৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:২১ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বর্তমান দলের কারও নেই। ২০০৩ সালে সবশেষ অজিরা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেয়। ২৩ বছর পর আবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
আগেরবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় কোনো স্টেডিয়াম নয়, নতুন ভেন্যুতে খেলে অস্ট্রেলিয়া। আর প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি নতুন মাঠেই আয়োজনের কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১২তম ভেন্যু হিসেবে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ম্যাকাইয়ের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনার উদ্বোধন হতে পারে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের মাঠ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
২০২৬ সালের আগস্টে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। যদিও সিরিজের ভেন্যু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের আগে হওয়ায় এই সিরিজের জন্য মূল কোন ভেন্যু পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন
| সান্তোসকে বাঁচিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা নেইমারের |
|
রিফ অ্যারেনায় একটি টেস্ট হলেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে কেয়ার্নস ও ডারউইনও। যেখানে আগে খেলেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও টাউনসভিলকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের উষ্ণ উত্তরাঞ্চলে একাধিক বিকল্প খুঁজছে সিএ, যেখানে সারা বছর উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে শীতকালেও ক্রিকেট সম্ভব।
ক্রিকেট নর্দার্ন টেরিটরির প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভি পূর্বে ক্রিকেট ডটকম ডট অস্ট্রেলিয়াকে বলেছেন, তিনি 'আশাবাদী' যে ডারউইন ম্যাচগুলোর একটি পাবে।
ম্যাকাইয়ের ভেন্যুটি ১০ হাজার আসনের গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, সম্প্রচার এলাকা ও উচ্চমানের ট্রেনিং সুবিধা তৈরির জন্য রাজ্য সরকার থেকে ২ কোটি ডলার তহবিল পেয়েছে।
এই বছর অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দল এই মাঠে দুইটি ওয়ানডে খেলেছে। এছাড়া ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দুটি নারী টি-টোয়েন্টি এবং ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে তিনটি নারী ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল এই ভেন্যুতে।
No posts available.
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পিএম
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ এম
৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়াই করলেও, ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে আবার মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। ক্যারিবিয়ানদের অলআউট করে দারুণ অবস্থানে এখন নিউ জিল্যান্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৪ রান। আপাতত ১৮১ রানে পিছিয়ে তারা। এর আগে নিজেদের ইনিংসে ২০৫ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
উইকেটকিপার-ব্যাটার মিচেল হে ও ডানহাতি পেসার মাইকেল রাইয়ের অভিষেক করায় নিউ জিল্যান্ড। আর সব মিলিয়ে দুই দলে পরিবর্তন মোট ৮টি। অভিষেকে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাই। আরেক পেসার ব্লেয়ার টিকনারের শিকার ৪ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন জন ক্যাম্পবেল ও ব্রেন্ডন কিং। ৩৩ রান করে কিং ফিরলে ভাঙে এই জুটি। আরেক ওপেনার ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
আরও পড়ুন
| ইচ্ছাকৃত স্টাম্পিং ছাড়া, ‘ট্যাকটিক্যাল’ আউট ও ১ রানে হার- সাকিবের দলের ম্যাচে যত ঘটনা |
|
চতুর্থ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন শাই হোপ ও রস্টোন চেজ। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা হোপের ব্যাট থেকে এবার আসে ৪৮ রানের ইনিংস। আর চেজ আউট হন ২৯ রান করে।
এরপর ছোটখাটো ধসে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। মাত্র ২২৯ রানে শেষের ৬ উইকেট হারায় তারা।
উইন্ডিজের ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি ঠেকাতে গিয়ে কাঁধের চোটে পড়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার টিকনার।
দিনের শেষ ভাগে ব্যাট করতে নেমে ৯ ওভারে কোনো উইকেট পড়তে দেননি টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। লাথাম ৭ ও কনওয়ে ১৬ রানে নতুন দিন শুরু করবেন।

আইএলটি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অভিষেকের পরের ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন সাকিব আল হাসান। আর এই ম্যাচে দেখা গেছে নাটকীয় সব ঘটনা। ইচ্ছাকৃত স্টাম্পিং ছাড়ার এক বল পর একই ব্যাটারের ট্যাকটিক্যাল রিটায়ার্ড আউট আর সবশেষে ১ রানে ফল নির্ধারণ।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার মুখোমুখি হয় ডেজার্ট ভাইপার্স ও এমআই এমিরেটস। এই ম্যাচের একাদশে জায়গা হারান সাকিব। তার দলের ফিল্ডিং ইনিংসেই দেখা যায় স্টাম্পিং ছেড়ে দেওয়া ও ট্যাকটিক্যাল আউটের ঘটনা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভারে ১ উইকেটে ১১০ রান করে ভাইপার্স। এর আগের ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারেন ম্যাক্স হোল্ডেন ও স্যাম কারান। ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রশিদ খান। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান তখন পর্যন্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করা ম্যাক্স হোল্ডেন।
আরও পড়ুন
| রানে শীর্ষে সৌম্য, সেঞ্চুরিতে মার্শাল আইয়ুব |
|
রশিদের গুগলি ডেলিভারিতে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটার। অনেক সময় পেলেও তাকে স্টাম্পিং করেননি উইকেটকিপার নিকোলাস পুরান। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, ৩৬ বলে ৪২ রান করা ব্যাটারকে রেখে দিলেই দলের লাভ।
তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকেননি হোল্ডেন। রশিদের পরের বল ডট খেলে সোজা ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা ধরেন ইংল্যান্ডের ২৮ ছুঁইছুঁই ব্যাটার। ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে রিটায়ার্ড আউট করে ভাইপার্স। এমআইয়ের আগের ম্যাচে একইভাবে ফিরে যান ১২ বলে ১৬ রান করা সাকিব।
হোল্ডেন ফেরার পর তার জায়গায় নেমে ৯ বলে ১৫ রান করেন শিমরন হেটমায়ার। এরপর ড্যান লরেন্স ৮ বলে ১৫ রান করলে ১৫৯ রানে থামে ভাইপার্সের ইনিংস। পরে শেষ ওভারে নাটকীয়তার পর ৯ উইকেটে ১৫৮ রান করতে পারে এমআই। মাত্র ১ রানে হেরে যায় তারা।
তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ পরাজয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে চার নম্বরে আছে এমআই। চার ম্যাচের সব জিতে সবার ওপরে ভাইপার্স।

ন্যাকারজনক এক ঘটনার স্বাক্ষী হলো ভারতীয় ক্রিকেট। দেশটির পুদুচেরি জেলার পুদুচেরির ক্রিকেট সংস্থার (সিএপি) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ এস. বেনকাটারামন তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটার দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান একপ্রেসের খবর, এই ক্রিকেটাররা চলমান সৈয়দ মুছতাক আলি ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আক্রমণ করে কোচের ওপর।
ক্রিকেটারদের আক্রমণে বেশ গুরুতর আহতই হয়েছেন বেনকাটারামন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর ২০টি সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়েছে। এছাড়া গভীর ক্ষত আছে কাঁধেও । গত সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সিএপি কমপ্লেক্সের ইনডোর নেটের ভেতরে ঘটে এই নৃশংস হামলা। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সেদারাপেট থানার উপ-পরিদর্শক এস. রাজেশ আক্রমণের তীব্রতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বেনকাটারামনের কপালে ২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে, তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল। অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা পালিয়ে গেছে, এবং আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত তথ্য পর্যায়ক্রমে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন
| রানে শীর্ষে সৌম্য, সেঞ্চুরিতে মার্শাল আইয়ুব |
|
পুলিশের অভিযোগপত্রে, বেনকাটারামন আক্রমণকারী তিনজন স্থানীয় খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হচ্ছেন জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার কার্তিকেয়ন জয়সুন্দরম এবং প্রথম শ্রেণীর খেলোয়াড় এ. অরবিন্দরাজ ও এস. সন্থোষ কুমারন। এছাড়াও এই তিনজনকে উসকানির অভিযোগে তিনি ভারতিদাসন পুদুচ্চেরি ক্রিকেটার ফোরামের সচিব জি. চন্দ্রনকে দায়ী করেছেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ক্রিকেটাররা তাদের রাজ্য টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার কারণে বেনকাটারামনের ওপর চড়াও হয়। বেনকাটারামন বলেছেন, ‘যখন অরবিন্দরাজ আমাকে ধরে রেখেছিল, তখন কার্তিকেয়ন সন্থোষ কুমারনের ব্যাটটি নিয়ে আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করেছিল, তারা মেরে ফেলার জন্য এমনভাবে আমাকে আঘাত করে। আমাকে আঘাত করার সময় তারা বলছিন বলছিল, তারা যথনই সুযোগ পাবে আমাকে মেরে ফেলবে।’
অবশ্য পুদুচ্চেরি ক্রিকেটার ফোরাম উসকানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর সভাপতি সেন্টিল কুমারন বলেছেন, ‘বেনকাটারামনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বহু মামলা রয়েছে। তিনি প্রায়ই স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় বাজে আচরণ করেন। তার ওপর চন্দ্রনের প্রতি ক্ষোভও পূর্বের। আমরা গত সাত বছরে সিএপি-এর অনেক বিষয় বারবার বিসিসিআইয়ের কাছে উত্থাপন করেছি।’

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২০২৫-২৬ মৌসুম শেষ হল মঙ্গলবার। ২৭তম আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ। দুই মাস আগেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আকবর আলি নেতৃত্বাধীন রংপুর। লিগের চারদিনের ফরম্যাটও নিজেদের ঘরে তুলল উত্তরবঙ্গের দলটি।
টুর্নামেন্ট সেরা হলেও ব্যাটিং তালিকার শীর্ষ বিশে নেই রংপুরের কোন ব্যাটার। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাকদের তালিকায় রয়েছেন সৌম্য সরকার, জাকির হাসান ও মার্শাল আইয়ুব।
২০২৫-২৬ মৌসুমে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন সৌম্য সরকার। ৭ ম্যাচে (১৪ ইনিংস) ৬৩৩ রান করেছেন খুলনার হয়ে খেলা এই ব্যাটার। আসরে তাঁর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৮৬ রান। চারটি ফিফটি আর একটি সেঞ্চুরিতে গড় ৪৫.২১।
সৌম্যের চেয়ে ৫ রান কম জাকির হাসানের। ৭ ম্যাচে (১৩ ইনিংস) ৫৭.০৯ গড়ে ৬২৮ রান করেছেন সিলেটের হয়ে খেলা এই উইকেটকিপার ব্যাটারের। পাঁচটি ফিফটি আর একটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
তৃতীয় স্থানে মার্শাল আইয়ুব। ৭ ম্যাচে (১২ ইনিংস) ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলা এই ব্যাটারের সংগ্রহ ৬২৫ রান। মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটার আইয়ুব। তাঁর ব্যাটিং গড় ৬২.৫০ ও স্ট্রাইক রেট ৫৮.৪১।
চতুর্থ স্থানে প্রীতম কুমার। ৭ ম্যাচে ৫৭৪ রান, দুই ফিফটি আর দুই সেঞ্চুরি রাজশাহীর হয়ে খেলা এই ব্যাটারের। প্রীতমের সর্বোচ্চ ইনিংস ১৪৩। পাঁচে মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১২ ইনিংসে ৫৪৭ রান ময়মনসিংহের হয়ে খেলা জাতীয় দলের ওপেনারের। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৯.৭৩ ও স্ট্রাইক রেট ৬৮.৩৮। সর্বোচ্চ ১১১ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন নাঈম।

ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি যাত্রাতেও দাপুটে ভারত। আজ কটকে অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে আটকে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে ভারত। জবাবে ১২.৩ ওভারে ৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস হেরে এইডেন মার্করামের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা শুভমান গিল ওপেনিংয়ে নেমে ৪ রানে উইকেট ছাড়েন। পরে ১২ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ১৪ ওভারে ১০৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।
দল গঠনে দায়িত্ব দেন চোট কাটিয়ে ফেরা হার্দিক পান্ডিয়া। ২৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই পেস অলরাউন্ডার। তাতেই ১৭৬ রানের লড়াকু স্কোর পায় ভারত।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহের তোপে পড়ে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান ট্রিস্তান স্টাবস। দলীয় ৪০ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ১৪ রান করে আউট হন এইডেন মার্করাম।
এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। ২৯ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস।
এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০তম উইকেট পেয়ে যান যশপ্রীত বুমরা। ভারতের হয়ে আর্শদীপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল নেন ২টি করে উইকেট। বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।