৯ অক্টোবর ২০২৫, ৯:২৭ এম
চাপের মুখে রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের জয়ের পথ সুগম করেছেন রহমত শাহ। প্রথম ২৫ রানের সৌজন্যে গড়েছেন দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৪ হাজার রানের রেকর্ড। পরে আরও ২৫ রান করে ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি।
তবু অধিনায়কের মন জয় করতে পারেননি আফগানিস্তানের ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। ম্যাচ জিতলেও রহমত শাহর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা নিয়ে ঠিকই অসন্তুষ্ট আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।
আবু ধাবিতে বুধবার রাতের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭০ বলে ৫০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন রহমত। গুরবাজের সঙ্গে গড়েছেন ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তানজিম হাসান সাকিবের বলে আলতো শটে আউট হয়েছেন আফগান তারকা।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা উইন্ডিজের |
![]() |
ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টেশনে দলের ৫ উইকেটের জয় নিয়ে ভালো লাগার কথা বলেন হাশমত।
“আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাচে পুরো দল যেভাবে খেলেছে, তাতে খুব খুশি। আমার জন্যও খুব ভালো ম্যাচ ছিল। সামনের ম্যাচগুলোর অপেক্ষায় আছি।”
“দলের পারফরম্যান্সে খুব খুশি। বিশেষ করে আমাদের বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে খুব ভালো বোলিং করেছে। একদম আঁটসাঁট ও ইকোনমিক বোলিং করেছে।”
এসময় ব্যাটিংয়ের কথা বলতে গিয়ে রহমত শাহর উইকেট নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টি জানান দেন আফগান অধিনায়ক।
“ব্যাটিংয়েও আমরা ভালো শুরু করেছি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ দারুণ ইনিংস খেলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আমি রহমতকে নিয়ে খুশি নই। গুরবাজের আউট ঠিক আছে। ভালো ডেলিভারি ছিল। কিন্তু রহমত উইকেট ছুঁড়ে এসেছে।”
“এই পর্যায়ে এসে আমাদের এমন করা উচিত নয়। উইকেটে সেট হওয়ার মানে আমরা কন্ডিশন বুঝে গিয়েছি। তো আমাদের সেখান থেকে ম্যাচ শেষ করা উচিত। সিনিয়র ব্যাটার হিসেবে রহমতের এটি বোঝা উচিত ছিল। আশা করি, সামনে এটি শুধরে নেবে।”
আরও পড়ুন
‘ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে’, ম্যাচ হেরে বললেন মিরাজ |
![]() |
তবে রহমতের ভালো ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করতেও ভোলেননি হাশমত।
“রহমত অবশ্যই ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমি তার আউট নিয়ে কথা বলছি কারণ সে দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার। তাই তার আরও দায়িত্ব নিতে হবে।”
No posts available.
১১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
১১ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১৩ পিএম
নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলার ইতিহাসটা এরচেয়ে ভালোভাবে লিখতে পারত না নামিবিয়া। আইসিসির সহযোগি সদস্য দলটি হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এর আগে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পাওয়া নামিবিয়া এবার আফ্রিকার জায়ান্টকে হারিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে বড় অঘটনের জন্ম দিল।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইতিহাস গড়তে শেষ ওভারে নামিবিয়ার লাগত ১১ রান। এন্ডাইল সিমিলানের প্রথম ডেলিভারিতেই ছক্কা হাঁকান নামিবিয়া ব্যাটার জেন গ্রিন। পরের চার বল থেকে চার রান তুলে ম্যাচ টাই করে নামিবিয়া। শেষ বলে এক রান হলেই চলত তাদের। তবে দিনটাকে স্বরণীয় করে রাখার পণ করা আফ্রিকার দেশটি সিঙ্গেল নয় চার মেরেই জয় নিশ্চিত করল।
অনেক প্রথমের এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনেক কারণেই মনে রাখবে নামিবিয়া ক্রিকেটপ্রেমীরা। উইন্ডহুকে নামিবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় জেরহার্ড ইরাসমাসের দল। আর প্রথমবারের দেখাতেই বাজিমাত করল তারা।
ঘরের মাঠে প্রথমে জয়ের ভিতটা গড়ে দেন নামিবিয়ার বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ আয়ত্তের মধ্যেই রাখে স্বাগতিকরা। অবশ্য প্রোটিয়াদের একটি দল টেস্ট খেলতে আছে পাকিস্তান সফরে, তাতে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই নামে তারা। এরপরও নামেভারে নিজেদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা দলকে ১৩৪ রানে আটকে দেওয়া কম কিসে।
দলীয় ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই যে শুরু এরপর বলার মতো তেমন কোনো জুটিই তাদের গড়তে দেয়নি নাবিমিয়ার বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান এসেছে জ্যাসন স্মিথের ব্যাট থেকে। ৩০ বলে ৩১ রান করেন ডান হাতি এই ব্যাটার। এই ম্যাচেই বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। তবে এক রান করেই আউট হওয়া তার ফেরাটা মোটেও সুখকর হয়নি।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেশি ভুগিয়েছেন রুবেন ট্রুম্পেলম্যান। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বাঁ হাতি এই পেসার।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি নামিবিয়ার। ২৮ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। তবে মিডল অর্ডার আর লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা হাল ধরে ভালোভাবেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একটা সময় তাদের ১০৬ রানেই ছয় ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায়। তবে সপ্তম উইকেটে ট্রুম্পেলম্যান-জেন গ্রিনের ৩৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিই শেষ পর্যন্ত ইতিহাস লিখে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশি দূর যেতে পারল না আফগানিস্তান। মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে ১৯০ রানে শেষ হয়ে গেল ইনিংস। ৩১ বল বাকি থাকতে থেমে গেল তারা।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এই মাঠে ১৯৮ রানের কম করে ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড নেই। তাই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে আফগানদের।
এই মাঠে এত দিন আগে ব্যাট করে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ভারত ও পাকিস্তানের। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ও ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ১৯৭ রানে। দুই ম্যাচেই হেরেছিল আগে ব্যাট করা দুই দল।
ওই রেকর্ড ভেঙে এবার আবু ধাবির মাঠে প্রতিপক্ষকে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮ রান করেও জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই বাংলাদেশকে হারাতে ওই রেকর্ড নতুন করে লিখতে হবে আফগানিস্তানের।
বাংলাদেশের রেকর্ড গড়ার কারিগর অধিনায়ক মিরাজ। আগের ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করা অফ স্পিনার এদিন ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৪২ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া সাকিব ও রিশাদের ঝুলিতে জমা পড়ে ২টি করে উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় আফগানিস্তান। পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আগের ম্যাচে দলকে জেতানোর নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পাওয়ার প্লের মধ্যে একই পরিণতি হয় সেদিকউল্লাহ অতলের।
আফগানিস্তানের বিপদ বাড়িয়ে ১৫তম ওভারে পায়ের চোটে মাঠ ছেড়ে যান রহমত শাহ। পরে তাদের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে বোল্ড করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাত্র ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের জুটি। সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করা নবী।
এরপর দলকে একাই টানতে থাকেন ইব্রাহিম। তবে তাকে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে দেননি মিরাজ। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ১৪০ বলে ৯৫ রান করা আফগান ওপেনার। ৩ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারতে পারেন তিনি।
শেষ দিকে ১৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন এএম গাজানফার। ৯ উইকেট পতনের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে এক বল খেলে অস্বস্তিতে ভোগায় আর চালিয়ে নিতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ (গুরবাজ ১১, ইব্রাহিম ৯৫, অতল ৮, রহমত ৯ অবসর আউট, হাশমত ৪, ওমরজাই ০, নবী ২২, খারোটে ১৩, রশিদ ১, গাজানফার ২২, বশির ০*; সাকিব ৭-০-৩৫-২, মোস্তাফিজ ৮-০-৩৮-০, মিরাজ ১০-১-৪২-৩, তানভির ১০-০-৩৫-১, রিশাদ ৯.৫-০-৩৭-২)
সুগন্ধিকা কুমারির অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে চমৎকার শটে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে দিলেন ন্যাট সিবার-ব্রান্ট। এই এক শটেই তিনি পূর্ণ করলেন নিজের সেঞ্চুরি ও গড়লেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের নতুন ইতিহাস।
মেয়েদের বিশ্বকাপের ম্যাচে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সিবার-ব্রান্ট। যার সৌজন্যে এখন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের তিন আসরে খেলে ১৯ ইনিংসে সিবার-ব্রান্টের সেঞ্চুরি ৫টি। এছাড়া দুইটি ফিফটিও করেছেন তিনি।
এত দিন ধরে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের জেনেট ব্রিটিন, শার্লট এডওয়ার্ডস ও নিউ জিল্যান্ডের সুজি বেটসের। তারা তিনজনই বিশ্বকাপে করেছেন ৪টি করে সেঞ্চুরি। তাদের ছাড়িয়ে এককভাবে এখন শীর্ষে সিবার-ব্রান্ট।
২০১৭ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সিবার-ব্রান্ট। ঘরের মাঠে একই আসরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও তিন অঙ্কের জাদুকরী স্পর্শ পান ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার।
পরে ২০২২ সালের আসরে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০৯ রান করেন সিবার-ব্রান্ট। ওই আসরের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি খেলেন ১২১ বলে ১৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডকে শিরোপা জেতাতে পারেননি।
এবার ইতিহাস গড়ার পথে ৫৭ বলে ফিফটি করেন ইংলিশ অধিনায়ক। সেঞ্চুরির আগে পঞ্চাশতম রানও তিনি করেন ছক্কা মেরে। এরপর তিন অঙ্ক ছুঁতে তার লাগে আরও ৫৩ বল। পরে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ক্যাচ আউট হন তিনি।
১২৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১১০ ইনিংসে ব্যাটিং করে সিবার-ব্রান্টের এটি দশম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের হয়ে এই ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু সতীর্থ ব্যাটার ট্যামি বাউমন্টের। ১২৫ ইনিংসে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটার।
সিবার-ব্রান্টের সেঞ্চুরি ছাড়া ইংল্যান্ডের আর কোনো ব্যাটার তেমন কিছু করতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাই ৯ উইকেটে ২৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপরা।
আরব আমিরাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ব্যস্ত রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও মোহাম্মদ নবী। আর দেশে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তাণ্ডব চালাচ্ছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। যেখানে নবীর ছেলের ঝড় ম্লান করে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছেন গুরবাজের ভাই।
আফগানিস্তানের শুক্রবার শুরু হয়েছে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কাবুল প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল)। এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে রান উৎসবে মেতেছেন কাবুল জালমির মাসুদ গুরবাজ ও আবাসিন ডিফেন্ডারসের হাসান ইসাখিল।
কাবুলের আইয়ুবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২২৬ রান করে নবীর ছেলের দল আবাসিন ডিফেন্ডার। পরে মাসুদ গুরবাজের তাণ্ডবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭.২ ওভারে ২৩২ রান করে ফেলে কাবুল জালমি।
আবাসিনকে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেওয়ার কারিগর মূলত ইসাখিল। ওপেনিংয়ে নেমে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ৫১ বলে ৯১ রান করেন ১৯ বছর বয়সী ব্যাটার। তিনি যখন আউট হন, তখনও বাকি ছিল ১৯ বল। তাই সেঞ্চুরির বেশ ভালো সুযোগ ছিল নবীর ছেলের সামনে।
ইসাখিল না পারলেও কোনো ভুল করেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজের ভাই মাসুদ গুরবাজ। শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। একই গতিতে এগিয়ে পরের পঞ্চাশ করতে খেলেন মাত্র ১৩ বল। অর্থাৎ ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলেন গুরবাজের ভাই।
তার ঝড়ে মাত্র ১০ ওভারে ১৫৪ রান করে ফেলে কাবুল। সেঞ্চুরি করেও তাণ্ডব চালিয়ে যান মাসুদ। শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে তার নামের পাশে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় মাত্র ৪৬ বলে ১২৮ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল, শরাফউদ্দিন আশরাফরাও এই ম্যাচে দুই দলে ছিলেন। তবে টুর্নামেন্টের আইসিসি স্বীকৃতি না থাকায়, মাসুদের ক্যারিয়ারে যোগ হবে না বিধ্বংসী এই সেঞ্চুরি।
নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে এল ব্যাপক পরিবর্তন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলও এর ব্যতিক্রম নয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আর সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু
নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিপিএলকে ঢেলে সাজানোর। সেই ধারবাহিকতায় নির্বাচিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সেটিকে আরও দৃশ্যমান করে তুলছে। সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান জানিয়েছেন, পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে হলেও বিপিএল আয়োজন করতে চান তাঁরা। সম্ভাব্য সময়- আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি।
ইফতেখার রহমান আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
‘আপনারা জানেন তিন-চার দিন আগেই গভর্নিং কাউন্সিলটা নতুন করে গঠন করা হয়েছে। তারপর থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, এত কম সময়ে আমরা বিপিএলটা করব কি করব না। আমরা সেইদিনও লাস্ট প্রেস কনফারেন্সে বলেছি, বোর্ড বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সময় হচ্ছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝমাঝিতে।’
আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইফতেখার রহমান। নিজেদের শর্ত ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিচ্ছে বিসিবি। তবে পাঁচ দল হলেই এবার একটু যেন সুবিধা হয় তাদের জন্য। এই বিসিবি পরিচালক বললেন,
‘আপনারা জানেন এটা নতুনভাবে শুরু হচ্ছে, কারণ আগের যত দলের সঙ্গে চুক্তি ছিল এগুলো শেষ হয়ে গেছে। এখন যেটা হচ্ছে, আমাদের এই কালকেই আগ্রহপত্র (ইওআই) আসবে কাগজে। আর আমরা যেটা এবার ইওআইতে করেছি- ১০টা রিজেনের নাম বলেছি। এখান থেকে আমাদের যে উইন্ডোটা আছে, এই বছর যেহেতু কম সময়, পাঁচ দলে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য। তাই বলে যে ছয়টা-সাতটা হবে না সেটা বলছি না। কিন্তু কথাটা হচ্ছে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য এক মাসের উইন্ডোতে পাঁচটা টিম নিয়ে করার। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রথম পাঁচটা টিম।’
এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাইয়ে বেশ কঠোর বিসিবি। ইফতেখার রহমান বললেন,
‘গত বিপিএলে যেসব সমস্যা আমাদের হয়েছিল, মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে হয়েছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনে এবার খুব খুব কঠোর। মানে ফাইনান্সিয়ালস ঠিক না থাকলে, ম্যানেজমেন্ট ঠিক না থাকলে... আপনি বড় গ্রুপ হয়তো হচ্ছেন, ফাইনান্সিয়াল ভালো, কিন্তু আপনার ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টেরও তো লোক নিয়ে করতে হবে। এইসব এইসব আমরা দেখব।’