১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৬:৩২ পিএম
ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশ নারী দলের। টানা তিন জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেছে টাইগ্রেসরা। তবে সুযোগ থাকছে এখনো। নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই মিলে যাবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই হারাতে হয় সোবহানা মোস্তারিকে। দলীয় ১৬ রানে ৬ রান করে ফেরেন সোবহানা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ফারজানা হক ও শারমিন আক্তার। গড়েন ১১৮ রানের জুটি।
দারুণ এই জুটি অবশেষে ভাঙে ফারজানা বিদায় নিলে। দলীয় ১৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের আগে ৭৮ বলে ৪২ রান করেন তিনি। শারমিন তুলে নেন অর্ধশতক। ৭৯ বলে ৬৭ রান করে তিনি বিদায় নেন ফারজানা সাজঘরে ফেরার ঠিক দু বল পর। আর তাতেই খেই হারায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
এক ইনিংসে যত রেকর্ড গড়লেন নিগার |
![]() |
এরপরের কারো ইনিংস পার হতে পারেনি ত্রিশের ওপর। নাহিদা আক্তারের ৩৯ বলে ২৫ ও রাবেয়া খানের ২০ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। শেষদিকে মাত্র ১ উইকেট হাতে রেখেই পাঁচটি চার হাঁকান রাবেয়া। ৪ উইকেট শিকার করা উইন্ডিজ পেসার আলিয়াহ অ্যালেইনের করা শেষ ওভার থেকে আসে ১৭ রান। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান হেলি ম্যাথিউস ও অ্যাফি ফ্লেচার।
২২৮ রানের টার্গেটে নেমে দলীয় ৭৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদের চাপে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। তবে এরপর চাপ সামলে খেলতে থাকে ক্যারিবীয়রা। অধিনায়ক হেলি ম্যাথিউস ৩৩ ও স্টেফানি টেইলর করেন ৩৬ রান। শেষমেশ চিনেলে হেনরির ব্যাটে জয়ের দেখা পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন হেনরি।
৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে মারুফা আক্তার নেন জোড়া উইকেট। সুমনা, নাহিদা, রাবেয়া, ফাহিমা ও রিতু মনির শিকার ১ টি করে।
এই হারে টানা ৩ ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপে জায়গা করার পথটা কঠিন হলো কিছুটা। শেষ ম্যাচে শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হারলেও নেট রানরেটে উতরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে জ্যোতিদের। তবে চেয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে।
আরও পড়ুন
টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল |
![]() |
আসরের অন্যতম ফেভারিট দল হোস্ট পাকিস্তান। তাই ওদের সাথে জিততে ঘাম ঝড়াতে হতে পারে বাংলাদেশকে। তবে সমীকরণের মারপ্যাচে না পড়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পাকিস্তানকে হারাতেই হবে টাইগ্রেসদের।
No posts available.
২০০০-২০০১ মৌসুমে ৮ দলের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) আয়োজনে তৎকালীন ৬টি বিভাগীয় দলের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ঢাকা মেট্রোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। জাতীয় ক্রিকেট লিগে অভিষেকের পর সেই আসরেই থেমে গিয়েছিল বিমানের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোর যাত্রা। ২০১১-১২ মৌসুমে রংপুর বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করায় ৮ দলের জাতীয় লিগ আয়োজনে ঢাকা মেট্রোকে পুনরায় দেয়া হয় দেশের প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ। সেই থেকে টানা ১৩টি আসরে অংশ নিয়েছে ঢাকা মেট্রো। ১৪টি আসরে অংশ নিয়ে রানার্স আপের স্বাদও পেয়েছে রাজধানীর প্রতিনিধিত্বকারী দলটি। সর্বশে মৌসুমে (২০২৪-২৫) রানার্স আপ ঢাকা মেট্রো। তবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের আসন্ন আসরে নতুন বিভাগ হিসেবে ময়মনসিংহকে খেলার সুযোগ দিয়ে ঢাকা মেট্রোকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুর্নামেন্ট কমিটি। বুধবার টুর্নামেন্ট কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
ঢাকা মেট্রো পরিচালনার দায়িত্ব শুরু থেকে ন্যস্ত হয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) উপর। তবে শুরু থেকে ব্যাক আপ দল হিসেবে জোড় মেলাতে এনসিএলে খেলার সুযোগ দেয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোকে। ২০০০-২০০১ সালে ঢাকা মেট্রোকে এনসিএলে খেলার সুযোগ দেয়া হয়েছে এই যুক্তিতে। পরের মৌসুমে ঢাকা মেট্রোকে বাদ দেয়ার পেছনেও একই কারণ। ১০ বছর পর ২০১১-১২ মৌসুমে ঢাকা মেট্রোকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সেখানেও কারণ একই। আবার ২০২৫-২৬ মৌসুমে ঢাকা মেট্রোকে বাদ দেয়ার কারণও অভিন্ন। ময়মনসিংহকে অন্তর্ভুক্ত করায় ঢাকা মেট্রোকে বাদ না দিলে অংশগ্রহনকারী দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯ এ। অংশগ্রহনকারী দলসমূহের সংখ্যা জোড় না হলে সূচি তৈরিতে সমস্যা হয়, ঢাকা মেট্রোকে বাদ দেয়ার সপক্ষে এটাই যুক্তি বিসিবির হেড অব ক্রিকেট অপারেশন্স হাবিবুল বাশার সুমনের-' ৯টি দলকে নিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ যদি সিঙ্গল লিগ ফরম্যাটেও আয়োজনেও সূচি তৈরি করতে সমস্যা হবে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের পরিধি বেড়ে যাবে।'
তবে ঢাকা মেট্রোর হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে এক দশক পার করা সামছুর রহমান শুভ-সাদমান ইসলাম অনীকদের বক্তব্য ভিন্ন। কোয়াবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং বিসিবির কাউন্সিলর সামছুর রহমান শুভর বক্তব্য-' বিপিএলে তো ৭টা ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে খেলা হয়। সেখানে তো সূচি তৈরিতে সমস্যা হয় না। জাতীয় লিগে ৯টি টিম খেললে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১৫-২০জন বেশি ক্রিকেটারের খেলার সুযোগ থাকবে। আমরা হিসাব করে দেখছি ৮টি দলকে নিয়ে জাতীয় লিগ আয়োজন করতে হলে যতোটা সময় লেগে যায়, তার চেয়ে এক সপ্তাহ বেশি দরকার হবে ৯টি দলকে নিয়ে এনসিএল আয়োজনে। ময়মনসিংহ বিভাগের অংশগ্রহনকে অবশ্যই সমর্থন করি। তবে এনসিএলে রাজধানীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, তা কী করে হয় ?'
ঢাকা মেট্রোকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না সিসিডিএম-এর নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-' সর্বশেষ আসরে ঢাকা মেট্রো রানার্স আপ। ঢাকা মেট্রোতে যারা দীর্ঘদিন ধরে খেলছে, তাদের মধ্যে বন্ডিংটা দারুণ। এমন একটা সময়ে ঢাকা মেট্রোকে এনসিএল থেকে বাদ দিলে সিসিডিএমকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।'
এনসিএলে এখন ম্যাচ ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার টাকা। ৯টি দলকে নিয়ে আসরটি আয়োজন করা হলে অপরিহার্য ক্রিকেটারদের এক একজন ম্যাচ ফি থেকে ৮ ম্যাচে পাবেন ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতা, যাতায়ত খরচা তো আছেই। অংশগ্রহনকারী দলের সংখ্যা বেড়ে গেলে বাজেটও যাবে বেড়ে। তবে ২১ অক্টোবর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ শুরু হয়ে নভেম্বরের পুরোটা সময় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ চলাকালে জাতীয় লিগ ভুগবে খেলোয়াড় সংকটে। এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে টুর্নামেন্ট কমিটি এবং নির্বাচকদের।
পরিস্থিতির মুখে ৯টি দলকে নিয়ে এনসিএল আয়োজন অসম্ভব বলে মনে করছেন হাবিবুল বাশার সুমন-' আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে এনসিএল শুরু হবে। হাতে সময় মাত্র ১০ দিন। প্রতিটি দলের প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। ম্যাচ ভেন্যুতে দলগুলোকে আগে-ভাগে পাঠাতে হবে। ইতোমধ্যে ৮টি টিম চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন কীভাবে ঢাকা মেট্রোকে নিব ?'
তবে ঢাকা মেট্রোর খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়া আছে বলেই এই দলটির অধিকাংশ খেলোয়াড় ময়মনসিংহ বিভাগীয় দলের হয়ে খেলবে, এমনটাই জানিয়েছেন হাবিবুল বাশার সুমন-' ঢাকা মেট্রোর বেশ ক'জন খেলোয়াড়রা ময়মনসিংহ বিভাগের হয়ে খেলবে। ঢাকা বিভাগীয় দলে যেসব ক্রিকেটারের বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগে, তাদেরকেও এই দলে রাখা হয়েছে। মোসাদ্দেক যেহেতু ময়মনসিংহের ছেলে, তাই রাখা হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় দলে।'
ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রিকেট দল গঠনে ঠিকই ঢাকা মেট্রোর ক্রিকেটারদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একজন কিংবা দুই জন নয়, নির্বাচকরা ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য যে ২০ জন ক্রিকেটারের নাম প্রস্তাব করেছেন তার মধ্যে ১২ জন সর্বশেষ আসরের রানার্স আপ ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলেছেন। ঢাকা মেট্রোর সামছুর রহমান শুভ, নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহফিজুল ইসলাম, আনিসুল ইসলাম ইমন, আবু হায়দার রনি, মারুফ মৃধা, আরিফ আহমেদ,শহিদুল ইসলাম সিয়াম, এইচ মোল্লা, রাকিবুল হাসান এবং আল আমিন জুনিয়রের ঠিকানা এখন ময়মনসিংহ বিভাগ। ঢাকা বিভাগীয় ক্রিকেট দল থেকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবদুল মজিদ এবং শুভাগতহোম চৌধুরীকে পাঠানো হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
বিসিবি যখন রিজিওনাল ক্রিকেট প্রবর্তনের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে, তখন ঢাকা মেট্রোও পড়বে এই ক্যাটাগরিতে। অথচ, রাজধানীর প্রতিনিধিত্বকারী এই দলটিকে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে!
যা হবার তাই হলো। বৃষ্টিতে ভেসে গেল পাকিস্তান–ইংল্যান্ডের নারী বিশ্বকাপের ম্যাচ। জয় প্রায় হাতের নাগালে রেখেও হতাশায় ফিরতে হলো ফাতিমা সানাদের। পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হয়েছে দুই দলকেই।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এটিই প্রথম পয়েন্ট। চার ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে দলটি এখন আট দলের মধ্যে আটে।
কলম্বোতে আজ ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই ছিল বৃষ্টির আনাগোনা। বৃষ্টির বাধায় ৩১ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের করা ১৩৩ রানের জবাবে ডিএলএস পদ্ধতিতে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১১ রান। জবাবে দুর্দান্ত সূচনা করে পাকিস্তান—৬.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ৩৪ রান। ওপেনার মুনিবা আলী ২২ বলে ৯ ও ওমাইমা সোহেইল ১৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
ঠিক তখনই আবার নামে বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর খেলা আর শুরু করা যায়নি। ফলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়, দুই দলকেই পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হয়।
এ নিয়ে কলম্বোতে টানা তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেল। ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণার পর হতাশ পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা বলেন, ‘আজ এমন একটা দিন ছিল, যখন আমরা তাদের হারাতে পারতাম। কিন্তু সেটা আমাদের হাতে ছিল না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা পরিস্থিতি ভালোভাবেই জানতাম। জানতাম, এই উইকেট পেসারদের জন্য সহায়ক। জানতাম, এটা আমাদের জন্য ভালো সুযোগ ছিল—কিন্তু সেটা আর হলো না।’
অবশেষে বিশ্বকাপের টিকিট পেল নেপাল ও ওমান। ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দুই দলই। ওমানের আল–আমেরাতে অনুষ্ঠিত পূর্ব এশিয়া–প্যাসিফিক (এশিয়া–ইএপি) বাছাইয়ের সুপার সিক্স পর্বে শেষ দিনের খেলা শুরুর আগেই নিশ্চিত হয় তাদের বিশ্বকাপযাত্রা।
দিনের প্রথম ম্যাচে সামোয়াকে ৭৭ রানে হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই ফলেই নেপাল ও ওমানের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যায়। জয়ের পরও ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আমিরাত। তিনটি করে ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওমান এবং সমান পয়েন্টে নেট রান রেটে দ্বিতীয় স্থানে নেপাল।
বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার পথে নেপালের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন লেগ–স্পিনার সন্দীপ লামিচানে। চার ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১০ উইকেট। সমানভাবে উজ্জ্বল ছিলেন ওমানের বোলার জিতেন রমনন্দি, চার ম্যাচে তাঁর শিকার ৭ উইকেট।
এশিয়া–ইএপি অঞ্চল থেকে নেপাল ও ওমান ছাড়াও আরও একটি দল ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাবে। আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে আচরণবিধি ভেঙে জরিমানা গুণতে হচ্ছে আফগানিস্তানের ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে। তাকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সঙ্গে নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। গত দুই বছরে এটাই তার প্রথম শাস্তি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের তৃতীয় ওয়ানডেতে এ ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৩৭তম ওভারে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ব্যাট দিয়ে সরঞ্জামে আঘাত করেন ইব্রাহিম। এটিকে মাঠ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম অপব্যবহার হিসেবে গণ্য করেছে আইসিসি।
আইসিসির আচরণবিধির ২.২ ধারা অনুযায়ী, লেভেল ১ পর্যায়ের অপরাধ করেছেন ইব্রাহিম। এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকেট বা মাঠ সংশ্লিষ্ট যেকোনো সরঞ্জামে অপ্রয়োজনীয় ও আগ্রাসী ব্যবহার নির্দেশ করে। এই ধরনের অপরাধের শাস্তি হিসেবে খেলোয়াড়কে সতর্কবার্তা, ম্যাচ ফি’র সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে।
ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম লা ব্রয়ের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন ইব্রাহিম। তাই আলাদা শুনানির প্রয়োজন হয়নি। অভিযোগটি করেছেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও আহমাদ দুররানী, তৃতীয় আম্পায়ার আকবর আলী এবং চতুর্থ আম্পায়ার ইজাতুল্লাহ সাফি।
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশে বড় ভূমিকা রেখেছেন রশিদ খান। তিন ম্যাচে মোট ১১ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই লেগ স্পিনার। মেহেদী হাসান মিরাজদের ৩-০ ব্যবধানে হারানোর সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৮ রানে ৩, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ রানে ৫ এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হলেও বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছে না আফগানিস্তান। ২০ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে তারা। সেই ম্যাচে বিশ্রামে থাকবেন রশিদ খান। তবে পরবর্তী তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে ফিরবেন এই তারকা বোলার। টেস্টে আফগানিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন হাশমতুল্লাহ শহীদি।
আফগানদের টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। ঘরোয়া ক্রিকেটে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে ডানহাতি পেসার জিয়াউর রহমান, বাঁহাতি স্পিনার শরাফউদ্দিন আশরাফ এবং লেগ স্পিনার খালিল গুরবাজ দলে ডাক পেয়েছেন। বাঁহাতি অলরাউন্ডার শহিদুল্লাহ আছেন দুই সংস্করণেই।
আরও পড়ুন
‘ইচ্ছে করে কেউ খারাপ খেলে না’ |
![]() |
টেস্ট দলে রয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, বাহির শাহ, উইকেটরক্ষক আফসার জাজাই ও ইকরাম আলিখিল। টি-টোয়েন্টিতে রশিদের ডেপুটি থাকবেন ইব্রাহিম জাদরান। দলে ফিরেছেন ইজাজ আহমাদ আহমদজাই। সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, নূর আহমদ ও পেসার ফারিদ মালিক।
২০ অক্টোবর শুরু হওয়া সফর চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। সফরে একটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে, সবগুলোই হারারেতে।
আফগানিস্তান টেস্ট দল:
হাশমতুল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আব্দুল মালিক, আফসার জাজাই (উইকেটকিপার), ইকরাম আলিখিল (উইকেটকিপার), বাহির শাহ, শহিদুল্লাহ, ইসমত আলম, শরাফউদ্দিন আশরাফ, জিয়াউর রহমান আকবর, ইয়ামিন আহমদজাই, জিয়া উর রহমান শরিফি, খালিল গুরবাজ, বাশির আহমদ।
রিজার্ভ: ইব্রাহিম আবদুর রহিমজাই, সিদিকুল্লাহ আতাল, শামস উর রহমান।
টি-টোয়েন্টি দল:
রশিদ খান (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান (সহ-অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সিদিকুল্লাহ আতাল, দারউইশ রাসুলি, শহিদুল্লাহ, ইজাজ আহমাদ আহমদজাই, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, শরাফউদ্দিন আশরাফ, নূর আহমদ, মুজিব উর রহমান, বাশির আহমদ, ফারিদ মালিক, আবদুল্লাহ আহমদজাই।
রিজার্ভ: এ.এম. ঘজনফার, ফরিদুন দাউদজাই।