তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মুমিনুল হক আশা করছিলেন ২৭০ থেকে ৩০০ রানের লিড নেওয়ার। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তার এমন প্রত্যাশা ভুল ছিল না। তবে ব্যাটারদের সেই দায়িত্বটা তো বুঝতে হবে এবং মাঠে করে দেখাতে হবে। এর কিছুই হলো না চতুর্থ দিনে। ভালো অবস্থানে থেকেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দুইশর কম টার্গেট দিতে পারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পুরো ম্যাচে হতাশ করা বোলাররাও পারলেন না বিশেষ কিছু করে দেখাতে। রান তাড়ায় কিছুটা নাটকীয়তা জন্ম দেওয়ার পর রেকর্ড গড়ে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল জিম্বাবুয়ে।
সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ১৭৪ রানের টার্গেটে জিম্বাবুয়ে জয় তুলে নিয়েছে ৩ উইকেটের। দুই ম্যাচের সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার শান্ত ও জাকের আলি অনিকের কাছে দলের আশা ছিল বড় একটা জুটির, যা দলকে নিয়ে যেতে পারত সুবিধাজনক অবস্থায়। তবে একরাশ হতাশারই জন্ম দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দিনের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই তাকে আউট করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। বাউন্সারে টাইমিং না করতে পেরে লং লেগে ক্যাচ তুলে ৬০ রানে থামে শান্তর ইনিংস।
বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ভীতি সঞ্চার করার মুজারাবনি এরপর দেখা পেয়ে যান ফাইফারের। স্রেফ ১১ রানেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজকে। তাইজুল ইসলামও অল্পে ফিরলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে লড়াই চালান জাকের ও হাসান মাহমুদ মিলে।
ওভারের পর হাসান কাটিয়ে দেন ব্লক করে। আর অন্যপ্রান্তে সুযোগ বুঝে রান বের করা জাকের আলি তুলে নেন ফিফটি। তবে হাসানের ওপর অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখার কারণেই কিনা, একটা পর্যায়ে গিয়ে তাকে ওভারের পাঁচটা ডেলিভারিই খেলার ভার দিয়ে দেন জাকের। শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হয় দলের জন্য।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার পরপর দুই বলে দুই উইকেট পতনের পর দ্রুত রান বের করার চেষ্টায় ৫৮ রানে থামতে হয় দারুণ এক ইনিংস খেলা জাকেরকে। ৭২ রানে ৬ উইকেট নেন মুজারাবানি।
চতুর্থ ইনিংসে ১৭৪ বা তার বেশি রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে নেই। সেই কারণেই হয়ত ব্যাটিং সহায়ক এই উইকেটেও কিছুটা জয়ের আশা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সেটা মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি খুব একটা। প্রথম দশ ওভারে পেসার ও স্পিনাররা কেউই পারেননি ব্যাটারদের চাপে রাখতে।
উল্টো জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার রান করতে থাকেব ইতিবাচক ব্যাটিংয়েই। উইকেটের জন্য মরিয়া হওয়ার কারণেই কিনা, প্রতি ওভারেই দেখা মেলে বাজে ডেলিভারির। ফলে চার-ছক্কায় সহজেই রানের চাকা সচল রাখেন ব্যাটাররা। আর এতে দ্রুতই ম্যাচের লাগাম একেবারেই চলে যায় জিম্বাবুয়ের হাতে।
অবশেষে দলীয় শতক থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে আসে ব্রেকথ্রু। মিরাজের বলে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বেন কারান। তবে তার আগে উপহার দেন ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। স্পেলে শুরু থেকেই এলোমেলো বোলিং করা আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম অন্যপ্রান্তে ছন্দ খুঁজে পান নিক ওয়েলচকে ফিরিয়ে। ২ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে চার বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে দরকার ছিল দ্রুত কয়েকটি উইকেট। আর মিরাজের হাত ধরে সেটা চলেও আসে। প্রথমে সিন উইলিয়ামসকে শিকারের পর ইনিংসের ৩৩তম ওভারে এনে দেন বড় উইকেট। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫৮ রান করা ব্রায়ান বেন্নেট। ১২৮ রানে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার আভাস জাগে বাংলাদেশ দলে।
সেই পালে আরও হাওয়া দেন তাইজুল। লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিন। পরের ওভারে ফের উইকেট। দারুণ এক টার্নিং ডেলিভারিতে নায়াশা মায়াভোকে ক্লিন বোল্ড করে ইনিংসে চতুর্থ উইকেটের দেখা পান মিরাজ।
ক্রমেই জমা ওঠে ম্যাচে এরপর বাংলাদেশকে কিছুটা চাপে ফেলে ওইয়েলিংটন মাসাকাদজা। তাইজুলের পরপর দুই ওভারে ছক্কা ও চার মেরে অনেকটাই চাপ সরান। জিম্বাবুয়ের দরকার যখন আর মাত্র ১৩ রান, ঠিক তখন ফের বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে হাজির হন মিরাজ। মাসাকাদজাকে বোল্ড করে প্রাণ ফেরার স্বাগতিক শিবিরে।
তবে ওই ওভারেই চার মেরে জিম্বাবুয়েকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রিচার্ড এনগারভা। তাইজুলের করা পরের ওভারের প্রথম বলেই আসে আরেকটি চার। খানিক বাদে ওয়েসলি মাধেভেরের আরেকটি বাউন্ডারিতে ঐতিহাসিক এক জয় নিশ্চিত হয় জিম্বাবুয়ের। বিফলে যায় মিরাজের ৫৪ রানে ৫ উইকেটের দারুণ এক স্পেল।
No posts available.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৪৫ এম
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য টিকে থাকার ম্যাচ। বাঁচা-মরার ওই ম্যাচে আফগানদের ৮ রানে হারিয়ে গ্রপ ‘বি’ থেকে সুপার ফোরে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখে লিটন কুমার দাসের দল। দারুণ এই জয়ের প্রভাব পড়ল র্যাঙ্কিংয়েও। আইসিসির সবশেষ হালনাগাদে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানকে হটিয়ে নয়ে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট এখন ২২২। আফগানিস্তানের রেটিং পয়েন্টও বাংলাদেশের সমান। তবে ভগ্নাংশে হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে অন্য কোনো দেশের অবস্থানে পরিবর্তন আসে নি। ২৩২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে পাকিস্তান। আর র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করা ভারতের রেটিং পয়েন্ট ২৭১।
গত মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পাকিস্তানের বিপক্ষেও ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ। টানা বাজে পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে নেমে যায় বাংলাদেশ। দশ থেকে নয়ে ওঠে আসে আফগানিস্তান। তারপর শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কুড়ি ওভারে টানা তিনটি সিরিজ জিতে লিটন দাসের দল। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও হংকং ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক এই পারফরম্যান্সের সুফল র্যাঙ্কিংয়ে পেল তারা।
টি-টোয়েন্টিতে সমীহ করার মতো দল আফগানিস্তান। ক্রিকেটের সংক্ষীপ্ততম এই সংস্করণেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে রশীদ খানের দল। মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে আছে আফগানরা। দুই দলের ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের জয় দেখেছে ৬বার আর পাকিস্তান জিতেছে ৭টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আইসিসি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। যার সৌজন্যে একটি চক্রপূরণ হয়েছে ভারতের। এই ফরম্যাটে এখন ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডার- তিন বিভাগেই শীর্ষে ভারতের ক্রিকেটাররা।
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে তিন ধাপ লাফিয়ে এক নম্বরে উঠে গেছেন বরুণ। গত মার্চ থেকে শীর্ষে অবস্থান করা নিউ জিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফিকে টপকে চূড়ায় বসেছেন ৩৪ বছর বয়সী স্পিনার।
বোলারদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠা ভারতের তৃতীয় ক্রিকেটার বরুণ। তার আগে জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবি বিষ্ণুই উঠেছিলেন এক নম্বরে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিয়ার সেরা দুই নম্বর পর্যন্ত উঠেছিলেন বরুণ।
এছাড়া ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছেন অভিষেক শর্মা। ৮৮৪ রেটিং নিয়ে ফিল সল্টের (৮৩৮) সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন ভারতের তরুণ ওপেনার। আর অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন ভারতের অভিজ্ঞ তারকা হার্দিক পান্ডিয়া।
র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন আছে বেশ কিছু। এশিয়া কাপে ভালো বোলিং করে ৬ ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে উঠেছেন শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান থুসশারা। এছাড়া দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ১৬ ধাপ লাফিয়ে ২৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন কুলদিপ যাদব।
ভারতের আরেক বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ১ ধাপ এগিয়ে ১২, পাকিস্তানের দুই স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৪ ধাপ এগিয়ে ১১ ও আবরার আহমেদ ১১ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৬ এবং আফগানিস্তানের স্পিনার নুর আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে উঠেছেন।
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তামিম-সাকিবের উন্নতি |
![]() |
পেসারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ধাপ এগিয়ে ৪০, জফ্রা আর্চার ৩ ধাপ এগিয়ে ১৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন ৫ ধাপ এগিয়ে এখন ৩৮ নম্বরে অবস্থান করছেন।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ করে এগিয়েছেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। সল্ট এখন দ্বিতীয় ও বাটলার তালিকার তৃতীয় ব্যাটার।
এর বাইরে শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কা ১ ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ২ ধাপ এগিয়ে ১১, আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২ ধাপ এগিয়ে ১৯, আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিম ২ ধাপ এগিয়ে ২০, ভারতের শুবমান গুল ৪ ধাপ এগিয়ে ৩৯ নম্বরে আছেন।
এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিব। ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এগোলেন তামিম। আর বোলারদের তালিকায় লাফ দিলেন সাকিব।
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ যথারীতি বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
তামিম, সাকিব ছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে জাকের আলি অনিকের। এছাড়া পিছিয়েছেন লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদরা।
আরও পড়ুন
কেমন গেলো সাকিবের সিপিএল |
![]() |
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তামিম। বর্তমানে ৫৬৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩৫ নম্বরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের তিনিই সবার ওপরে।
এছাড়া ৩ ধাপ এগিয়ে ৫৭ নম্বরে উঠেছেন অনিক। এশিয়া কাপে গড়পড়তা ব্যাটিং করা তাওহিদ হৃদয় ধরে রেখেছেন নিজের ৪৮ নম্বর জায়গা। লিটন কুমার দাস ১ ধাপ পিছিয়ে ৪২ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৮ ধাপ পিছিয়ে ৭৫ নম্বরে নেমে গেছেন।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ভারতের অভিষেক শর্মা।
বোলারদের তালিকায় ৫ ধাপ এগিয়ে ৪২ নম্বরে উঠেছেন সাকিব। তবে পিছিয়েছেন তার সামনে থাকা বাংলাদেশের বোলাররা। ৪ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেখ মেহেদি হাসান ২ ধাপ পিছিয়ে ২০ নম্বরে আর তাসকিন এখন ৫ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে।
রিশাদ হোসেনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিজের ২৪ নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন এই লেগ স্পিনার।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। আর অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন তার স্বদেশি হার্দিক পান্ডিয়া।
অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা তিনজনই ভারতের।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এলিমিনেটরে শেষ হয়ে গেছে অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনস ও সাকিব আল হাসানের এবারের যাত্রা। ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হওয়ার আসরে ব্যাটে-বলে অ্যান্টিগার সেরা পারফর্মারই ছিলেন সাকিব।
গত ১৪ আগস্ট টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অ্যান্টিগার বিদায় নেওয়া পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ১১ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৩৮.৪৬ গড়ে তার সংগ্রহ ১৮০ রান। আর ২৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি শিকার করেন ৬ উইকেট।
আরও পড়ুন
বৃথা গেল সাকিবের তাণ্ডব, বিদায় নিলো দল |
![]() |
সিপিএলের এবারের আসরে অ্যান্টিগার জার্সিতে সাকিবের চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু দুজন- কারিমা গোর (১০ ইনিংসে ২১৯) ও আমির জাঙ্গু (৪ ইনিংসে ১৮৫)। তবে তাদের দুজনেরই স্ট্রাইক রেট সাকিবের চেয়ে কম।
বোলিংয়েও সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন অ্যান্টিগার দুজন ক্রিকেটার- জেডেন সিলস (১০ ইনিংসে ১০ উইকেট) ও ওবেদ ম্যাকয় (৭ ইনিংসে ৯ উইকেট)।
তবে সাকিবের মতো ব্যাটে-বলে সমান তালে পারফর্ম করতে পারেননি অ্যান্টিগার কোনো ক্রিকেটার। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তিনি দলের সেরা ক্রিকেটার। বলা যায়, অ্যান্টিগার চতুর্থ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সাকিবেরই।
আসরের শুরুটা অবশ্য ঠিক সাকিবসুলভ ছিল না। প্রথম পাঁচ ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তেমন অবদান রাখতে পারেননি তিনি। অবশ্য ওই ম্যাচগুলোতে তাকে বোলিংয়ে ব্যবহারই করেননি ইমাদ ওয়াসিম। পাঁচ ম্যাচে তাকে মোট ৫ ওভার বোলিং দেন অ্যান্টিগা অধিনায়ক।
শেষ পর্যন্ত গত ২৪ আগস্ট সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে প্রথম অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান সাকিব। সেদিন ২ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। পরে রান তাড়ায় ১৮ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলায় জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সাকিবের সেরা ব্যাটিংয়ের দেখা মেলে সেইন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ৩১ আগস্টের ম্যাচে। সেদিন চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে ৫টি করে চার-ছক্কার মারে মাত্র ২৬ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাকিব।
সেদিন স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩৪.৬১! যা তার ক্যারিয়ারে ফিফটি করা ইনিংসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে কি খেলবে না পাকিস্তান, সিদ্ধান্ত আজ |
![]() |
বুধবার ভোরে ত্রিনবাগোর বিপক্ষে বিদায় নেওয়ার ম্যাচেও ঝড় তোলেন সাকিব। সুনিল নারিনের টানা চার বলে তিন চার ও এক ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে মাত্র ৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ২৬ রানের টর্নেডো ইনিংস। কিন্তু সেটি দলের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
সিপিএল অভিযান শেষ করে এখন কিছু দিন বিরতি পাবেন সাকিব। এরপর আগামী মাসে কানাডার সুপার সিক্সটি (টি-টেন) টুর্নামেন্টে মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের হয়ে খেলার কথা তার।
কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে কানাডা সুপার সিক্সটি টুর্নামেন্ট। ছয় দল ও ছয় দিনের আসরের পর্দা নামবে ১৩ অক্টোবর।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে পাবে না নিউ জিল্যান্ড। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েল।
তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেসি)। দলে ফিরেছেন দুই পেসার কাইল জেমিসন ও বেন সিয়ার্স।
তবে চোটের কারণে দুই অভিজ্ঞ পেসার লকি ফার্গুসন ও অ্যাডাম মিলনেকে পাবে না কিউইরা।
গত মাসে পেটের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন স্যান্টনার। আশা ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু যথাসময়ে সেরে উঠতে পারেননি তিনি।
এছাড়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গেছেন ফার্গুসন আর পায়ের চোটে খেলতে পারবেন না মিলনে। এর আগে বিভিন্ন চোটে উইল ও'রোরক, গ্লেন ফিলিপস ও ফিন অ্যালেনকে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ছিলেন না জেমিসন ও সিয়ার্স। প্রথম সন্তান জন্মের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন জেমিসন। আর চোটের কারণে খেলতে পারেননি সিয়ার্স।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগামী ১, ৩ ও ৪ অক্টোবর হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড স্কোয়াড:
মাইকেল ব্রেসওয়েল (অধিনায়ক), মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফোকস, ম্যাট হেনরি, বেভন জ্যাকবস, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ, টিম রবিনসন, বেন সিয়ার্স, টিম সেইফার্ট, ইশ সোধি।