সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে এশিয়া কাপের নতুন আসর। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্ট দুই দিন শুরুর আগে এশিয়ার সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
যেখানে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসান। শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে এশিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে সাকিবকে রেখেছেন ক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া সবমিলিয়ে ভারত থেকে সর্বোচ্চ চারজন আছেন এই একাদশে। শ্রীলঙ্কা থেকে আছেন তিনজন। পাকিস্তানি ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন দুইজন। আর বাংলাদেশের মতোই আফগানিস্তান থেকেও আছেন শুধু একজন।
ইনিংস সূচনার দায়িত্বে শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সুরিয়া ও মাহেলা জয়বর্ধনে। ব্যাটিং অর্ডারের পরের তিনটি জায়গায় ভারতের তিন তারকা বিরাট কোহলি, সুর্যকুমার যাদব ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের ভূমিকাও পালন করবেন ধোনি।
ব্যাটিং অর্ডারের ছয় নম্বরে রাখা হয়েছে সাকিবকে। তার পরে নামবেন আফ্রিদি। আট নম্বরে থাকছেন রশিদ। এরপর পেস বিভাগের তিনজন হলেন উমর গুল, জাসপ্রিত বুমরাহ ও লাসিথ মালিঙ্গা। এছাড়া দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে আছেন সাঈদ আজমল।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এশিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ
সনৎ জয়সুরিয়া, মাহেলা জয়বর্ধনে, বিরাট কোহলি, সুর্যকুমার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, শহিদ আফ্রিদি, রশিদ খান, উমর গুল, জাসপ্রিত বুমরাহ, লাসিথ মালিঙ্গা।
দ্বাদশ ব্যক্তি: সাঈদ আজমল
No posts available.
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০০ এম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৬ এম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নাওয়াজের হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেটে মাত্র ৬৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে তারা। ১৪১ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়েও ৭৫ রানের সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে মাঠে নামার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচে বেশ কিছু রেকর্ডে উঠেছে পাকিস্তান ও নাওয়াজের নাম। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব রেকর্ড।
৬৬
পুরুষ ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কোনো ফাইনালে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ২০২৪ সালের সাব-রিজিওনাল ইউরোপ কোয়ালিফায়ার গ্রুপ ‘বি’-এর ফাইনালে জার্সির বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়েছিল নরওয়ে।
২
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো দলের চতুর্থ সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি।
৫/১৯
পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে মাত্র ১৯ রানে ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কোনো ফাইনালে ৫ উইকেট নেওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার তিনি।
২০১৯ সালের প্যাসিফিক গেমসের ফাইনালে ভানুয়াতুর বিপক্ষে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পিএনজির নরম্যান ভানুয়া।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়া বিশ্বের তৃতীয় বোলার নাওয়াজ। এর আগে ২০২২ সালের এশিয়া কাপে ভুবনেশ্বর কুমার ও একই বছরের বিশ্বকাপে স্যাম কারান দেখিয়েছেন এমন কীর্তি।
৩
ম্যাচে নিজের প্রথম দুই ওভারে হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ১ রানে ৪ উইকেট নেন নাওয়াজ। পাকিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় বোলার তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাহিম আশরাফ ও ২০১৯ সালে একই দলের সঙ্গে হ্যাটট্রিক করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
বল বাই বল পরিসংখ্যান থাকা ম্যাচগুলোর হিসেবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় বোলার নাওয়াজ। এর আগে ২০২১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে উগান্ডার এলিজা ওটিয়েনো এবং ২০২২ সালে মাল্টার বিপক্ষে বেলজিয়ামের খালিদ আহমাদি করেছেন হ্যাটট্রিক।
১৫
ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা মিলে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে স্পিন বোলিংয়ে পাওয়া তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড এটি। ২০২৩ সালে মালয়েশিয়া ও হংকং ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা।
পাকিস্তানের স্পিনাররা নিয়েছেন ৯ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে এটিই তাদের সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিপক্ষেও ৯ উইকেট নিয়েছিল পাকিস্তানের স্পিনাররা।
২০
আফগানিস্তানের ইনিংসে প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এ নিয়ে ২০ বার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি তারকা পেসার।
এই ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে শুধু ওমানের বিলাল খানের, ২২টি।
৭-০
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের সবকটি ম্যাচে জিতেছে আগে ব্যাট করা দল। এবারই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে সব ম্যাচে জিতল আগে ব্যাটিং করা দল।
এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বাজিমাত। ফাইনাল ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।
শারজাহতে রোববার রাতের ফাইনালে ৭৫ রানে জয় পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ১৪১ রানের সংগ্রহ গড়ে তারা। পরে মোহাম্মদ নাওয়াজের ভেলকিতে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে অল আউট করে পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে অল আউট হয়েছিল তারা।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৯ রানে ৫ উইকেট নাওয়াজ। ক্যারিয়ার সেরা এই বোলিং করার পথে পাকিস্তানের তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান তিনি।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে দারউইশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে আউট করেন নাওয়াজ। পরের ওভারের প্রথম বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ইব্রাহিম জাদরান।
নাওয়াজের আগে পাকিস্তানের হয়ে হ্যাটট্রিক করতে পারেন শুধু ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
মাত্র ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ডের সামনে পড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান। রশিদ খানের ১৭ রানের সৌজন্যে কোনোমতে ৬০ পেরোয় তারা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে তেমন ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাটিংয়ে দলের সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেন নাওয়াজ।
এছাড়া সাইম আইয়ুব ১৭, হাসান নাওয়াজ ১৫, ফাহিম আশরাফ ১৫ রান করলে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ। নুর আহমেদ ১৭ রানে নেন ২ উইকেট।
প্রথম ম্যাচেও ঝড় তুলেছিলেন ইসাক মোহাম্মদ। কিন্তু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলারদের বিপক্ষে দলকে জেতাতে পারেননি তরুণ ওপেনার। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি করলেন সেঞ্চুরি। যার সৌজন্যে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
লাফবোরোতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে খেলা নেমে আসে ৪৭ ওভারে। যেখানে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭২ রান করে বাংলাদেশ। ২৭১ রানের পরিবর্তিত লক্ষ্য ৪৩.১ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে ইংলিশ যুবারা।
স্বাগতিকদের জয়ে ফেরানোর নায়ক ইসাক। যিনি আবার ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অভিজ্ঞ স্পিনিং অলরাউন্ডার মইন আলির ভাগ্নে। প্রথম ম্যাচে ৫৩ বলে ৭৫ রান করা ইসাক এবার খেলেছেন ৯৫ বলে ১০৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
রান তাড়ায় শুরুতে ঝড় তোলেন জোসেফ মুরস। মাত্র ৩৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইসাক।
ইংলিশদের দুইশ পার করিয়ে আউট হন ১৭ বছর বয়সী ওপেনার। ৯৫ বলের ইনিংসে ৬ চারের বিপরীতে ৯টি বড় ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এছাড়া জেএ নেলসন ৩৮ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
বাঁহাতি স্পিনার সামিউন বশির রাতুল ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
ম্যাচের প্রথমভাগে বাংলাদেশকে আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন রিফাত বেগ, রিজান হোসেনরা।
প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রিজান এবার খেলেন ৫৭ বলে দলের সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস। ৭ চারের সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা।
রিফাতের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ বলে ৫১ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪১ রান করেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
ব্রিস্টলে আগামী বুধবার হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে।
আগেই দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সিরিজের ট্রফি জেতার কোনো সুযোগ ছিল না ইংল্যান্ডের। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে তাই যেন প্রথম দুই ম্যাচের প্রতিশোধ একেবারেই নিয়ে নিলো স্বাগতিকরা।
ম্যাচ জুড়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের বিশ্ব রেকর্ড লিখেই থেমেছে হ্যারি ব্রুকের দল। জ্যাকব বেথেল ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে ৪১৪ রানের পুঁজি নিয়ে জফ্রা আর্চার ও আদিল রশিদের বোলিং ৩৪২ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড।
বিশাল এই জয়ে রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় করে ফেলেছে ইংলিশরা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব রেকর্ড
৩৪২
ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। এত দিন রেকর্ড ছিল ভারতের। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১৭ রানে জিতেছিল তারা।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয়ের পঞ্চম ঘটনা এটি।
ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ছিল ২৪২ রানের। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এত বড় ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পরাজয় ছিল ২৭৬ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই গত মাসে হেরেছিল তারা।
আরও পড়ুন
আর্চারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিতল ইংল্যান্ড |
![]() |
৭২
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৯ রানে অল আউট হয়েছিল প্রোটিয়ারা।
২০.৫
আর্চারের গতি ঝড়, আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে মাত্র ২০.৫ ওভারে শেষ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ওয়ানডেতে এর চেয়ে দ্রুত আর মাত্র একবার অলআউট হয়েছে তারা। সেটিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ম্যানচেস্টারে ২০১৮ সালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২০.৪ ওভারে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল সফরকারীরা।
৭ রানে ৪ উইকেট
আর্চারের তোপে মাত্র ৭ রানে প্রথম ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর চেয়ে কম রানে তাদের ৪ উইকেট হারানোর ঘটনা আছে আর মাত্র একটি।
২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ম্যাচে ৬ রানে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৪ উইকেট।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান করেও জিতল না জিম্বাবুয়ে |
![]() |
৪১৪
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তাদের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৯৯ রান। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর।
৪০০
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০০ রানের দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডে ভারতের পাশে বসেছে ইংল্যান্ড। দুই দলই সমান ৭ বার করে ৪০০ রান করেছে। সবচেয়ে বেশি ৮ বার চারশ করে রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে।
ইংল্যান্ডের ৭টি চারশ রানই এসেছে ২০১৫ সালের পর। গত দশ বছরে তাদের চেয়ে বেশি চারশ রান করতে পারেনি আর কোনো দল।
কনিষ্ঠ বেথেল
স্বীকৃত ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে মাত্র ৮২ বলে ১১০ রান করেছেন জ্যাকব বেথেল। মাত্র ২২ বছর ৩১৯ দিন বয়সে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ওয়ানডেতে এখন ইংল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ব্যাটার তিনি।
১৯৭৮ সালে ২১ দিন ৫৫ দিন বয়সে ও ১৯৭৯ সালে ২১ বছর ৩০৯ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড গাওয়ার।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড |
![]() |
কোডি ইউসুফ
ওয়ানডে অভিষেকে নিজ দলের করুণ দশা দেখলেন কোডি ইউসুফ। তিনি নিজেও ১০ ওভারে খরচ করে ফেলেন ৮০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। এতদিন রেকর্ডটি ছিল ডোয়াইন অলিভারের। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৭৩ রান দিয়েছিলেন অলিভার।
নান্দ্রে বার্গার
ম্যাচে ইউসুফের চেয়েও খরুচে বোলিং করে ১০ ওভারে ৯৫ রান দেন নান্দ্রে বার্গার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় খরুচে বোলিং এটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৬ সালে ১০ ওভারে ৯৬ রান দিয়েছিলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি ডেল স্টেইন। আর বার্গারের সমান ৯৫ রান দেওয়ার নজির আছে ওয়েইন পার্নেলের।
ইনিংস বিরতিতে যেন ভোজবাজির মতো বদলে গেল সব। যেখানে একের পর এক বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড, সেই একই উইকেটে দাঁড়াতেই পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। জফ্রা আর্চারের আগুনঝরা বোলিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড।
সাউদাম্পটনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৪২ রানে হারাল স্বাগতিকরা। ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় জয়ের বিশ্ব রেকর্ড। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৩১৭ রানের জয় ছিল আগের রেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ৪১৪ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। জবাবে আর্চারের গতির ঝড় আর আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে মাত্র ৭২ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। পায়ের চোটে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি টেম্বা বাভুমা। তাই ৯ উইকেটে থামে তারা।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান করেও জিতল না জিম্বাবুয়ে |
![]() |
অল্পের জন্য আরেকটি বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে বেঁচে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। সিডনিতে ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে ৯ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন আর্চার। এই ৪টি উইকেটই নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে নেন এই গতিতারকা। তখন তার বোলিং ফিগার ছিল ৫-৩-৫-৪! অর্থাৎ পাঁচ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট।
এছাড়া আদিল রশিদ ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। আর্চারের নতুন বলের সঙ্গী ব্রাইডন কার্স নেন ৩৩ রানে ২ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন সাত নম্বরে নামা কর্বিন বশ। আট নম্বরে নামা কেশভ মহারাজের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এই দুজনের কল্যাণেই মূলত পঞ্চাশের আগে গুটিয়ে যায়নি আগেই সিরিজ জিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড |
![]() |
বিশ্ব রেকর্ড গড়লেও সিরিজের ট্রফি জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। কারণ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই ২৭ বছরের অপেক্ষা দূর করেছে প্রোটিয়ারা।
এর আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৫ উইকেটে ৪১৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এর আগে সফরকারীদের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৯৯ রান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
ইংল্যান্ডের রেকর্ডের দিনে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কোডি ইউসুফের। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮০ রান, ছিল উইকেটশূন্য। ওয়ানডে অভিষকে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার এখন তিনি।
আরও পড়ুন
সিনারের পাঁচ না আলকারাজের ছয় |
![]() |
তবে এই ম্যাচে ইউসুফের চেয়েও বেশি রান বিলিয়েছেন নান্দ্রে বার্গার। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৫ রান। এটাই ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং এই পেসারের।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংলিশ ব্যাটাররা। ওপেনার জেমি স্মিথ ৪৮ বলে ৬২ ও বেন ডাকেট করেন ৩১ রান। তিন ও চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেন রুট ও বেথেল। ৯৬ বলে ১০০ রান আসে রুটের ব্যাট থেকে। ওয়ানডেতে ১৯তম সেঞ্চুরি করতে ৬টি চার মারেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
বেথেল অবশ্য আক্রমণাত্মক ছিলেন বেশি। ৮২ বলে ১১০ রান করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৩২ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ৮ বলে ১৯ রান করেন উইল জ্যাকস। করবিন বোশ ও কেশভ মহারাজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।