প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে অবস্থান ছিল সবার নিচে, জয় ছিল মাত্র একটি। সেখান থেকে দ্বিতীয় চক্রে উন্নতি করে বাংলাদেশ জয় পায় চারটি। তবে সামগ্রিক পারফরম্যান্সের চিত্রটা খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুন চক্রের প্রথম সিরিজের আগে অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী সুর নাজমুল হোসেন শান্তর। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, জয় দিয়ে সফর শুরু করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানে গিয়ে দলটির বিপক্ষে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর পরপর দুটি সিরিজে সব ম্যাচেই হেরে যায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ধরা দেয় একটি জয়। এরপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজে ড্র করে বাংলাদেশ। ফলে সাম্প্রতিক ফর্ম শ্রীলঙ্কা সিরিজে খুব একটা আশা জাগানোর মত নয়।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে শান্ত অবশ্য যথারীতি থাকলেন ইতিবাচকই।
“এই সিরিজের শুরুটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দিক থেকে এটা বড় সুযোগ। আমরা বাংলাদেশে ভালো অনুশীলন করেছি, প্রস্তুতিও ভালো ছিল। আশা করি, প্রতিযোগিতার শুরুটা আমরা ভালোভাবেই করতে পারব। অবশ্যই আমরা জিততে চাই। প্রতিপক্ষের সঙ্গে জেতাই মূল লক্ষ্য। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলে আমরা কিভাবে মাঠের ক্রিকেটে আমাদের খেলাটা খেলব বা প্রয়োগ করব আমাদের পরিকল্পনাগুলো। কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আমাদের কাজগুলো করতে পারি ঠিকঠাকভাবে তাহলে এখান থেকে ভালো ফলাফল নিয়ে যাওয়া সম্ভব।”
শান্ত আশার কথা শোনালেও জিম্বাবুয়ের সাথে চেনা কন্ডিশনে যেভাবে একটি টেস্টে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ, তা ছিল বিস্ময়করই। কারণ, তাদের প্রতিপক্ষ দল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই খেলছে না। সাথে দলগতভাবে পিছিয়ে থাকার বিষয় তো ছিলই। সেই দলের সাথে প্রায় পূর্ণশক্তির দল নিয়ে পরাজয় বড় এক ধাক্কাই ছিল শান্তদের জন্য। পরের ম্যাচ জিতে অবশ্য সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ।
হারের তেতো অভিজ্ঞতা ভুলে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শান্তর কাছে ইতিবাচক প্রাপ্তি ওই ঘুরে দাঁড়ানো জয়ই।
“অতীতে আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে কি সিরিজ খেলেছি তা নিয়ে খুব বেশি আগানো ঠিক হবে না। যদি শেষ ম্যাচের কথা বলেন ভালো স্মৃতি। আগের ম্যাচটা আমরা হেরেছিলাম। পরের ম্যাচটা আমরা যেভাবে কাম ব্যাক করেছিল ঐটাই দলকে মোটিভেটেড করবে।”
এই সিরিজে শান্তর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে এখনও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। স্কোয়াডে মাত্র দুজন স্পেশালিষ্ট ওপেনার থাকায় তার ওপেন করার রয়েছে জোর সম্ভাবনা। এই পজিশনে যদিও তার রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। বরং তিন বা চারেই দেখা পেয়েছেন সেরা সব সাফল্যের। তবে লিটন দাসের দলে ফেরার কারণে শান্তকে ওপেনিংয়ে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনাই রয়েছে।
তবে ম্যাচের আগের দিন সেটা খোলাসা করতে চাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আমার ব্যাটিং পজিশন কোথায় হবে, সেটা এখন বলা যাবে না, কারণ আমি চাই না প্রতিপক্ষ আগে থেকে কোনো ধারণা পেয়ে যাক। কাল আমরা কী কম্বিনেশন নিয়ে খেলতে নামব, সেটার ওপর নির্ভর করে একাদশ সাজানো হবে। এখনও মিরাজের হালকা ঘাম হচ্ছে, তবে ওর উন্নতি হচ্ছে। সব কিছু ওর ফিটনেসের উপর নির্ভর করছে। যদি সে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে, তাহলে আমরা আরও ভালো একটি কম্বিনেশন নামাতে পারব।”
শ্রীলঙ্কার মাটিতে শান্ত খেলেছিলেন তার ক্যারিয়ার সেরা ১৬৩ রানের ইনিংস। এবারও কি তেমন কিছু সম্ভব? বাঁহাতি এই ব্যাটার চোখ রাখছেন বড় স্কোরের দিকেই।
“আমার ভালো স্মৃতি আছে ক্যান্ডিতে। কিন্তু এখন আমি গলে খেলার সুযোগটা নিতে চাই। এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। এখানে স্পিন বোলিংই বেশি চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। আমরা যা শুনেছি বা দেখেছিলাম এখানে আসার আগে। কিন্তু গলে প্রথম দুই দিনে ব্যাটারদের রানটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেই দুই তিনদিনের দিকেই নজর রাখতে চাই। বড় রান করতে চাই। আমি আশা করি আমরা সেটা করতে পারব।”
৩০ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
৩০ জুলাই ২০২৫, ৩:০১ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয় জিম্বাবুয়ে। কালে-ভদ্রে পরাশক্তিদের সাথে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় দলটি। এতেই বড়দের সাথে ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে। এ মাসের শুরুতে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঘরের মাঠে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। বুলাওয়েতে দুই টেস্টের দুটিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনেও শিক্ষানবীশ জিম্বাবুয়েকে দেখেছে দর্শক। টেস্টের প্রথম দিনটি পার করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টি-ব্রেকের আধ ঘন্টা পর মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে নিয়েছে ইনিংস। জবাব দিতে এসে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৯২/০। সব কটি উইকেট হাতে রেখে পিছিয়ে আছে সফরকারী দলটি মাত্র ৫৭ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিন কিউই পেসার ম্যাট হেনরির তোপের মুখে মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির ৫৪ রানে স্কোরটা তিন অঙ্কে টেনে নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান শিন উইলিয়ামস এদিন মাত্র ২ রানের মাথায় পেসার স্মিথের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘনীভূত হয়। ক্রেইগ আরভিন ১০১ মিনিট ব্যাটিং করে ৬টি বাউন্ডারির সাহােয্যে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। তাফাজা সিগা করেছেন ১১০ মিনিট স্থায়ীত্ব পাওয়া ব্যাটিংয়ে ৩০ রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৫টি চার।
কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ছড়িয়েছেন আতঙ্ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অবতীর্ন হয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট (৬/৩৯)। আর এক পেসার নাথান স্মিথ পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/২০)।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল হয়েছিল ভারতের ম্যাচ বয়কটে। তবে এরপর এশিয়া কাপে ভারতের সাথে পাকিস্তানের ম্যাচ নিশ্চিত হওয়ায়, আশা ছিল লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের মধ্যকার ম্যাচ খেলবে দুই দেশ। তবে সেমিফাইনালেও প্রতিবেশী দেশের সাথে ম্যাচ বয়কট করেছে ভারত। ফলে ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে চলে গেছে পাকিস্তান।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে গ্রুপ পর্বের পর সেমিতেও পাকিস্তানের সাথে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান, যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস বা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসকে।
টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, পিয়ুষ চাওলা, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও রবিন উথাপ্পার মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। শুরুতে রাজি হলেও গত ২০ জুলাই শেষ সময়ে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানান কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর বাতিল হয় ম্যাচটি।
সেই ম্যাচ থেকে উভয় দলই পয়েন্ট ভাগ করে নেয়। গ্রুপ পর্বে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস হয় চতুর্থ।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনে।
ওই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় দল এখনও মুখোমুখি হয়নি। সদ্য ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচিতে একই গ্রুপে থাকা এই দুই দলের সব মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। তবে লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচও বাতিল হওয়ায় নতুন করে শঙ্কা জাগতে পারে ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ব্রেন্ডন টেলরের জন্য খুলে যাচ্ছে জাতীয় দলের দরজা। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে তাকে যুক্ত করেছে জিম্বাবুয়ে।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন টেলর। এরপর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙার কারণে ৩৯ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটারকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই।
নিষেধাজ্ঞার সময় জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টেলর কোনো জাতীয় দল বা ঘরোয়া ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। তবে হারারের একটি বেসরকারি স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে এই সময়ে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন ফের ক্রিকেটে ফেরার আশা নিয়ে।
নিষেধাজ্ঞা শেষের আগে টেলর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাদক ও মদাসক্তি কাটিয়ে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট অনুভব করছেন।
জিম্বাবুয়ে এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে আছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তাফাদজওয়া সিগা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন তিনি, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে তার অবস্থান সাত।
ফলে দ্বিতীয় টেস্টে টেলর যদি দলে আসেন, আর নিজের পুরনো চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ফেরেন, তাহলে শন উইলিয়ামসসহ অন্যদের এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হতে পারে।
২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪টি টেস্ট খেলা টেলর নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছিলেন সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ৩৬.২৫ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে করেছেন ২ হাজার ৩২০ রান। শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগে বড় ধাক্কাই খেল ইংল্যান্ড। চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার পরিবর্তে ওলি পোপ ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন।
সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টারে ড্র হওয়া চতুর্থ টেস্ট থেকে একাদশে মোট চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। দলে ফিরেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল এবং তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাং। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই পেসার জোফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে। আর এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন।
সিরিজ জুড়ে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস বল হাতে পার করেছেন দুর্দান্ত সময়। এক সিরিজে করে ফেলেছেন নিজের সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন শতক। তবে চোট সামলে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ১১ ওভার। সেখানেও কয়েকবার তাকে ব্যাথায় ডান কাঁধ ধরতে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ডান হাতের বাইসেপ টেন্ডনে সমস্যা থাকলেও টেস্ট মিস করার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু পরে জানা যায়, স্টোকসের চোট গ্রেড থ্রি মাত্রার হওয়ায় পঞ্চম টেস্টে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেও খেলা সম্ভব হবে না তার।
স্টোকসের অনুপস্থিতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দেবে। সিরিজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ম্যানচেস্টারে গত দুই বছরে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পাশাপাশি শেষ দুটি টেস্টেই হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ফলে তাকে ছাড়া একাদশ সাজানো কঠিনই হবে স্বাগতিকদের জন্য।
ডসন বাদ পড়ায় স্টোকসের জায়গায় দলে আসা বেথেল হবেন দলের মূল স্পিনার। আর তার সঙ্গে স্পিন অপশন হিসেবে থাকছেন আরেক ব্যাটার জো রুট। আর পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন মাইকেল ওয়েন। তরুণ এই ব্যাটার প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলে। আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাকে।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার মূল অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ছাড়াই খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তিনি ছাড়াও এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আরেক অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ককে। ফলে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করবেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নজর কাড়েন ওয়েন। সিরিজে তিনি ১৯২.৩০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১২৫ রান। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে এই ফরম্যাটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও যে তিনি তিনি কার্যকর হতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। গত মৌসুমে তাসমানিয়ার হয়ে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৬৯ বলে ১৪৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস।
কামিন্স ও স্টার্ক না থাকলেও ক্যারিবিয়ানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড। ২০ ওভারের সিরিজের দলেও আছেন তারা। আর সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে না পারা ব্যাটার ম্যাট শর্টও ফিরেছেন দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন জেক ফ্রেজার-মার্কার্ক, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনলি ও জেভিয়ার বার্টলেট। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবসর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নেই ওয়ানডের দলে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে আগামী ১০ ও ১২ ও ১৬ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ চলবে ১৯ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
৭ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে