
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মুমিনুল হক আশা করছিলেন ২৭০ থেকে ৩০০ রানের লিড নেওয়ার। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তার এমন প্রত্যাশা ভুল ছিল না। তবে ব্যাটারদের সেই দায়িত্বটা তো বুঝতে হবে এবং মাঠে করে দেখাতে হবে। এর কিছুই হলো না চতুর্থ দিনে। ভালো অবস্থানে থেকেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দুইশর কম টার্গেট দিতে পারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পুরো ম্যাচে হতাশ করা বোলাররাও পারলেন না বিশেষ কিছু করে দেখাতে। রান তাড়ায় কিছুটা নাটকীয়তা জন্ম দেওয়ার পর রেকর্ড গড়ে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল জিম্বাবুয়ে।
সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ১৭৪ রানের টার্গেটে জিম্বাবুয়ে জয় তুলে নিয়েছে ৩ উইকেটের। দুই ম্যাচের সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার শান্ত ও জাকের আলি অনিকের কাছে দলের আশা ছিল বড় একটা জুটির, যা দলকে নিয়ে যেতে পারত সুবিধাজনক অবস্থায়। তবে একরাশ হতাশারই জন্ম দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দিনের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই তাকে আউট করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। বাউন্সারে টাইমিং না করতে পেরে লং লেগে ক্যাচ তুলে ৬০ রানে থামে শান্তর ইনিংস।
বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ভীতি সঞ্চার করার মুজারাবনি এরপর দেখা পেয়ে যান ফাইফারের। স্রেফ ১১ রানেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজকে। তাইজুল ইসলামও অল্পে ফিরলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে লড়াই চালান জাকের ও হাসান মাহমুদ মিলে।
ওভারের পর হাসান কাটিয়ে দেন ব্লক করে। আর অন্যপ্রান্তে সুযোগ বুঝে রান বের করা জাকের আলি তুলে নেন ফিফটি। তবে হাসানের ওপর অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখার কারণেই কিনা, একটা পর্যায়ে গিয়ে তাকে ওভারের পাঁচটা ডেলিভারিই খেলার ভার দিয়ে দেন জাকের। শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হয় দলের জন্য।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার পরপর দুই বলে দুই উইকেট পতনের পর দ্রুত রান বের করার চেষ্টায় ৫৮ রানে থামতে হয় দারুণ এক ইনিংস খেলা জাকেরকে। ৭২ রানে ৬ উইকেট নেন মুজারাবানি।
চতুর্থ ইনিংসে ১৭৪ বা তার বেশি রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে নেই। সেই কারণেই হয়ত ব্যাটিং সহায়ক এই উইকেটেও কিছুটা জয়ের আশা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সেটা মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি খুব একটা। প্রথম দশ ওভারে পেসার ও স্পিনাররা কেউই পারেননি ব্যাটারদের চাপে রাখতে।
উল্টো জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার রান করতে থাকেব ইতিবাচক ব্যাটিংয়েই। উইকেটের জন্য মরিয়া হওয়ার কারণেই কিনা, প্রতি ওভারেই দেখা মেলে বাজে ডেলিভারির। ফলে চার-ছক্কায় সহজেই রানের চাকা সচল রাখেন ব্যাটাররা। আর এতে দ্রুতই ম্যাচের লাগাম একেবারেই চলে যায় জিম্বাবুয়ের হাতে।
অবশেষে দলীয় শতক থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে আসে ব্রেকথ্রু। মিরাজের বলে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বেন কারান। তবে তার আগে উপহার দেন ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। স্পেলে শুরু থেকেই এলোমেলো বোলিং করা আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম অন্যপ্রান্তে ছন্দ খুঁজে পান নিক ওয়েলচকে ফিরিয়ে। ২ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে চার বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে দরকার ছিল দ্রুত কয়েকটি উইকেট। আর মিরাজের হাত ধরে সেটা চলেও আসে। প্রথমে সিন উইলিয়ামসকে শিকারের পর ইনিংসের ৩৩তম ওভারে এনে দেন বড় উইকেট। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫৮ রান করা ব্রায়ান বেন্নেট। ১২৮ রানে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার আভাস জাগে বাংলাদেশ দলে।
সেই পালে আরও হাওয়া দেন তাইজুল। লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিন। পরের ওভারে ফের উইকেট। দারুণ এক টার্নিং ডেলিভারিতে নায়াশা মায়াভোকে ক্লিন বোল্ড করে ইনিংসে চতুর্থ উইকেটের দেখা পান মিরাজ।
ক্রমেই জমা ওঠে ম্যাচে এরপর বাংলাদেশকে কিছুটা চাপে ফেলে ওইয়েলিংটন মাসাকাদজা। তাইজুলের পরপর দুই ওভারে ছক্কা ও চার মেরে অনেকটাই চাপ সরান। জিম্বাবুয়ের দরকার যখন আর মাত্র ১৩ রান, ঠিক তখন ফের বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে হাজির হন মিরাজ। মাসাকাদজাকে বোল্ড করে প্রাণ ফেরার স্বাগতিক শিবিরে।
তবে ওই ওভারেই চার মেরে জিম্বাবুয়েকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রিচার্ড এনগারভা। তাইজুলের করা পরের ওভারের প্রথম বলেই আসে আরেকটি চার। খানিক বাদে ওয়েসলি মাধেভেরের আরেকটি বাউন্ডারিতে ঐতিহাসিক এক জয় নিশ্চিত হয় জিম্বাবুয়ের। বিফলে যায় মিরাজের ৫৪ রানে ৫ উইকেটের দারুণ এক স্পেল।
No posts available.
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৫২ পিএম

ক্রিকেটে প্রায়ই বলা হয়, ফর্ম ক্ষণস্থায়ী তবে ক্লাস চিরস্থায়ী। আরও একবার যেন সেই কথারই প্রমাণ দিলেন সাকিব আল হাসান। আইএল টি-টোয়েন্টিতে শেষ দিকে এসে একসঙ্গে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন সাকিব, জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার ডেজার্ট ভাইপার্সকে ৪ উইকেটে হারায় সাকিবের এমআই এমিরেটস। আগে ব্যাট করে ১২৪ রান করে ভাইপার্স। জবাবে ১৮তম ওভারে সাকিবের ব্যাট থেকেই আসে জয়সূচক বাউন্ডারি।
বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে ১৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার৷ এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনিই পান ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তার এটি ৪৫তম ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার আছে শুধু ক্রিস গেইল (৬০), কাইরন পোলার্ড (৪৮) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (৪৮)। এছাড়া সাকিবের সঙ্গী আছেন অ্যালেক্স হেলস ও রশিদ খান।
তবে টুর্নামেন্ট বা সিরিজ সেরার পুরস্কারে সাকিবই সবার ওপরে। এখন পর্যন্ত ৮ বার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ বার আছে ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির।
ভাইপার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি চলতি টুর্নামেন্টের সাকিবের তৃতীয়। আগের দুই ম্যাচে দুই ওভার করে বোলিং করলেও সাফল্য পাননি। উল্টো খরুচে বোলিং করায় টানা চার ম্যাচ ছিলেন একাদশের বাইরে। এবার নিজের সেরা ছন্দ ফিরিয়ে দলকে জেতালে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
ভাইপার্সের ইনিংসে সপ্তম ওভারে আক্রমণে আসেন সাকিব। ওভারের শেষ বলে স্কিড করা ডেলিভারি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি ফখর জামান। দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প এলোমেলো করে তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন নিকোলাস পুরান।
পরের ওভারে আর কারও সহায়তার প্রয়োজন পড়েনি সাকিবের। চমৎকার ডেলিভারিতে স্যাম কারানকে বোকা বানিয়ে ফিরতি ক্যাচ নেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ স্পিনার। দুই ওভার শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ২-০-৮-২!
পরের দুই ওভারেও দারুণ বোলিং করেন সাকিব। তার শেষ ওভারে রিভার্স সুইপ খেলেন ড্যান লরেন্স। অল্পের জন্য থার্ড ম্যানে ক্যাচ নিতে পারেননি জহুর খান। তাই আর উইকেট পাওয়া হয়নি সাকিবের। শেষ পর্যন্ত ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়েই থামতে হয় তার।
পরে ছোট লক্ষ্যে তাড়াহুড়ো না করে একপ্রান্ত আগলে রেখে ২৫ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। প্রশ্ন উঠতে পারে তার স্ট্রাইক রেট (৬৮.০০) নিয়ে। পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে তিনি নিজেই দিয়েছেন ব্যাখ্যা।
“ম্যাচের উইকেট স্পিন সহায়ক ছিল। ব্যাটিং করা একদমই সহজ ছিল না। আমি জানি যে, আমাদের দলে অনেক ভালো সিক্স হিটার আছে। তাই আমি নেগেটিভ রোল (ধরে খেলা) পালন করেছি। সব মিলিয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে খুব খুশি।”

প্রথম ওভারেই ফখর জামানকে ফেরালেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে তার শিকার স্যাম কারান। বাকি দুই ওভারেও চমৎকার বোলিং করলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। সব মিলিয়ে তার সেরা ছন্দের দেখাই মিলল আইএল টি-টোয়েন্টির ম্যাচে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ইনিংসে তিনিই দলের সেরা বোলার। সাকিবের ঘূর্ণি জাদুর দিনে ভাইপার্সকে মাত্র ১২৪ রানে আটকে দিয়েছে এমআই এমিরেটস।
চলতি টুর্নামেন্টের সাকিবের এটি তৃতীয় ম্যাচ। আগের দুই ম্যাচে দুই ওভার করে বোলিং করলেও কোনো সাফল্য পাননি। উল্টো খরুচে বোলিং করায় টানা চার ম্যাচ ছিলেন একাদশের বাইরে। এবার নিজের সেরা ছন্দ ফিরিয়ে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
ভাইপার্সের ইনিংসে সপ্তম ওভারে আক্রমণে আসেন সাকিব। ওভারের শেষ বলে স্কিড করা ডেলিভারি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি ফখর জামান। দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প এলোমেলো করে তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন নিকোলাস পুরান।
পরের ওভারে আর কারও সহায়তার প্রয়োজন পড়েনি সাকিবের। চমৎকার ডেলিভারিতে স্যাম কারানকে বোকা বানিয়ে ফিরতি ক্যাচ নেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ স্পিনার। দুই ওভার শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ২-০-৮-২!
পরের দুই ওভারেও দারুণ বোলিং করেন সাকিব। তার শেষ ওভারে রিভার্স সুইপ খেলেন ড্যান লরেন্স। অল্পের জন্য থার্ড ম্যানে ক্যাচ নিতে পারেননি জহুর খান। তাই আর উইকেট পাওয়া হয়নি সাকিবের। শেষ পর্যন্ত ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়েই থামতে হয় তার।

শারজায় আজ নিজের কাটার জাদুতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ৩৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। তাঁর বোলিং নৈপুণ্যে গালফ জায়ান্টসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দুবাই ক্যাপিটালস।
প্রথম ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয় গালফ জায়ান্ট। জবাবে ৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দুবাই। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল গালফ। ১৩ ওভার শেষে যখন দলীয় রান ৩ উইকেটে ১১০, তখন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। জেমস ভিন্স ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই জুটি বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিলেন। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে ভিন্সকে আউট করেন মোস্তাফিজ। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ওমরজাই ও শন ডিকসনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক না হলেও তাঁর এই দুর্দান্ত ওভারেই ম্যাচে ফেরে ক্যাপিটালস। শেষ পর্যন্ত সেটি পূর্ণতা পায় দারুণ জয়ে।
ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতে মোস্তাফিজ বলেন,
‘স্লোয়ার বল আমার সহজাত। শুরু থেকেই আমি এটা করতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, এই বলেই আমি সফল হব। দলের প্রয়োজনে সবসময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’

বিগ ব্যাশে গত ম্যাচে দুই উইকেট পান রিশাদ। তবে সেই ম্যাচে জয় পায়নি তার দল হোবার্ট হারিকেনস। রোববার এই লেগ-স্পিনারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয়ে ফিরেছে হোবার্ট। মেলবোর্ন রেনেগাডসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রিশাদের দল।
কার্ডিনিয়া ওভালে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে মেলবোর্ন। জবাবে নিখিল চৌধুরী (৭৯*) ও বেন ম্যাকডারমটের (৪৯*) অপরাজিত ইনিংসে ৩৭ বল হাতে রেখে জয় পায় হোবার্ট। চলতি মৌসুমে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
টস হেরে মেলবোর্নকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় হোবার্ট। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে টিম সেইফার্ট (৩৪) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের (৩২) ব্যাট থেকে।
এদিন পাওয়ার প্লের পঞ্চম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন হোবার্ট অধিনায়ক নাথান এলিস। নিজের প্রথম ওভারে ১ বাউন্ডারিসহ ৭ রান দেন রিশাদ। সপ্তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও ৭ রান দেন রিশাদ।
এরপর ১১ তম ওভারে আবারো বোলিংয়ে আসেন রিশাদ। এই ওভারে আঁটশাট বোলিং করে মাত্র তিন দেন। এরপর নিজের শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পান রিশাদ।
১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে জ্যাক-ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে বোল্ড করেন এই লেগ-স্পিনার। তার শেষ ওভারে আসে ৪ রান। প্রথম স্পেলে ১৪ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় স্পেলে ৬ রান খরচায় ১ উইকেট তুলে নেন। মোট ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রিশাদ।
বিগ ব্যাশে নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে পূর্ণ চার ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন রিশাদ। দ্বিতীয় ম্যাচে মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে ৩৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন, আর প্রথম ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করে উইকেট শুন্য ছিলেন এই লেগ-স্পিনার।
হোবার্টের ইংলিশ পেসার ক্রিস জর্ডান ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন।

অ্যাশেজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়াকে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল দল বলেছিলেন সাবেক ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। সেই দলটিই দুই ম্যাচ হাতে রেখে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জিতে নিয়েছে অ্যাশেজ। ম্যাচ শেষে ব্রডের কথার জবাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন।
অক্টোবরে ব্রড বলেন, ২০১০–১১ মৌসুমে ইংল্যান্ড যে দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিতেছিল, তার পর থেকে এটি সবচেয়ে দুর্বল অজি দল। সেই সিরিজে দুটি টেস্ট খেলেছিলেন ব্রড নিজেও।
আজ সিরিজ জয় নিশ্চিতের পর ব্রডের সেই কথার জবাবে লাবুশেন বলেন,
‘১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল দল বলা হয়েছিল আমাদের। এখন ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় বসে থাকতে মন্দ লাগছে না।‘
অ্যাডিলেড টেস্টে ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড আজ অলআউট হয়েছে ৩৫২ রানে। ৮২ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। পুরো ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৩৮ জন। এর আগে পার্থ ও ব্রিসবেন টেস্টে ৮ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিকরা।
তবে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেই তৃপ্তির ঠেকুর তুলতে চান না অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা। অজি ব্যাটার লাবুশেন জানান,
‘কাজ এখনও শেষ হয়নি, আমরা চাই ৫-০ ব্যবধানে জিতেই অ্যাশেজ শেষ করতে।‘
চলতি অ্যাশেজে চোটের কারণে শুরু থেকেই পূর্ণ শক্তির দল পায়নি অস্ট্রেলিয়া। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স চোটের কারণে খেলতে পারেননি প্রথম দুই টেস্টে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউড। দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়েন নাথান লায়নও।
প্রথম দুই ম্যাচে নিয়মিত বোলিং আক্রমণ থেকে একমাত্র সদস্য ছিলেন মিচেল স্টার্ক। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথম দুই টেস্টে ম্যাচসেরা হন স্টার্ক। চলতি অ্যাশেজের প্রথম তিন টেস্টে এই বাহাতি পেসারের উইকেট এখন ২২।
পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলেও ম্যাচ জেতার উপায় অস্ট্রেলিয়া খুঁজে নেয় বলে জানান স্টার্ক।
’আমরা কোনো না কোনোভাবে পথ বের করে নিই। অনেক বছর ধরেই এই দলটার একটা বৈশিষ্ট্য এটা। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলেও আমরা ম্যাচ জেতার উপায় খুঁজে নিই।‘