
গত বছর হয়ে যাওয়া জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের রেশ পড়েছে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে আবাহনীর সাফল্যে এতোটাই ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রতিপক্ষ সমর্থকরা যে, সরকার পতনের পর ক্লাব ভবনের শোকেশে সাজানো ট্রফিগুলো লুট করে নিয়েছিল দুবৃত্তরা! আবাহনী ক্রিকেট দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো লিমিটেড জন-আক্রোশে পড়ায় এবং এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কারাবন্দি হওয়ায় ক্রিকেট টিম গঠন নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়তে হয় আবাহনীর পরীক্ষিত সংগঠকদের।
গতবার যেখানে আবাহনীতে ছিল তারকার সমাবেশ, সেখানে এবার জোড়াতালি দিয়ে একটা মিডিওকার দল তৈরি করাই ছিল এক ধরণের চ্যালেঞ্জ। অথচ, আবাহনী ক্রিকেট কমিটির দায়িত্ব নিয়ে পরিচালক তানভীর মাজহার তান্না, শেখ বশির আল মামুন এবং ক্রিকেট কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্ব ফিরে পাওয়া জি এস হাসান তামিম আবাহনী সমর্থকদের করেছেন চাঙ্গা। সর্বশেষ আসরে সাড়ে ৮ কোটি টাকা বাজেটের টিমের চ্যাম্পিয়নশিপে ছিল কলঙ্কের দাগ। এবার একই অঙ্কের বাজেটে দল গঠন করে রানার্স আপের সস্তুষ্টি নিয়ে লিগ শেষ করেছে তামিম-মুশফিক-রিয়াদ-হৃদয়দের মোহামেডান।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে আবাহনী ক্রিকেট দলের ৭ বার লিগের ট্রফি জয়ের প্রতিটিতেই ছিল প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং। এবার সেই কলঙ্কের দাগ পড়েনি আবাহনী ক্রিকেট দলের গাঁয়ে।
তাতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর ক্রিকেট কমিটির সেক্রেটারি জি এস হাসান তামিম। “অনেক দিন পর ক্রিকেট লিগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মোহামেডান-আবাহনী মুখোমুখি হয়েছে। এ এক অন্য উত্তেজনা। এবার আর কেউ বলতে পারবে না, আবাহনী আম্পায়ারদের ফেভার পেয়েছে। এভাবে ফেয়ার প্লে-তে ট্রফি জেতার মজা আলাদা।”
এবার আবাহনী ক্রিকেট টিম গঠনে যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে, তা স্বীকার করছেন তামিম। “বর্তমানে ক্লাবের যে পরিস্থিতি, তাতে আবাহনী ক্লাবকে টাকা দেয়ার মতো লোকের এখন বড়ই অভাব। তাই এবার আড়াই কোটি টাকার মধ্যে টিমের বাজেট রাখতে চেয়েছি।”
তামিম-তাওহিদ হৃদয়রা মোহামেডানে খেলে যেখানে ৬০-৭০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন, সেখানে আবাহনী থেকে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা সম্মানী পেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, এমনটাই জানিয়েছেন জি এস হাসান তামিম। “শান্ত যে মানের ক্রিকেটার, ও-কে ছেড়ে দিলে চোখ বুজে ৫০-৬০ লাখ টাকা অন্য ক্লাব থেকে নিতে পারতো। আমরা সেখানে ৪০ লাখ টাকার মতো দিতে পারব বলে কথা দিয়েছি। আবাহনী নিবেদিতপ্রাণ মোসাদ্দেক সৈকতকে সেখানে ২৫ লাখ টাকায় রাজি করিয়েছি। গতবারের ২২ জন প্লেয়ারের মধ্যে বেশ ক'জনকে ছেড়ে দিয়েও তাই দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি।”
আবাহনী ক্রিকেট টিম এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন দৃষ্টান্ত আর কোনো দলের নেই। এবারের ট্রফি জয়ে কোচ হান্নান সরকারের অবদানকে এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট কমিটির সেক্রেটারি। “যখন শুনতে পেলাম জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাইছে হান্নান সরকার, তখন ও-কে কোচের অফার দিলাম। ১৫ লাখ টাকার মতো দিতে পারব বলেছিলাম তাকে। তারপরও হান্নানকে রাজি করাতে পেরেছি। হান্নান প্লেয়িং ক্যারিয়ারে আবাহনীতে খেলেছে, আবাহনী ক্লাবের পরিবেশ ওর জানা আছে। তাই তাকে তেমন কোনো নির্দেশনা দিতে হয়নি। হার-জিত বড় কথা নয়, টিম হিসেবে আবাহনী খেলতে পারলে খুশি আমরা, এটাই হান্নানকে বলেছিলাম। ও নিজ থেকে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল এবং সেই চ্যালেঞ্জে জিতেছে।”
এর-ওর কাছ থেকে টাকা পয়সা জোগাড় করে চুক্তির ৬০ শতাংশ পেমেন্ট খেলোয়াড়দের হাতে ইতোমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে আবাহনী ক্রিকেট দল। বাকিটাও খুব দ্রুত দিয়ে দেয়া হবে বলে বিদেশ থেকে ফোনে জানিয়েছেন জি এস হাসান তামিম। “আমার জানামতে প্রায় ৪০% পেমেন্ট এখন বাকি আছে। চ্যাম্পিয়ন যখন হয়েছি, তখন এই টাকা যোগাড় করা কঠিন হবে না।”
আবাহনী ক্রিকেট দলের সবার জন্য বিশেষ বোনাস দেয়ার কথাও ভাবছেন জি এস হাসান তামিম। “তান্না ভাই, মামুনের সঙ্গে কথা বলে ক্রিকেটার এবংসাপোর্ট স্টাফদের জন্য বোনাস দেয়ার কথা বলেছি। টিমের কেউ বোনাস থেকে বাদ যাবে না। বোনাস মিলে বাজেটটা ৩ কোটির মধ্যে রাখতে চাইছি।”
আবাহনীর ক্লাব টেন্ট থেকে লুট হয়ে যাওয়া ট্রফিগুলো ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রিকেট কমিটির সেক্রেটারি। তবে লুট হওয়া ট্রফির রুম আবারও ভরে উঠবে ট্রফিতে, সে স্বপ্ন দেখছেন এই কর্মকর্তা। “সব ট্রফি হারিয়ে নতুন করে ট্রফি সাজানোর স্বপ্ন দেখছি আমরা। এটাই আবাহনীর সৌন্দর্য।”
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম

তিনি যতটা না দৌড়েছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের টি-টোয়েন্টি লিগে বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ম্যাচে এডওয়ার্ডস ৮১টি বল মোকাবিলা করেছেন, যাতে ছিল ২৩টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮২।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সাব-অর্বস চার্চেস অ্যান্ড কমিউনিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এডওয়ার্ডস।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল না। ফলে ২০১৩ আইপিএলে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসই টি-টোয়েন্টিতে এখনো সর্বোচ্চ।
এদিন ২৩ বলে ফিফটি করেন এডওয়ার্ডস। ১১তম ওভারে করেন সেঞ্চুরি, ১৭তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২৯ রানে, আর দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং থামে ১১৮ রানে।

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।

বয়স ৪৩ পেরিয়ে ৪৪ বছরের পথে। তারপরও পেশাদার ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে অধিনায়কত্ব করবেন অ্যান্ডারসন। গত মৌসুমে দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। কিটন জেনিংসের পদত্যাগের পর এবার অ্যান্ডারসনকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৪ সালে ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান অ্যান্ডারসন। তবে নিজের শেকড় ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা থামাননি। ২০০২ সালে শুরু হওয়া তার ল্যাঙ্কাশায়ার ক্যারিয়ার এখনো চলছে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
অধিনায়কত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ডারসন বলেন,
‘ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হওয়া বিশাল সম্মানের। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের দুর্দান্ত মিশেল আছে। লক্ষ্য একটাই- প্রথম ডিভিশনে ফেরার লড়াইয়ে সফল হওয়া।’
২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু করবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানের রেকর্ড রান ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে সামির মিনহাজ ও আহমেদ হুসাইন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৩৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আলি রাজা ও মোহাম্মদ সায়্যামের তোপ দাগানো বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। যুব ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। রানের দিক থেকে পাকিস্তান পেল নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, সব দল মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সপ্তম।
মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস ছিল ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর! কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের ইনিংসগুলো—০, ৫, ৪, ৯, ৫, ৭, ৯, ২, ০, ১ ও ০। পাকিস্তানের দুই পেসার আলি রাজা ও মিনহাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া।
সেভেনহি সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়াজ পাত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশার। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ফেরেন ওপেনার উসমান খান (১)।
পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে দশম ওভারে টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার আলি হাসান বালুচকেও (১৪) ফেরান পেসার নাগিনেস্বরন সাথনাকুমারান। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে মিনহাজ ও আহমেদের ২৩৪ বলে ২৯৩ রান জুটিতে পাকিস্তান গড়ে ৩৪৫ রানের পাহাড়সম স্কোর।
১৪৮ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মিনহাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেছেন আহমেদ। মেরেছেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়লেন বাহরাইনের পেসার আলি দাউদ। ভুটানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর ৭/১৯ বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা।
শীর্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়তে হর্ষ ভরদ্বাজ। ২০২৪ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
নাইজেরিয়ার পিটার আহো ৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় চারে। ২০২১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে ভারতের পেসার দীপক চাহার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলে বাহরাইন। লক্ষ্য তাড়ায় নামার পর তৃতীয় ওভারেই আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারেই নেন দুই উইকেট।
মাঝে ভুটান চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু দাউদ আবারও আঘাত হানেন শেষ ভাগে। ১৬তম ওভারে নেন তিন উইকেট, পরের ওভারে নেন আরও দুই উইকেট।
দাউদের রেকর্ডে ভুটানকে ৩৫ রানে হারিয়েছে বাহরাইন।