ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি এখন পুরোদস্তুর কোচ। শাই হোপদের হেড মাস্টার হিসেবেই বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও সদা হাস্যোজ্জ্বল সামি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন কথায় এবং কাজে।
শিষ্যদের ব্যাট-বলের তালিম দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সবার সঙ্গে। আইসিসি ইভেন্ট ছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সুবাদে ঢাকায় আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্যামির। পার্থক্য এটুকুই—আগে এসেছিলেন খেলোয়াড় হিসেবে, এবার কোচ হয়ে।
কোচের ভূমিকা ও গাম্ভীর্যতার আড়ালেও নিজস্ব ক্যারিশমা ছড়িয়ে যাচ্ছেন স্যামি। কখনো আদুরে বাংলায় কথা বলছেন, কখনো জানাচ্ছেন প্রিয় খাবারের নাম—বিরিয়ানি। আর এবার খোঁজ করলেন বাংলাদেশ নারী দলের পেস অলরাউন্ডার রিতু মনির।
রিতু মনিকে খোঁজ করার কারণ কী হতে পারে, প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। কারণ এর আগে বাংলাদেশ নারী দলের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেননি স্যামি। সঙ্গত কারণেই, ব্যক্তিগত পরিচয় থাকার কথাও নয়। কিন্তু হ্যাঁ, অন্য একটি বিশেষ কারণে দেশের এই পেস অলরাউন্ডারকে মনে রেখেছেন ও খোঁজ করেছেন স্যামি।
রিতু মনির আদর্শই হচ্ছেন ড্যারেন স্যামি। দু’জনেই পেস অলরাউন্ডার। এমনকি স্যামির জার্সি নম্বর ৮৮-ও বেছে নিয়েছেন রিতু। এই মিলগুলোর কারণেই তাকে স্মরণে রেখেছেন সামি।
আজ টি স্পোর্টসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সামি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে, আমি আইসিসির একটি পোস্টে তার (রিতুর) একটি সুন্দর ভিডিও দেখেছি। সে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার। যখন আমি বাংলাদেশি আসি, তখন ও ছিল এক তরুণ তারকা। সে ৮৮ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিল। তার সঙ্গে দেখা করে ভালো লেগেছে। সে এখন ভারতে আছে। আশা করি, সে দেশে ফিরবে, আর দেশ ছাড়ার আগে আমি তার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’
স্যামি তাকে স্মরণে রেখেছেন—এতে দারুণ আনন্দিত রিতু মনি। নারী বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া এই অলরাউন্ডার তাৎক্ষণিকভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন টি স্পোর্টসকে। রিতু বলেন, ‘যখন শুনলাম যে সে (সামি) আমার কথা বলেছে, আমি এক্সাইটেড হয়ে যাই। আমি তাকে দেখলেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। পরে আমার পুরো টিম আমাকে সাপোর্ট করে। আসলে আমি তার কত বড় ভক্ত, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি তার অনেক বড় ভক্ত। যখন সে বাংলাদেশে খেলতে আসতো, তখন তার পেপার কাটিং রেখে দিতাম। তখনই মনে হয়েছিল, যদি আমি একদিন জাতীয় দলে খেলি, তাহলে তার মতো ৮৮ নম্বর জার্সি পরে খেলব। কারণ সেও অলরাউন্ডার, আমিও তাই। এমনকি তার কোনো ম্যাচ আমি কখনো মিস করতাম না।’
স্যামি শুধু রিতুর খোঁজই নেননি দেশের নারী ক্রিকেটারদের দিয়েছেন উপদেশ।বলেছেন অনুশীলন করে নিজেকে প্রস্তুত করো এবং সেটা প্রয়োগ করো।
No posts available.
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৮:১৩ পিএম
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬:০৭ পিএম
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল জিম্বাবুয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে ১২ বছর পর জয় পেলেন ক্রেইগ আরভিনরা। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের পর এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জিতল দলটি। আফগানিস্তানকে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল জিম্বাবুয়ে।
হারারাতে আজ ইব্রাহিম জাদরান ২৫ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শুরু করেন। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ (৯ রান)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। বাহির শাহ করেন ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন রিচার্ড এনগারাভা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও তানাকা চিভাঙ্গা। এই তিন পেসারের তোপেই ভেঙে পড়ে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। মুজারাবানি তিনটি ও চিভাঙ্গা নেন দুটি উইকেট। ফলে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তান ১২৭ রানে গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে বেন কারানের (১২১) সেঞ্চুরিতে ৩৫৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম জিম্বাবুইয়ান ওপেনার হিসেবে ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আফগানিস্তান, তবে এবারও ব্যাটিংধসের শিকার হয় তারা। সবকটি উইকেট হারিয়ে দলটি স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে মাত্র ১৫৯ রান। অর্থাৎ আবারও তারা ৭৩ রানে পিছিয়ে থেকে গুটিয়ে যায়। তাতেই ইনিংস ও রান ব্যবধানে আফগানদের হারানোর কীর্তি গড়লো জিম্বাবুয়ে।
হারারেতে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ২৯ অক্টোবর।
চলতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখেই ষষ্ঠ মৌসুম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কাতে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম সংস্করণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশ্বকাপের সব ভেন্যুকে বড় টুর্নামেন্টের মান বজায় রাখার মতো অবস্থায় রাখতে হবে। সে জন্যই এলপিএল পেছানো হয়েছে।
এই সময়ে স্টেডিয়ামগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলোয়াড়দের সুবিধা আধুনিকীকরণ, সম্প্রচার সুবিধা বৃদ্ধি এবং মিডিয়া সেন্টারের মান উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। বর্তমানে দেশটির তিনটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে সংস্কার কাজ চলমান। কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম নারী বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচ আয়োজনের পর পুনরায় পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শুরু হবে।
এসএলসি জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিশ্বমানের সুবিধা নিশ্চিত করতেই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে উপযুক্ত সূচি অনুযায়ী এলপিএলের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে সিসিডিএম-এর আওতাভুক্ত সব ধাপের ক্রিকেট লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন। গত ৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে লিগ বর্জনের ঘোষনায় দুশ্চিন্তায় পড়ার কথা সিসিডিএম'র নব গঠিত কমিটির। তবে বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথম বিভাগের ক্লাবসমূহের প্রতিনিধিরা লিগে খেলতে রাজি হয়েছেন। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'আমরা ক্যালেন্ডার শুরু করব প্রথম বিভাগ দিয়ে। কোনো ক্লাবের পক্ষ থেকে আপত্তি আসেনি। কোনো কোনো ক্লাব লিগের সময়সূচি নিয়ে লিগ আয়োজনের কথা বলেছে। তবে তারা সবাই লিগ খেলবে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আমরা অতি শীঘ্রই দলবদল এবং লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা করব। নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ শুরু করতে চাই। জাতীয় লিগ, বিপিএলের পরে প্রিমিয়ার ডিভিশন শুরু করব।'
প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ক্লাবসমূহের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩ জন নভেম্বরের পরিবর্তে জানুয়ারিতে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।
প্রথম বিভাগ আগে শুরু করার কারন ও বলেছেন তিনি-
'প্রিমিয়ার ডিভিশনে যদি কেউ খেলতে না পারে, সে প্রথম বিভাগে খেলতে পারে। প্রথম বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ পরের বছর প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। প্রথম বিভাগে বেটার উইকেট দেয়াটা আমাদের লক্ষ্য। কারণ, মৌসুমের শুরুতে উইকেট ভাল থাকে। আমাদের সময়টা অনেক কম। এপ্রিল মাসের মধ্যে সবগুলো লিগ সম্পন্ন করতে চাই। আগামী বছর কবে কোন লিগ শুরু করব, তা আগেভাগে জানিয়ে দিব।'
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কিংস এরেনায় বাংলাদেশের পেশাদার ফৃুটবল লিগ এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেশ ক'বছর ধরেই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পর এবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সুদৃশ্য ক্রিকেট গ্র্যাউন্ডকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ভেন্যু হিসেবে পেতে যাচ্ছে সিসিডিএম। সভা শেষে এ তথ্য দিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'প্রথম বিভাগের জন্য ৫ টা মাঠ দরকার। আমরা ৭টি মাঠ পেয়ে গেছি। বসুন্ধরায় এবার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচ হবে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের সিলিকন, পিকেএসপির এক এবং দুই নম্বর গ্র্যাউন্ড, কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার মাঠ পাচ্ছি। এনএসসিএলের কারণে বিকেএসপির মাঠ দুটি পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।'
ছুঁতো খুঁজে ক্রিকেটারদের জিম্মি করার যে প্রবণতা ক্লাবসমূহের, এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সিসিডিএম। এমন পরিকল্পনার কথা বলেছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান-
' শুধু আর্থিক ব্যাপারেই নয়, কিছু চেঞ্জ এবার সিসিডিএম করবে। অর্গানাইজারদের নিয়েও আমরা কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।'
সভায় অংশ নিয়ে ৫০% বর্ধিত অ্যাপিয়ারেন্স মানি বরাদ্দের সুখবর পেয়েছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাব প্রতিনিধিরা। বর্ধিত প্রাইজমানি, ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স এবং জার্সির খরচের অনুদানের নিশ্চয়তাও পেয়েছেন উপস্থিত ক্লাব প্রতিনিধিরা। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিবির সহ সভাপতি ফারুক আহমেদের উপস্থিতিতে সভাটি প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। সিসিডিএম'র সাবেক সদস্য সচিব ফায়জুর রহমান মিতু ২১ বছর পর সিসিডিএম-এ ফিরেছেন। নব গঠিত সিসিডিএম'র ভাইস চেয়ারম্যান মিতু নিজের এই প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশি। বিসিবির অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলামও ছিলেন এই সভায় উপস্থিত।
রাওয়াপিন্ডি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার লেজের ব্যাটাররাই এলোমেলো করে দিল পাকিস্তানের পরিকল্পনা-কৌশল। ২৩৫ রানে প্রোটিয়াদের ৮ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকেরা। পাকিস্তানের লিড নেওয়া তখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সফরকারীদের দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার সেনুরান মাথুসামি ও কাগিসো রাবাদার ফিফটিতে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০৪ রান।
শেষ ২ উইকেট জুটিতে ৭১ ও ৯৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উল্টো ৭১ রানের লিড পায় তারা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ৩৩৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে শান মাসুদের দল। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে তুলেছে তারা ৯৪ রান। লিড় দাঁড়াল তাদের ২৩।
৬০ রানে ৪ উইকেটট হারায় পাকিস্তান। দলের বিপর্যয়ে ছন্দে ফেরার খোঁজে থাকা বাবর আজম দিন শেষে ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন। তাঁর সঙ্গে ১৬ রান থেকে কাল চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন মোহাম্ম রিজওয়ান।
সিমন হারমারের ঘূর্ণি জাদুতে ১৬ রানে তিন টপ অর্ডারের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম-উল হক ৯, আব্দুল্লাহ শফিক ৬ ও অধিনায়ক শান মাসুদ ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। সৌদ শাকিলের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
পঞ্চম উইকেটে বাবর ও রিজওয়ান ৮৯ বলে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে টানছেন বাবর। ৮৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। মেরেছেন ৭টি চার। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে হারমার ৩টি ও কাগিসো রাবাদ নিয়েছেন ১ উইকেট।
২৩৫ রানে নেই ৮ উইকেট। মনে হচ্ছিল, পাকিস্তানের লিড নেওয়া যেন সময়ের অপেক্ষা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেজের বাড়িতে- সেই দৃশ্য বদলে গেল দ্রুতই। সেনুরান মাথুসামি আর কাগিসো রাবাদার ফিফটিতে ধুঁকতে থাকা প্রাটিয়ারা প্রথম ইনিংসে তোলে ৪০৪ রান। উল্টো ৭১ রানের লিড পায় তারা।
রাওয়ালপিন্ডির টেস্টের তৃতীয় দিনটা যেন হয়ে থাকল রাবাদার দিন। ব্যাট হাতে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে তুলে নেন টেস্টে নিজের প্রথম ফিফটি। মাথুসামির সঙ্গে দশম উইকেটে গড়েন ৯৮ রানের দারুণ এক জুটি। টেস্টে শেষ উইকেটে সপ্তম সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ বলে করেন ৭১ রান।
৩৮ বলেই রাবাদা তুলে নেন ফিফটি। এই ইনিংসেই তৈরি হলো এক নতুন রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ রান এখন রাবাদার দখলে। এর আগে ১৯০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আলবার্ট ভোগলার করেছিলেন ৬২ অপরাজিত। রাবাদা সেই রেকর্ড ভেঙে ৭১ রান করে গেলেন, নাম তুললেন ইতিহাসের পাতায়।
বল হাতেও পাকিস্তানের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ৭১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান তুলতেই স্বাগতিকেরা হারিয়েছে ৪ উইকেট। রাবাদা নিয়েছেন ১ উইকেট। সিমন হরমারের শিকার ৩টি। এখন পর্যন্ত লি হলো তাদের ৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ নম্বর ব্যাটারদের সেরা ইনিংস
খেলোয়াড় | রান |
কাগিসো রাবাদা | ৭১ |
আলবার্ট ভোগলার | ৬২* |
প্যাট্রিক সিমকক্স | ৫৪ |
মরনে মর্কেল | ৪০ |
ডেন প্যাটারসন | ৩৯* |