ক্রিকেট

পর পর তিন ওভারে ৩টি ক্যাচ ড্রপ, কাঠগড়ায় ফিল্ডিং

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১১ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১০ পিএম

news-details

সীমিত ওভারের ম্যাচে ক্যাচ ফেলে দিয়েও ম্যাচে ফেরা যায়, নিয়ন্ত্রিত বোলিংই সাদা বলের ক্রিকেটে বোলারদের মূলমন্ত্র। লাল বলের খেলায় সেখানে ক্যাচ ড্রপ পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ কম। টেস্টে যেখানে হাফ চান্স মিস করতে চাইবে না ফিল্ডাররা, সেখানে মঙ্গলবার সিলেটে পর পর তিন ওভারে বাংলাদেশ ফিল্ডারদের হাত থেকে ফসকে গেছে তিন তিনটি ক্যাচ! 


স্কোরশিটে কোনো রান ওঠার আগে ওপেনিং পার্টনারশিপ ভেঙ্গে দেয়ার সে কি আনন্দ। ইনিংসের ৪র্থ বলে অধিনায়ক বালব্রিনকে লো বলে এলবিডাব্লুউতে ফেরত পাঠিয়ে সেই উদযাপনটা প্রথম ঘন্টায় আরও উৎসবমুখর হতে পারতো। চকচকে নতুন বলে দুই পেসার নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদের গর্জনে বার বার কেঁপে ওঠা আয়ারল্যান্ড টপ অর্ডারদের ক্যাচ ফেলে দিনটাকে মিশ্র দিনে রূপ দিয়েছে বাংলাদেশ ফিল্ডাররা। প্রথম দিন আয়ারল্যান্ডের ইনিংস গুড়িয়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের স্কোর ২৭০/৮। সিলেটে শেষ সেশনে বল পড়ে যেভাবে লো করছে, তাতে প্রথম ইনিংসে লিড নেয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ।  


ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ৪র্থ বলে পেসার নাহিদ রানাকে ডিফেন্স করতে যেয়ে সেকেন্ড স্লিপে স্টার্লিং দিয়েছিলেন ক্যাচ। সাদমানের হাত থেকে ফসকে গেছে সে ক্যাচ। ৮ রানের মাথায় স্টার্লিংকে ফেরত পাঠানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। 


ইনিংসের ৫ম ওভারের ৪র্থ বলে আর এক পেসার হাসান মাহমুদের শর্ট বলে পুল করতে যেয়ে কারমাইকেল দিয়েছিলেন মিড উইকেটে ক্যাচ। সেই ক্যাচটি হাতে নিয়েও ফেলে দিয়েছেন তাইজুল। কারমাইকেলের রান তখন ১০। 


৬ষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে নাহিদ রানাকে উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মিরাজ। গালিতে ফেলে দিয়েছেন ক্যাচ। তখন স্টার্লিংয়ের রান ১০।  


যে স্টার্লিং ৮ এবং ১০ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন, সেই নাদুস নুদুস ক্রিকেটার ফিফটি উদযাপন করেছেন। লাঞ্চের পর নাহিদ রানার ঘন্টায় ১৪৬.৩ কিলোমিটার গতির তৃতীয় ডেলিভারিতে সেকেন্ড স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে থেমে যাওয়ার আগে করেছেন ৬০ রান। ওয়ানডে মেজাজে ৭৬ বলে ৬০ রানের ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৯টি চার। যার মধ্যে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলকে পর পর ২টি এবং হাসান মাহমুদের এক ওভারে ২টি বাউন্ডারি মেরেছেন।


যে পার্টনারশিপ থেমে যেতে পারতো ১৮ এবং ২০ রানে, ৩টি ক্যাচ ড্রপে সেই দ্বিতীয় উইকেট জুটি যোগ করেছে ৯৬ রান!


টেস্ট অভিষেকে কারমাইকেলকে ফিফটি উপহার দিয়েছেন তাইজুল। ১০ রানের মাথায় এই আইরিশকে ফিরিয়ে দেয়ার সুৃযোগ হাতছাড়া করায় ইনিংস টেনে নিয়েছেন কারমাইকেল ৫৯ পর্যন্ত। টি ব্রেকের পর তৃতীয় ওভারে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে যেয়ে কারমাইকেল দিয়েছেন ফার্স্ট স্লিপে ক্যাচ। ১২৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে শোভিত যে ইনিংসটি থামিয়েছেন শান্ত দারুণ এক ক্যাচে। লো ক্যাচটি নিশ্চিত হতে আলট্রা এজ চেক করতে হয়েছে টিভি আম্পায়ারকে।


এই কারমাইকেল দিয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৬ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৩ রানে নেতৃত্ব।


৫ম উইকেট জুটিতে ক্যাম্ফার-টাকারের ৫৩ রান, ৮ম জুটিতে ম্যাকার্থি-নেইলের ৪৮ রানের পার্টনারশিপও ছিল প্রথম দিনে উল্লেখ করার মতো। 


উইকেটের উপরের স্তরে ঘাস রাখা হয়েছে। তবে রোদে পুড়ে বাদামী রঙের সেই ঘাসের উপর বল প্রত্যাশিত বাউন্স পায়নি। প্রথম ঘন্টা পেরুনোর পর বলে ধরেছে টার্ন। বাঁ হাতি স্পিনার হাসান মুরাদ টেস্ট অভিষেকের দিনে পেয়েছেন যথেষ্ট টার্ন। তার একটি ডেলিভারি লেগ স্ট্যাম্প পিচ করে বেরিয়ে গেছে অফ স্ট্যাম্প ঘেঁষে! লম্বা স্পেলে বল করে কার্টিস ক্যাম্ফারকে  (৯৪ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৪৪) স্ট্যাম্পিংয়ে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেট উদযাপন করেছেন। ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে লরকান টাকারকে ( ৮০ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪১) ডাউন দ্য উইকেটে খেলার ফাঁদে ফেলে স্ট্যাম্পিংয়ে কেটে দিয়েছেন। ওভারপ্রতি ২.৩৫ রান খরচায় ২ উইকেট পেয়েছেন এই অভিষিক্ত (২০-৫-৪১-২)। প্রথম দিনটিতে সফল অফ স্পিনার মিরাজ (২৩-৬-৫০-৩)। 


গতি দিয়ে আইরিশ ব্যাটারদের ভয় পাইয়ে দিলেও শর্ট বলের ছড়াছড়ি করেছেন নাহিদ রানা। ওভারপ্রতি ৪.৬৪ হারে রান খরচা করেছেন ( ১৪-০-৬৫-১)। সবচেয়ে অভিজ্ঞ বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলকে এদিন উইকেট দেয়া যাবে না বলে পন করেও শেষ রক্ষা হয়নি। দিনের খেলা শেষ হতে যখন মাত্র ২ বল বাকি, তখন তাইজুলের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে এলবিডাব্লু ১৯ বছর বয়সী অভিষিক্ত জর্ডান নেইল (৬০ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৩০)। 


টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দিনের প্রথম সেশনে ৯৪ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড ১ উইকেট, দ্বিতীয় সেশনে ৯০ রান যোগ করে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেট, দিনের শেষ সেশনে সেখানে ৮৬ রানে হারিয়েছে সফরকারী দল ৪ উইকেট।


এমন একটি দিনে পর পর ২টি স্ট্যাম্পিং ( টাকার, ম্যাকব্রিন) করে টেস্টে মুশফিকুর রহিমের স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ড (১৫টি)-কে টপকে গেছেন লিটন দাস (১৭টি স্ট্যাম্পিং)।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

রানে শীর্ষে সৌম্য, সেঞ্চুরিতে মার্শাল আইয়ুব

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ এম

news-details

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২০২৫-২৬ মৌসুম শেষ হল মঙ্গলবার। ২৭তম আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ। দুই মাস আগেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আকবর আলি নেতৃত্বাধীন রংপুর। লিগের চারদিনের ফরম্যাটও নিজেদের ঘরে তুলল উত্তরবঙ্গের দলটি। 


টুর্নামেন্ট সেরা হলেও ব্যাটিং তালিকার শীর্ষ বিশে নেই রংপুরের কোন ব্যাটার। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাকদের তালিকায় রয়েছেন সৌম্য সরকার, জাকির হাসান ও মার্শাল আইয়ুব। 


২০২৫-২৬ মৌসুমে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন সৌম্য সরকার। ৭ ম্যাচে (১৪ ইনিংস) ৬৩৩ রান করেছেন খুলনার হয়ে খেলা এই ব্যাটার। আসরে তাঁর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৮৬ রান। চারটি ফিফটি আর একটি সেঞ্চুরিতে গড় ৪৫.২১।


সৌম্যের চেয়ে ৫ রান কম জাকির হাসানের। ৭ ম্যাচে (১৩ ইনিংস) ৫৭.০৯ গড়ে ৬২৮ রান করেছেন সিলেটের হয়ে খেলা এই উইকেটকিপার ব্যাটারের। পাঁচটি ফিফটি আর একটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। 


তৃতীয় স্থানে মার্শাল আইয়ুব। ৭ ম্যাচে (১২ ইনিংস) ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলা এই ব্যাটারের সংগ্রহ ৬২৫ রান। মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটার আইয়ুব। তাঁর ব্যাটিং গড় ৬২.৫০ ও স্ট্রাইক রেট ৫৮.৪১।


চতুর্থ স্থানে প্রীতম কুমার। ৭ ম্যাচে ৫৭৪ রান, দুই ফিফটি আর দুই সেঞ্চুরি রাজশাহীর হয়ে খেলা এই ব্যাটারের। প্রীতমের সর্বোচ্চ ইনিংস ১৪৩। পাঁচে মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১২ ইনিংসে ৫৪৭ রান ময়মনসিংহের হয়ে খেলা জাতীয় দলের ওপেনারের। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৯.৭৩ ও স্ট্রাইক রেট ৬৮.৩৮। সর্বোচ্চ ১১১ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন নাঈম।

bottom-logo

ক্রিকেট

দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন রানের লজ্জা, বড় জয় ভারতের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

news-details

ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি যাত্রাতেও দাপুটে ভারত। আজ কটকে অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে আটকে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।


এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে ভারত। জবাবে ১২.৩ ওভারে ৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


টস হেরে এইডেন মার্করামের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা শুভমান গিল ওপেনিংয়ে নেমে ৪ রানে উইকেট ছাড়েন। পরে ১২ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ১৪ ওভারে ১০৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।


দল গঠনে দায়িত্ব দেন চোট কাটিয়ে ফেরা হার্দিক পান্ডিয়া। ২৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই পেস অলরাউন্ডার। তাতেই ১৭৬ রানের লড়াকু স্কোর পায় ভারত।


জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহের তোপে পড়ে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান ট্রিস্তান স্টাবস। দলীয় ৪০ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ১৪ রান করে আউট হন এইডেন মার্করাম।


এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। ২৯ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস।


এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০তম উইকেট পেয়ে যান যশপ্রীত বুমরা। ভারতের হয়ে আর্শদীপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল নেন ২টি করে উইকেট। বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।

bottom-logo

ক্রিকেট

আরও একবার দেখালেন কেন তিনি ‘আকবর দ্য গ্রেট’

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০২ পিএম

news-details

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আকবর আলি ও ট্রফি- শব্দগুলো ক্রমে একে অপরের সমার্থক হয়ে উঠছে। পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে পাঁচটি ঘরোয়া শিরোপা জিতেছেন বাংলাদেশকে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। 


আর এই সাফল্য যে একদমই ফ্লুক নয়, আকবরের দলের ধারাবাহিকতাই সেটির প্রমাণ দেয়। সবশেষ তিনি জিতেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণের শিরোপা। আর এই কৃতিত্ব অর্জনের পেছনে রয়েছে আকবরদের দীর্ঘ সু-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।


আট দলের জাতীয় লিগে ছয় রাউন্ড শেষেও কাগজে-কলমে শিরোপা জেতার সম্ভাবনা টিকে ছিল ৬টি দলের। ২ জয় ও ৪ ড্রয়ের সঙ্গে দুটি বোনাস পয়েন্ট পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল সিলেট। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই ছিল নবাগত ময়মনসিংহ। তাই ২৩ পয়েন্ট থাকা রংপুরের জন্য শেষ ম্যাচের সমীকরণ ছিল বেশ জটিল। 


খুলনার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি শুধু জিতলেই হতো না, তাদের চেয়ে থাকতে হতো সিলেট ও ময়মনসিংহ ম্যাচের দিকেও। তবে সবার আগে নিজেদের কাজটা সারার দিকেই মনোযোগ ছিল আকবরের।


মঙ্গলবার জাতীয় লিগের শিরোপা উদযাপন সেরে কিছুটা ফ্রি হওয়ার পর তিনি বললেন, শেষ ম্যাচে জয় ছাড়া দ্বিতীয় ভাবনা ছিল না রংপুরের।


“আমরা তো তিন নাম্বারে ছিলাম তো ভাবনা ছিলো যে আমাদের জিততেই হবে। যদি জিততে পারি সেক্ষেত্রে হয়তোবা সিলেট আর ময়মনসিংহ খেলায় যদি রেজাল্ট আমাদের পজিটিভে আসে... মানে ওদের রেজাল্ট ওরা না করতে পারে সেক্ষেত্রে (ট্রফি) আমাদেরই আরকি।”


“আমাদের কাছে ছিলো যেটা, ম্যাচটা জিততেই হবে। তো যেহেতু বগুড়াতে খেলা, হিস্টোরিক্যালি বগুড়াতে রেজাল্ট হয়। মানে যেই টিমই করুক, কোনো না কোনো রেজাল্ট হবেই। তাই আমাদের একটাই কথা ছিল যে, ওরা যা করবে আমরা শেষ করব। একটা কথাই ছিল যে, সিচুয়েশন যত কঠিনই হোক আমরা জেতার জন্যই খেলব।”


সেই লক্ষ্যে প্রথম ইনিংসে খুলনার ৩০৮ রানের জবাবে মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর আগুনঝরা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে ৯৬ রানে অল আউট করে দেয় আকবরের দল।


পরে উদীয়মান বাঁহাতি ব্যাটার ইকবাল হোসেনের চমৎকার এক সেঞ্চুরিতে ২৩১ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই তাড়া করে ফেলে রংপুর। ফল ৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে তাদের ঝুলিতে হয় ৩১ পয়েন্ট।


পরদিন রাজশাহীর কাছে ময়মনসিংহের পরাজয় ও বরিশালের সঙ্গে সিলেটের ড্রয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় আকবরের অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ট্রফি। 


২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আকবরের উত্থান। এরপর ২০২২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণে রংপুরের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে ২০২৩ সালে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন।


ধারাবাহিকতা ধরে রেখে গত বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই বাজিমাত করে আকবরের রংপুর। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে চলতি বছরের এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও চ্যাম্পিয়ন হন তারা।


এবার চার দিনের সংস্করণেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরোয়া ‘ডাবল’ ট্রফি ঘরে তুলল রংপুর। যা আরও পাকাপোক্ত করল ‘আকবর দ্য গ্রেট’ তকমা।




রংপুরের এই কৃতিত্বের পেছনে রয়েছে তাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা। লিগের সূচি পাওয়ার পরই সাত ম্যাচের ভেন্যু ও প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন আকবর, নাসির হোসেন, নাঈম ইসলামরা।


“যখন সূচি পেয়েছি, তখন সিনিয়র কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে কোচিং স্টাফ যারা ছিল... আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা এমনই ছিল যে, আমাদেরকে বগুড়ায় দুইটা ও রাজশাহীর একটা ম্যাচ জিততেই হবে। বাকি খেলাগুলো যদি জিততেও না পারি অন্তত যেন আমরা ড্র করতে পারি।”


যেই কথা সেই কাজ। কুকাবুরা বলে সিলেট ও কক্সবাজারে হওয়া প্রথম দুই রাউন্ডে ঢাকা ও ময়মনসিংহের সঙ্গে ড্র করে দুটি করে পয়েন্ট নিশ্চিত করে রংপুর। পরে ডিউক বলে ফিরলেও কক্সবাজারে তৃতীয় রাউন্ডে সিলেটের সঙ্গেও ড্র হয় তাদের ম্যাচ।


এরপর বগুড়ায় গিয়ে বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পূর্ণ ৮ পয়েন্ট পায় রংপুর। রাজশাহীর মাঠে খেলতে নেমে পঞ্চম রাউন্ডে তারা হারায় স্বাগতিক রাজশাহীকে।


ষষ্ঠ রাউন্ডের জন্য আবার কক্সবাজারে যায় আকবরের দল। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে হাসান মাহমুদ ও ইফরান হোসেনের তোপে মাত্র ৩৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। পরে ম্যাচটি তারা হেরে যায় ইনিংস ব্যবধানে। 


আকবরের মতে, পুরো টুর্নামেন্টে ওই একটি ইনিংসই শুধু তার প্রত্যা্‌শামতো যায়নি। 


“শুধু চট্টগ্রাম ম্যাচটা বাদে আর সব ম্যাচে আমাদের পজিটিভ রেজাল্টই বলবো। কুকাবুরাতে সিলেটের মাঠে খেলা হইছে, কক্সবাজারে খেলা হইছে। ওগুলো ম্যাচে রেজাল্ট বের করা কঠিন।”


“আমরা জানতাম যে আমাদের বগুড়াতে দুইটা খেলা আছে, রাজশাহীতে একটা খেলা আছে। তো এই তিনটা খেলায় রেজাল্ট করতেই হবে আমাদের।”


আর এই ফল পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারিগর মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। রংপুরের জেতা তিন ম্যাচেই ইনিংসে ৫ উইকেট আছে ২৫ বছর বয়সী পেসারের৷ সব মিলিয়ে মাত্র ৭ ইনিংসে তিনি নিয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ উইকেট। যার সৌজন্যে জিতেছেন লিগের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।


ব্যাটিংয়ে সম্মিলিত পারফরম্যান্স ছিল দলের সবার। সর্বোচ্চ ৩০০ রান করেন নাঈম ইসলাম। মূলত বোলিং দিয়েই এবারের শিরোপাটি জিতেছে রংপুর। আরও একবার নিজেকে আকবর দ্য গ্রেট হিসেবে প্রমাণ করেছেন অধিনায়ক আকবর।

bottom-logo

ক্রিকেট

বোলিংয়ের মুকুট তানভীরের, মুগ্ধর চমক

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:০৫ পিএম

news-details

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২০২৫-২৬ মৌসুমের পর্দা নামল আজ। দুই মৌসুম পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। দুই মাস আগেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উত্তরবঙ্গের দলটি। এবার চারদিনের ক্রিকেটেও ট্রফি ঘরে নিল আকবর আলির দল। 


এনসিএলে সেরা উইকেটশিকারিদের তালিকায় সবার উপরে বরিশালের বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। সাত ম্যাচে ১৩ ইনিংসে শিকার করেছেন ৩৪ উইকেট। দুইবার নিয়েছেন ফাইফার, ৬৪ রানে ৭ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।


চমক দেখিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন রংপুরের মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। চার ম্যাচে ৮ ইনিংসে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। ফাইফার নিয়েছেন তিনবার, এক ইনিংসে ২২ রানে ৫ উইকেট সেরা ফিগার মুগ্ধ’র। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসারের স্ট্রাইক ২৩,৯৩ অর্থাৎ প্রতি চার ওভার বল বল করে নিয়েছেন উইকেট। রয়েছেন তালিকায় দ্বিতীয়তে। 


তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন বরিশালের রুয়েল মিয়া। ৬ ম্যাচে ১১ ইনিংসে রুয়েল শিকার করেছেন ২৭ উইকেট। ৬৪ রানে ৫ উইকেট এই বাঁ-হাতি পেসারের বোলিং ফিগার। ফাইফার নিয়েছেন তিনবার।


চার নম্বরে চট্টগ্রামের স্পিনার নাইম হাসানের উইকেট সংখ্যা রুয়েল মিয়ার সমান। তবে এক ম্যাচ ও দুই ইনিংস বেশি খেলেছেন তিনি। ৭ ম্যাচে ১৩ ইনিংসে শিকার করেছেন ২৭ উইকেট।


পাঁচ নম্বর নামটা সিলেটের আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর। পাঁচ ম্যাচে ১০ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়েছেন এই মিডিয়াম পেসার। ৩৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট সেরা বোলিং ফিগার বাংলাদেশ টেস্ট দলে খেলা এই বোলারের।

bottom-logo

ক্রিকেট

পূর্বাচলে ৩টি ক্রিকেট মাঠ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে বিসিবি

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:০০ পিএম

news-details

চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স বিসিবি বুঝে পেয়েছে ২০১৭ সালে। তবে ৩৭.৫৯ একর জায়গা এখনো পড়ে আছে অব্যবহৃত। একটি মাঠও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারেনি বিসিবি। অধিকাংশ জায়গা ছেয়ে আছে বনঘাসে। দূর্বাঘাসের অস্তিত্ব নেই কোথাও। দুটি দেয়ালঘেরা অফিস এখানে ভবিষ্যতে বড় কর্মযজ্ঞের বার্তা দিচ্ছে। ভবিষ্যতের আধুনিক রাজধানীতে এতো বড় একটি জায়গায় পরিকল্পিতভাবে ক্রিকেট নগরে পরিনত করতে কে না চাইবে ? গ্র্যাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তাই মাঠ সংকট কাটানোর উপায় খুঁজে পেয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। 


পূর্বাচলে তিনটি মাঠ তৈরির কাছে হাত দেয়ার কথাও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গ্র্যাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট-

'এক সময়ে এখানে পুরোটাই জঙ্গল ছিল। পূর্বাচলের এই সুন্দর জায়গাটিতে যতো দ্রুত সম্ভব খেলার উপযোগী করে তুলতে চাই।প্রায় ২০-২৫ দিন আগে এখানে আমি একবার এসেছিলাম। এতো সুন্দর জায়গা পাঁচ-সাত বছর পড়ে আছে। এখানে তিনটি মাঠে খেলা শুরু করতে চাই। ঢাকার অনেক ক্রিকেটের জন্য মাঠ ভাড়া করতে হয়। সময়মত লিগ আয়োজন করতে পারি না। ফতুল্লায়ও ২টি মাঠের কাজে হাত দিতে পারি। ফতুল্লায় ইনার এবং আউটারের কাজ ৭০% হয়ে গেছে।ওখানে ৩০% কাজ বাকি আছে। পূর্বাচলে ৩টি এবং ফতুল্লায় ২টি মাঠের কাজ শেষ করতে পারলে ঢাকার লিগগুলো আয়োজন করা যাবে। ভবিষ্যতে যে প্লান আছে, তখন না হয় গ্যালারি করতে পারব। মাঠের কাজ শুরু করেছি। ১০টি পিচ হবে প্রতিটি মাঠে। এভাবে তিনটি মাঠের কাজে হাত দিয়েছি। বেশ কিছু বালি ফেলতে হবে। প্রাথমিকভাবে ঘাস উঠানোর কাজ চলছে।'
bottom-logo