্য করেন লিয়াম লিভিংস্টোন (৮ বলে ১৮) ও মোহাম্মদ ওয়াসিম (৮ বলে ১২ রান)।
১০১ রানের লক্ষ্যে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে ছুটছিল অ্যাসপিন। তবে আন্দ্রে ফ্লেচার ও সাইফ হাসানের খামখেয়ালিপনায় ১০ ওভারে ৯২ রানে আটকা পড়ে দলটি।
বাংলাদেশের স্পিন অলরাউন্ডার প্রথম ম্যাচে নর্দান ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৫ রান করেছিলেন। আজ তিন বল খেলেও কোনো রান না করেই সাজঘর মুখো হন।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। দীর্ঘ ফরম্যাটের প্রথম টেস্ট হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে লড়ছে স্বাগতিক দল। এরই মধ্যে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আজ বিসিসিআইয়ের ১৫ সদস্যের দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়েছেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার লোকেশ রাহুল। নিয়মিত অধিনায়ক শুভমান গিল ও সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ইনজুরির কারণে দলের নেতৃত্ব দেবেন রাহুল।
সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে দলে থাকা তিলক ভার্মা, ঋষভ পন্ত, রবীন্দ্র জাদেজা, রুতুরাজ গায়কোয়াড দলে রয়েছেন। বাদ পড়েছেন অক্ষর প্যাটেল ও মোহাম্মদ সিরাজ। নীতিশ কুমার ফিরে এসেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে। বর্তমানে হার্দিক ছুটিতে আছেন।
সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি ব্যাটিং বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন। সেখানে রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল তাদের সহায়ক হবেন।
পেস বিভাগের সদস্যরা হলেন তিনজন—অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা ও প্রসিধ কৃষ্ণ।
সিরিজের প্রথম
ওয়ানডে ৩০ নভেম্বর। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ৩
ও ৬ নভেম্বর।
ভারত দল:
লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, তিলক ভার্মা, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, নীতিশ কুমার রেড্ডি, হর্ষিত রানা, রুতুরাজ গায়কোয়াড, প্রসিধ কৃষ্ণ, অর্শদীপ সিং ও ধ্রুব জুরেল

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াত মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
পরিবারের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার এই খবর জানিয়েছে।
খিজার হায়াতের মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সাবেক আম্পায়ারের পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন দেশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে খিজার হায়াত ৩৪টি টেস্ট এবং ৫৭টি ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। এর মধ্যে বিশ্বকাপ ম্যাচও রয়েছে।

কানাডা সুপার লিগে ব্যাট–বলে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর দাপটেই মন্ট্রিল রয়্যাল টাইগার্স পৌঁছে যায় ফাইনালে। তবে শিরোপা লড়াইয়ে ব্র্যাম্পটন ব্লিটজের কাছে আত্মসমর্পণ করে দলটি।
কানাডা লিগ শেষে সাকিবের ব্যস্ত হয়ে ওঠার কথা ছিল আবুধাবি টি–টেন লিগে। জনপ্রিয় এই মারকাটারি টুর্নামেন্টে তাঁকে অধিনায়ক করে প্রথমবার অংশ নেওয়া রয়্যাল চ্যাম্পস। কিন্তু চ্যাম্পস তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও একাদশে দেখা যায়নি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের।
অবশেষে আজ আজমান টাইটান্সের বিপক্ষে চ্যাম্পস একাদশে জায়গা পান সাকিব। তবে টানা তিন ম্যাচে হারের পর চতুর্থ ম্যাচেও ব্যর্থতা এড়াতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এতে পয়েন্ট তালিকায় আরও নিচে নেমে গেছে দলটি।
এদিন ব্যাট করার সুযোগ পাননি সাকিব। বল হাতে ১ ওভার বোলিং করে ১৪ রান খরচ করেন, ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জেসন রয় ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ঝড়ে ১০ ওভারে ১০৯ রান তোলে চ্যাম্পস। জবাবে আজমান টাইটান্সের ব্যাটাররা দেখান দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা। শুরুতে ডোনাল্ড ও অ্যালেক্স হেলসের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, মাঝখানে রাইলি রুশোর ঝড়ো ইনিংস এবং শেষ দিকে মঈন আলীর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ১ ওভার ৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টাইটান্স। আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।