
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর মাঠে গড়াবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এখনও দিন-তারিখ বা পূর্ণ সূচি নির্ধারিত হয়নি। তবে জানা গেছে, ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট।
গত মঙ্গলবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভা শেষে জানানো হয়, ১২তম আসরে অংশ নেবে পাঁচটি দল। যার অন্যতম হলো নাবিল গ্রুপ মালিকানাধীন রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য রাজশাহীর মালিকানা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবারই প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাজশাহী ওয়ারিয়র্স’ নামেই মাঠে নামবে তারা।
মালিকানা পাওয়ার পরপরই নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে দলটির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হান্নান সরকার।
এরই মধ্যে জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে দলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তিতে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে দলে ভেড়াতে পারে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
বিপিএলের দল পেতে আবেদন করেছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক পর্যালোচনায় বাদ দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানকে। বাকি ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান।
এবারের বিপিএলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর—এই পাঁচ শহরের দল অংশ নেবে। এর মধ্যে ঢাকার মালিকানা পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস, রংপুরের মালিকানা টগি স্পোর্টস, চট্টগ্রামের টাইএঙ্গেল স্পোর্টস, সিলেটের ক্রিকেট উইথ সামি, আর রাজশাহীর মালিকানা পেয়েছে নাবিল গ্রুপ।
No posts available.
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ এম
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ এম

নিলামের আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে মোহাম্মদ শামিকে দলে নিল লখনৌ সুপারজায়ান্টস। জাকজমকপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নতুন মৌসুমে তাই নতুন দলে দেখা যাবে ভারতের অভিজ্ঞ এই পেসারকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার শামিসহ আরও বেশ কয়েকটি ট্রেডিংয়ের খবর জানিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
আইপিএলের গত মৌসুমে ১০ কোটি রুপিতে শামিকে কিনেছিল হায়দরাবাদ। এবার একই মূল্যে তাকে নিজেদের করে নিয়েছে লখনৌ।
আরও পড়ুন
| ‘কঠিন সময়েই আসল বন্ধু চেনা যায়’, ৮০৭ দিন পর সেঞ্চুরি করে বললেন বাবর |
|
২০১৩ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ দলের হয়ে খেলেছেন শামি। হায়দরাবাদের আগে ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্সে যোগ দেন অভিজ্ঞ পেসার। সেবার ২০ উইকেট নিয়ে শিরোপা জয়ে রাখেন বড় অবদান।
২০২৩ সালের আসরে ২৮ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির পুরস্কার পার্পল ক্যাপও জেতেন শামি। তবে চোটের কারণে ২০২৪ সালের আইপিএল খেলা হয়নি তার। পরে ২০২৫ সালে হায়দরাবাদের হয়ে ৯ ম্যাচে নিতে পারেন মাত্র ৬ উইকেট।
এবার লখনৌর হয়ে শুরু হবে শামির নতুন আইপিএল অধ্যায়।

অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগে আরও একবার ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্স ও শন অ্যাবটের পর এবার প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন জশ হেজেলউড। যার ফলে পার্থে মূল পেস আক্রমণের অর্ধেকই পাবে না অস্ট্রেলিয়া।
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। মিচেল স্টার্কের সঙ্গে পেস বিভাগে এখন সুযোগ পেতে পারেন স্কট বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডন ডগেট। আর এটি হলে, নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একাদশে দুজন আদিবাসী নিয়ে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া।
আদিবাসী ক্রিকেটারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে জেসন গিলেস্পি ও স্কট বোল্যান্ডের। হেজেলউডের চোটে অভিষেকের প্রবল সম্ভাবনা ব্রেন্ডন ডগেটের। অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় আদিবাসী ক্রিকেটার হবেন তিনি।
আরও পড়ুন
| বাদ পড়ছেন ম্যাক্সওয়েল, টিকে যাচ্ছেন বদলি |
|
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গত সপ্তাহে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলতে নেমে ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান হেজেলউড। প্রাথমিক পরীক্ষায় মনে হয়েছিল, গুরুতর নয় তার চোট। তবে আরেকটি পরীক্ষার পর চোটের মাত্রা বেশি দেখা গেছে।
একই মাঠে বাম পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান আরেক পেসার শন অ্যাবট। এই দুজনের কাভার হিসেবে মাইকেল নেসারকে প্রথম টেস্টের জন্য দলে ডেকে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এখন হেজেলউড ও অ্যাবট আর দলের সঙ্গে পার্থে যাবেন না।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন নেসার। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে প্রথম টেস্টে স্টার্ক ও বোল্যান্ডের সঙ্গে পেস বিভাগে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ডগেটের। যা কিনা জন্ম দেবে অস্ট্রেলিয়ার নতুন ইতিহাস।
স্পিনে থাকবেন নাথান লায়ন। হেজেলউড ও অ্যাবট ছিটকে যাওয়ায় এখন পার্থ টেস্টে ক্যামেরন গ্রিনের বোলিং গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে স্বাগতিকদের জন্য। একাদশে এখন গ্রিন ও বাউ ওয়েবস্টারকে একসঙ্গে খেলানোর পরিকল্পনাও করতে পারেন নির্বাচকরা।

২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৪ নভেম্বর। মাঝে কেটে যায় ৮০৭ দিন। পাকিস্তানের জার্সিতে ৮৩ বার ব্যাট করতে নামেন বাবর আজম। কিন্তু শতকের দেখা একবারও পাননি তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই সেঞ্চুরিখরা কাটিয়ে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বললেন, কঠিন সময়েই আসল বন্ধু চিনতে পেরেছেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৯ বলে ১০২ রানের ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বাবর। এই শতকের সৌজন্যে দীর্ঘ ৮০৭ দিনের সেঞ্চুরিখরা কাটিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার।
একইসঙ্গে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটার সাঈদ আনোয়ারের ২০টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন দেশটির বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটার। অথচ মাঝের ২৭ মাসে ২০ বার ফিফটি করেও তিন অঙ্ক ছুতে পারেননি বাবর।
আরও পড়ুন
| কোহলি ও বাবরকে মিলিয়ে দিল ‘৮৩’ |
|
লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
“সমর্থকদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন পেয়েছি, শুধু ইসলামাবাদ নয়, সব জায়গাতে, দারুণ ছিল। পাকিস্তানের সব জায়গায় আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি। এটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ভক্তরা কঠিন সময়ে আমাকে ছেড়ে যায়নি। এই ধরনের কঠিন সময়েই বোঝা যায়, আসল বন্ধু কারা।”
২৮৯ রানের লক্ষ্যে দশম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন বাবর। একপ্রান্তে রয়েসয়ে খেলে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান তিনি। নব্বই পেরোনোর পর গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যেও বেড়ে যায় উত্তেজনা। স্নায়ুর চাপ হয়তো ভর করছিল বাবরের ওপর।
জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে প্রমোদ মাদুশানের একটি শর্ট ডেলিভারি অন সাইডে খেলে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। সেই মুহূর্তের আবেগ সামাল দিতে কিছুটা সময়ই নেন তিনি। পরে মাথা নিচু করে হাঁটুতে ভর দিয়ে অনেকটা নীরব উদযাপনই করেন।
ওই মুহূর্তের অনুভূতিও জানান বাবর।
“খুবই কঠিন সময় ছিল। তবে আমি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাইনি। যেখানে উন্নতি প্রয়োজন করেছি, নিজের ফিটনেস নিয়েও কাজ করেছি। দিন শেষে এটি বিশ্বাসের ব্যাপার।”
“জীবনে এরকম সময় আসবে এবং আপনি চাইলেই নেতিবাচক ভাবনায় আটকে থাকতে পারেন, উল্টো প্রশ্ন করতে পারেন কেন আপনার সঙ্গে এরকম হচ্ছে। তবে আপনাকে নিজের পরিকল্পনায় অটুট থেকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (একসময়) পুরস্কার পাবেন।”
সেঞ্চুরি না পাওয়ার কঠিন সময় সম্পর্কে বাবর বললেন, নিজের ওপর বিশ্বাস কখনও হারাননি তিনি।
আরও পড়ুন
| অবশেষে বাবর আজমের সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বড় জয় |
|
“যখনই রানের দেখা পাবেন, আত্মবিশ্বাস অন্য পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অনেক লম্বা সময় ছিল। তবে আমি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাইনি এবং কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে কোনো আপোষ করিনি। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।”
“এরকম সময়ে আপনার মনে অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা কাজ করে, আপনি ভাবতে পারেন আপনার সঙ্গে কী হচ্ছে। অনেক কোচ আপনার সঙ্গে কথা বলবে, নানা ধরনের পরামর্শ দেবে। এরপর আপনাকে ঠিক করতে হবে, কোনটি আপনার জন্য ঠিক।”

নতুন মৌসুমের আইপিএল শুরুর আগে অন্তত ৭ জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেবে পাঞ্জাব কিংস। যেখানে সবচেয়ে বড় নাম গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০২৬ সালের আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে দলে রাখবে না বর্তমান রানার্স-আপরা।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর। ২০২৫ সালের আইপিএলে সাত ম্যাচ খেলার পর আঙুলে চোট পান ম্যাক্সওয়েল। যার ফলে বাকি অংশে আর খেলা হয়নি তার।
টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার আগে ৬ ইনিংসে মাত্র ৪৮ রান করতে পারেন স্পিনিং অলরাউন্ডার। এর মধ্যে শেষ চার ইনিংসে দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩০ রান। এর পাশাপাশি বল হাতে নেন ৪টি উইকেট।
আরও পড়ুন
| কোহলি ও বাবরকে মিলিয়ে দিল ‘৮৩’ |
|
ম্যাক্সওয়েলের বদলি হিসেবে আরেক অস্ট্রেলিয়ান মিচেল ওয়েনকে দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। বিগ ব্যাশে হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে জোড়া সেঞ্চুরিসহ ২০৩.৬০ স্ট্রাইক রেটে আসরের সর্বোচ্চ ৪৫২ রান করে আলো কেড়েছিলেন ওয়েন।
তবে আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে দুই বলে শূন্য রান করে আউট হন এই অস্ট্রেলিয়ান। পরে আর কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। তবু ৩ কোটি রুপিতে দলে নেওয়া ওয়েনকে দলে ধরে রাখার পথেই হাঁটছে পাঞ্জাব।
গত জুনে ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়া ম্যাক্সওয়েলকে ২০২৫ সালের নিলাম থেকে ৪ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনেছিল পাঞ্জাব। সেটি ছিল পাঞ্জাবের হয়ে তার তৃতীয় অধ্যায়। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৭ ও ২০২১ সালে পাঞ্জাবের জার্সিতে খেলেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েল ছাড়াও অ্যারন হার্ডি, কাইল জেমিসন, কুলদিপ সেন, প্রবীন দুবে ও বিষ্ণু বিনোদকেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব।

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন বাবর আজম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেছেন ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস। একইসঙ্গে সমাপ্তি ঘটেছে ৮৩ ইনিংসের অপেক্ষার।
রাওয়ালপিন্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ২৭ মাস ও ৮৩ ইনিংসে শতকের দেখা পাননি বাবর। ৮৪তম ইনিংসে ঘুচেছে সেই অপেক্ষা। যা তাকে মিলিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট বিরাট কোহলির সঙ্গে।
সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে কোহলিরও ছিল প্রায় তিন বছরের এক সেঞ্চুরিখরার অধ্যায়। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনিও ৮৩ ইনিংসের মধ্যে একবারও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
২০২২ সালের এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে ১৪ চার, ৪ ছক্কা মেরে ১৩১ বলে ১৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। এরপর তিন সংস্করণ মিলিয়ে আরও ৮৩ বার ব্যাট করতে নামেন। কিন্তু সেঞ্চুরি আর করতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| অবশেষে বাবর আজমের সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বড় জয় |
|
মাঝের সময়ে ২০ বার ফিফটির উদযাপন সারেন বাবর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসে বা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৭০ ছুঁয়ে ফেললেও শতকের দেখা পাননি।
অবশেষে লঙ্কানদের বিপক্ষে করলেন ১১৯ বলে অপরাজিত ১০২ রান।
কোহলির সেঞ্চুরিখরার শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচের পর থেকে। ওই ম্যাচের একমাত্র ইনিংসে ১৯৪ বলে তিনি খেলেন ১৩৬ রানের ইনিংস।
এরপর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৮৩ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও আর সেঞ্চুরির দেখা পাননি। মাঝের সময়ে ২৬টি ফিফটি করেন কোহলি। যেখানে ১২ ইনিংসে ৭০ ছুঁয়েও সেঞ্চুরির আগেই কাটা পড়েন ভারতীয় কিংবদন্তি।
প্রায় তিন বছরের অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৬১ বলে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কোহলি। যা ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম ও একমাত্র সেঞ্চুরি।