২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:২৮ পিএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের দ্বাদশ আসর শুরুর আগে প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচে রান করেছেন রংপুর রাইডার্সের তরুণ ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন আব্দুল হালিম।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে সোমবারের ম্যাচটিতে অবশ্য জিততে পারেনি রংপুর। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দল। আগে ব্যাট অরে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করে রংপুর। জবাবে ১৮.১ ওভারে জয় পায় রাজশাহী।
দুই দল মিলিয়েই ম্যাচের সর্বোচ্চ রান করেন ইফতি। ওপেনিংয়ে নেমে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। এছাড়া তাওহিদ হৃদয় ১৯ বলে ২৬, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ১৮ বলে ২১ রান করেন।
আগের দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেও প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলেননি লিটন কুমার দাস। সোহানের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১০ রান। অভিজ্ঞ ফজলে মাহমুদ রাব্বি খেলেন ১৬ বল ১২ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন
| বিপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বদলে থাকছে যে আয়োজন |
|
রাজশাহীর হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন।
পরে রান তাড়ায় রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এজন্য অবশ্য ৩২ বল খেলে ফেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। এছাড়া তানজিদ হাসান তামিম ২২ বলে ৩১ ও আকবর আলি ২১ বলে ২৫ রান করলে সহজেই জিতে যায় রাজশাহী।
রংপুরের পক্ষে বল হাতে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট নেন হালিম। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন নাহিদ রানা। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য।
সিলেটে আগামী ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।
No posts available.
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ এম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম রয়্যালস ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস। যেখানে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ৬৫ রানে উড়িয়ে পথচলা শুভ করে চট্টগ্রাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় নোয়াখালী।
বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগমুহূর্তে মালিকপক্ষের দল পরিচালনায় অগরাগতা এবং বিদেশিদের নিয়ে অনিশ্চিয়তা পাশ কাটিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ রাঙাল বন্দর নগরীর দল। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২৬ রানের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে দুই উইকেট তুলেছেন ডান হাতি এই স্পিনার।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মেহেদি বলেন,
‘উইন ইজ উইন। এটা সবসময় আনন্দের। ক্যাপ্টেনসিতে আমি একদই নতুন। এরকম ভালো লেভেলে কখনোই ক্যাপ্টেনসি করিনি। এটা প্রথম ছিল। একটু এক্সাইটেডও ছিলাম। সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।’
সিলেটে আজ ম্যাচ চলাকালীন ঘুরে ফিরে আলোচনা হয়েছে কুয়াশা ও শিশির নিয়ে। শিশির বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বিপিএলের ১২তম আসরে। উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচ শেষে জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন এ নিয়ে কথা বলেছেন।
ইমনের মতে, সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশির বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একই কথা বলেছেন মেহেদি।
তিনি বলেন,
‘রাতের খেলায় শিশির থাকবেই। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটা এটা কোচের একটা ভালো ডিসিশন ছিল। দেখেন আমাদের কিন্তু ব্যাটিং লাইনআপ অত বড় ছিল না। সেক্ষেত্রে বোলিং সাইডটা অনেক স্ট্রং ছিল। আমাদের মনে হয় টসটা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ছিল। সেটা আমরা ভালোভাবে ইউটিলাইজ করতে পেরেছি।’
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে আজ দুজন বিদেশি নিয়ে খেলেছে। যাদের একজনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চেনা মুখ নয়। যদিও মেহেদির আশা দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ৪ জন বিদেশি প্লেয়ার নিয়ে খেলবেন তারা।
চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক বলেন,
‘আশা করি পরবর্তী ম্যাচ থেকে আমরা চারটা ওভারসিজ নিয়ে খেলতে পারব। চারটা ওভারসিজ হলে দেখা যায় টিমের ব্যালেন্সটা আরো ভালো হবে। এটা আর কি। এটা তো আমাদের হাতে না। যারা অফিশিয়াল আছে তারা হয়তোবা ডিসিশন নিতে পারবে।’
চট্টগ্রাম রয়্যালসের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন,
‘প্রফেশনাল ক্রিকেটার নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। সে সমস্যা সমাধান হওয়ার সাথে সাথে আমার মনে হয় সবাই ফ্রি হয়ে গেছে। যেটা আমার মনে হয় যারা কোচিং স্টাফে যারা নতুন আসছে বা যারা নতুন অফিশিয়াল আসছে তারা আমাদের পুরো মেন্টালি ফ্রি করে দিয়েছেন। একদম মেন্টালি ফ্রি ক্রিকেট খেলতে পারছি এখন।’

২ কোটি টাকা ফ্রাঞ্চাইজি ফি দিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসের সত্ব কিনেছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের হিসাব বলছে ট্রায়াঙ্গল সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক গ্যারান্টিও জমা দিয়েছে বিসিবিকে।চট্টগ্রাম রয়্যালসের সত্ব কিনে নিলামে নাঈম শেখ-কে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় কিনে হৈ চৈ ও ফেলে দিয়েছিল দলটির মালিকপক্ষ। অথচ, এই ফ্রাঞ্চাইজিই কি না বিপিএল শুরুর আগে ২ জনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটার যোগাড় করতে পারেনি। অর্থ সংকটের কারণে বিসিবির কাছে মালিকানা সমর্পন করেছে তারা। বিপিএল মাঠে গড়ানোর ২৪ ঘন্টা আগে এমন সিদ্ধান্তে টালমাটাল হওয়ার দশা যে দলটির, পরিস্থিতির মুখে সেই দলটি পরিচালনার দায়িত্ব বিসিবি নিয়েছে। তাতেই বহুগুন চাঙ্গা হয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস ক্রিকেটাররা। তার প্রতিফলন পড়েছে বিপিএল সিজন-১২-এর উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে! পর্যাপ্ত সংখ্যক প্র্যাকটিস বলের সরবরাহ না পাওয়ায় অনুশীলন ছেড়ে চলে যাওয়া কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন-তালহা যোবায়েরের দল যে শুরুতে ছন্নছাড়া, সেই সুযোগটা নিয়েছে বিসিবির মালিকানায় চলে যাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালস। ফ্লাড লাইটের আলোয় ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে বিপিএল শুরু করেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।
কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের রাতে টস জিতে আগে ব্যাট করা উত্তম, চট্টগ্রাম রয়্যালস অধিনায়ক শেখ মেহেদীর এই সিদ্ধান্তটা ছিল যথার্থ। ৫ নো, ৪ ওয়াইডে পাওয়া বোনাস ৯টি বলের সুবাদে ইনিংসটা ১৭৪/৬ পর্যন্ত টেনে নেয়ায় পরবর্তীতে স্বস্তিতে ফিল্ডিংয়ে নামতে পেরেছে চট্টগ্রাম।
১ কোটি ১০ লাখ টাকার ক্রিকেটার নাঈম শেখ মেহেদী রানার দ্বিতীয় ওভারে ফিরেছেন মাত্র ১১ রানে। তবে এ নিয়ে দুর্ভবনায় পড়তে হয়নি চট্টগ্রামকে। পাকিস্তানী মিডিওকার ক্রিকেটার মীর্জা বেগ একাই টেনে নিয়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। ফিফটি করেছিলেন ওয়ানডে মেজাজে (৪৯ বলে)। টি-২০ ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ৬০ বলে ৭ চার, ১ ছক্বায় করেছেন ৮০। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪১ বলে ৫৮ রানে নেতৃত্ব দিয়েছেন মীর্জা বেগ। অধিনায়ক শেখ মেহেদী ২০০.০০ স্ট্রাইক রেটে ১৩ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ২৬ করেছেন। নোয়াখালির শ্লো মিডিয়াম পেসার ১ ওভারে শেখ মেহেদী এবং আবু হায়দার রনি-কে ফিরিয়ে না দিলে চট্টগ্রামের স্কোরটা হতে পারতো আরও বড়। নোয়খালির পাকিস্তানী পেসার ইহসানুল্লাহ এই ম্যাচে ১টি ওয়াইড ডেলিভারির পাশে ৪টি নো ডেলিভারি দিয়েছেন। যার মধ্যে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ২টি নো'র পাশে ছিল ১টি ওয়াইড।
দিনের প্রথম ম্যাচে ১৯১ তাড়া করে রাজশাহী ওরিয়র্স জিতেছে ৮ উইকেটে। সে কারণেই একই মাঠে ১৭৫ রান তাড়া করা কঠিন কিছু নয় বলে ধরে নিয়েছেন যারা, তারা ভুল করেছেন। শিশিরে বলের গ্রিপিং কঠিন হলেও অফ স্পিনার শেখ মেহেদী (৪-০-১৭-২), বাঁ হাতি স্পিনার তানভির (৪-০-৩৯-৩) এর পাশে তিন পেসার শরিফুল (৩-০-১৪-২), আবু হায়দার রনি (৩-০-১৯-১) এবং মুগ্ধ (২.৫-০-১৮-২) নোয়াখালিকে শৈত্য প্রবাহে দিয়েছেন কাবু করে। ১৪তম ওভারে তানভিরকে পর পর দুটি ছক্কা মেরে পাকিস্তানী হায়দার আলী দিয়েছিলেন উত্তাপ। তবে তার পরের ২টি ডেলিভারিতে হায়দার আলী (২৪ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ২৮) এবং হাসান মাহমুদ (১ বলে ০) ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলে নাম লেখানো নোয়াখালি এক্সপ্রেস। ৫ বলের শেষ স্পেলে ২ উইকেট নিয়ে নোয়াখালিকে অসহায় আত্মসমর্পনে বাধ্য করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
১০১ বলের ইনিংসে ৫৩টি ডট। ৯টি চারের পাশে ৫টি ছক্কা। এখানেই নোয়াখালি খেয়েছে ধাক্কা।

সাদা বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের সেরা সময়ই যেন পার করছেন ধ্রুব শোরে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে টানা পাঁচ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ভারতীয় এই ব্যাটার ছুঁয়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। যেখানে আগে থেকেই আছেন ভারতের আরেক ব্যাটার নারায়ণ জগদেসান।
ভারতের বিজয় হাজারে ট্রফিতে শুক্রবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাত্র ৭৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন শোরে। রাজকোটে তার রেকর্ড গড়ার দিনে ৮৯ রানের সহজ জয় পেয়েছে বিদর্ভা।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১০৯ রানের এই ইনিংসটি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শোরের অষ্টম সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ৫টিই করেছেন সবশেষ পাঁচ ম্যাচে।
তার এই সেঞ্চুরির ধারা শুরু হয়েছে গত মৌসুমের বিজয় হাজারে ট্রফির মধ্য দিয়ে। যেখানে কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন টপ-অর্ডার ব্যাটার। ওই আসরে ৯২.৬৮ স্ট্রাইক রেট ও ৭০.৪৭ গড়ে ৪৯৪ রান করেন তিনি।
সেই ছন্দ ধরে রেখে এবার বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলার বিপক্ষে ১২৫ বলে খেলেন ১৩৬ রানের ইনিংস। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৯ রান করে জগদেসানের সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন বিদর্ভার ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে টানা পাঁচ সেঞ্চুরি আছে শুধু এই দুই ব্যাটারের। ২০২২-২৩ মৌসুমের বিজয় হাজারে ট্রফিতেই টানা পাঁচ সেঞ্চুরি করেছিলেন জগদেসান। সেবার অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যা লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
টানা ৪টি সেঞ্চুরি নিয়ে এই তালিকায় শোরে ও জগদেসানের পরেই আছেন করুন নায়ার, দেবদূত পাডিক্কাল, কুমার সাঙ্গাকারা ও আলভিরো পিটারসেন। এদের মধ্যে শুধু সাঙ্গাকারাই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে টানা ৪ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন।

দল নেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের শুরু, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচের আগের দিন মালিকানাই ছেড়ে দিল চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। শেষমেশ তাই দায়িত্ব নিল বিসিবি। কিন্তু কোটার ৪ বিদেশি ক্রিকেটারও পেল না তারা। তবে এসবের ছাপ মাঠে পড়তে দেননি শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখরা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের দ্বাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ই পেল চট্টগ্রাম রয়্যালস। নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ৬৫ রানে উড়িয়ে পথচলা শুরু করল মেহেদির নেতৃত্বাধীন দল। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় নোয়াখালী।
ব্যাটে-বলে সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেহেদি। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওর পর বোলিংয়ে কিপটে প্রদর্শনীতে ২ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
শেষ মুহূর্তে বিসিবির মালিকানায় যাওয়া চট্টগ্রাম দলটি নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র দুই বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে খেলতে নামে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দায়িত্ব নেন দুই বিদেশির একজন মির্জা বেগ। শুরু থেকে শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৬৯ বলে করেন ৮০ রান।
৭ চারের সঙ্গে ২ ছক্কার ইনিংসে পাকিস্তানি ওপেনারের স্ট্রাইক রেট ১১৫.৯৪! বিপিএলে অন্তত ৬০ বল বা অন্তত ৭০ রানের ইনিংসে এটিই সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট। তবে মির্জা ছাড়া আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।
শেষ দিকে মেহেদির ২৬ রানের ক্যামিওর সৌজন্যে দেড়শ পার করে চট্টগ্রাম। আর কোনো ব্যাটার ২০ রানও করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বড় জয়ে তাই মির্জার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় নোয়াখালী। পাওয়ার প্লের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান, সাব্বির হোসেন ও সৈকত আলি। ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ৭ বলে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি সোহান।
একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন মাজ সাদাকাত। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৭ বলে তিনি করেন ৩৮ রান। এছাড়া হায়দার আলি ২৪ বলে ২৮ রান করলে কোনোমতে একশ পার করতে পারে নোয়াখালী।
৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেহেদি। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৭৪/৬ (মির্জা ৮০, নাঈম ১১, রবি ১৬, জয় ১৭, মেহেদি ২৬, আবু হায়দার ৪, জিয়াউর ৬*; হাসান ৪-০-২৫-১, রানা ৪-০-২৯-১, ইহসানউল্লাহ ৩-০-৪০-০, জহির ৪-০-৩৫-১, সাদাকাত ৪-০-৩১-১, সাব্বির ১-০-৯-২)
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: ১৬.৫ ওভারে ১০৯ (সাদাকাত ৩৮, সোহান ১৫, সাব্বির ৫, সৈকত ৪, জাকের ৬, হায়দার ২৮, অঙ্কন ৫, হাসান ০, রানা ২, জহির ১*, ইহসানউল্লাহ ০; শরিফুল ৩-০-১৪-২, আবু হায়দার ৩-০-১৯-১, মেহেদি ৪-০-১৭-২, তানভির ৪-০-৩৯-৩, মুগ্ধ ২.৫-০-১৮-২)
ফল: চট্টগ্রাম রয়্যালস ৬৫ রানে জয়ী

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ আগে ব্যাটিং করা স্বাগতিক দল ১৯০ রান সংগ্রহ করে। ২ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে নাজমুল হোসেন নেতৃত্বাধীন দল।
উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট দলের ব্যাটিং পজিশনে ছিল কিছুটা চমকে ভরা। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে চতুর্থ নম্বরে ব্যাটিং করতে দেখা যায় এদিন। এ পদক্ষেপ দলের জন্যই ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়। ইমন চারে ব্যাটিং করে ৩৩ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইমন জানান, তিনি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। বরং এটি জাতীয় দলের জন্য ভালো প্রস্তুতির অংশ। তিনি বলেন,
“প্রিপারেশনটা এখান থেকেই নিচ্ছি। এটা একটা ভালো সুযোগ আমার জন্য। যে কোনো খেলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। টিম যেখানে খেলাতে দেয়, আমি সেখানে খেলবো। তবে একজন ওপেনার হিসেবে ওপেনিং করতে পছন্দ করি।”
আধুনিক ক্রিকেটে টিম ম্যানেজমেন্ট প্রায়ই ব্যাটসম্যানদের বিভিন্ন পজিশনে পরীক্ষা করে দেখে। ওপেনিং থেকে চারে ব্যাটিং—যদিও সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে তিনি চারে ব্যাটিং করেছেন।
ইমন বলেন,
“যদি সবাই জানে আমি এ জায়গায় ফিট, তাহলে হয়তো টিম ভালো পারফর্ম করবে না। এই জায়গায় খেলে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাই। সেখানেই খেলা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
৩৩ বলে ৬৫, শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। নিশ্চয়ই আজ শুরুতে নামতে পারলে ইনিংস বড় হতো। কাক্ষ্খিত একটা ফল পেতেন ইমন। জাতীয় দলের ওপেনার বলেন,
‘ওপেন করলে আরও বড় ইনিংস হতে পারতো। আবার নাও হতে পারতো। টিম আমাকে যেখানে খেলিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।’
সিলেটে আজ কুয়াশার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। সন্ধ্যা হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে কুয়াশা পড়তে শুরু করে, যা খেলায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। ২৩ বর্ষী উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন,
‘ফার্স্টে যেরকম উইকেটে ব্যাটিং করছি কিন্তু সেকেন্ড হাফে ফুললি চেঞ্জ হয়ে গেছে কুয়াশার জন্য। বল সুন্দরভাবে আসছিলো। আমি কিপিংও করেছিলাম। তাই সেকেন্ড হাফে ব্যাটিং করা একটু ইজি ছিল ‘